মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি একজন মোটরসাইকেল রাইডার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে। এতে করে রাস্তাঘাটে আপনি বিভিন্ন রকম সুবিধা পাবেন। কিন্তু আপনি নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন তবে জানা নাই মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে

যদি না জেনে থাকেন মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নাই আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানানো হবে ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পেজ সূচিপত্রঃ মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে 

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে

আপনার যদি একটি মোটরসাইকেল থাকে এবং আপনি যদি রাস্তাঘাটে কোনরকম সমস্যা ছাড়া ড্রাইভিং করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এবং এটি একটি সরকার অনুমোদিত তাই অবশ্যই যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি হয়ে থাকে তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিতে হবে। 

অনেকেই ভাবছেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন কিন্তু তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন রয়েছে যেমন মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে? মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার আগে অবশ্যই এগুলো বিষয়ে ধারণা রাখা প্রয়োজন। 

আরো পড়ুনঃ টুরিস্ট ভিসা কি - টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়

প্রথমে আপনাকে বিআরটিএ লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে সেজন্য আপনার প্রয়োজন হবে প্রথম ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র কার ৫১৮ টাকা এবং দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে কার এবং মোটরসাইকেল ৭৪৮ টাকা এবং এই টাকাটি পরিশোধ করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।

আপনি যদি মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে এটা সাধারণত ও পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়ে থাকে। বর্তমানে যেহেতু নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে সেজন্য তার পাশাপাশি মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। 

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে হবে এবং তারপরে পরীক্ষার ফলাফল এবং ফি হিসাবে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ৪,৪৯৭ টাকা যেটার মূল্য আগে ছিল ২,৫৪২ টাকা। আশা করছি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে। 

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো আপনাকে মানতে হবে এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু ঠিকভাবে করতে পারলে আপনাকে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম।

১। প্রথমে আপনাকে বিআরটিএ থেকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর একটি কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। 

২। এরপরে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থতা প্রমাণের জন্য মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করে নেবেন। 

৩। আপনার নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে এবং সেই সনদপত্র ফটোকপি করে নিয়ে যাবেন। 

৪। যদি অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে। আর যদি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান হলে সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স হতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ সহজে জন্ম নিবন্ধনে আবেদন করার পদ্ধতি ২০২৪

৫। সবকিছু তথ্য জমা দেওয়ার পরে আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ আসবে এবং আপনাকে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে সে নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। আপনি আসল আবেদনকারী কিনা সেজন্য আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর ছাপ নেওয়া হবে।

৬। এই পরীক্ষার রেজাল্ট সাধারণত একদিনের মধ্যে দেওয়া হয়। যদি পরীক্ষায় ফেল করেন তাহলে পরবর্তীতে নিয়মে আবারো পরীক্ষা দিতে হবে আর যদি পাশ করেন তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যে টাকা প্রয়োজনে সেটা পরিশোধ করতে হবে। 

৭। টাকা পরিশোধ করার পরে নির্দিষ্ট কার্য দিবসের মধ্যে আপনার ঠিকানায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য ডাক বিভাগের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ এর সেবা পাওয়ার জন্য ফি এর সাথে অতিরিক্ত ৬০ টাকা অনলাইনে মাধ্যমে দিতে হবে। 

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত দিন লাগে

অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পরে এই প্রশ্নটি করে থাকেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন লাগে। আসলে এটার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই তারপরেও একটি ধারণা দেওয়ার জন্য বলা যেতে পারে।ড্রাইভিং লাইসেন্স যেহেতু বিভিন্ন রকম কার্য সম্পন্ন করে তৈরি করা হয় তাই এটি তৈরি হয়ে আপনার হাতে আসবে বিপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন এর মত সময় লেগে যায়। 

তবে এতে করে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনার সবকিছু যদি ঠিক থাকে এবং আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার ফি পরিশোধ করে থাকেন তাহলে তারা আপনাকে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে এবং যখন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে অথবা আপনি চাইলে এগিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন।

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে

বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া রাস্তায় মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করতে পারবেনা। যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া রাস্তাঘাটে চলাফেরা করে এবং তাদেরকে যদি পুলিশে ধরে তাহলে জরিমানা সহ বিভিন্ন রকম শাস্তি পেতে হতে পারে তাই আপনার বয়স যদি ১৮ বছর হয় তাহলে অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স করেন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগে সেগুলো জেনে নিন। 

  • আবেদনকারীকে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাস করতে হবে এবং সেটার সনদপত্র থাকতে হবে।
  • মোটরসাইকেল যেহেতু অপেশাদার লাইসেন্স সেজন্য বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র সনদ এবং জন্ম সনদের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
  • বর্তমান ঠিকানা প্রয়োজন হবে এখানে ভুল কোন ঠিকানা দেওয়া যাবে না।
  • বিদ্যুৎ বিল পানি বিল অথবা গ্যাসের বিলের কপি প্রয়োজন হবে।
  • শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থতা প্রমাণের জন্য মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন হবে।
  • রিসেন্ট তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে এবং ৪ কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে। 

এ সকল কাগজপত্র এবং তথ্য যদি তার কাছে থাকে এবং সঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে সবকিছু পর্যালোচনা করে এবং যাচাই বাছাই করে আপনি যদি মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হতে হবে আপনাকে মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে। 

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন

ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো আপনার কাছে যদি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে আপনি শুধুমাত্র দেশের নয় দেশের বাহিরে গিয়েও ১৮০ রকমের গাড়ি ড্রাইভিং করতে পারবেন। কিন্তু অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন? ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ মূলত ৬ মাস থেকে। 

আরো পড়ুনঃ গাড়ির সকল পার্টস এর তালিকা এবং এর কাজ

আপনার যদি এই ছয় মাস মেয়াদ থাকে তাহলে আপনি অন্যান্য দেশে গিয়ে বিভিন্ন রকম গাড়ি ড্রাইভিং করতে পারবেন।ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ ৬ মাস পার হয়ে গেলে নতুন করে আবার রিনিউ বা নবায়ন করে নিতে হবে। 

মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগেঃ শেষ কথা

আশা করছি আপনারা যারা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলেন তারা এখন ক্লিয়ার ভাবে জানতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন এবং কোনরকম ঝামেলা ছাড়া রাস্তাঘাটে বাইক রাইড করতে চান। 

তাহলে অবশ্যই আপনার যদি বয়স হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স করে নিবেন। এ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url