হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ - হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায়
তো আপনি যদি হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ হাত ঘামা রোগের নাম হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায় হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর নাম গুলো জানতে চান তাহলে আজকের আরটিকাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ - হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায়
- হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ
- হাত ঘামা রোগের নাম
- হাত পা ঘামা থেকে মুক্তির উপায়
- হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায়
- আমাদের শেষ কথা
হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ
আমরা প্রতিদিন হাত দিয়ে কতই কাজ না করে থাকি এবং পা দিয়ে হাঁটাচলা করে থাকি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেরই দেখা যায় শীতকাল অথবা গরম কাল সবসময়ই অতিরিক্ত হাত-পা ঘেমে যাই। এতে করে যেমন অস্বস্তি লাগে তেমনি বিভিন্ন রকম কাজ করতে অনেক বেশি অসুবিধা হয়ে থাকে। তো আপনার যদি এরকম সমস্যা থাকে তাহলে হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ?
আমাদের দেহে স্নায়ুতন্ত্রের একটি বড় অংশ হলো সিমপেথেটিক যদি কোন কারণে এটি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে তখন ঘাম গ্রন্থী অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠে এতে করে হাত এবং পা অতিরিক্ত ঘেমে যায়।
আরো পড়ুনঃ জন্ডিস হওয়ার কারণ - জন্ডিস থেকে মুক্তির ১০ টি উপায়
এবং শরীরে যদি বিভিন্ন রকম রোগ বাসা বাধে তাহলে সেই কারণেও হাত-পা ঘামতে পারে অর্থাৎ হাত পা ঘামা অনেক সময় বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। যেমন বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।এবং পারকিনসন ডিজিস এর লক্ষণ হতে পারে।
হাত ঘামা রোগের নাম
গরমের সময় হাত পা ঘামা একটা স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু শীতের সময় এবং গরমের সময় কোন কারণ ছাড়া যদি অতিরিক্ত বেশি হাত ঘেমে যায় তাহলে এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে হাইপারহাইড্রোসিস রোগ বলা হয়ে থাকে।
যদি কোন কারন ছাড়া অতিরিক্ত হাত ভেঙে যায় তাহলে অবশ্যই অবহেলা না করে চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আর যদি দেখেন কোন কাজ করলে এবং
অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণে হাত ঘেমে যাচ্ছে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই।
হাত পা ঘামা থেকে মুক্তির উপায়
আপনার যদি কোন কারণ ছাড়াই শীতে অথবা গরম কালে হাত-পা ভেঙে যায় তাহলে অবশ্যই
প্রথমে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন। তারপরে হাত পা ঘামা থেকে
মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায় বা নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে হাত পা ঘামা থেকে
মুক্তি পেতে পারে না যেমন -
১। পানি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এতে করে ঘাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই আপনার যদি হাত-পাথ আমার সমস্যা থাকে তাহলে বেশি বেশি পানি পান করবেন এবং একটু পর পরের হাত পা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন তাহলে এই সমস্যাটা কমে যাবে।
২। ঘাম প্রতিরোধে গোলাপ জল অনেক কার্যকরী সেজন্য বাজার থেকে কেনা অথবা বাসায় তৈরি করা গোলাপ জল একটু পরপর একটি তুলাতে লাগে হাতের মধ্যে বা পায়ের মধ্যে লাগাবেন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে হাত-পা ঘামা কম হয়ে যাবে।
৩। আপনার কাছে যদি ব্ল্যাক টি থাকে তাহলে হালকা পরিমান ব্ল্যাক টি পানির মধ্যে দিয়ে সেই পানির মধ্যে হাত পা ডুবিয়ে রাখবেন এভাবে কয়েকদিন করলে দেখবেন আপনার হাত পা ঘামার সমস্যা অনেকটা কমে গেছে।
আরো পড়ুনঃ আক্কেল দাঁত কি - দাঁতের যত্ন নেওয়ার ১০ টি উপায়
৪। ছোট লেবুর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যাস্ট্রিজান্ট উপাদান যা ঘাম কমাতে সাহায্য করে থাকে তাই আপনার যদি হাত পা ঘামার সমস্যা থাকে তাহলে লেবুর রস হাতে এবং পায়ে দিয়ে রাখবেন তারপরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলে হাত পা ঘামার সমস্যা কমে যাবে।
৫। বেকিং সোডা দিয়ে হাত পা ঘামা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেজন্য ছোট একটি পাত্রের মধ্যে হালকা পরিমাণ পানি নিবেন তার মধ্যে অল্প করে বেকিং সোডা দিয়ে পানি গুলো কুসুম গরম করে নিবেন তারপরে সেগুলোর মধ্যে হাত পা ডুবিয়ে রাখবেন ইনশাআল্লাহ হাত পা ঘামা ভালো হয়ে যাবে।
৬। একটি পাত্রে হালকা পরিমান পানি নিয়ে সেগুলো গরম করে নেবেন তার মধ্যে হালকা পরিমান কর্পূর দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন তারপরে সেগুলো পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাত পা ডুবিয়ে রাখবেন তাহলে হাত পা ঘামা দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
অনেকের অতিরিক্ত হাত পা ঘামার সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা থাকার কারণে বিভিন্ন রকম কাজ করতে সমস্যা হয় এবং যাদের জুতা ব্যবহার করা বেশি প্রয়োজন হয় তাদের অনেক বেশি অস্বস্তি হয়ে থাকে। তাই আপনাকে দিয়ে অতিরিক্ত হাত ঘামে তাহলে কয়েকটি হোমিও ঔষধ সেবন করার মাধ্যমে এই সমস্যাটি ভালো করতে পারেন। হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ এর নাম গুলো হল।
- Jaborandi 30
- Silicea 200
- Dr. Reckeweg R32
অতিরিক্ত হাত পা ঘামার সমস্যা থাকলে এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। হাত
পা ঘামা ভালো করার জন্য এই হোমিও ঔষধ গুলো অনেক কার্যকরী। তবে চিকিৎসকের
পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করবেন না। এবং আপনার সমস্যা অনুযায়ী
পরিমাণ মতো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।
হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায়
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা উত্তম বেশি। তাই আপনার যদি হাতে অথবা পায়ের
তালু শীত অথবা গরম যে কোন সময় অতিরিক্ত বেশি হয়ে ঘামে তাহলে এ সমস্যা প্রতিরোধ
করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম বা উপায় মেনে চলতে হবে সেগুলো হল।
-
নিয়মিত হাত পা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং কাজের মাঝে মাঝে পারলে হাত-পা
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
-
আপনি যেখানে যাবেন সাথে করে একটি রুমাল রাখবেন যখন হাত ভেঙে যাবে তখন সেটা
দিয়ে মুছে নিবেন।
-
হাতের তালুতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এগুলো আপনার হাতের ঘাম
চুষে নিবে এবং হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধ হবে।
-
অতিরিক্ত চা কফি এবং ক্যাফেইন জাতীয় কোন কিছু খাবার অভ্যাস থাকলে সেগুলো
খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
-
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন। এটা হাতের তালু ঘামা সমস্যা
প্রতিরোধ করতে ভালো কাজ করে থাকে।
-
অতিরিক্ত ঝাল এবং মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
-
আপনার যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং উদ্বেগ থাকে তাহলে কোন কারণ ছাড়াই হাত
ঘামবে তাই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন।
-
পানিতে বারবার হাত ধুয়ে নিবেন এবং হাত ধোয়ার পরে এমনিতেই রাখবেন না সেটা
পরিষ্কার কোন কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মুছে নিবেন।
-
প্রতিদিন নিয়ম করে গোসল করবেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন।
আমাদের শেষ কথা
আশা করছি আপনারা জানতে পেরেছেন হাত পা ঘামা কিসের লক্ষণ হাতের তালু ঘামা প্রতিরোধের উপায়। এগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার পরেও যদি আপনার সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং বিস্তারিত ভাবে বলবেন।
এবং চিকিৎসা নিবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এরকম আরো তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url