ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণ এবং প্রতিকার
গোপন জায়গায় চুলকানি হলে শরমে সেগুলো কাউকে বলাও যায় না এতে করে আরো বেশি হয়ে যায়। তাই অবশ্যই আপনার জেনে রাখা উচিত ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণ এবং প্রতিকার
- গোপন জায়গা গুলোর নাম সমূহ
- ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণগুলো কি কি
- ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে পরিত্রাণের উপায় সমূহ
- গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়ার কার্যকারী মলম
- গোপন জায়গা অত্যাধিক চুলকালে যে ধরনের ক্ষতি হতে পারে
- পাঠকের বিশেষ প্রয়োজনীয় কথা
গোপন জায়গা গুলোর নাম সমূহ
গোপন জায়গা গুলোর অনেক নাম রয়েছে যেগুলো বলতে এবং শুনতে কিছুটা খারাপ শুনায় তারপরেও আপনারা যেহুতু ইন্টারনেটে সার্চ করে গোপন জায়গার নাম খুজে থাকেন সেজন্য এখন আপনাদের ছেলে এবং মেয়েদের গোপন জায়গার নাম বলবো।
ছেলেদের গোপন জায়গার নাম গুলোঃ
- লিঙ্গ
- নুনু
- পুরুষাঙ্গ
- ধোন বা ধন
- পেনিস
- পুরুষত্ব
- পুংজননেন্দ্রিয়া
এছাড়াও আরো কিছু অশ্লীল নাম রয়েছে যেগুলো বলা সম্ভব হলোনা তবে আপনারা যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন তাহলে অবশ্যই সেগুলো নাম জানেন। এবার মেয়েদের গোপন জায়গার নাম গুলো জানুন।
মেয়েদের গোপন জায়গার নাম গুলোঃ
- গোপনাঙ্গ
- যৌনি
- পুসি
- ভোদা
- সামা
- গুদ
- সাওয়া
আরো পড়ুনঃ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়
এগুলোই হলো মেয়েদের গোপন জায়গার নাম। এগুলো নাম শুনতে কিছুটা খারাপ লাগতে পারে সেজন্য অশ্লীলতা মার্জনীয়। তবে এগুলো হয়তো প্রাপ্তবয়স্ক সকল মেয়েরাই জানে যারা জানেনা তার আশা করছি এখান থেকে জেনে গেলেন।
ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণগুলো কি কি
অনেকে জানতে চান ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণগুলো কি কি? আসলে চুলকানির লক্ষণ গুলো চুলকানি হলে নিজেই বুঝতে পারবেন। তারপরেও কিছু লক্ষণ রয়েছে এগুলো যদি দেখেন তাহলে বুঝতে হবে এগুলোই গোপন জায়গায় চুলকানির লক্ষণ। গোপন জায়গায় চুলকানির লক্ষণ গুলো হলোঃ
জায়গাটি লালচে হয়ে যাবে, প্রচুর পরিমাণ চুলকাবে, প্রচুর জ্বালা করবে, খসখসে হয়ে যাবে, ঘা এর মতো দাগ দাগ হয়ে যাবে, ফোস্কা পড়ে যেতে পারে, প্রদাহ হবে, যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হওয়া, গোপন জায়গার গন্ধ হওয়া এছাড়াও মিলনের সময় জ্বালাপোড়া ও ব্যথা করা। এগুলোই হলো ছেলে মেয়েদের গোপন জায়গার চুলকানির লক্ষণ।
ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে পরিত্রাণের উপায় সমূহ
ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে পরিত্রাণের উপায় সমূহ সম্পর্কে এবার আপনাদের জানাবো ইন্টারনেটে খুজে হয়তো সঠিক কোনো উপায় পান নি সেজন্য এখান থেকে সঠিক উপায় গুলো জেনে নিন।
১. ছত্রাকের কারণে যদি চুলকানি হয় তাহলে এন্টিফাংগাল ঔষধ সেবন করতে পারেন যেমন - Miconazole, Ketoconazole, Tioconazole ইত্যাদি ঔষধ গুলো ৩ থেকে ৫ দিন খেলে চুলকানি কমে যাবে তবে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
২. ফার্মেসিতে অনেক চুলকানির মলম ও ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।
৩. রঙিন এবং বেশি সুগন্ধি যুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না।
৪. যৌনাঙ্গ সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যাতে যৌনাঙ্গে না লাগে।
৫. অতিরিক্ত মানসিক চাপ যৌনাঙ্গে চুলকানি বাড়ায় তাই অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিবেন না। তাহলে যৌনাঙ্গের চুলকানির সমস্যা কমবে।
৬. শুষ্ক ত্বক চুলকানি বাড়িয়ে দেয় তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবেন তাহলে সেই কারণে যৌনাঙ্গের চুলকানি কমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ছেলে মেয়ের শরীরে শুক্রাণু ডিম্বাণু মিলিত হবার পদ্ধতি
৭. যখন হালকা হালকা চুলকানি হয় তখন সেগুলো জায়গায় হাতের আঙ্গুল দিয়ে চুলকাবেন না। হাতের স্পর্শে চুলকানি আরো বেড়ে যায়।
৮. সকল উপায় অবলম্বন করার পরেও যদি চুলকানি না কমে তাহলে চিকিৎসক এর কাছে যাবেন অনেকে শরম করে থাকেন কোনো রকম শরম ছাড়া চিকিৎসক কে সমস্যার কথা বলবেন এবং চিকিৎসা নিবেন তাহলে চুলকানি কমে যাবে।
এছাড়াও চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন যেমন নিয়মিত গোসল করুন, যৌনাঙ্গ ভেজা রাখবেন না, মাসিকের সময় নোংরা কাপড় পরবেন না, সহবাসের পর প্রসাব করবেন, সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলবেন পারলে গোসল করে নিবেন, একাধিক ব্যক্তির সাথে সহবাস পরিত্যাগ করুন, সহবাসে কনডম ব্যবহার করবেন।
গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়ার কার্যকারী মলম
গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অনেক মলম পাওয়া যায় তবে এর মধ্যে সবচেয়ে ভালোমানের কিছু মলম রয়েছে। গোপন জায়গায় চুলকানি থেকে রেহাই পাওয়ার কার্যকারী মলম গুলোর নাম জেনে নিন।
- Vaginal Clindamycin Cream
- Tinidazole Cream
- Steroid Cream
- Cortisone Cream
গোপন জায়গার চুলকানি ভালো করার জন্য এইগুলো মলম বা ক্রিম অনেক ভালো কাজ করে থাকে। সেজন্য আপনার গোপন জায়গায় যদি চুলকানি হয় তাহলে লজ্জাতে বসে না থেকে এগুলো মলম কিনে ব্যবহার করবেন। তবে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ব্যবহারের নিয়ম ভিন্ন হয়ে থাকে সেজন্য কেনার সময় এগুলোর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন ও সেই নিয়ম মেনে ব্যবহার করবেন তাহলে আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি চুলকানি ভালো হয়ে যাবে।
গোপন জায়গা অত্যাধিক চুলকালে যে ধরনের ক্ষতি হতে পারে
চুলকানি অনেক মারাত্মক যখন চুলকানি উঠে তখন না চুলকিয়ে থাকা যায় না। সেজন্য অনেকে হাতের আঙ্গুল দিয়ে ইচ্ছেমতো চুলকিয়ে ফেলেন। কিন্তু অতিরিক্ত হাতের আঙ্গুল দিয়ে চুলকানোর কারণে হাতের আঙ্গুলে থাকা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে এতে করে সেখানে জিবাণু ছড়িয়ে যায় এবং সেখানে ঘা হয়ে যায় যা অনেক মারাত্মক হতে পারে। হাতের আঙ্গুল দিয়ে চুলকানে জ্বালাপোড়া বেড়ে যাবে এতে করে আপনি স্থীর হয়ে থাকতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের গোপন সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায়
তবে অতিরিক্ত চুলকানি উঠলে থাকা সম্ভব হয়না তারপরেও চেষ্টা করবেন না চুলকানোর। আর যদি অনেক অনেক বেশি চুলকিয়ে থাকে তাহলে না চুলকিয়ে আঙুল আলতো করে চেপে ধরে রাখবেন। তবে এটা করার আগে হাতের নখ গুলো কেটে নিবেন।এবং হাত সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন ভুলেও নোংরা আঙ্গুল সেই জায়গায় লাগাবেন না। আশা করছি এভাবে যদি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে কোনো ক্ষতি হবেনা।
পাঠকের বিশেষ প্রয়োজনীয় কথা
ছেলে মেয়ের গোপন জায়গায় চুলকানি লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে এবং এই সম্পর্কে আরো বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে আশা করছি আপনারা এখন এগুলো বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
তো এগুলো বিষয়ে জানতে পেরে আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এই রকম আরো গোপনীয় তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url