টুরিস্ট ভিসা কি - টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
তাই চলুন নিচের অংশ থেকে টুরিস্ট ভিসা কি টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায় সহ টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয় বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক। আশা করছি এগুলো তথ্য জেনে আপনি অনেকটা উপকৃত হবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ টুরিস্ট ভিসা কি - টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
- টুরিস্ট ভিসা কি
- ভিসার প্রকারভেদ সমূহ
- টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
- টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা
- টুরিস্ট ভিসা নীতিমালা সমূহ
- টুরিস্ট ভিসার সময়সীমা
- আমাদের শেষ মন্তব্য
টুরিস্ট ভিসা কি
টুরিস্ট ভিসা হলো বাংলাদেশের বাইরে অন্যান্য দেশ ভ্রমণের জন্য যে ভিসা তৈরি করা হয় সেটাকে বলা হয় টুরিস্ট ভিসা। অর্থাৎ মনে করেন আমরা অনেক সময় আমাদের দেশের ভেতরে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করে থাকি সেরকমই অনেকের অভ্যাস রয়েছে বাংলাদেশের বাইরে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করা।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের ভিসা চেক করার নিয়ম
আমরা যখন দেশের ভিতরে ভ্রমণ করে থাকি তখন আমাদের কোন ভিসা অথবা কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না কিন্তু আপনি যখন দেশের বাইরে ভ্রমণ করবেন তখন আপনার একটি বৈধ ভিসা প্রয়োজন হবে। তাই বলা যায় দেশের বাহিরে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য যে ভিসা প্রয়োজন হয় সেটাই হলো টুরিস্ট ভিসা।
ভিসার প্রকারভেদ সমূহ
বাংলাদেশের বেশ কিছু ভিসা ধরন বা প্রকারভেদ রয়েছে। অর্থাৎ অনেকগুলো হিসাব
মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারবেন। তবে একটি ভিসার জন্য
নিয়মকানুন এবং সুবিধা ও অসুবিধা একেক রকম হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে যে কয়
প্রকার মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেতে পারবেন সেই কয়েক প্রকারের ভিসার নাম
গুলো হলোঃ
- টুরিস্ট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- কোম্পানি ভিসা
- কৃষি ভিসা
- ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ ভিসা
- কনফারেন্স বা সম্মেলন ভিসা
- গবেষণা ভিসা
- মেডিকেল অ্যাটেনডেন্ট ভিসা
টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায়
টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে তারপর আপনার
দুই উপায়ে টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন একটি হল যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে অথবা আরেকটি
হলো সরকারি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে।
টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনি কোন দেশে যাবেন সেটা আগে আপনাকে জানতে হবে। তারপরে আপনি সেই দেশের ভিসা দূতাবাস গিয়ে ভিসা আবেদন করতে হবে। তবে টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য এবং পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ যে কোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা করার নিয়ম - ভিসার জন্য আবেদন দাখিল করার নিয়ম ২০২৪
এবং টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রয়োজন হবে যেমন আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, একটি বৈধ পাসপোর্ট আর কিছু টাকার প্রয়োজন হবে। এবং আপনি যদি এর আগে অন্য কোন দেশ ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে তাড়াতাড়ি ভিসা পেতে পারেন।
এছাড়াও হিসাব ধরণ অনুযায়ী তথ্যাদি বিভিন্ন রকম হতে পারে সে জন্য আরো বিস্তারিত ভাবে জানতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ওয়েবসাইট ঠিকানা হল https://tourismboard.gov.bd/ সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করে যেতে পারেন অথবা গুগলে গিয়ে সার্চ করেও যেতে পারেন।
টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা
সকল ভিসা পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা রয়েছে। এই বয়স সীমার কমে যদি কারো বয়স হয় তাহলে সেই ব্যক্তি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। অথবা সর্বোচ্চ বয়স সীমা যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে ভিসার আবেদন করতে পারবেনা।
তো আজকের পোষ্টের এই অংশে আপনারা যেহেতু জানতে চেয়েছেন টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা সেজন্য শুধুমাত্র এখন আপনাদের জানাবো টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার সর্বনিম্ন কত প্রয়োজন হবে এবং সর্বোচ্চ কত বয়স হলে আপনি আর টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ নির্দিষ্ট কোন বয়স সীমা নেই। তবে শুধুমাত্র ১৮ বছর বয়স হলেই হবে না টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থে প্রয়োজন হবে সেই পরিমাণ যদি অর্থ থাকে তাহলে আপনাকে টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হবে।
টুরিস্ট ভিসা নীতিমালা সমূহ
টুরিস্ট ভিসার কিছু নীতিমালা রয়েছে এগুলো নীতিমালা রয়েছে অবশ্যই আপনাকে এগুলো
ভিসা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। যদি এগুলো ভিসা নীতিমালা ভঙ্গ করে কোন কাজ
করেন তাহলে আপনার ভিসা বাতিল করা হতে পারে। এতে করে আপনি সমস্যায় পড়ে যেতে
পারেন। বিভিন্ন রকম ভিসার নীতিমালা বিভিন্ন থাকে। টুরিস্ট ভিসার কিছু
নীতিমালা গুলো হলোঃ
- বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
-
আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে যদি থাকে।
-
ভিসা নীতিমালায় আপনার অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে।
-
কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ রয়েছে এরকম বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
-
যদি এর আগে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কিছুটা ভালো হয়।
-
আপনি যদি কোন চাকরি করেন তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন
হবে।
-
যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন
হবে।
-
যদি কোন ব্যবসা করে থাকেন তাহলে ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি প্রয়োজন
হবে।
-
এবং মেডিকেল রিপোর্টের প্রয়োজনে হবে
টুরিস্ট ভিসা নীতিমালা এই সকল বিষয়গুলো দেওয়া হয়ে থাকে তবে আরেকটি বিষয় রয়েছে যদি আপনি ইংরেজি ভাল জানেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার আরো অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন টুরিস্ট ভিসা নীতিমালা সমূহ।
টুরিস্ট ভিসার সময়সীমা
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন বা করেছেন তারা অনেক সময়
এই বিষয়টি জানতে চেয়ে থাকেন টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা কত হয়ে থাকে। অর্থাৎ
আপনি একটি টুরিস্ট ভিসা দিয়ে কতদিন পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। আসলে
অন্যান্য ভিসার চেয়ে টুরিস্ট ভিসার বয়সীমা কিছুটা কম হয়ে থাকে কারণ এখানে
শুধুমাত্র আপনি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যান।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা পর্যটন কেন্দ্রের তালিকা
বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসাতে যান তাহলে টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা
সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি চান টুরিস্ট ভিসার বয়স
সীমা আর একটু বাড়াতে তাহলে বাংলাদেশ অভিবাসন এবং পাসপোর্ট বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ১
মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারেন। তাহলে বলা যায় টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা
অর্থাৎ বৈধতা ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত থাকে।
আমাদের শেষ মন্তব্য
টুরিস্ট ভিসা কি টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার উপায় ভিসার প্রকারভেদ সমূহ টুরিস্ট ভিসার বয়সসীমা টুরিস্ট ভিসা নীতিমালা সমূহ এবং টুরিস্ট ভিসার সময়সীমা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। তো আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাহলে এগুলো তথ্য আপনার অনেকটা উপকারে আসবে।
আর আপনি সফলভাবে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আপনার ভ্রমণ যাত্রা শুভ হোক এই কামনা করে আজকের আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি। এরকম আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url