সহজভাবে ফুড ব্লগিং আসলে কি - ফুড ব্লগিং করে লাখ টাকা আয়ের উপায়
আপনি যদি ফুড ব্লগিং কি ফুড ব্লগিং করে লাখ টাকা আয়ের উপায় সহ এই সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফুড ব্লগিং কি - ফুড ব্লগিং করে লাখ টাকা আয়ের উপায়
- ফুড ব্লগিং কি
- ফুড ব্লগিং শুরু করার উপায় সমূহ
- ফুড ব্লগিং করে লাখ টাকা আয়ের উপায়
- ফুড ব্লগিং করতে প্রয়োজনীয় মেটেরিয়াল সমূহ
- ফুড ব্লগিং করতে প্রয়োজনীয় খরচ সমূহ
- বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ফুড ব্লগারদের তালিকা সমূহ
- পাঠকের বিশেষ মন্তব্য
ফুড ব্লগিং কি
ফুড ব্লগিং কি আপনারা যদি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই একবার হলেও দেখেছেন। ফুড ব্লগিং হলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রেস্টুরেন্টের খাবার ফটো এবং ভিডিও আকারে মানুষদের মাঝে প্রচার করা হলো ফুড ব্লগিং।
আরো পড়ুনঃ বিনা পরিশ্রমে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
যদি আরো সহজ ভাবে বলা হয় তাহলে বলতে হবে ফুড ব্লগিং হলো যে কোন খাবার খাওয়ার
সময় সেগুলো র ভিডিও করা অর্থাৎ খাবারের গুণগত মান কেমন খাবারের দাম কেমন এই সকল
কিছু পাবলিকের মাঝে শেয়ার করা হলো ফুড ব্লগিং। বর্তমানে অনেকেই ফুড ব্লগিং
করে টাকা ইনকাম করছে।
ফুড ব্লগিং শুরু করার উপায় সমূহ
আপনি যদি ফুড ব্লগিং শুরু করার উপায় সমূহ জানতে চান তাহলে আপনাকে বলব আপনাকে দুইটি বিষয়ে অত্যন্ত ভালোভাবে জানতে হবে। যদি এগুলো বিষয়ে আপনার ধারণা ভালো থাকে তাহলে আপনি একজন ফুড ব্লগার হতে পারবেন। এছাড়াও ফুড ব্লগিং করার জন্য একটি মোবাইল ফোন ক্যামেরা থাকতে হবে। ফুড ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনার যে দুটি বিষয়ে ভালোভাবে জানতে হবে সেগুলো হল।
রান্না বান্না এবং খাবারের বিষয়ে সঠিক জ্ঞান
ফুড ব্লগিং যেহেতু খাবার দিয়ে করতে হয় সেজন্য খাবার বিচারের যোগ্যতা থাকতে হবে আর সেজন্য আপনাকে রান্নাবান্না বিষয়ক সকল জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তবে এর জন্য যে আপনাকে অনেক বড় রন্ধনশিল্পী হতে হবে এবং একাডেমিক ডিগ্রি নিতে হবে এরকম কোন কথা নেই।
আপনার সবচেয়ে বেশি খাবারের উপর ভালোলাগা থাকতে হবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি
খাবার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। যাতে করে আপনি খাবার খাওয়ার সাথে
সাথে বুঝতে পারেন কোন খাবারের মান কেরকম হওয়া প্রয়োজন এবং সেগুলো মানুষদের জন্য
কতটা খাদ্য উপযোগী। এছাড়াও আপনাকে নতুন নতুন রেসিপি সম্পর্কে নিয়মিত জানতে
হবে।
গল্প বলা এবং পরিবেশন দক্ষতা
প্রতিটি রাঁধুনি জানে শুধুমাত্র খাবার রান্না করতে জানলে হবে না সেগুলো খাবার সঠিকভাবে পরিবেষণ করতে জানতে হবে এবং ফুড ব্লগিং এর মাধ্যমে যেহেতু ইন্টারনেটের হাজার হাজার মানুষকে তথ্য দিতে হয় সেজন্য গল্প বলার দক্ষতা অনেক ভালো থাকতে হবে। মনে করেন আপনি একটি খাবার খাচ্ছেন সেই খাবার সকলে কেন খাবে উপকারিতা কি খাবারের গুণগত মান কেমন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন থেকে ইনকাম করার গোপন ট্রিক্স
এছাড়াও আরো অনেক তথ্য নিয়ে সঠিকভাবে গুছিয়ে গল্প তৈরি করতে হবে এবং সেগুলো মানুষদেরকে জানাতে হবে। যদি আপনি সঠিকভাবে গল্প এবং পরিবেশন করতে পারেন তাহলে এগুলো খুব সহজেই মানুষের মনে ধরবে। তাহলে এভাবেই ফুড ব্লগিং করে আপনি দ্রুত সময়ে সাফল্য পেতে পারবেন।
ফুড ব্লগিং করে লাখ টাকা আয়ের উপায়
ফুট ব্লগিং করে এক লাখ টাকা আয় করা দুইটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি আমাদের বাংলাদেশের বর্তমানে অনেক নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট তৈরি হচ্ছে এবং তারা তাদের খাবারের প্রচারণা করার জন্য অনেক ফুড ব্লগারকে হায়ার করে থাকে তাই আপনি যদি একজন ভালো মানের ফুড ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে তারা টাকার মাধ্যমে হায়ার করবে।
তো তখন আপনি তাদের খাবার খাবেন এবং সেগুলো রিভিউ করে আপনার ফেসবুক ইউটিউব একাউন্টে পাবলিশ করবেন এতে করে সাধারণ জনগণ সেগুলো দেখবে এবং সেই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে আসবে যাতে করে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে।এভাবে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এবং আপনি যে ভিডিওগুলো আপনার ফেসবুক এবং ইউটিউব একাউন্টে পাবলিক করছেন সেগুলো
থেকে মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফুড ব্লগিং
করে এই দুটি উপায়ে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফুড ব্লগিং করতে প্রয়োজনীয় মেটেরিয়াল সমূহ
ফুড ব্লগিং করার জন্য তেমন বেশি ম্যাটেরিয়াল এর প্রয়োজন হয় না যদি আপনার কাছে একটি ভালো মানের স্মার্ট মোবাইল ফোন থাকে তাহলেই ফুড ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। মনে করেন আপনার কাছে একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন রয়েছে সেটা দিয়ে আপনি বিভিন্ন খাবার বিভিন্ন করতে চাচ্ছেন।
তাহলে আপনাকে মেটেরিয়াল এর চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে ভিডিও কোয়ালিটি অনেক সুন্দর করা এবং যদি পিকচার তুলেন তাহলে সেগুলো কোয়ালিটি অনেক ভালো করা যাতে করে সেগুলো যখন মানুষ দেখবে সাথে সাথে মানুষের ভালো লাগে।
আরো পড়ুনঃ গুগল থেকে আয় করার সহজ ও উত্তম উপায়
এবং আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে সেগুলো
ভালোভাবে মেনটেনেন্স করে নিয়মিত ভিডিও এবং ফটো আপলোড দিতে হবে তাহলে এতে করে
দ্রুত সময়ে ফুড ব্লগিং করে সফলতা পাবেন। কিন্তু সফলতা পাওয়ার জন্য আপনাকে
অনেক বেশি সৎ থাকতে হবে।
ফুড ব্লগিং করতে প্রয়োজনীয় খরচ সমূহ
ফুড ব্লগিং শুরু করতে চাইলে হয়তো আপনার তেমন বেশি টাকা খরচ হবে না যদি আপনার ফুড ব্লগিংয়ের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু করতে পারবেন। কিন্তু ফুড ব্লগিং যেহেতু ভিডিও করতে হয়েছে সেজন্য একটি ভাল মনের মোবাইল ফোন কিনতে হবে সেই অনুযায়ী আপনি কত টাকার মোবাইল ফোন কিনবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে।
এবং ফুড ব্লগিং করার সময় যেগুলো ভিডিও তৈরি করা হয় সেগুলো ভিডিওতে ভয়েস দেওয়া লাগে সেজন্য আপনাকে মাইক্রোফোন কিনতে হবে আপনি কি ধরনের মাইক্রোফোন কিনবেন সেই অনুযায়ী টাকা প্রয়োজন হবে।
এবং আপনি যখন নতুন অবস্থায় তখন হয়তো আপনাকে দিয়ে অন্য কেউ রিভিউ করাবে না সেজন্য নিজেই খাবার কিনে সেগুলো মানুষদের দেখাতে হবে সেজন্য সেই খাবারের টাকা লাগবে। তাহলে আশা করছি এর থেকে একটি ধারণা পেয়ে গেছেন ফুড ব্লগিং করতে প্রয়োজনীয় খরচ সমূহ কত লাগবে।
বাংলাদেশে শীর্ষে থাকা ফুড ব্লগারদের তালিকা সমূহ
বাংলাদেশের যেগুলো ফুড ব্লগার রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগই তার মাধ্যমে খাবারের রিভিউ
দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ফুড ব্লগার রয়েছে আপনি যদি ফেসবুক
ব্যবহার করেন তাহলে হয়তো তাদেরকে দেখেছেন। বাংলাদেশের কয়েকটি ফুড ব্লগারের
ফেসবুক পেজের নাম জেনে রাখুন।
- Rafsan The Chotobhai
- Food Appi
- Petuk Couple
- Khudalagse
- Foodiestry
পাঠকের বিশেষ মন্তব্য
আশা করছি প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা ফুড ব্লগিং কি ফুড ব্লগিং করে লাখ টাকা আয়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। তো আপনার যদি ইচ্ছা থাকে ফুড ব্লগিং করার তাহলে শুরু করতে পারেন।
আর আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং পরবর্তীতে এরকম আরো সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url