ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়

আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আপনারা ভালো আছেন আজকে আপনাদের জানাবো ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়। অনেকেই এই বিষয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করে সঠিক তথ্য পান না সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়

তাহলে চলুন আজকের আরটিকালের নিচের অংশ থেকে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়

ডিএনএ টেস্ট কেন করা হয়

ডিএনএ টেস্ট বিভিন্ন কারনে করা হয়ে থাকে। যেমন পিতা মাতার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করা হয়ে থাকে। আবার কোন ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং তার চেহারা বোঝা না যায় তাহলে ডিএনএ টেস্ট করার মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা কিছু চিকিৎসকের তালিকা এক নজরে দেখে নিন

আর এটিএন এ টেস্টের মাধ্যমে খুব সহজেই একজন মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। আবার কারো সন্তান যদি হারিয়ে যায় এবং অনেকদিন পরে খুঁজে পায় তাহলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায় পিতা মাতা ও সন্তানের পরিচয়।

ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায়

যেকোনো ধরনের তদন্ত কাজে ডিএনএ টেস্ট একটি অত্যন্ত কার্যকরী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই বের করা যায় সন্তান পিতা মাতার পরিচয়। মনে করেন একটি সন্তান হারিয়ে গেছে এবং অনেকদিন পর সেই সন্তান ফিরে পাওয়া গেছে কিন্তু কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে সেই সন্তানের পিতা-মাতা কারা। এটা শুধুমাত্র ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব।

এর জন্য সন্তানের রক্ত এবং সন্তানের পিতার রক্ত একসাথে নিয়ে পরীক্ষা করতে হয় পরীক্ষা করার পরে যখন সেখানে মিল পাওয়া যায় তখন নিশ্চিত করা যায় পিতৃপরিচয়। তবে যে ডিএনএ টেস্ট শুধুমাত্র রক্তের মাধ্যমে করা যায় তা কিন্তু নয় একটি চুল এবং মুখের লালার মাধ্যমেও ডিএনএ টেস্ট করা যায়। তবে এই ডিএনএ টেস্ট বাংলাদেশে অনেক ব্যয় বহুল হয়ে থাকে সেজন্য সবাই করাতে পারে না। 

ডিএনএ টেস্ট কত দিনের মধ্যে করতে হয়

ডিএনএ টেস্ট অনেক কঠিন প্রক্রিয়া সেজন্য এটা করতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক জানিয়েছেন ডিএনএ টেস্ট কি ধরনের সেটার উপর সময় নির্ভর করে। এবং কতগুলো স্যাম্পল পরীক্ষা করা হচ্ছে সেটার উপর নির্ভর করে সময় কম বেশি লেগে থাকে।

আরো পড়ুনঃ যেকোন রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার সঠিক উপায়

তবে একটি ডিএনএ টেস্ট করতে যেহেতু অনেকগুলো পরীক্ষা করতে হয় সেজন্য কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে থাকে। তাই আপনি যদি ডিএনএ টেস্ট করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সেটার রেজাল্ট পেতে এরকম সময় লাগবে। 

ডিএনএ টেস্ট কিভাবে করে

অনেকেই জানতে চান ডিএনএ টেস্ট কিভাবে করে। আসলে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য বিভিন্ন রকম নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। মনে করেন কোন অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় বের করবেন সেজন্য সেই অজ্ঞাতব ব্যক্তি রক্ত মুখের লালা প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে তারপরে সেই ব্যক্তির পরিবারের লোকজনের রক্ত অথবা মুখের লালা সংগ্রহ করতে হবে তারপরে সেগুলো টেস্ট করার জন্য ফরেনসিক ল্যাব রয়েছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। 

সেখানে নিয়ে গিয়ে ডাক্তাররা ভালোভাবে দুটি পরীক্ষা করবে এবং যদি দেখে দুই ব্যক্তির ডিএনএ এর ভেতর মিল রয়েছে তাহলে বোঝা যাবে যে সেই দুই ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে।এভাবেই ডিএনএ টেস্ট করা হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় যখন কোন ব্যক্তিকে খু*ন করা হয় অথবা আগুনে পুড়ে মারা যায় তখন সেই ব্যক্তির দাঁত ও হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্ট করা হয়ে থাকে। 

ডিএনএ টেস্ট খরচ

অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ করে ডিএনএ টেস্টের খরচ জানতে চেয়ে থাকেন আসলে বাংলাদেশের ডিএনএ টেস্টের খরচ ডিএনএ পরীক্ষার ধরন এবং ল্যাবরেটরির উপর নির্ভর করে থাকে। বাংলাদেশে ডিএনএ টেস্টের খবর সাধারণত টাকা ৫০০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা এবং তার উপরেও লাগতে পারে। 

যদি পিতা এবং পুত্রের ডিএনএ পরীক্ষা করায় তাহলে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগতে পারে। এবং মা এবং সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করায় তাহলে ৫০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগতে পারে। এ ছাড়া কোন দুর্ঘটনায় যদি কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে এবং তার পরিচয় বের করা না যায় তাহলে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য ৫০০০ থেকে ৮০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। 

সহবাস করার কতদিন পর্যন্ত আমার dna ওর শরীরে পাওয়া যাবে

সহবাস করার কতদিন পর্যন্ত আমার dna ওর শরীরে পাওয়া যাবে আসলে এটার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। অনেক সময় দেখা যায় অনেক মেয়ে যৌন হয়রানি অথবা রেইপ এর স্বিকার হয়ে থাকে। তখন সেই মেয়ের ডিএনএ টেস্ট করার মাধ্যমে অপরাধী ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। রেইপ হওয়া কোনো মহিলা যদি  মারা যায় এবং তার দেহ পচে গলে না যায় তাহলে ততদিন পর্যন্ত তার দেহে ডিএনএ পাওয়া যাবে। 

আরো পড়ুনঃ রক্ত দেওয়ার আগে কি কি নিয়ম মানতে হবে

আর যদি স্বামী স্ত্রী মিলন করে তাহলে যেকোনো সময় ডিএনএ পাওয়া যাবে। তবে কোনো মহিলা যদি একাধিক ব্যক্তির সাথে মিলন করে তাহলে ডিএনএ পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে যায়। মোট কথা একজন ব্যক্তির সাথে মিলন করে তার একবছর পরেও ডিএনএ টেস্ট করলেও পাওয়া যাবে। 

বাংলাদেশে ডিএনএ টেস্ট কোথায় করা হয়

বাংলাদেশে অনেক হাসপাতাল থাকলেও সব হাসপাতালে ডিএনএ টেস্ট করা যায় না। কিন্তু অনেকের জানার প্রয়োজন হয় বাংলাদেশে ডিএনএ টেস্ট কোথায় করা হয়। পিতা মাতার পরিচয় খুঁজে পাওয়ার জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তির হ*ত্যা খু*ন ধ*র্ষণ এগুলোর জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। 

ডি এন এ টেস্ট করার জন্য প্রথমে সেই ব্যক্তি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। এবং অভিজ্ঞ ডাক্তাররা ডিএনএ টেস্ট করে থাকে। বাংলাদেশের ডিএনএ টেস্ট করা হয়ে থাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। 

তবে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নমুনা প্রতি আগাম ৫০০০ টাকা করে ফি পরিশোধ করতে হয়। তাই আপনাদের বা আপনাদের পরিবারের কারো যদি ডিএনএ টেস্ট করার প্রয়োজন হয় তাহলে সেখানে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজনীয় নমুনাগুলো তাদেরকে তাদেরকে দিবেন তাহলে সঠিকভাবে ডিএনএ টেস্ট করা যাবে। 

আমাদের শেষ কথা

ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতৃপরিচয় কিভাবে নিশ্চিত করা যায় এ বিষয়ে আজকের আর্টিকেল আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনারা এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েব সাইটে এরকম আর্টিকেল নিয়মিত পাবলিশ করা হয় তাই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url