চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম - চুলকানি প্রতিরোধে মহাঔষধ
চুলকানি প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায় চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম চুলকানি প্রতিরোধে মহাঔষধ এর নাম গুলো জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করছি এগুলো আপনাদের অনেকটা উপকারে আসবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম - চুলকানি প্রতিরোধে মহাঔষধ
- চুলকানি হওয়ার কারণ এবং উপসর্গ
- চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম
- চুলকানি প্রতিরোধে মহাঔষধ
- চুলকানি প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়
- অত্যাধিক চুলকানি নিমিষেই দূর করার উপায়
- চুলকানি নিয়ে বিশেষ ১৫টি তথ্য সমূহ
- আমাদের শেষ কথা
চুলকানি হওয়ার কারণ এবং উপসর্গ
চুলকানির সাধারণত কিছু কারণ এবং উপসর্গ রয়েছে যেগুলো দেখলে খুব সহজেই বোঝা যায়
যে চুলকানি হয়েছে। চুলকানি অনেক সময় দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে এবং
দীর্ঘস্থায়ী হলে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দিবে। প্রথমে জেনে নিন চুলকানি
হওয়ার কারণ কয়েকটি। তারপরে জানবেন উপসর্গগুলো।
চুলকানির কয়েকটি কারণ হলোঃ
- ছত্রাক জনিত সংক্রমণ
- সংবেদনশীল ত্বক এবং শুষ্কতার কারণে
- এলার্জির কারণে
- চামড়ার গঠনগত পরিবর্তনের কারণে
- চর্ম রোগের কারণে
- নার্ভ সিস্টেমের সমস্যার কারণে
এই কয়েকটি কারণে মূলত চুলকানি হয়ে থাকে। আর তখন শরীরে চুলকানি হয় তখন বিভিন্ন রকম উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দেয়। এগুলো লক্ষণ দেখলে বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে চুলকানি বা চর্ম রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ খুশকি দূর করার শ্যাম্পুর নাম কি - খুশকির জন্য কোন শ্যাম্পু ভালো
চুলকানি হওয়ার উপসর্গ গুলো হলোঃ
- লালচে দাগ হয়ে যাওয়া
- প্রচুর জ্বালা করা
- প্রদাহ
- ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- ফুলে যাওয়া
- ত্বক আশের মতো হওয়া
- ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া
- ত্বকের বিভিন্ন স্থানে ফোসকা পড়া
এগুলোই মূলত চুলকানির লক্ষণ। এগুলো চুলকানি শরীরের বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে যেমন
হাত পা মাথা পিঠ এবং গোপন স্থানের আশেপাশে। যদি এগুলো লক্ষণ দেখতে পান তাহলে
অবহেলা করা ঠিক হবে না।
চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম
ফার্মেসিতে আপনি বিভিন্ন রকম চুলকানি দূর করার ক্রিম পাবেন কিন্তু এর মধ্যে থেকে কোন গুলো ভাল কোন গুলো ভালো নয় তা আপনার অবশ্যই জানা প্রয়োজন কেন খারাপ ক্রিম দিলে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে। আপনাদের জন্য এই অংশে কয়েকটি চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম এর নাম দেওয়া হলোঃ
- ফাঙ্গিডার্ম ক্রিম
- মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া ক্রিম
- অ্যান্টিফাংগাল ক্রিম
- হিস্টামিন ক্রিম
- লোশন ক্যালামাইন
- ইজেক্স ক্রিম
বাজারে অনেক চুলকানির ক্রিম পাওয়া যায় তারমধ্যে এই ক্রিমগুলো ভালো। তবে যেকোনো ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসক এর পরামর্শ নিবেন তারপর সেই অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।
চুলকানি প্রতিরোধে মহাঔষধ
চুলকানি বা চর্ম রোগ হলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে
চুলকায়। এতে করে শরীরে কত এবং ঘা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই চুলকানি
প্রতিরোধে বেশ কিছু রয়েছে সেগুলো যদি ব্যবহার করেন তাহলে চুলকানি প্রতিরোধ
হবে। চুলকানি প্রতিরোধের ঔষধ এর নামগুলো হলোঃ
- Oradin
- Flugal
- Safi
- Rupatrol
- Fexo
- Ebatin
- Bilista
চুলকানি প্রতিরোধে এই সকল ঔষধ গুলো দেওয়া হয়ে থাকে। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক ওষুধ
রয়েছে তবে এগুলো সব সবচেয়ে বেশি কার্যকরী তাই আপনার যদি চুলকানির সমস্যা থাকে
তাহলে এগুলো সব সেবন করতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন
না।
চুলকানি প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়
চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য বিভিন্ন রকম ঔষধ সেবন করার আগে অবশ্যই আপনার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করা প্রয়োজন কারণ এগুলো ঘরোয়া উপায় অনেক নিরাপদ। তাই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং চুলকানি ভালো হয়। চুলকানি প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায় গুলো হলোঃ
১। চুলকানি ভালো করার জন্য সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া উপায় হচ্ছে নিম পাতা প্রথমে গাছ থেকে নিম পাতা সংগ্রহ করবেন তারপর সেগুলো ভালোভাবেই পিষে নিবেন তারপর আপনার চুলকানির জায়গাতে ভালোভাবে লাগাবেন এছাড়াও নিম পাতা পানির মধ্যে দিয়ে হালকা পরিমাণ পানি গরম করে চুলকানি জায়গা ধুয়ে ফেলবেন তাহলে দেখবেন চুলকানি কমে গেছে।
আরো পড়ুনঃ মানুষের ১৫ টি বিশেষ রোগের কারণ ও তার প্রতিকার
২। চুলকানি ভালো করতে নারিকেল তেল অনেক কার্যকরী। এটা আমাদের সবসময় ঘরে থাকে আপনার শরীরের কোন স্থানে যদি চুলকানি হয় তাহলে সেখানে হালকা পরিমাণ নারকেল তেল লাগাবেন তাহলে দেখবেন চুলকানি কমে গেছে।
৩। আমরা জানি এলোভেরা আমাদের ত্বক সুন্দর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। এছাড়াও চুলকানি ভালো করতে এলোভেরা অনেক উপকারী। সেজন্য এলোভেরার মধ্যে থাকা সাদা জেল গুলো বের করে নিবেন তারপর সেগুলো চুলকানির জায়গায় লাগাবেন তাহলে চুলকানি কমে যাবে।
৪। চুলকানি প্রতিরোধ করার জন্য বেকিং সোডা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করবেন অথবা চুলকানির স্থান পরিষ্কার করবেন তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত চুলকানি কমে যাবে।
৫। লেবুর রস চুলকানি ভালো করতে অনেক উপকারী সেজন্য এই পাতি লেবু কেটে রস বের করে নিবেন তারপরে সেগুলো আপনার চুলকানির জায়গায় লাগাবেন কিছুক্ষণ রাখবেন তারপরে দেখবেন চুলকানি কমে গেছে।
অত্যাধিক চুলকানি নিমিষেই দূর করার উপায়
অত্যাধিক চুলকানি দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন যেমন শরীরের চুলকানির জায়গায় ট্রি টি অয়েল লাগাতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে চুলকানি কিছুটা কমে যাবে। এলোভেরা জেল চুলকানির জায়গায় লাগালে খুব দ্রুত চুলকানি নিরাময় হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ গরমে বাচ্চাদের জন্য কোন ক্রিম ভালো তা জেনে নিন
আবার নারকেল তেল চুলকানি করতে কাজ করে থাকে সেজন্য অত্যাধিক চুলকানি উঠলে সেখানে
লাগাবেন উঠলে নিমিষেই চুলকানি কমে যাবে। এগুলো করার পরও যদি না হয় তাহলে
অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
চুলকানি নিয়ে বিশেষ ১৫টি তথ্য সমূহ
চুলকানি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে সেজন্য অবশ্যই আপনার কিছু তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন এতে করে আপনি এগুলো চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আসুন এই অংশ থেকে জেনে নেওয়া যাক চুলকানি নিয়ে বিশেষ ১৫টি তথ্য সমূহ।
-
হাতের নখ দিয়ে কখনো চুলকানো যাবে না
-
ত্বক সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
- ত্বক অতিরিক্ত ঘষাঘষি করা যাবে না
- বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
-
এলার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে না
- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
-
ধূমপান বা যেকোনো ধরনের মাদক সেবন করা যাবে না
-
একটি জামা কাপড় না ধুয়ে বার বার ব্যবহার করা যাবে না
-
বিছানার চাদর মাঝে মাঝে ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে
-
অতিরিক্ত দূষিত জায়গার মধ্যে চলাফেরা করা যাবে না
-
নোংরা পানিতে গোসল না করে পরিষ্কার পানিতে গোসল করতে হবে
-
চুলকানি ছাড়াও এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন
-
অতিরিক্ত চুলকানির ঔষধ সেবন করা যাবে না
-
যেগুলো গৃহপালিত পশুদের থেকে চুলকানি সরাতে পারে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে।
-
এছাড়াও সেগুলো গৃহপালিত পশুদের সবসময়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। যাতে করে
চুলকানি না ছড়িয়ে পড়ে।
আশা করছি চুলকানি নিয়ে বিশেষ ১৫টি তথ্য সমূহ ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এগুলো যদি আপনি মনে রাখতে পারেন তাহলে অনেক উপকারে আসবে।
আমাদের শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি চুলকানি দূর করার জনপ্রিয় ক্রিম চুলকানি প্রতিরোধে মহাঔষধ চুলকানি প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায় সহ এই সম্পর্কিত আরো অনেক কিছু বিষয়ে আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে আমাদের জানাতে
পারেন এবং এরকম নতুন নতুন বিষয় আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করা
হয়ে থাকে সেজন্য আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url