ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই আপনি যদি জানতে চান ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা তাহলে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- আমাদের শেষ কথা
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা
মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রকম শরীরের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন ই অনেক উপকারী। তাই আমরা সবাই বেশি বেশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাবেন। এখন আপনারা জেনে নিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা গুলো।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
করতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। সেজন্য আপনারা যারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে
চাচ্ছেন তারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে
পারেন।
চুলের জন্য উপকারী
অনেকের ভিটামিন ই এর কারণে মাথার চুল ঝরে যায় এতে করে অতিরিক্ত চিন্তার মধ্যে
পড়ে যেতে হয়। কিন্তু আপনি চাইলে মাথার চুল পড়া রোধ করতে পারেন এবং মাথার চুল
পড়ে গেলে সেগুলো আবার নতুনভাবে গজানোর জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল ব্যবহার করতে
পারেন।
আরো পড়ুনঃ শরীরে রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ - শরীরে রক্ত বৃদ্ধির উপায়
নখের ভঙ্গুরতা রুখতে
প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন রকম কাজ করতে হয় আর সেই কারণে অনেকের নখের ভঙ্গরতা দেখা
দেয়। তাই আপনার যদি এরকম সমস্যা থাকে তাহলে এই সমস্যা ভালো করার জন্য একমাত্র
কার্যকরী ঔষধ হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে থাকার তেল
গুলো বের করে নিয়ে সেগুলোর নখে লাগাবেন। ইনশাআল্লাহ নখের ভঙ্গুরতা দূর হয়ে
যাবে।
বয়সের ছাপ দূর করে
যখন একজন মানুষের বয়স বেড়ে যায় তখন তার ত্বকের মধ্যে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা
দিতে শুরু করে তবে অনেকের অল্প বয়সে ত্বকের মধ্যে বয়সের ছাপ পড়ে
যায়। এতে ত্বক দেখতে অনেক খারাপ লাগে। তাই আপনার যদি এরকম সমস্যা থাকে
তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন এতে করে বয়সের ছাপ দূর হবে এবং
ত্বকের বলিরেখা নিরাময় করবে।
ক্ষত ভালো করে
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ক্ষত হয়ে থাকে কিন্তু শরীরের
ভিটামিন ই এর অভাব থাকার কারণে ক্ষত তাড়াতাড়ি ভালো হতে চায় না। তাই আপনি যদি
মাঝে মাঝে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার শরীরে হওয়া ক্ষত দ্রুত
ভালো করবে।
রোদের ক্রিম
প্রতিনিয়ত রোধে কাজ করার ফলে ত্বকের মধ্যে কালচে দাগ পড়ে যায় সেজন্য আপনি যদি
রোদে কাজ করেন অথবা রোদে যেতে হয় তাহলে কুলিং ক্রিম এর সাথে এক ফোঁটা পরিমাণ
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল দিয়ে ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনার ত্বক রোদে
পোড়া থেকে রক্ষা পাবে।
ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করে
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ই থাকা প্রয়োজন। ভিটামিন ই আপনি বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে খুব সহজে পেয়ে যাবেন। তবে খাবারের পাশাপাশি আপনি যদি চান তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মাধ্যমে পেতে পারেন। তবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া বা ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
এগুলোই মূলত ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা তবে আপনি যদি অতিরিক্ত ব্যবহার করেন তাহলে কিছু অপকারিতা দেখা দিতে পারে। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে তেমন কোন অপকারিতা নেই। আর সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে যেগুলো অপকারিতা হতে পারে।
১। অতিরিক্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল ব্যবহার করলে আমাশয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। অনেকের শরীরে এলার্জি রয়েছে তাই তারা যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের উপরে ব্যবহার করে তাহলে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩। অতিরিক্ত ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে বা সেবন করলে শরীরের ক্লান্তি ভাব চলে আসবে।
৪। পরিমাণের চেয়ে বেশি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহারের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে ভালো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে এটা ব্যবহারের নিয়ম
জানতে হবে। এবং একবারে সরাসরি মুখে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা ঠিক
নয়। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম জেনে রাখুন।
আরো পড়ুনঃ ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়
প্রথমে একটি পাকা পেঁপে কেটে নিবেন এবং সেগুলো ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিবেন তার
সাথে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মধ্যে থাকা তেল বের করে নিয়ে ভালোভাবে মেশাবেন।
তারপরে সেগুলো মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। এভাবে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখার
পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে যদি কয়েক দিন ব্যবহার করতে পারেন
তাহলে ভালো উপকারিতা পাবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো
বাজারে অনেক রকমের ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে কোনটা ভালো আপনি কিভাবে বুঝবেন হয়তো বুঝতে পারবেন না। সেজন্য এখন আপনাদের জানাবো ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো। অনেকগুলো ভিটামিন ই ক্যাপসুল রয়েছে তার মধ্যে কয়েকটি ভালো ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর নাম হলোঃ
- E Cap 200 IU
- E Cap 400 IU
- E Gold 200 IU
- E Soft 200 IU
- Lifil E 400 MG
- Nature E 200 IU
- Ovit E 200 IU
- Vegecap E 200 IU
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের ভিটামিন ই ক্যাপসুল কাজ করে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে কি হয়।
১। আর মজবুত থাকে
২। ব বন্ধ্যাত্বের সমস্যা রোধ করে
৩। চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং নতুন চুল গজায়
৪। অকাল বার্ধক্য জনিত সমস্যা নিরাময় করে
৫। শরীরের ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ করে
৬। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে সকল উপকারিতা গুলো পাবেন। তবে আপনার শরীর অনুযায়ী
ভিটামিন এই ক্যাপসুল খাওয়া প্রয়োজন সেজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন এ
ক্যাপসুল সেবন করবেন।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় হল প্রথমে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল সংগ্রহ করবেন তারপর ছোট একটি পাত্র নিবেন নেওয়ার পরে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে থাকা তেল গুলো বের করে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় গোলাপ জলের উপকারিতা - রূপচর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার
তার সাথে পাকা পেঁপে পেস্ট মধু এবং হালকা পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে একসাথে মিশ্রণ তৈরি করে নিবেন। এবার এগুলো যখন ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করা হয়ে যাবে তখন সেগুলো আপনার শরীরের ত্বক বা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। এভাবে যদি আপনি কিছুদিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করেন তাহলে ফর্সা হতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা জানতে পেরেছেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সহ এই সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয়ে।
তো এগুলো বিষয়ে জানতে পেরে আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে আমাদের জানাতে
পারেন। এবং এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ঘুরে
দেখতে পারেন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url