জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি - ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল
তাই চলুন আজকের আর্টিকেলের নিচের অংশগুলো থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্রঃ জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি - ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল
- জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি
- ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল
- যে আমল করলে কখনো বিফলে যায় না
- যে কোন আমল কবুল হওয়ার সময়
- অতি দ্রুত যে আমল আল্লাহ কবুল করে
- মন থেকে আমল করার নিয়ম
- আমাদের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা
জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি
জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সাতটি আমল রয়েছে যেগুলো আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গিয়েছেন। আপনি যদি এই আমলগুলো পালন করতে পারেন তাহলে
এগুলো আপনার জীবনের সবচেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হবে। জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ এই
সাতটি আমল গুলোর নাম হল।
১। সর্বপ্রথম আমল হলো ঈমান আনা এবং তার ওপর বিশ্বাস রাখা।
২। নামাজ আদায় করা এবং নামাজ আদায় করতে হবে দীর্ঘ সময় ধরে।
৩। আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আরও একটি আমল।
আরো পড়ুনঃ কোন গুনাহ ক্ষমার অযোগ্য - আল্লাহ তায়ালা কোন গুনাহ কখনো মাফ করবেন না
৪। জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আরও একটি আমল হল বাবা মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা।
৫। যদি আপনার সেই রকম সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনার জন্য জিলহজ মাসের কুরবানী করা আরো একটি সর্বশ্রেষ্ঠ আমল। তবে সমর্থ্য না থাকলে কোন সমস্যা নেই।
৬। প্রতিবছর একবার করে বিশ্বব্যাপী হজ পালিত হয়ে থাকে। আর এই হজ জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি আমল। এই হজ্জ পালন করার মাধ্যমে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে ওঠে।
৭। জীবনের আরও একটি শ্রেষ্ঠ আমল হলো সব সময় আল্লাহর জিকির করা এবং সকল মানুষের সঙ্গে বিনম্র আচরণ করা।
ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল
আপনি যত বেশি আমল করবেন আপনার জীবন তত বেশি সুন্দর হবে। এখন আপনাদের জানাবো ছোট ছোট ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল যেগুলো আপনি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত করতে পারেন। এবং এগুলো ছোট ছোট আমল করার মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করতে পারেন।
-
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা
- ওযু করার পর কালেমা শাহাদাত পাঠ করা
-
প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক পাঠ করা
-
প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৩
বার আল্লাহু আকবার পাঠ করা
-
সকালে এবং সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহর নামে দশবার করে দরুদ পাঠ করা
-
সকালে এবং বিকালে ১০০ বার করে সুবাহানাল্লাহিল আজিম ওয়াহাবি হামদিহি পাঠ
করুন
-
সকাল এবং সন্ধ্যা একশ বার করে সুবাহানাল্লাহিল ওয়া বিহামদিহি পাঠ করা
-
সকালে ও বিকালে ১০০ বার করে সুবাহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার পাঠ
করা
-
মসজিদে প্রবেশ করলে তার দোয়া পাঠ করা
-
উচিত থেকে বের হওয়ার জন্য দোয়া পাঠ করা
-
বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য দোয়া পাঠ করা
-
বাসায় প্রবেশ করার সময় দোয়া পাঠ করা
-
বাজার প্রবেশ করলে তার দোয়া পাঠ করা
-
ইমামের সঙ্গে জামাতে ৪০ দিন সালাত আদায় করা এই নিয়মে সারা জীবন চলবে
-
প্রতিমাসের আয়ের উৎস থেকে এতিমদের অসহায়দের দান করা
- রোজার সময় সিয়াম পালন করা
- লজ্জা স্থানের হেফাজত করা
- মেয়েরা স্বামীর অনুগত্য করবে
-
সকল ভালো কাজ ডান দিক দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা
- ঘুমাতে যাওয়ার দোয়া পাঠ করা
- ঘুম থেকে উঠার পরে দোয়া পাঠ করা
-
বাথরুমে যেতে দোয়া পাঠ করা ও প্রথমে ডান পা দিয়ে ঢুকা
- ওজুর আগে মেসওয়াক করা
- শুদ্ধ ও সঠিকভাবে ওযু করার
- রাস্তার ডান পাশ দিয়ে চলা
-
ফরজ নামাজ শেষ করে বিভিন্ন রকম দোয়া দরুদ পড়া
-
জামা জুতা পরিধান করার সময় ডান দিক দিয়ে পরিধান করা ও বাম দিক দিয়ে খোলা
- পানি খাওয়ার সম্ভাবনা চলা
-
ভাত খাওয়ার সময় সমতল জায়গায় এবং কোন কিছু বিছিয়ে খাবার খাওয়া
-
ঘুমের মধ্যে খারাপ স্বপ্ন দেখলে আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম পাঠ করা
-
আত্মীয়তার সম্পর্ক ধরে রাখা এবং ভালো রাখা
- জামাত এর সাথে সালাত আদায় করুন
-
সামর্থ্য থাকলে মক্কা-মদিনায় সালাত আদায় করা
- ফজর এবং এশার নামাজ জামাতে পড়া
- নফল সালাত বাসায় আদায় করা
- জুমার দিনের সকল এবাদত পালন করুন
- ইসরাকের সালাত আদায় করা
- রমজান মাসে ওমরাহ পালন করা
- ইলমের জন্য মসজিদে যাওয়া
- মসজিদে ফরজ সালাত আদায় করো
-
সামনের সারিতে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা
- মদিনার মসজিদে সালাত আদায় করা
- সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করা
-
নিজের পরিবারের মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করা
- আযানের জবাব দেওয়া
- প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা রাখা
- রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতারি করানো
- আল্লাহর পথে জিহাদ করা
-
আল্লাহর পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন পাঠ করা
-
রাত জেগে বেশি বেশি আল্লাহর সকল ইবাদত করা এবং আল্লাহর কাছে সবসময় ক্ষমা
প্রার্থনা করা।
যে আমল করলে কখনো বিফলে যায় না
যে আমল করলে কখনো বিফলে যায় না এটা অনেকেরই অজানা। আমি যদি একজন মুসলমান হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি দোয়া করেন তাহলে সেই আমল কখনোই বিফলে যাবে না কারণ মুসলমানের দোয়া আল্লাহ অবশ্যই কবুল করেন।
আরো পড়ুনঃ অস্তাগফিরুল্লাহ কেন বলতে হয় - অস্তাগফিরুল্লাহ এর গুরুত্বপূর্ণ সকল ফজিলত
তাই আপনি যদি কোন রকম সমস্যায় পড়েন তাহলে বেশি বেশি দোয়া করবেন আল্লাহর কাছে তাহলে দেখবেন আপনার সেই সমস্যা মহান আল্লাহ সমাধান করে দিবেন। তাই বলা যায় দোয়ার আমল কখনোই বিফলে যায় না। আপনি যদি আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে দোয়া করতে পারেন তাহলে এটা আরো অনেক কার্যকরী হয়।
যে কোন আমল কবুল হওয়ার সময়
যেকোনো আমল এবং দোয়া কবুল হওয়ার কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে তবে যে কোন সময় যে কোন ধরনের আমল মহান আল্লাহ কবুল করতে পারেন। তারপরেও যে কোন আমল কবুল হওয়ার কিছু নির্দিষ্ট সময় গুলো হলোঃ
- জুম্মা বার
- আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত
- শবে কদরের রাতে
- শবে বরাতের রাতে
- আরাফার ময়দানে
- রোজা পালন করা অবস্থায়
অতি দ্রুত যে আমল আল্লাহ কবুল করে
আল্লাহর কাছে আপনি যদি সঠিকভাবে আমলগুলো করতে পারেন তাহলে সেগুলো অতি দ্রুত মহান আল্লাহ কবুল করেন। যে কোন আমল অতি দ্রুত কবুল করানোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো হলোঃ পবিত্রতার সঙ্গে দোয়া প্রার্থনা করা, অতি বিনয়ের সঙ্গে প্রার্থনা করো, দুই হাত ভালোভাবে তুলে দোয়া প্রার্থনা করা।
অতিমিনতি ভরা কন্ঠে দোয়া প্রার্থনা করো, এবং বেশি বেশি আল্লাহর প্রশংসা
করার ও দুরুদ শরীফ সহ দোয়া প্রার্থনা করা। এভাবে যদি আপনি দোয়া প্রার্থনা
করে আমল করতে পারেন তাহলে সেগুলো অতি দ্রুত কবুল হবে ইনশাআল্লাহ।
মন থেকে আমল করার নিয়ম
আপনি যদি মন থেকে আমল করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয় তার কোন শরীক নেই এবং তিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনি সর্ব জ্ঞানী। এগুলো বিশ্বাস রেখে যদি আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মন থেকে আমল করেন তাহলে সেই আমল আল্লাহর অবশ্যই কবুল করে নিবেন।
তাই মন থেকে আমল করার জন্য অবশ্যই এভাবে করবেন অনেকে রয়েছে লোক দেখানো আমল করে থাকে আপনি যদি মন থেকে আমল করেন তাহলে কখনোই যাতে আপনার মনের মধ্যে লোক দেখানো আমলের চিন্তা মাথায় না আসে।
আরো পড়ুনঃ কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব ও অশুদ্ধ তেলাওয়াত করলে কি হবে
কিভাবে প্রতিনিয়ত আমাদের বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর বলা এবং দেখানো সকল আমল করবেন। আল্লাহ আমাদেরকে নেক আমল করার
তৌফিক দান করুন আমিন।
আমাদের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা
জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল কোনটি ফজিলতপূর্ণ ৫০ টি নেককার আমল গুলো কি কি আশা করছি আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তো এখন থেকে আপনারা এগুলো আমল বেশি বেশি করার চেষ্টা করবেন।
কারণ আপনি যত বেশি আমল করবেন আপনার ইহকাল এবং পরকাল দুটাই অনেক বেশি শান্তির হবে।আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম পোস্ট নিয়মিত করা হয় তাই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ঘুরে দেখতে পারেন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url