ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ
জ্বর কি এবং জ্বর কেন হয় ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ জ্বর ভালো করার ২০টি ঘরোয়া উপায় সহ আরো বেশ কিছু বিষয়ে জানতে পুরো পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ
- জ্বর কি এবং জ্বর কেন হয়
- ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ
- জ্বর ভালো করার ২০টি ঘরোয়া উপায়
- ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার
- ছেড়ে ছেড়ে বারবার জ্বর আসার কারণ ও প্রতিকার
- ভাইরাস জ্বর কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়
- সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন জ্বর
- চোরা জ্বর এবং তার লক্ষণ কি
- জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
- অতি প্রয়োজনীয় শেষ কথা
জ্বর কি এবং জ্বর কেন হয়
জ্বর একটি অসুখের নাম। যখন একটা মানুষের শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন সেটাকে জ্বর বলা হয়ে থাকে। কি কারনে জ্বর হয়ে থাকে তা হয়তো আপনার জানেন। তারপরেও যারা জানতে চেয়েছেন জ্বর কেন হয় তাদের বলবো জ্বর হওয়ার কারণ হলো যখন আপনার শরীর কোন কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে তখন সেই কারণে জ্বর হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু রোগ ও ডেঙ্গু রোগের টিকা নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য
অনেক সময় যখন আমরা বৃষ্টিতে ভিজি সেই কারণে আমাদের জ্বর হয়ে থাকে এছাড়াও
জ্বর হওয়ার কারণ অনেক কারণ রয়েছে যা আপনারা নিজেরাই বুঝতে পারেন। আর এটা
আল্লাহ প্রদত্ত তাই হবেই এবং সকল মানুষের হয়ে থাকে। তবে জ্বর হওয়ার সাথে
সাথে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এটা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ
জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক কিন্তু যদি অত্যাধিক ঘন ঘন জ্বর হতে থাকে তাহলে এটা অবশ্যই খারাপ কোনো লক্ষণ হতে পারে তাই আপনাকে অবশ্যই এদিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ তা জেনে রাখা প্রয়োজন। ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ জেনে নিন।
-
যখন জ্বর আসবে তখন শরীরে কাঁপুনি দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
-
ডিহাইড্রেশন বেড়ে যাবে এতে করে শরীরের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।
-
খাবার খাওয়ার রুচি কমে যাবে এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে।
-
অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা হতে পারে এবং মাথা ব্যাথা করতে পারে।
- মানসিক অবসাদ দেখা দিবে।
-
অতিরিক্ত জ্বর থেকে খিচুনি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
যখন অতিরিক্ত জ্বর হবে তখন শরীরে অনেক ঠান্ডা লাগবে এখন একটি ঘুম ঘুম রেশ দেখা
দিবে।
জ্বর ভালো করার ২০টি ঘরোয়া উপায়
আপনার অথবা আপনার পরিবারে যদি কারো জ্বর হয় তাহলে জ্বর ভালো করার ২০টি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে দেখতে পারেন। তাহলে খুব দ্রুত জ্বর ভালো করতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক জ্বর ভালো করার ২০টি ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি?
- পানিপট্টি দিবেন
- মধু ও লেবুর রস খাবেন
- তুলসি পাতার রস খান
- আদা ও মধু খাবেন
- কুসুম গরম পানিতে গোসল
- রসুন পানি খান
- বিশ্রাম নেওয়া
- তরল খাবার খাওয়া
- স্পঞ্জ করুন
- ওয়েট শক ট্রিটমেন্ট
- মাস্টার্ড ফুটবাথ করুন
- বেশি বেশি পানি পান করুন
- কমলার রস খেতে পারেন
- ভিটামিন সি সম্মৃদ্ধ ফল খাবেন
- আদা চা পান করুন
- সুতি কাপড়ের পোশাক পরুন
- গার্গেল করুন
- আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু পান করুন
- কিসমিস খেতে পারেন
- পুদিনা পাতা জ্বর কমাতে ভালো কাজ করে
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার
ভাইরাস জ্বর বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে এবং তার প্রতিকার রয়েছে। তাই আপনার যদি
ভাইরাস জ্বর হয়ে থাকে তাহলে কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে এবং কিভাবে প্রতিকার করবেন
আসুন সেই সকল বিষয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক।
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ গুলো হলোঃ
- মাথা ব্যথা করবে
- বমি হবে
- মাংসে বা জয়েন্টে ব্যথা হবে
এইগুলো হলো ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ কিন্তু এই ভাইরাস জ্বর থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন সেগুলো হলোঃ
- প্যারাসিটামল খেতে পারেন
-
খাওয়া-দাওয়ার স্বাভাবিক রাখতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
-
যথেষ্ট পরিমাণ পানি এবং খাবার স্যালাইন খেতে হবে
- বিশ্রামে থাকতে হবে
-
বেশি বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল খেতে হবে
-
এগুলো যদি কাজ না করে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ
করতে হবে
ছেড়ে ছেড়ে বারবার জ্বর আসার কারণ ও প্রতিকার
বহু রোগ যখন একসাথে হয়ে শরীরে আক্রমণ করে তখন শরীরে জ্বর চলে আসে। এই জ্বর বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে যেমন অনেকের ছেড়ে ছেড়ে বারবার আসে। তবে ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসা অনেক সময় জন্ডিসের কারণ হতে পারে আপনার যদি বারবার ছেড়ে ছেড়ে জ্বর আসে তাহলে এর প্রতিকারের জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে সেগুলো নিয়ম মানার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গলা ব্যথা কেন হয়ে থাকে - গলা ব্যথা থেকে বাঁচার উপায় কি
আপনার যদি ঘন ঘন জ্বর আসে তাহলে সেটা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য ঘরোয়া ভাবে
পানিপট্টি দিতে পারেন, মধু এবং আদা একসাথে খেতে পারেন, রসুন ভেজানো পানি
খেতে পারেন তবে ঘন ঘন জ্বর ভালো করার জন্য এই সকল উপায় গুলো ভালো কাজ নাও করতে
পারে তাই আপনাকে বলব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ
করবেন। যদি অবহেলা করেন তাহলে এটা আরো ক্ষতিকর রূপ ধারণ করবে।
ভাইরাস জ্বর কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়
ভাইরাস জ্বর কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন আসলে এটা বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম সময় লেগে থাকে। তবে আপনি যদি দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাহলে ভাইরাস জ্বর ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে অর্থাৎ ভাইরাস জ্বর ৪ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হয়ে থাকে। তবে চিকিৎসা গ্রহণ না করে অবহেলা করলে এটা আরো অনেক বেশি দিন স্থায়ী হতে পারে যা আপনার জন্য মারাত্মক রকম ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন জ্বর
জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তা আমরা সবাই জানি কিন্তু সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত ডিগ্রি জ্বর হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। একজন মানুষের সর্বনিম্ন ৩৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে সর্বোচ্চ ১০৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতে পারে।
যদি ১০০ ডিগ্রীর উপরে জ্বর চলে যায় তাহলে এটা অনেক অনেক মারাত্মক লেবেলে চলে
যায়। তাই আপনার যদি জ্বরের তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন। কারণ অতিরিক্ত তাপমাত্রার জ্বরের কারণে মানুষের
মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চোরা জ্বর এবং তার লক্ষণ কি
জ্বর বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তার মধ্যে আরেকটি হলো চোরা জ্বর। অন্যান্য জ্বরের যেগুলো লক্ষণ দেখা দেয় এই জ্বরের ও এরকমই লক্ষণ দেখা দেয় অধ্যায় এটা থেকে থেকে জ্বর আসে আবার চলে যায়। চোরা জ্বর বিশেষ করে রাতের বেলা আসে এবং দিনের বেলা চলে যাই।
আরো পড়ুনঃ বুক ধড়ফড় করার কারণ - বুক ধড়ফড় দূর করার ঘরোয়া উপায়
তাই আপনার যদি এরকম চোরা জ্বর থাকে তাহলে এর কোন ঘরোয়া প্রতিকার বা চিকিৎসা নেই তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও কবিরাজি চিকিৎসায় এগুলো চোরা জ্বর ভালো করা যায় সেটাও করতে পারেন।
জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
জ্বর হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত তা অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন। জ্বর ভালো করার জন্য বিভিন্ন রকম ঔষধ রয়েছে তার মধ্যে জ্বর সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো প্যারাসিটামল, নাপা ট্যাবলেট, এইচ ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে আপনার জ্বরের তাপমাত্রা ঔষধ অন্যটা হতে পারে তাই প্রথমে আপনার জ্বরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করাবেন।
তারপরে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধ সেবন করবেন তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক বেশি ভালো এবং নিরাপদ হবে। কখনোই ইন্টারনেটে কোনো ঔষধের নাম দেখে তা নিজ থেকে কিনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এতে করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতি প্রয়োজনীয় শেষ কথা
বন্ধুরা আশা করছি আজকের পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারলেন ঘন ঘন অত্যাধিক জ্বর কিসের লক্ষণ জ্বর ভালো করার ২০টি ঘরোয়া উপায় সহ এই সম্পর্কিত সকল বিষয়ে। তাই আজকের পোস্টটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেননা। আর এরকম আরো বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url