আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম

প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম আজকে আপনাদের জানাবো আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন চলুন বিস্তারিতভাবে এই সকল বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম

আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম 

আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম

আজওয়া খেজুর খেতে অনেক সুস্বাদু এবং এর অনেক উপকারী গুণ রয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত এই খেজুরটি খান তাহলে এই সকল উপকারিতা গুণগুলো পাবেন। তাহলে নিজের অংশ থেকে জেনে নিন আজওয়া খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। 

১। বিষক্রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে

২। হাড় মজবুত করে

৩। হৃদরোগ নিরাময় করে

৪। স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি করে

৫। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে 

৬। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

৭। লিভার এবং পাকস্থলী ভালো রাখে

৮। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে

৯। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

১০। চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে

১১। এজমার সমস্যা প্রতিরোধ করে

১২। পেটে গ্যাস দূর করে

১৩। কফ কাশি নিরাময় করে

১৪। মূত্রথলির ইনফেকশন দূর করে

১৫। জ্বর নিরাময় করে

১৬। ঠান্ডা লেগে কণ্ঠনালীতে ব্যথা হলে সেটা ভালো করে

১৭। শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধ করতে উপকারী

১৮। গর্ভবতী মায়ের জরায়ুর মাংসপেশী সংকচিত করতে উপকারী

১৯। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

২০। ফুসফুসের বিভিন্ন রকম সমস্যা নিরাময় করে

২১। কোলেস্টেরল থেকে দূরে রাখে

২২ কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে

২৩। শরীরের রক্তক্ষরণ হলে সেটা কমিয়ে দেয়

২৪। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে

২৫। চুল ভালো রাখতে উপকারী

২৬। নখ এবং দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

২৭। পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি করে

২৮। কিডনিতে পাথর হলে সেটা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে

২৯। বিভিন্ন রকম প্রদাহ জনিত সমস্যা নিরাময় করে

৩০। গর্ভবতী মায়েদের জন্য পুষ্টির যোগান দেয়

এই হল আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা। কিন্তু এগুলো উপকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে খেতে হবে তাই এখন জেনে নিন আজওয়া খেজুর নিয়ম সম্পর্কে। আজওয়া খেজুর একটি জান্নাতি পোল সেই জন্য আমাদের প্রিয় নবী প্রতিদিন সকালের নাস্তায় আজওয়া খেজুর খেজুর খেতেন এবং আমাদেরকেও খাওয়ার জন্য বলে গেছেন। 

আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাবার বিশেষ উপকারিতা ও পুষ্টি গুণাগুণ

কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন সকালে সাতটি করে আজওয়া খেজুর খায় তাহলে সেই ব্যক্তির শরীরে কোন রকম বিষক্রিয়া কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাই আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরে নাস্তা করার সময় খাবেন। এছাড়া দিনের অন্যান্য সময় খেতে পারেন তবে সকালবেলা খেলে বেশি উপকারী হবে। 

আজওয়া খেজুরের আসল ইতিহাস

আজওয়া খেজুরের আসল ইতিহাস হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন সাহাবী ছিল তার নাম ছিল সালমান ফারসি। কিন্তু তিনি যখন সাহাবী ছিলেন না তার আগে একজন ইহুদির ক্রীতদাস ছিলেন। এবং সেই ইহুদি ছিল উনি অত্যাচারী সেজন্য সালমান ফারসিকে দিয়ে বিভিন্ন রকম কঠিন এবং ভারী জুলুমের কাজ করাতো। 

একপর্যায়ে যখন সালমান ফারসি সেই অত্যাচারী ইহুদি থেকে মুক্তি চাইলো তখন সেই ইহুদি একটি সত্য সাপেক্ষে তাকে আজওয়া খেজুরের বীজ দিল এবং বলল যতদিন না এই খেজুরের বীজ থেকে গাছ তৈরি করতে পারবে না এবং ফল ফলাতে পারবে না ততদিন তাকে মুক্তি দেওয়া হবে না।

আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম

তবে তার সর্বপ্রথম রয়েছে সেটা হল কিছু স্বর্ণের বিনিময়ে তাকে সেই চারা গুলো সংগ্রহ করতে হবে কিন্তু সেই সাহাবীর কাছে এটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল সেজন্য তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসলেন এবং রাসূলকে সবকিছু খুলে বললেন। তখন রাসুল তাকে ৪০ আউন্স স্বর্ণ বুঝিয়ে দিলেন। 

অতঃপর সেই সাহাবী মালিকের কাছ থেকে বীজগুলো সংগ্রহ করলেন। এবং সেগুলো এনে রাসূলুল্লাহর হাতে দিলেন তখন আমাদের প্রিয় নবী হাতে নিয়ে দেখলেন বীজগুলো সব পোড়া এবং এগুলো থেকে গাছ জন্মানো অসম্ভব। তারপরেও রাসুলুল্লাহ সালমান ফারসিকে খেজুরের বাগান নিয়ে গেলেন এবং বললেন তুমি এই বীজগুলো নাও। 

এবং তুমি সোজা বরাবর বীজগুলো বপন করতে করতে চলে যাবে বীজ বপন করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত একবারও পিছনে ফিরে তাকাবে না। তখন সেই সাহাবী রাসূলের কথা অনুযায়ী সোজা বীজ বপন করে চলে গেল এবং যখন সবগুলো বীজ বপন করা হয়ে গেছে তখন পিছনে তাকিয়ে দেখল সারা বাগান খেজুর গাছে ভরে গেছে এবং সেই গাছগুলোতে খেজুর ধরেছে। 

আজওয়া খেজুরের বর্তমান মূল্য

আজওয়া খেজুরের বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তাই একেবারে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয় আজওয়া খেজুরের বর্তমান মূল্য তারপরেও আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পেরেছি বর্তমানে আজওয়া খেজুরের মূল্য প্রতি কেজি ৮০০ টাকা থেকে ২৫০০ এবং ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

আরো পড়ুনঃ রসুন খাবার উপকারিতা ও পুষ্টি গুনাগুন

আজওয়া খেজুর যেহেতু বাংলাদেশে চাষ হয় না এবং এর অনেক উপকারী গুনাগুন রয়েছে সেজন্য অন্যান্য খেজুরের তুলনায় এই খেজুরের দাম অনেকটা বেশি। আপনার যদি এরকম সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি কিনে খেতে পারেন। 

আসল আজওয়া খেজুর চেনার উপায়

আপনি যদি আসল আজওয়া খেজুর কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে আসল আজওয়া খেজুর চিনতে হবে কারণ অনেকেই আসল আজওয়া খেজুর খেজুরের বদলে নকল খেজুর বিক্রি করে থাকি। আসল আজওয়া খেজুর খেজুর চেনার উপায় হল এটার রং কুচকুচে কালো হয়ে থাকে। 

এবং খেজুরের আকার কিছুটা বড় হয় মাঝে মাঝে ছোট হতে পারে। তাই আপনি যদি আজওয়া খেজুর কিনতে জানতে হলে দেখবেন এটার কালার একবারে কালো কিনা। যদি দেখেন কিছুটা লালচে ভাব রয়েছে এবং সাইজ একেবারে ছোট ছোট তাহলে বুঝতে হবে যে এটা আসল আজওয়া খেজুর নয়। 

আজওয়া খেজুর চেনার বেশ কিছু ছবি

উপরে আপনাদেরকে আজওয়া খেজুর চেনার উপায় গুলো বলে দিয়েছে তারপরও যদি না বুঝতে পারেন তাহলে এই অংশে কিছু আজওয়া খেজুর চেনার বেশ কিছু ছবি দেওয়া হল ছবিগুলো দেখলে আপনি আশা করি বুঝতে পারবেন আসল আজওয়া খেজুর দেখতে কেমন হয়। 

আজওয়া খেজুর চেনার বেশ কিছু ছবি

আজওয়া খেজুর চেনার বেশ কিছু ছবি

আজওয়া খেজুর নিয়ে বিশেষ হাদিস

আজওয়া খেজুর অনেকগুলো হাদিস রয়েছে এবং সেগুলো আমাদেরকে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। যদি কোন ব্যক্তি সকালবেলার নাস্তায় আজওয়া খেজুর খায় তাহলে সেই ব্যক্তিকে কোন জাদু টোনা এবং বিশ ক্ষতি করতে পারবে না। এবং কোন ব্যক্তি যদি বিষক্রিয়া এবং যাদু টোনাই আক্রান্ত হয় তাহলে এই আজওয়া খেজুর সেই জাদু-টোনা এবং বিষক্রিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করবে। 

আরো পড়ুনঃ আমলকি খাবার বিশেষ কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা

এছাড়াও আমাদের রাসূল এই আজওয়া খেজুর এর মাধ্যমে একজন সাহাবীর হৃদরোগ ভালো করেছিলেন সেজন্য এই আজওয়া খেজুর নিয়ে এ সকল তথ্যা হাদিসে এসেছে। আপনাদের প্রতি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনারা নিয়মিত আজওয়া খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

আজওয়া খেজুর নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনারা ভালোভাবে জানতে পেরেছেন আজওয়া খেজুর খাবার ৩০টি কার্যকারী উপকারীতা ও খাবার নিয়ম গুলো সম্পর্কে। তো এগুলো বিষয়ে জানতে পেরে আপনাদের কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এরকম আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url