মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক - পকেটে ফোন নিয়ে ঘুরলে কি শুক্রাণু কমে যায়

প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় হলো মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক এবং পকেটে ফোন নিয়ে ঘুরলে কি শুক্রাণু কমে যায় কিনা এ বিষয়ে। আমরা বেশিরভাগ মানুষের পকেটে মোবাইল নিয়ে ঘুরে থাকি কিন্তু মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক কি তা অনেকেরই অজানা তাহলে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক

মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক কি এ বিষয় সহ এই সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয় আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক - পকেটে ফোন নিয়ে ঘুরলে কি শুক্রাণু কমে যায় 

ভূমিকা

একটি গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার কারণে এবং মোবাইল পকেটে নিয়ে ঘুরার কারণে শুক্রাণু কমে যায়। আমাদের সকলেরই অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার এবং পকেটে নিয়ে ঘোরার অভ্যাস রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ জীবনে চলার পথে সময়কে কিভাবে ব্যয় করতে হয় 

সেজন্য আজকের আর্টিকেল আপনাদের জানাবো মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক কি এই বিষয়ে। তাই আপনার যদি এই অভ্যাস থাকে তাহলে নিচের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করছি সেগুলো পড়লে এই ভালোভাবে জানতে পারবেন এবং সচেতন হতে পারবেন। 

মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক 

মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক অনেক গভীর। অর্থাৎ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে পুরুষদের শুক্রানুর পরিমাণ কমে যায়। চলুন আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক গুলো সম্পর্কে।

১। মোবাইল ফোন আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে আমাদের জীবনের সাথে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন রয়েছে। তবে এটা বিভিন্নভাবে আমাদের ক্ষতি করছে যেমন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে শুক্রানুর পরিমাণ কমে যায়।

২। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে এবং মোবাইলের ক্ষতিকর রেডিয়েশন রশ্মি লাগার ফলে চোখের ক্ষতি হয় সেই সাথে পুরুষের বীর্য এর ঘনত্ব অনেক কমে যাইতে পারে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব বেড়ে গেছে।

৩। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষকরা ১৮ বছর থেকে ২২ বছর পুরুষদের উপর গবেষণা করে দেখেন যারা প্রতিদিন ২০ বারের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে এবং যারা সপ্তাহে একবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তাদের শুক্রাণুর ঘনত্ব অনেক বেশি ছিল। তাহলে এর থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে কি হতে পারে।

৪। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং কিছু পরিবেশগত কারণে বেশিরভাগ পুরুষের শুক্রানুর ঘনত্বের পরিমাণ অনেক কমে গেছে। পরিবেশগত কারণগুলোর মধ্যে হল অতিরিক্ত ধূমপান করা, অ্যালকোহল সেবন করা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকার কারণে দিন দিন অনেক পুরুষ বন্ধ্যাত্বের দিকে চলে যাচ্ছে। 

পকেটে ফোন নিয়ে ঘুরলে কি শুক্রাণু কমে যায়

এমনিতেই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে পুরুষের শুক্রানুর ঘনত্ব দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে আবার অনেক অভ্যাস রয়েছে অধিক সময় ধরে মোবাইল কোন পকেটে নিয়ে ঘোরা। আর অধিক সময় এই মোবাইল ফোন পকেটে নিয়ে ঘোরার কারণে মোবাইল ফোন থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন রশ্মি পুরুষের যৌনাঙ্গে আঘাত করছে। 

আরো পড়ুনঃ শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায় 

যার ফলে পুরুষের শুক্রানু পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এবং শুক্রাণ উৎপাদনের হারও কমে যাচ্ছে। তাই বলা যায় পকেটে মোবাইল ফোন নিয়ে ঘোরার কারণে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায় এবং বীর্যের ঘনত্ব কমে যায় যাতে করে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব তৈরি হয়। 

মোবাইল যেভাবে মানুষের শরীরকে ক্ষতি করে

মোবাইল মানুষের শরীরের বিভিন্ন রকম ক্ষতি করে থাকে আর সেই ক্ষতিটা হয়ে থাকে মোবাইলে স্ক্রিনে থাকা রেডিয়েশন আলোক রশ্মি। এবং যখন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করা হয় তখন মোবাইলে একটি তাপ উৎপন্ন হয় আর সেই উৎপন্ন হওয়ার তা বিভিন্নভাবে শরীরের ক্ষতি করে থাকে। আপনি তো মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কিছু সমস্যায় দেখা দিতে পারে সেগুলো হলোঃ

১. অতিরিক্ত মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা

২. কানে ব্যথা করা, কানের মধ্যে ঝি ঝি করা

৩. চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ ব্যথা করা

৪. সবসময় শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে

৫. শরীর ব্যথা করা এবং কোন কাজে মনোযোগ না দিতে পারা। 

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্যাগুলো লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও যাদের রাত জেগে মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস হয়েছে তাদের দীর্ঘমেয়াদি কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে বা হয়ে থাকে চলুন এবার নিজের অংশ সেগুলো জেনে নেয়া যাক। 

রাত জেগে মোবাইল দেখলে কি হয়

অতিরিক্ত রাতের মোবাইল ফোন দেখার কারণে ঘুম নষ্ট হয় এতে করে বিভিন্ন রকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত রাত জেগে মোবাইল ফোন দেখার কারণে যেগুলো সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ 

ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হয়

রাতে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে ঘুম নষ্ট হয় যাতে করে বিভিন্ন রকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই অধিক রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। 

চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়

রাতের বেলা চোখের সামনে মোবাইল অতিরিক্ত ধরে রাখার কারণে মোবাইল ফোনের স্কিনের ভিতর থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন আলোকরশ্মি চোখের উপর প্রভাব ফেলে যার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। তাই আপনার সাথে অভ্যাস থাকে অধিক রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাহলে এই অভ্যাসটি পরিত্যাগ করুন। 

হার্টের সমস্যা তৈরি হয়

আপনি যদি অতিরিক্ত রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনার হার্টের সমস্যা তৈরি হবে। এতে করে অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হার্ট এটাকে মৃত্যুবরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

আরো পড়ুনঃ শিশুর মস্তিষ্ক উদ্দীপিত করার উপায় 

মানসিক চাপ বেড়ে যায়

অতিরিক্ত রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে ঘুম ঠিক মতো হয় না এদের ঘরে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। যখন অতিরিক্ত মানুষের চাপ বেড়ে যায় তখন দিনের বেলা কোন কাজ করতে মন বসে না। 

মস্তিষ্ক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

আর যদি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে এটা মস্তিষ্কে অনেক ক্ষতি করে থাকে যেমন মস্তিষ্ক ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই আপনার যদি নিয়মিত এই অভ্যাস থাকে তাহলে এখনই সেটা বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন।

শুক্রানুর পরিমাণ কমে যায়

অতিরিক্ত রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে শুক্রানুর পরিমাণ কমে যায়। এতে করে আস্তে আস্তে সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। তাই আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। 

শ্রবণ শক্তি কমে যায়

রাত জেগে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় কানে হেডফোন ব্যবহার করার জন্য আস্তে আস্তে শ্রবণ শক্তি কমে যেতে থাকে। যা একজন সুস্থ মানুষের জন্য অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। আর জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার কারণে উপরের এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। 

মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন কিভাবে মানুষের শরীরকে ক্ষতি করে

মোবাইল ফোনে রেডিয়েশন বিভিন্নভাবে মানুষের ক্ষতি করে থাকে যেমন মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন চোখে লাগার ফলে চোখের ক্ষতি হয়। যদি মোবাইল ফোন পকেটে রাখেন তাহলে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন শুক্রাণু উৎপাদনের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 

এছাড়াও রাতে মোবাইল ফোন কাছে নিয়ে ঘুমানোর কারণে মোবাইল ফোনের ভেতর থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন হার্টের ক্ষতি করে থাকে। এরকম আরো বিভিন্নভাবে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন আমাদের শরীরের ক্ষতি করে থাকে। 

আমাদের শেষ কথা

মোবাইল ফোনের সাথে শুক্রানুর সম্পর্ক এবং পকেটে ফোন নিয়ে ঘুরলে কি শুক্রাণু কমে যায় কিনা এই বিষয়ে আশা করছি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। তাই এখন থেকে আপনার যদি এই অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা পরিত্যাগ করার চেষ্টা করবেন। 

আর আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url