১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস - বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী

আজকে আপনাদের জানাবো ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী সম্পর্কে। সামনের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি আসতে চলেছে সেজন্য অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে তাই চলুন নিচের অংশগুলোতে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস

১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি কি দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি কি ইসলামে পালন করা জায়েজ কিনা ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস - বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী 

১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি কি দিবস

কমবেশি আমরা সবাই হয়তো জানি ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি কি দিবস তারপরও যারা এই সম্পর্কে জানতে চাই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন তাদের বলবো। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে অর্থাৎ যেটাকে আমরা বাংলাতে বলে থাকি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। 

আরো পড়ুনঃ আমরা কেন বড়দিন পালন করি - ২৫ ডিসেম্বরকে বড় দিন বলার কারণ 

প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়ে থাকে। আশা করছি জানতে পারলাম ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসটি কি দিবস। এবার চলুন আমরা নিচের অংশ জানবো ১৪ ফেব্রুয়ারি কি ইসলামে পালন করা জায়েজ রয়েছে কিনা। 

১৪ ফেব্রুয়ারি কি ইসলামে পালন করা জায়েজ

আমরা যত মুসলিম সেজন্য আমাদের ধর্মে অনেক কিছু জায়েজ এবং নাজায়েজ কাজ রয়েছে। আমাদের মুসলিম হিসেবে এই সকল জায়েজ এবং নাজায়েজ কাজ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা প্রয়োজন এবং সেগুলো জায়েজ কাজ মেনে চলা উচিত এবং নাজায়েজ কাজ বা উৎসব এড়িয়ে চলা উচিত। 

১৪ ফেব্রুয়ারি কি ইসলামে পালন করা জায়েজ কিনা এই বিষয়ে জানতে চাই অনেক ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকেন। ১৯৯৯ সাল থেকে এই বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে এটি একটি রোমান জাহিলি উৎসব। রোমানরা খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করার পরে এই উৎসবটি পালন করে থাকে। তাই এই উৎসবটি এক প্রকার কাফেরদের উৎসব তাই কোন মুসলিম জাতি কাফেরদের কোন উৎসব পালন করতে পারে না। 

কারণ এই দিনে অনেক যুবক যুবতী ও নৈতিক অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে থাকে যা আমাদের মুসলিম সমাজে অবৈধ। এক কথায় বলা যায় এটি একটি কাফেরদের উৎসব তাই মুসলমানদের জন্য ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালন করা জায়েজ নাই। তারপরেও কেউ যদি মুসলিম হয়ে এই উৎসব পালন করে বা ১৪ই ফেব্রুয়ারি অংশগ্রহণ করে তাহলে তার জন্য রয়েছে কঠিন আজাব এবং শাস্তির ব্যবস্থা। 

সেজন্য আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি উৎসব কখনো পালন করবেন না। এবং আপনার আশেপাশের মানুষদের এ এ বিষয়ে অবহিত করবেন বা সতর্ক করবেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন এবং ইসলামের পথে সঠিক ভাবে চলার তৌফিক দান করুন। 

১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস - বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী 

১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের একটি ইতিহাস রয়েছে। এটা আমাদের বাঙ্গালীদের বা মুসলমানদের কোন উৎসব নয়। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রিস্টান ও পাদ্রী চিকিৎসক ছিলেন। অনেকের সাথে অবৈধ ও অনৈতিক শরীরিক সম্পর্কের কারণে সেই পাদ্রী চিকিৎসক কে তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বীতীয় ক্রাডিয়াস সেই ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন। 

তখন কারাবরণ অবস্থায় সেই চিকিৎসক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসা করার মাধ্যমে সুস্থ করেছিলো। তবে সেই মেয়েকেও তিনি এমনিতেই ছাড়েন নি সেই দৃষ্টি হীন মেয়ের সাথেও অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন। তখন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়। সেই সময় রাজা তার প্রতি অনেক রাগান্বিত হয়ে যান এবং তাকে মৃত্যু দন্ড দিয়ে দেন। 

আরো পড়ুনঃ মেরি ক্রিসমাস কি - যেসব দেশে মেরি ক্রিসমাস পালন করা হয় 

আর সেই দিন ছিলো ১৪ ই ফেব্রুয়ারি। সেজন্য তারপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও প্রথম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন স্মরণে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কে ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থ্যাৎ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই থেকে এই ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে। 

১৯৭৭ সালে ফ্রান্স এই ভালোবাসা দিবস সেই দেশে নিষিদ্ধ করেন। আর আমাদের বাংলাদেশে ১৯৯৯ সাল থেকে এই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে। যা ইসলামের দিক দিয়ে আমাদের মুসলিম সমাজের জন্য অনৈতিক নাজায়েজ পাপ কাজ। আশা করছি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী বা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারলেন। 

ভালোবাসা দিবসে কি কি করা লাগে

যদিও ভালোবাসা দিবস একটি নাজায়েজ এবং পাপ কাজ। তারপরেও যারা জানতে চান ভালোবাসা দিবসে কি কি করা লাগে তাদের জন্য এই অংশ। আপনার যদি একজন জীবনসঙ্গী থাকে অথবা প্রেমিকা থাকে তাহলে এই সকল কাজগুলো করতে পারেন বা করা লাগে।

  • প্রিয়জনকে ভালোবাসা জানানোর জন্য ফুল দিতে হয়
  • প্রিয় মানুষের মন খুশি করতে তার পছন্দের চকলেট দিতে পারেন 
  • দুজনের ভালোলাগার কোন কথা একটি কার্ডের মাধ্যমে লিখে দিতে পারেন 
  • পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই সেজন্য সেই দিনে আপনার প্রিয় মানুষকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই দিতে পারেন।
  • প্রিয়জনকে কোনো পোশাক বা চুড়ি উপহার দিতে পারেন।
  • এই দিনে দুইজনের একসাথে থাকা ছবি ফ্রেমে বাধায় করে দিতে পারেন।
  • প্রিয় মানুষকে ভালো মানের পারফিউম উপহার দিতে পারেন। যখনি সে পারফিউম টি ব্যবহার করবে তখনই আপনার কথা মনে পড়বে।
  • এছাড়াও আপনার প্রিয় মানুষকে গহনা উপহার দিতে পারেন। কারণ মেয়েরা এটা অনেক পছন্দ করে।

ভালোবাসা দিবস কি আসলেই ভালোবাসা দিবস

অনেকে এমন অদ্ভুত ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন ভালোবাসা দিবস কি আসলেই ভালোবাসা দিবস? আসলে যাদের মধ্যে ভালোবাসা রয়েছে তাদের জন্য আলাদা করে একটি ভালোবাসা দিবসের প্রয়োজন হয় না। 

যাদের মধ্যে প্রকৃত ভালোবাসা রয়েছে তাদের জন্য প্রতিটি দিন প্রতিটি সময় ভালোবাসা দিবস। তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের সকলের উচিত এই ভালোবাসা দিবস অর্থাৎ একটি দিন কে ভালোবাসা দিবস হিসেবে মানা উচিত নয়।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবসে বিশেষ কিছু অজানা তথ্য 

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস আসলেই ভালোবাসা দিবস তবে আপনাদের মধ্যে যদি ভালোবাসা না থাকে তাহলে কোন দিবস দিয়েই ভালোবাসা হবে না। আর যদি ভালোবাসা থাকে দুজনের মধ্যে তাহলে আলাদা করে ভালবাসার কোন দিন বা দিবস প্রয়োজন হবে না।  

১৪ ফেব্রুয়ারি এর বিশেষ কিছু ছবি

যারা ইন্টারনেটে সার্চ করে খুঁজে থাকেন ১৪ ফেব্রুয়ারি এর বিশেষ কিছু ছবি। তাদের জন্য এই অংশে ১৪ ফেব্রুয়ারি এর বিশেষ কিছু ছবি দেওয়া হলোঃ 

১৪ ফেব্রুয়ারি এর বিশেষ কিছু ছবি

১৪ ফেব্রুয়ারি এর বিশেষ কিছু ছবি

১৪ ফেব্রুয়ারি এর বিশেষ কিছু ছবি

১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাসকে ঘিরে আমাদের শেষ কথা

১৪ ফেব্রুয়ারি দিবসের ইতিহাস এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের কাহিনী সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। এখন থেকে আপনারা এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে অবগত থাকতে পারবেন। 

আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং ইসলামের সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। এই বলে আজকের আর্টিকেল এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url