মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী - বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর বিশেষ ভূমিকা
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
তার সাথে সাথে যতদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তত দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন হচ্ছে। আর এই
উন্নয়নের পিছনে একজন মানুষেরই অনুদান রয়েছে তিনি হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। আপনারা অনেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী সম্পর্কে
জানতে চান। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি মাননীয় শেখ হাসিনার জীবনী এবং
বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর বিশেষ ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করব।
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচী পত্র:মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী - বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর বিশেষ ভূমিকা
ভূমিকা
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।
তার সাথে সাথে যতদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তত দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন হচ্ছে। আর এই
উন্নয়নের পিছনে একজন মানুষেরই অনুদান রয়েছে তিনি হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তার অনুপ্রেরণায় আমাদের বাংলাদেশ হয়ে উঠতেছে স্মার্ট বাংলাদেশ।
অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্যমতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ
স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গোটা বিশ্বের মধ্যে পরিচিতি লাভ করবে।
আরো পড়ুনঃ সাহারা খাতুন এর জীবনী বিস্তারিত পড়ুন
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পূর্ণ জীবনী
নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে
পড়লে আশা করি আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পন্ন জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত
ভাবে তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী সম্পর্কে জানতে
সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনী
আমরা সকলে অবগত রয়েছি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ
মুজিবুর রহমানের কন্যা। তিনি এমন একজন মহিলা যিনি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের
সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৩৬ বছর ধরে। মূলত তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তে রঞ্জিত পথ ধরে আওয়ামী লীগের হাল ধরা শুরু করেন। তারপর
থেকে প্রায় ৩৬ বছর ধরে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিণত করছেন। এর সাথে
সাথে তিনি আরো বলেন ২০৩০ সালের মধ্যে তিনি বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে
পরিণত করবেন গোটা বিশ্বের কাছে।
শিক্ষাজীবন
বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া
জন্মগ্রহণ করেন ২৮ শে সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ সালে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের নাম বেগম
ফজিলাতুন্নেছা। তার সাথে সাথে তিনি বাল্যশিক্ষা গ্রহণ করেন টুঙ্গিপাড়ায়। এরপরে
তিনি মোগলটুলির রজনী বোস লেনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন ১৯৫৪ সালে পরিবারের সাথে।
পরবর্তীতে বসবাস শুরু করেন মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে। তিনি নারী শিক্ষা মন্দির
বালিকা বিদ্যালয় ভর্তি হন ১৯৫৬ সালে।
অর্থাৎ টিকাটুলির বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। তিনি মাধ্যমিক পাস করেন ১৯৬৫ সালে
আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে। এরপরে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন গভর্নমেন্ট
ইন্টারমেডিয়েট গার্লস কলেজ ঢাকা থেকে ১৯৬৭ সালে। এর পরবর্তীতে তিনি বাংলা বিভাগে
ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৭ সালে। এর পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার বিবাহিত জীবনের কারণে তার অনার্স পাঠ বন্ধ রাখতে হয়। পরবর্তীতে তিনি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৭৩ সালে।
ছাত্র রাজনীতি
আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুল জীবন
থেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি আয়ুব বিরোধী আন্দোলনে
অংশগ্রহণ করেছিলেন স্কুল ছাত্রী হয়ে ১৯৬২ সালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
দায়িত্বে মিছিল দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ গিয়ে ছিল আজিমপুর গার্লস স্কুল
থেকে। তিনি ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তার ইন্টারমিডিয়েট কলেজে পড়ারকালে
অর্থাৎ ১৯৬৬ এবং ৬৭ সাল এ শুরু হয় তার রাজনৈতিক পথ চলা।
অর্থাৎ ১৯৮৬ এবং ৬৭ সালে তিনি প্রথম রাজনৈতিক পথ চলা শুরু করেন। এছাড়াও তিনি
গণআন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৯৬৯ সালে। এর পরবর্তীতে তিনি সাধারণ সম্পাদক
হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সদস্য ও রোকেয়া হল শাখার।
মূল ধারার রাজনীতি
১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট সেই ভয়ানক রাত্রিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবারে নিহত
হলে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা। তার কারণ তখন তারা দুইজন
জার্মানিতে অবস্থান করেছিলেন যার কারনে তাদের দুজনের প্রাণ বেঁচে যায়। পরবর্তীতে
লন্ডন ও দিল্লিতে নির্বাসিতো জীবন কাটাতে হয় তাদের দুইজনকে প্রায় ৬ বছর। এরপরে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ লীগের সভাপতি
নির্বাচিত করা হয় ১৯৮১ সালে।
এর পরবর্তীতে তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রতীক হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি
নির্বাচিত হন ১৯৮১ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি। এরপরে তিনি ছয় বছর পর বাংলার মাটিতে
পা দেন ১৯৮১ সালের ১৭ই মে। তিনি যখন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন তখন হাজার হাজার
মানুষ তাকে অভ্যর্থনা জানায়। এর পরবর্তীতে এরশাদ বিরোধী দুবার আন্দোলন গড়ে
তোলেন ১৯৮২ সালে। এর পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
সহ ৩১ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
আরো পড়ুনঃজীবন দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য
এরপরে তিনি ২০০৯ সালে ২৪ শে জুলাই সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের
সম্মেলনে। এর পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভাইস চেয়ারম্যান
হিসেবে হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ২০০৯ সালে ১৫ তম শীর্ষ সম্মেলনে। তারপরে
বাংলাদেশকে সম্মুখের শারির বাজার এবং একাদশ উদীয়মান দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে ২০১০
সালে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান। এর পরবর্তীতে ২৯১-১ ভোটে পাস হন ২০১০
সালে ৩০ শে জুন জাতীয় সংসদ সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধনী বিল ভোটে।
এরপরে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ইতলেসের রায় বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১
বর্গ কিলোমিটার বেশি সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১২
সালের ১৪ই মার্চ মিয়ানমারে। এর পরবর্তীতে সমুদ্র জয় উদযাপন নাগরিক কমেডি কর্তৃক
বর্ণাঢ্য সংবর্ধনায় বর্ণিত হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২৮
এপ্রিল। এর পরবর্তীতে তিনি তার ছোট বোনকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
অসমাপ্ত "The Unfinished Memoires" এর মোরগ উন্মোচন করেন।
পরে তিনি টেলিটকের থ্রিজি প্রযুক্তি উদ্বোধন করেন ২০১২ সালে ১৪ই অক্টোবর। এর
পরবর্তীতে ১৯৩ টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে জাতিসংঘে জনগণের ক্ষমতায়ন এবং শান্তি
সংস্কৃতি প্রস্তাব পাস হয় ২০১২ সালের ১৭ নভেম্বর। এরপরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা জনসাধারণের জন্য খুলে দেন স্বপ্নের কুড়িল ফ্লাইওভার ২০১৩ সালের চার
আগস্ট। এর পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বেশি পাটের জীবন
রহস্য উন্মোচনের ঘোষণা দেন ২০১৩ সালে ১৮ আগস্ট।
তারপরে তিনি দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্তর স্থাপন করেন
২০২৩ সালে ২ অক্টোবর ঈশ্বরদিতে। এর পরবর্তীতে তিনার নেতৃত্বাধীন দশম আওয়ামী লীগ
সরকার গঠন করেন ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি। তারপরে প্রথম বাংলাদেশে উদ্বোধন করেন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ১৩ই মার্চ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। তারপরে জাতিসংঘের ইউনিসেফ
বোর্ডের সদস্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ ২৩শে এপ্রিল ৩ বছরের জন্য। সর্বশেষ মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর বিশেষ ভূমিকা
বাংলাদেশের উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রচুর পরিমাণে
রয়েছে। চলুন এবার দেখে নিই জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কি
কি উন্নয়নকল্প স্থাপন করেছেন,,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় দিনে দিনে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল
দেশে পরিণত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্যমতে ২০৩০ সালের মধ্যে তিনি
বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে তুলে ধরবেন। এছাড়াও
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে চলুন
এবার দেখেনি বাংলাদেশ কি কি অর্জন করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
উদ্যোগে। যেমন,,
- শিক্ষা খাতে অর্জন
- স্বাস্থ্য সেবায় সাফল্য অর্জন
- নারী ও শিশু উন্নয়নে অর্জন
- নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন অর্জন
- ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করতে সফলতা অর্জন
- কৃষিতে কর্তৃত্ব ও খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা
- প্রবাসী শ্রমিকদের উন্নয়ন অর্জন
- জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের অর্জন
- সাফল্য অর্জন বিদ্যুৎ খাতে
- বাণিজ্যিক ও শিল্প খাতে অর্জন
- সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্জন
- ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন অর্জন
- মন্দা মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন ইত্যাদি
শেষ কথা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পন্ন জীবনী
তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর যদি আপনার
ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয়
বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url