কে এই যিশু খ্রীষ্ট - যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়

আজকে আমরা আপনাদের মাঝে অন্যতম একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। ঠিক তাই আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন আমরা কি নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আজকে আমরা কে এই যিশু খ্রীষ্ট এবং যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়ই বা কি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেকটা ভালো লাগবে।
কে এই যিশু খ্রীষ্ট
তাই আর দেরি না করে কে এই যিশু খ্রীষ্ট এবং যীশু খ্রীষ্টের পরিচয় সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন। হয়তোবা আপনারও কোন এক সময় বিশেষ প্রয়োজনে আর্টিকেলটি কাজে লাগতে পারে। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে এবার শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ কে এই যিশু খ্রীষ্ট - যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়

যিশু খ্রিস্টের পিতার নাম কি । যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়

যীশু খ্রীষ্ট হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি খ্রিস্ট ধর্ম এবং ইসলাম ধর্ম উভয় ধর্মে সমাদৃত। আপনি যদি যিশুখ্রিস্টের জন্ম সাল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই আর্টিকেলে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য আলোচনা করে থাকি। সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যিশু খ্রিস্টের জন্ম কত সালে ও যীশু খ্রীষ্টের পরিচয় সম্পর্কে আজ আমরা তুলে ধরব।

সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্র আল-কোরআন গ্রন্থে যীশুর জন্ম নিয়ে বেশ কিছু কথা উল্লেখ রয়েছে। সূরা আল মরিয়ম এর ১৬ নাম্বার আয়াত থেকে ৪০ নাম্বার আয়াত পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে আল্লাহ তায়ালা জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে মারইয়ামের নিকটে পাঠালেন এবং তাকে সুসংবাদ প্রদান করলেন যে তোমার একজন পুত্রসন্তান হবে। কিন্তু সে সময় মারইয়াম উত্তর দিয়ে বললেন আমি তো অবিবাহিত আমার কি করে পুত্র সন্তান হয়। আমার কোন পুরুষের সাথে কোন রকম সম্পর্ক নেই। জিব্রাইল আলাহিস সালাম এভাবেই ব্যাখ্যা করেন। তিনি আরো বলেন তোমার প্রতিপালকের নিকট এই কাজটি অতি সহজ সাধ্য। অতঃপর ঠিক আল্লাহর আদেশে মরিয়ম আলাইহিস সালাম গর্ভবতী হয়ে পড়লেন। 

সুতরাং উপরোক্ত পর্যালোচনা থেকে বোঝা যায় যে যিশুখ্রিস্টের কোন বাবা ছিল না। শুধুমাত্র তার মা ছিল মারিয়াম। খ্রিস্টানরা সেই নারীকে কুমারী মেরি হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।

যিশু খ্রিস্টের মাতার নাম কি । যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়

উপরোক্ত পর্যালোচনাগুলো যদি আপনি পড়ে আসেন তাহলে আপনি হয়ত বুঝে যাবেন যে যিশু খ্রিস্টের মাতার নাম কি। তবুও আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আরেকবার তথ্যটি আলোচনা করছি। যীশু খ্রিস্টের মাতার নাম ছিল মারিয়াম।

যীশু খ্রীষ্টের জন্ম কোথায় হয় । যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়

যীশু খ্রীষ্টের জন্ম কোথায় হয় এ নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন মত বিভেদ রয়েছে। তবে ধারণা করা হয় যে ৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে যিশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আর তার জন্মস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সঠিক তথ্য তেমনভাবে পাওয়া যায় নাই। তবে অনেকের ধারণা যে তিনি বেথেলহেম  এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আশা করি আপনারা এতখনে আপনাদের কাঙ্খিত সেই প্রশ্নের উত্তর যীশু খ্রীষ্টের জন্ম কোথায় হয় তা পেয়ে গেছেন।

যীশু খ্রীষ্ট কি আসলেই ঈশ্বর । যীশু খ্রীষ্টের পরিচয়

আপনাদের আসলেই যদি কারো মনে হয়ে থাকে যীশু খ্রীষ্ট কি আসলেই ঈশ্বর। তাহলে এই প্রশ্নের যথার্থপূর্ণ উত্তর হল না যীশু ঈশ্বর না। বাইবেলে কোথাও যিশু কখনোই নিজেকে ঈশ্বর হিসেবে দাবি করেন নাই। তিনি কখনোই এভাবে বলেন নাই যে আমি তোমাদের ঈশ্বর তোমরা আমার উপাসনা কর। সুতরাং এই কথায় প্রমাণিত হয় যে যীশু কোন ঈশ্বর নয়।
যীশু খ্রীষ্ট অথবা ঈশা আলাইহিস সালাম ছিল নবীদের মধ্যে অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ নবী। সুতরাং এই সকল প্রশ্নের উত্তর থেকে এক কথায় বলা যায় যে কোন মানুষ যদি মনে করে থাকে যীশু ঈশ্বর তাহলে একথা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ এ  সকল আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এক কথায় বলা যায় যে যিশু কোন ঈশ্বর নয়।

যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি

আমরা এ পর্যায়ে আপনাদের মাঝে যীশু খ্রীষ্ট কে নিয়ে বেশ কিছু ছবি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের ছবিগুলো দেখে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি দেখে নেওয়া যাক।
যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি
যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি
                                                      
যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি
যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি
যীশু খ্রিস্টের বেশ কিছু ছবি

যীশু খ্রীষ্ট কিভাবে মারা হয়। যিশুখ্রিস্টের মৃত্যুর কারণ কি

প্রিয় পাঠক এখন আমরা আপনাদের মাঝে যীশু খ্রীষ্ট কিভাবে মারা হয় এবং যিশুখ্রিস্টের মৃত্যুর কারণ কি এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রাখবো। আশা করি আপনারা আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি বিস্তারিত করতে থাকবেন। চলুন তাহলে এক নজরে জেনে নেওয়া যাক যিশুখ্রিস্টের মৃত্যুর কারণ কি।
প্রকৃতপক্ষে যীশু খ্রীষ্ট কখনোই মৃত্যুবরণ করেন নাই। যদিও খ্রিস্টানরা তাদের মোতাবেক দাবি করে থাকে যীশু খ্রীষ্টকে এুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই মোতাবেক খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে যীশু খ্রীষ্ট সকলের পাপ মোচন করার জন্য এুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং এই হত্যার তিনদিন পর পরই আবার তিনি পুনরুজ্জীবন লাভ করেন।
উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো বাইবেলে আরো বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। তবে এই বাইবেলের তথ্য আমরা কখনোই বিশ্বাস করতে পারি না। কারণ এই বাইবেল হলো বিকৃত। আর এ সকল তথ্য ছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু হয়েছে কিনা এ নিয়ে পবিত্র আল কুরআনে যথাযথ ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।
পবিত্র আল-কোরআনে বলা হয়ে থাকে আর তাদের এ কথা বলার কারণে যে আমরা মরিয়মের পুত্র ঈসা আলাইহিস সালাম হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল। অথচ তারা তাকে কখনোই হত্যা করতে পারেনি। শুধুমাত্র তারা একটি ধারণা করেছিল। তারা অনুমান ব্যতীত এই বিষয়ে আর কোন খবর রাখে না। আর নিশ্চয়ই তারা তাকে (আঃ) হত্যা করেনি। সূরা মারইয়াম ১৫৭
সুতরাং যেহেতু তারা তাকে হত্যা করতে পারে নাই তাই যীশু খ্রীষ্ট সম্পর্কে এ সকল প্রশ্ন করা অবান্তর। আমরা ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে অনেক কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি এই বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি ইতিমধ্যে আপনারা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত সেই উত্তরগুলো পেয়ে গেছেন।

যীশু খ্রীষ্ট কে নিয়ে আমাদের শেষ কথা

আজকে আমরা আপনাদের মাঝে কে এই যিশু খ্রীষ্ট এবং যীশু খ্রীষ্টের পরিচয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য সহ যাবতীয় আরো বেশ কিছু তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা নিত্যনতুন এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের চাহিদামত তথ্য তুলে ধরার।
আপনাদের যদি আজকের এই আর্টিকেলটি কে এই যিশু খ্রীষ্ট এবং যীশু খ্রীষ্টের পরিচয় বা কি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে মূল্যবান মতামত দিতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশায় আজকে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url