ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ - শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান
পেজ সূচিপত্রঃ ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ - শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান
- ভূমিকা
- ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ
- শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান
- সর্বশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
ভূমিকা
যারা বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে সিলেট কে কেন ভ্রমণের শহর বলা হয়ে থাকে
আপনি যদি ঢাকার মধ্যে এইগুলো দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে নিচের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করছি আপনি ঢাকার সকল দর্শনীয় বিখ্যাত স্থানগুলো সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পাবেন।
ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ
ঢাকার মধ্যে অনেক বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই এখন আপনাদের জানাবো ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ কোনগুলো এবং সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু পরিচয়। তাহলে দেখে নিন বা জেনে নিন ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে।
লালবাগ কেল্লা
ঢাকার একটি দর্শনীয় স্থান হল লালবাগ কেল্লা যেটা ঢাকার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল
বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এই লালবাগ কেল্লাটির নির্মাণ কাজ শুরু
হয়েছিল ১৬৭৮ সালে। লালবাগ কেল্লা বিখ্যাত কারণ এখানে অনেক দর্শনীয় স্থান
রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন। সেজন্য আপনি
যদি চান তাহলে লালবাগ কেল্লা ঘুরে দেখতে পারেন আশা করি ভালো লাগবে।
আহসান মঞ্জিল
আপনার হয়তো বইয়ের পাতায় নাম শুনেছেন আহসান মঞ্জিলের। আর এই আহসান মঞ্জিল পুরান
ঢাকার ইসলামপুর কুমারটুলি অবস্থিত। এই আহসান মঞ্জিল বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে
অবস্থিত। বর্তমানে এই আহসান মঞ্জিল জাদুঘর হিসেবে রয়েছে সেজন্য এটা অনেকের
কাছেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই আপনি চাইলে একবার আহসান মঞ্জিল ঘুরে দেখতে
পারেন।
রোজ গার্ডেন প্যালেস
ঢাকার সেরা দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আরেকটি দর্শনীয় স্থান হল রোজ গার্ডেন প্যালেস
এর আগে সংক্ষেপে রোজ গার্ডেন বলা হয়ে থাকে। বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একটি
প্রাচীনতম ঐতিহাসিক ভবন এটি।এটি ঢাকা শহরের টিকাটুলি এলাকায় অবস্থিত।এখানে
নিয়মিত বিভিন্ন রকম দর্শনার্থীরা ভ্রমণের জন্য আসে তাই বর্তমানে এটাও একটি
দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে এবং বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।
বাহাদুর শাহ পার্ক
ঢাকার মধ্যে আরেকটি দর্শনীয় সেরা স্থান হল বাহাদুর শাহ পার্ক যেটা বর্তমানে
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পুরান ঢাকার সদরঘাটের সন্নিকটে লক্ষীবাজারের
অবস্থিত। এটা একটু ঐতিহাসিক স্থান বর্তমানে এটা একটি ঐতিহাসিক পার্ক হিসেবে
পরিচিতি লাভ করেছে তাই এটা অনেক বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বর্তমানে।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানগুলো কি কি - রাজশাহী কেন এত বিখ্যাত
আলাদিন পার্ক
ঢাকার মধ্যে আরো একটা সেরা দর্শনীয় স্থান হল আলাদিন পার্ক। যেটা বর্তমানে ঢাকার
ধামরাই উপজেলা সিতি এলাকায় অবস্থিত। এই আলাদিন পার্ক জনপ্রিয় বা বিখ্যাত
হওয়ার কারণ হলো এটা একটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র। এখানে আপনি পরিবার নিয়ে
ঘুরতে যেতে পারবেন।
ফ্যান্টাসি কিংডম
ফ্যান্টাসি কিংডম ঢাকার মধ্যে আরেকটি সেরা দর্শনীয় স্থান। এটা মূলত একটি
পার্ক। যেটা বর্তমানে ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার জাম গড়ায় অবস্থিত। এখানে
বিভিন্ন মনোমধ্যকার স্থাপনা রয়েছে। তাই এটা দেখার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন
জায়গা থেকে মানুষজন গিয়ে থাকে। এই কারণে ফ্যান্টাসি কিংডম হয়ে উঠেছে
ঢাকার মধ্যে একটি জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্রস্থান।
মুসা খান মসজিদ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনেক মসজিদ রয়েছে কিন্তু প্রাচীন একটি মসজিদ হলো মুসা
খান মসজিদ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে মোগল স্থাপত্যের অনুকরণে এই মসজিদটি
নির্মাণ করা হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হলে পিছনে এবং শহীদুল্লাহ হল
ছাত্রাবাসের নিকটে অবস্থিত। এ মসজিদটি প্রাচীন আমলে ঈশা খাঁর এর পত্র মুসা
খাঁ নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। এ মসজিদটিও দর্শনার্থীদের কাছে অনেক
জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংক্ষেপে যেটাকে ঢাবি বলা হয়। ঢাকার শাহবাগ এ অবস্থিত
একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯২১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ
ভারতের অক্স বীজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি নির্মাণ করা
হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব
রয়েছে যারা দেশ পালনের কাজে সহায়তা করে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর সেজন্য এটা মানুষের কাছে একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান
হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান
প্রিয় বন্ধুরা এবার আমরা শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব। ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
শহীদ বরকত স্মৃতি জাদুঘর
ভাষা শহীদ আবুল বরকত এর স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে নির্মিত করা হয়েছে শহীদ বরকত
স্মৃতি জাদুঘর। ঢাকা জেলার পলাশীতে জহরুল হক হলের ভিতর অবস্থিত এই স্মৃতি
জাদুঘরটি। শহীদ বরকত স্মৃতি জাদুঘর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালের ৩
অক্টোবর এখানে বিভিন্ন সংগ্রহশালা রয়েছে। সেজন্য বর্তমানে শহীদ বরকত স্মৃতি
জাদুঘর দর্শনার্থীদের কাছে অনেক বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।
যমুনা ফিউচার পার্ক
যমুনা ফিউচার পার্ক সবাই নামটি শুনেছেন কিন্তু অনেকেই জানেন না এটা কোথায়
অবস্থিত। যমুনা ফিউচার পার্ক অবস্থিত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বারিধারাতে।
এটি একটি বহু তলবিশিষ্ট বিপণী কেন্দ্র। এটার আয়তন প্রায় ৪,১০০,০০০ বর্গফুট
যা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিং মল। আপনার যদি কোন পণ্য কেনার
প্রয়োজন হয় তাহলে যমুনা ফিউচার পার্ক যেতে পারেন সেখানে সবকিছুই পেয়ে
যাবেন।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সমাধি
আপনারা হয়তো সবাই শুনেছেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের
কথা। তিনি ১৯৪১ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার মোবারক লজ এ জন্মগ্রহণ
করেছিলেন। তবে মতিউর রহমানের গ্রামের বাড়ি ছিল নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার রামনগর
গ্রাম। ১৯৭১ সালে জানুয়ারি মাসে মতিউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় আসেন। এবং ২৫
মার্চের পর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং শহীদ
হন। সেজন্য তাকে ঢাকাতে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাধিত করা
হয়েছিল।
তিন নেতার মাজার
ঢাকার মধ্যে আরেকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হল তিন নেতার মাজার। যেটা বর্তমানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর এলাকার দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত।আমাদের এই
বাংলার তিন বিখ্যাত নেতা খাজা নাজিম উদ্দিন, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক এবং
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর কবরের উপর নির্মিত। তাই এটা ঢাকা শহরের অন্যতম
প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন।
জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
জাহানারা ইমাম ছিলেন একজন লেখিকা কথা সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদ। এবং ৭১ এর
দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন জাহানারা ইমাম। একাত্তরের স্মৃতি কথা
নিয়ে তার উল্লেখযোগ্য একটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে সেটা হল একাত্তরের
দিনগুলি।একাত্তরের এই সময়গুলোতে অবদান রাখার কারণে জাহানারা ঈমান স্মৃতি জাদুঘর
নির্মিত করা হয়েছে।আপনি যদি সেখানে যান তাহলে অনেক নিদর্শন দেখতে
পারবেন।
জল্লাদখানা বধ্য ভূমি
ঢাকার আর একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হল জল্লাতখানা বধ্যভূমি বা পাম্প হাউজ
বধ্যভূমি। এটি ঢাকা শহরের মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের
সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাঙালিদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছিল এবং
অনেক বাঙালিকে হত্যা করেছিল আর তাদেরকে এখানে গণকবর দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য
এটাকে জল্লাদ খানা বধ্যভূমি বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি
গুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম।
রমনা পার্ক
দর্শনার্থীদের জন্য আরেকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হল রমনা পার্ক। এটি ঢাকা
শহরের রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি উদ্যান। এই উদ্যানটি ১৬১০ সালে মোগল আমলে
নির্মাণ করা হয়েছিল। এখানে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান পালিত হয়ে
থাকে। সেজন্য এটা ঢাকা শহরের একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান।
ভাষা আন্দোলন জাদুঘর
ঢাকা শহরের আরেকটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হল ভাষা আন্দোলন জাদুঘর। যেটা
বাংলায় একাডেমির বর্ধমান হাউজের দোতলায় রয়েছে। ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। চারটি কক্ষ নিয়ে এই
জাদুঘরটি রয়েছে এবং সেগুলো কক্ষের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন নিদর্শন
রয়েছে। এগুলো দেখার জন্য প্রতিনিয়ত অনেক দর্শনার্থীরা সেখানে ভিড়
জমায়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
বাংলাদেশের শহীদদের স্মরণে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত করা হয়েছে। ১৯৭১
সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে অনেক বুদ্ধিজীবীরা শহীদ হয়
আর সেজন্য তাদের সম্মানের স্মরণে এই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা
হয়েছে। এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘুরতে আসে তাই এটা বর্তমানে ঢাকার শহরের
একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
চন্দ্রিমা উদ্যান
চন্দ্রিমা উদ্যান একটি দৃষ্টিনন্দন ঢাকার বিখ্যাত জনপ্রিয় দর্শনীয়
স্থান। এই চন্দ্রিমা উদ্যান ঢাকা শহরের প্রাণ সংসদ ভবনের পাশে
অবস্থিত। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপি এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এর সমাধি
এখানে অবস্থিত। এবং এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃষ্টিনন্দন স্থানে রয়েছে তাই
এখানে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ ঘুরতে আসে। তাই চন্দ্রিমা উদ্যান একটি বিখ্যাত
দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুনঃ সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত - সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত
নকশী পল্লী
আপনি যদি একটি নিরিবিলি এবং সুন্দর রেস্টুরেন্ট খুঁজে থাকেন তাহলে নকশি করলে যেতে
পারেন। এখানে নকশির মতো করে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট তৈরি করা রয়েছে যেখানে আপনি
খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি বসে থেকে আড্ডা দিতে পারবেন। এখানে পুকুরের উপর ছন
দিয়ে তৈরি বারান্দার মতো রয়েছে সেগুলোতে বসে থেকেই আড্ডা দিতে পারবেন এছাড়াও।
সেখানে ঘোড়ার গাড়ি এবং নৌকাতে চড়ে ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। সবমিলিয়ে এই কারণে
নকশি পল্লী হয়ে উঠেছে একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান।
বঙ্গবন্ধু সামাজিক জাদুঘর
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের বিজয় সরণিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সামাজিক
জাদুঘর। এই জাদুঘরটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে
থাকে। এখানে পরিবার নিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষজন ঘুরতে আসে সেজন্য এটা ঢাকা
শহরের একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে অনেক দর্শনীয় এবং স্থাপত্য রয়েছে ঢাকা শহরে তার মধ্যে
আরেকটি হলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। এই জাদুঘরটি বাংলাদেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘর। এটি ঢাকা শহরের এফ ১১ এবি সিভিক সেক্টর আগারগাঁওয়ে
অবস্থিত। ১৯৯৬ সালের ২২ শে মার্চ বেসরকারি উদ্যোগে এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর টি
উদ্বোধন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অনেক দুর্লভ বস্তু এই জাদুঘরে
রয়েছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদ আপনারা সবাই নাম শুনেছেন এটি ঢাকা শহরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এই
মসজিদের ৬০ টি গম্বুজ রয়েছে বলে এটাকে ষাট গম্বুজ মসজিদ বলা হয়ে থাকে। তবে
অনেকেই বলে থাকেন ৬০ টি এর বেশি গম্বুজ রয়েছে এই মসজিদে। এই মসজিদের
আশেপাশে এবং মসজিদে অনেক দেখার মত জায়গা রয়েছে সেজন্য এটা দর্শনার্থীদের কাছে
অনেক জনপ্রিয় একটি স্থান হয়ে উঠেছে।
বাইতুল মোকাররম মসজিদ
বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদ। এই মসজিদটি ঢাকা শহরের
প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত। ১৯৬৮ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা
হয়। এখানে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ দেখার জন্য আসে সেজন্য এটা ঢাকা শহরের বিখ্যাত
একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। এবং এটি যেহেতু জাতীয় মসজিদ তাই সবার কাছে
একটি বিখ্যাত স্থান এই বায়তুল মোকাররম মসজিদ।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা। এ চিড়িয়াখানা
বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ একটি
প্রতিষ্ঠান। এই চিড়িয়াখানার মধ্যে অনেক জীবজন্তু রয়েছে যেগুলো দেখার জন্য
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা গিয়ে থাকে। আর সেই
কারণেই বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকা শহরের একটি বিখ্যাত দর্শনীয়
স্থান।
নন্দন পার্ক
প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা প্রশান্তির জন্য বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করা প্রয়োজন। তাই আপনি যদি ঢাকার মধ্যে বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করতে চান তাহলে নন্দন পার্ক হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি জায়গা। বিভিন্ন দিবসে এখানে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এছাড়াও এই পার্কের মধ্যে অনেক নান্দনিক জিনিসপত্র রয়েছে যেগুলো মানুষকে মুগ্ধ করে সেজন্য নন্দন পার্ক মানুষের কাছে একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
জাতীয় সংসদ ভবন
সব দেশের একটি জাতীয় সংসদ রয়েছে এবং জাতীয় সংসদ ভবন রয়েছে। এমনই আমাদের
বাংলাদেশের একমাত্র জাতীয় সংসদ ভবন ঢাকাতে অবস্থিত। এটি ঢাকা শেরে বাংলা
নগরে অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন রকম নান্দনিক দৃশ্য রয়েছে যেগুলো মানুষকে মুগ্ধ
করে। সেজন্য এটা দর্শনার্থীদের কাছে একটি জনপ্রিয় জায়গায় হিসেবে পরিচিতি
লাভ করেছে।
হাতিরঝিল
রাজধানী ঢাকার সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য একটি স্থান হলো হাতিরঝিল। ২০১৩
সালের ২ জানুয়ারি এটি সমস্ত মানুষের জন্য উদ্বোধন করা হয় এবং উন্মুক্ত করে
দেওয়া হয়। এ প্রকল্প চালু করার ফলে আশেপাশের মানুষজন অনেক সুযোগ-সুবিধা
পেয়ে থাকে। এবং এখানে প্রতিনিয়ত মানুষজন ঘুরতে যাই। তাই এটা দিনে দিনে মানুষদের
কাছে একটি জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে।
ধানমন্ডি লেক
ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত একটি হৃদ অর্থাৎ সাধারণভাবে আমরা যেটাকে বলে থাকি
লেক। অভীত কালে এটা পান্ডো নদী নামে পরিচিত ছিলো। এবং এটি আগে পরিত্যক্ত খালি
হিসেবে পড়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে এটা অনেক দর্শনীয় করে তোলা হয়েছে এবং আশেপাশে
অনেক নিদর্শন তৈরি হয়েছে। তাই এখন ধানমন্ডি লেক জনগণের কাছে একটি সুন্দর জায়গা
হয়ে উঠেছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নিহত অর্থাৎ শহীদ হওয়া সকলের সম্মানার্থে এবং সকলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে সেটাকে বলা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এখানে নিয়মিত অনেক মানুষ ঘুরতে আসে এজন্য এটা একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী জাদুঘর। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর উন্মুক্ত করা হয়।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
ঢাকার মধ্যে আরেকটি দর্শনীয় স্থান হলো বোটানিক্যাল গার্ডেন। শিক্ষামূলক ও বৈজ্ঞানিক কাজে ব্যবহারযোগ্য বিদেশি ও প্রয়োজনীয় গাছ-গাছালির বাগান এখানে রয়েছে সেজন্য এটাকে বলা হয় বোটানিক্যাল গার্ডেন।এখানেও নিয়মিত অনেক মানুষজন ঘুরতে আসে।
জাতীয় জাদুঘর
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর। এই জাদুঘর ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯১৩ সালের ৭ আগষ্ট এটার উদ্বোধন হয়।এখানে অনেক নিদর্শনীয় স্থান রয়েছে যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ হিসেবে এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজের বহিঃপাঙ্গনে প্রাঙ্গণে অবস্থিত এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি এখানে হাজার হাজার মানুষ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
তারা মসজিদ
তারা মসজিদ ঢাকার আরেকটি দর্শনীয় স্থান। এটা পুরান ঢাকার আরমানিটোলা আবুল খয়রাত সড়কের পাশে অবস্থিত। সাদা গম্বুজের উপর নীল রং তারায় খচিত এ মসজিদে নির্মাণ করা হয়েছে ১৮ শতকের প্রথমদিকে। এই তারা মসজিদ ও মানুষের কাছে বর্তমানে একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। সেজন্য আপনি চাইলে এখানেও ঘুরে দেখতে পারেন।
সর্বশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
ঢাকার মধ্যে সেরা দর্শনীয় স্থান সমূহ এবং শীর্ষে থাকা ঢাকায় বিখ্যাত কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছিল আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।
তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url