মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় - মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি

আমরা সকলেই জানি যে সাধারণত একটি মেয়ের মাসিক শুরু হয় ১১-১২ বছর বয়স থেকে। অর্থাৎ ১২ বছর পর থেকে নিয়মিতভাবে মাসিক শুরু হয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাসিক কবে হয় এই সম্পর্কে তেমন কিছু তথ্য জানেন না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড হলে করণীয় কি কি এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয়
তাই আপনি যদি মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় সেই সম্পর্কে সম্পন্ন তথ্য পেতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি মেয়েদের পিরিয়ডের সময় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য পেয়ে যাবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ  মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় - মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি

ভূমিকা

আমরা সকলেই জানি যে সাধারণত একটি মেয়ের মাসিক শুরু হয় ১১-১২ বছর বয়স থেকে। অর্থাৎ ১২ বছর পর থেকে নিয়মিতভাবে মাসিক শুরু হয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা মাসিক কবে হয় এই সম্পর্কে তেমন কিছু তথ্য জানেন না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড হলে করণীয় কি কি এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই মেয়েদের মাসিকের বিষয় জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো। 

মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয়

সাধারণত একটি মেয়ের মাসিক শুরু হয় ১১ থেকে ১২ বছর বয়সে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ১১ থেকে ১২ বছর বয়সে নিয়মিত ভাবে মাসিক শুরু হয়। কিন্তু এটি সব মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তার কারণ হচ্ছে কোন কোন মেয়ের ১৩ থেকে ১৪ বছর বছরেও মাসিক শুরু হয়। এই মাসিকের ব্যাপার গুলো একেক জন মেয়ের একেক রকম সময়ে আসতে পারে। তবে মাসিকের গড় বয়স ধরা হয় ১৩ থেকে ১৪ বছর। অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সে প্রায় সব মেয়েরই মাসিক অথবা পিরিয়ড শুরু হয়।
আর প্রথম পিরিয়ডের এই সময়টিতে মেয়েরা অনেক আতঙ্কের মধ্যে থাকে। তার কারণ হচ্ছে এটি তাদের প্রথম পিরিয়ড অথবা মাসিক। তাহলে পরিশেষে আমরা বুঝতে পারলাম সাধারণত মেয়েদের ১১  থেকে ১২ বছর বয়সে প্রথম মাসিক শুরু হয়। আবার কোন কোন মেয়ের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৪ বছরেও হয়ে যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। চলুন এবার পিরিয়ড সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

মেয়েদের পিরিয়ড কত দিন থাকে

মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এই তথ্যটি জানার আগে অবশ্যই আমাদের মেয়েদের পিরিয়ড কত দিন থাকে এই বিষয়ে জানতে হবে। সাধারণত একটি নারীকে পিরিয়ডের মাধ্যমে তার গর্ভধারণের জন্য মেয়েটিকে প্রস্তুত করানো হয়। প্রতি মাসে মাসিক হওয়ার সাথে সাথে একজন মহিলা বাচ্চা প্রসব করার জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। যদিও পিরিয়ডের সময় একজন মহিলার অনেক কষ্ট হয়। তার কারণ একজন মহিলার পিরিয়ডের সময় তার যৌনাঙ্গ দিয়ে সাদা স্রাব এবং তার সাথে মাঝে মাঝে রক্তকরণ হয়ে থাকে। মূলত পিরিয়ডের সময়কাল হচ্ছে তিন থেকে সাত দিন। অর্থাৎ তিন থেকে সাত দিন এর মধ্যে যদি পিরিয়ড ভালো হয়ে যায় তাহলে এটি সব ক্ষেত্রেই নরমাল।
কিন্তু আপনি দেখছেন সাত দিন পার হয়ে গেছে তারপরেও আপনার পিরিয়ড ভালো হচ্ছে না এবং তার সাথে সাথে রক্তক্ষরণ বেড়েই চলেছে তাহলে আপনি দেরি না করে কোন মহিলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিবেন। তার কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক পিরিয়ডের সময়কাল তিন দিন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাত দিন এর বেশি সময় লাগে না। কিন্তু যদি এর বেশি সময় হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই মহিলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

  • আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। যেমন, মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, কচু শাক, পুই শাক,খেজুর, পাকা তেঁতুল, আমড়া ইত্যাদি।
  • সবুজ শাকসবজি।
  • ডার্ক চকলেট।
  • আদা।
  • দই।
  • আখরোট ইত্যাদি।

পিরিয়ডের সময় কি কি খাওয়া যাবেনা

  • অতিরিক্ত চিনি ও লবণ যুক্ত খাবার।
  • অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার।
  • অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার।
  • কফি অথবা চা খাওয়া যাবে না।
  • বিভিন্ন প্রকারের কমল পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • সর্বশেষ অ্যালকোহল জাতীয় কিছু খাওয়া যাবেনা।

মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি

প্রত্যেক নারীরই পিরিয়ড হবে এটা স্বাভাবিক। সাধারণত একটি নারীকে পিরিয়ডের মাধ্যমে তার গর্ভধারণের জন্য মেয়েটিকে প্রস্তুত করানো হয়। প্রতি মাসে মাসিক হওয়ার সাথে সাথে একজন মহিলা বাচ্চা প্রসব করার জন্য প্রস্তুত হতে থাকেন। যদিও পিরিয়ডের সময় একজন মহিলার অনেক কষ্ট হয়। তার কারণ একজন মহিলার পিরিয়ডের সময় তার যৌনাঙ্গ দিয়ে সাদা স্রাব এবং তার সাথে মাঝে মাঝে রক্তকরণ হয়ে থাকে। মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এটা আমাদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন। কারণ মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এইটা না জানলে আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন রকম বিপদে পড়তে হয়।

প্রিয় পাঠক চলুন তাহলে এখন আমরা জেনে নেই মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি। যদি আপনার পিরিয়ড হয় তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন এবং তার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর জাতীয় খাবার, সবুজ শাকসবজি এবং আইরন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। সাধারণত পিরিয়ডের সময় মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। আর এই পরিবর্তনের কারণে দুশ্চিন্তা না করে আনন্দের সাথে সময় পার করতে হবে। সাধারণত মেয়েদের মাসিক চলাকালীন তাদের চুলে গোড়া আলগা হয়ে যেতে শুরু করে।
যার কারণে পিরিয়ডের সময় একদমই শ্যাম্পু করবেন না। এতে করে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এই সময় মেয়েদের জরায়ুর মুখ খোলা থাকে যার কারণে চেষ্টা করবেন পুকুরে অথবা নদীতে গোসল না করার। আর পিরিয়ড হলে পিরিয়ডের সময় কোন কাপড় ব্যবহার না করে বিভিন্ন ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের বাড়ি ভারী কাজ একদমই করবেন না।

ভারী কাজের মধ্যে রয়েছে ব্যায়াম, সাঁতার অথবা সাইকেলিং ইত্যাদি একদমই করবেন না। যদি আপনার অনিয়মিত পিরিয়ড দেখা দেয়। অর্থাৎ পিরিয়ডের ডেট অথবা সময় ঠিক নাই অথবা পিরিয়ড দেরিতে ভালো হচ্ছে তাহলে অবশ্যই মহিলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। চলুন পিরিয়ড সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

মাসিক কত দিন থাকা ভালো

মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এইটা জানার পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই মাসিক কত দিন থাকা ভালো এইটাও জানতে হবে। মূলত পিরিয়ডের সময়কাল হচ্ছে তিন থেকে সাত দিন। অর্থাৎ তিন থেকে সাত দিন এর মধ্যে যদি পিরিয়ড ভালো হয়ে যায় তাহলে এটি সব ক্ষেত্রেই নরমাল। অর্থাৎ যদি একজন মহিলার পিরিয়ডের সময়কাল তিন থেকে সাত দিনের অধ্যায় থাকে তাহলে এটি ভালো। কিন্তু যদি এটি সাত দিন হয়ে গেছে অথচ ভালো হচ্ছে না এখনো রক্তক্ষরণ হয়ে যাচ্ছে তাহলে এটি খারাপ কোন কারন হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে যদি আপনি দেখছেন যে ৭ দিন পেরিয়ে গেছে তারপরও পিরিয়ড এখনো চলছে তাহলে অযথাই চিন্তাভাবনা না করে আপনার নিকটস্থ একজন অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আশা করি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চললে আপনার পিরিয়ডের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তবে একটি কথা মনে রাখবেন পিরিয়ড তিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকা ভালো কিন্তু যদি এটা সাত দিন পেরিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই এটিকে অবহেলা করবেন না।

তার কারণ এটি আপনার কোন সমস্যার কারণ হতে পারে। অর্থাৎ পিরিয়ডের সময় কোন আঘাত লাগলে অথবা পেটে চাপ লাগলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং পিরিয়ডের সময়কাল বৃদ্ধি পেতে পারে। এরকম বিষয়কে অবহেলা না করে অবশ্যই নিকটস্থ অভিজ্ঞ মহিলা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন।

মেয়েদের মাসিক দেরিতে হওয়ার ৬টি কারণ

  • স্বাস্থ্য সমস্যা
  • হরমনাল বার্থ কন্ট্রোল
  • গর্ভাবস্থা
  • বয়স এর কারণে
  • বেশি পরিমাণ স্ট্রেস এর কারণে
  • ফাইব্রয়েডস এবং কম ওজনের কারণে

মেয়েদের পিরিয়ড কতদিন পরপর হয়

মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এসব তথ্যের পাশাপাশি আমাদের এটাও জানা জরুরী যে মেয়েদের পিরিয়ড কতদিন পরপর হয়। সাধারণত একজন মেয়ের পিরিয়ড এক মাস অন্তর অন্তর হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতি মাসে একবার। কিন্তু কোন কোন মেয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে যেমন কম ওজন অথবা বেশি পরিমাণে মানসিক চাপের কারণে পিরিয়ডের সময়কাল অনিয়মিত হতে পারে। অর্থাৎ বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যা এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও যাদের বয়স কম অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৫ বছর তাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয়। কিন্তু সাধারণভাবে পিরিয়ডের সময়কাল এক মাস। অর্থাৎ প্রতি একমাস অন্তর অন্তর পিরিয়ড হয়ে থাকে।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। এছাড়াও মেয়েদের কোন সময় মাসিক হয় এবং মেয়েদের পিরিয়ড হলে করনীয় কি কি এ রিলেটেড যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনারা চাইলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব অতি শীঘ্রই আপনার সমস্যা সমাধান করার।

বিশেষ সতর্কতাঃ আপনি যদি মেয়ে হয়ে জন্ম নেন তাহলে আপনার পিরিয়ড হবেই। তবে একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন পিরিয়ডের সময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করবেন। বিভিন্ন ধরনের ভারী কাজ অথবা বিভিন্ন ধরনের ভারী ব্যায়াম ইত্যাদি একদমই করবেন না। যদি তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে পিরিয়ড ভালো না হয় তাহলে এটিকে অবহেলা না করে অবশ্যই একজন মহিলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। সর্বশেষ সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url