মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় - বাচ্চা না হওয়া কি হরমোনের কারণ হতে পারে
সাধারণত হরমোন নারী এবং পুরুষের দুইজনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সে ক্ষেত্রে যদি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের শরীরে হরমোন কমে যায় তাহলে দিনে দিনে
বিভিন্ন সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনারা অনেকেই জানতে চান মেয়েদের হরমোন
বেশি হলে কি হয়। কিন্তু এই বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনারা খুঁজে পান না। এই সম্পূর্ণ
পোস্টটি জুড়ে আমি মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় এবং বাচ্চা না হওয়া কি
হরমোনের কারন হতে পারে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
তাই আপনি যদি মেয়েদের হরমোন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। সম্পূর্ণ
পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় এই বিষয়ে
বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সূচী পত্র: মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় - বাচ্চা না হওয়া কি হরমোনের কারণ হতে পারে
ভূমিকা
আমরা সকলেই জানি যে নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে হরমোন খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তার কারণ শরীরে হরমোন কম থাকলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে এ
হরমোনের সমস্যা আপনাকে মানসিক চাপ দিতে বৃদ্ধি করবে তার কারণে আপনি কোন কাজে
মনোযোগ দিতে পারবেন না। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন।
কিন্তু হরমোনের সমস্যা দূর করার সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে এই সম্পূর্ণ
পোস্টটি আপনার জন্য।
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় এবং বাচ্চা না হওয়া
কি হরমোনের কারন হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি
হরমোনের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ
দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয়
প্রধান কথা হচ্ছে হর মনের ওপর নির্ভর করে শরীরের এবং মনের সুস্থতা। তাই শরীরের
ভারসাম্য ঠিক রাখতে শরীরে হরমোন থাকা খুবই জরুরী। হরমোন বৃদ্ধি হওয়ার বিভিন্ন
লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন ওজন বৃদ্ধি, মেজাজ গরম এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব
ইত্যাদি। আরও লক্ষণের মধ্যে রয়েছে ত্বকের সমস্যা, মুখে ব্রণ বের হওয়া অথবা চুলও
পরে যেতে পারে। এবার আসি মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় এইটা নিয়ে,, সাধারণত
মেয়েদের হরমোন বেশি হলে শরীরে নানান ধরনের সমস্যার উপদ্রব দেখা দেয়। যেমন
পিরিয়ডের সমস্যা, ঘুম কম হওয়া এবং অতিরিক্ত ভাবে ওজন বেড়ে যাওয়া।
আরো পড়ুনঃ
ওষুধ ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
মেয়েদের যখন এই প্রভাব গুলো দেখা যায় তখন অনেকেই থাইরয়েড কে দায়ী করে থাকেন
কিন্তু আমাদের শরীরের বেশিরভাগ অংশটা জুড়ে থাকে হরমোন। আর এই কারণেই হরমোনকে
শরীরের বড় কারখানা বলা হয়ে থাকে। সাধারণত থাইরয়েড একটি হরমোন জনিত রোগ যেটি
পুরুষের থেকে বেশি মহিলাদের হয়ে থাকে। সাধারণত হাইপ্রোথাইরয়েডডিজম বলে এই
হরমোনের মাত্রা রক্তে কমে গেলে। চলুন এবার দেখে নিই থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে কি
কি সমস্যা দেখা দেয়।
- স্মরণ শক্তি কমে যাওয়া।
- স্মরণ শক্তির পাশাপাশি বুদ্ধিও কমে যাওয়া।
- শারীরিক দুর্বলতা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য।
- ওজন বৃদ্ধি।
- ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যাওয়া।
- পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।
বাচ্চা না হওয়া কি হরমোনের কারণ হতে পারে
সাধারণত হরমোন এমন একটি তরল যা আমাদের শরীর থেকে এক ধরনের রস আকারে নিঃসৃত হয়ে
সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে অনেকগুলো হরমোন রয়েছে যা নারীর গর্ভে ধারণে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নারীর পাশাপাশি আবার পুরুষেরও কিছু হরমোন রয়েছে
যার সমস্যার জন্য গর্ভধারণ হয় না। সে ক্ষেত্রে যদি বাচ্চা না হয় তাহলে নারী
অথবা পুরুষ দুইজনেরই হরমোনের সমস্যা হতে পারে। শুধুমাত্র নারীর কারণেই হবে এমনটা
কিন্তু একদমই না। চলুন এবার দেখে নিই কি কি হরমোনের অভাবে গর্ভধারণ এ সমস্যা দেখা
দেয়,,
- ফলিকল স্টিমুলেটি হরমোন।
- লুটিনাইজিং হরমোন।
- আন্টি মোলারিয়নে হরমোন।
- প্রজেস্টেরন।
- থাইরয়েড হরমোন।
- প্রোল্যাকটিন ইত্যাদি।
উক্ত হরমোনের অভাবে বাচ্চা নিতে যে সমস্যা দেখা দেয়
- ডিম ফুটতে সমস্যা.
- পিসি ও এস.
- প্রলাক্টিন হরমোন বেড়ে গেলে.
- অতিরিক্ত ওজন
চিকিৎসা
- মাসিক নিয়ন্ত্রণ করা
- ডিম ফুটতে সাহায্য করা
- থাইরয়েড হরমোন নরমাল রাখার চেষ্টা করা
- প্রলাক্টিন হরমোন স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা
- সর্বশেষ ওজন কমানো
মেয়েদের হরমোন কমানোর উপায়
মেয়েদের হরমোন অনেক কারণে বৃদ্ধি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে হরমোন কমানোর উপায়
সম্পর্কে জানতে হবে।মেয়েদের হরমোন কমানোর জন্য প্রথমে আপনাকে খাদ্য তালিকা
পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখবেন যে খাবারগুলো অবশ্যই
স্নেহ জাতীয় খাবার। এছাড়াও আপনি চাইলে সকালের খাবারের সাথে একটু করে ঘি অথবা
বাটার খেতে পারেন। এক্ষেত্রে যারা একদম সকালে কোন ধরনের ফল খেতে পারেন না তারা
এইগুলো খেয়ে হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারবে।
আরো পড়ুনঃযেকোন রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার সঠিক উপায়
দ্বিতীয়ত মহিলাদের মাসিকের সময় ইস্টোজেন এবং প্রসেস - টোজেনের ক্ষরণ বৃদ্ধি
পায়। আর এই কারণে মেয়েদের হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে না। সে ক্ষেত্রে আপনি
সূর্যমুখীর বীজ, তিল অথবা কুমড়ার বীজ খেতে পারে। কারণ এই উপাদান গুলি আপনার
হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তৃতীয়ত এবং সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এইটাই যে মানুষের পেট ভালো না থাকলে মানুষের শরীর এবং মন
কোনটাই ভালো থাকে না।
সে ক্ষেত্রে আপনি চেষ্টা করবেন খাবারে অল্প পরিমাণে তেল এবং মশলা জাতীয় দ্রব্য
প্রয়োগ করতে। আর বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবেন। তাহলে হরমোনের সমস্যা দূর হয়ে
যাবে। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের হরমোন কমানোর উপায় সম্বন্ধে।
মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে কি হয়
মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে কি হয় এটা জানার আগে জানতে হবে মেয়েদের
টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ার কারণ কি। মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ার কারণ
হলো,,
- অ্যাড্রিনাল টিউমার.
- কুশিং সিন্ড্রোম.
- মোলার গর্ভাবস্থা ইত্যাদি.
চলুন এবার দেখে জেনে নিন টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি হলে মেয়েদের কি কি পরিবর্তন
দেখা দেয়। সাধারণত টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি হলে মেয়েটি অন্যান্য মেয়েদের
সাথে মিশতে বেশি পছন্দ করবেন। অর্থাৎ স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে
মেয়েদের সাথে মিশতে শুরু করবে। তার কারণ হচ্ছে তার শরীরে টেস্টোস্টেরনের
মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মেয়েদের সাথে মিশতে বেশি ইচ্ছা তৈরি হবে।
দ্বিতীয়তঃ মেয়েটির ভূগোল এবং ঘাড়ে ছোট ছোট কালো দাগ হতে শুরু করবে। তৃতীয়তঃ
টেস্টস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মেয়েটির পেটের মাঝে ফাটাফাটা দাগ দেখা
দিতে পারে। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে দেখা দেয় না কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে দেখা
দেয়। চার নাম্বারে মেয়েটির অনিয়মিতভাবে মাসিক শুরু হবে। এগুলো সাধারণ সিমটমস
হিসেবে দেখা দেয়। তবে মেয়েদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা খুব বেশি পরিমাণে বেড়ে
গেলে মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লোম গজাতে শুরু করে।
তার মধ্যে অন্যতম হলো মেয়েদের মুখে। তাহলে আশা করি মেয়েদের টেস্টোস্টেরনের
মাত্রা বেড়ে গেলে কি কি সমস্যা হয় বুঝতে পেরেছেন।
হরমোনের সমস্যা দূর করার খাবার
- মাছ এবং মাংস।
- অ্যাভোকাডো অথবা মিষ্টি আলু।
- কলা এবং গাজর।
- ফ্লাক্স সিড।
সতর্কতা
এই খাবারগুলো খেতে হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে খাবেন। তার কারণ
হচ্ছে আপনার শরীরের ওজন, বয়স এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন খাবারের পরিমাণ কম
বেশি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি না জেনে বেশি পরিমাণে খাবার খেয়ে ফেললে
পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আশা করি আপনি উপরের সম্পন্ন বিষয় গুলো
মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। চলুন এবার নিচে আরো কিছু দেখে নিই।
মেয়েদের হরমোন কয়টি
সাধারণত মেয়েদের শরীরে দুইটি হরমোন রয়েছে যেমন,
- প্রজনন হরমোন.
- ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন.
হরমোনের সমস্যা হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়
- স্মরণ শক্তি কমে যাওয়া।
- স্মরণ শক্তির পাশাপাশি বুদ্ধিও কমে যাওয়া।
- শারীরিক দুর্বলতা।
- কোষ্ঠকাঠিন্য।
- ওজন বৃদ্ধি।
- ত্বক শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যাওয়া।
- পা ফুলে যাওয়া।
- পিরিয়ডের সমস্যা।
- মাথার চুল পড়ে যাওয়া।
- সর্বশেষ ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি।
শেষ কথা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি মেয়েদের হরমোন বেশি হলে কি হয় তা নিয়ে
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার
পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিত্য
প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
বিশেষ সতর্কতাঃ যদি আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে হরমোনের সমস্যা সম্পর্কে
নিশ্চিত হন তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরামর্শ না
নিয়ে কোন ধরনের ওষুধ অথবা কোন ধরনের খাবার বেশি পরিমাণে খাবেন না। যদি খান তাহলে
এটি তো আপনার শরীরের কোন উপকার করবেই না বরং শরীরে দেখে আনবে ভয়াবহ রোগ। তাই
অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url