হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় - দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস
আমরা সকলেই হ্যাকিং কথাটার সাথে পরিচিত। তবে এই হ্যাকিং থেকে কিভাবে নিজেকে
বাচানো যায় তা অনেকেই জানে না। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটিতে আমরা
হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় - দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস আলোচনা করব।
আপনি যদি হ্যাকিং থেকে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন বাঁচাতে চান তাহলে অবশ্যই
হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় ও হ্যাকিং থেকে বাঁচতে কোন দশটি সেরা
অ্যান্টিভাইরাস আপনার জন্য ভালো হবে তা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
আপনারা কি জানেন হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম ও নীতি মেনে
নিতে চলতে হবে। তাছাড়াও আজকাল কিভাবে হ্যাক হচ্ছে তা সম্পর্কেও জ্ঞান থাকতে হবে।
আর এজন্যই আপনাদের হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে যা
আমরা উক্ত আর্টিকেলটিতে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস
ভূমিকাঃ হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায়
বর্তমানে হ্যাকিং বিষয়টি অনেক সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখন
অনলাইনে যুগে যে কেউ হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছে। এই হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকার
জন্য অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে যা মেনে চললে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে পারবেন। আপনার
হাতে থাকা ডিভাইসটি অর্থাৎ মোবাইল ফোনটি যেকোনো সময় হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
তাছাড়াও কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যেকোনো ডিভাইস হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই চলুন হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় এবং দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস সম্পর্কে জেনে নিই।
এই হ্যাকিং থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম বা উপায় অবলম্বন করতে হবে যার
ফলে আপনারা আপনাদের যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে পারবেন। এই
জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় আলোচনা করব।
আলোচনাটি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে পড়বেন।
হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায়
আপনারা কি হ্যাকিং থেকে বাঁচতে চান, তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। কেননা হ্যাকিং
থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিশেষ হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় অবলম্বন
করতে হবে। যার ফলে আপনার কাছে থাকা যেকোন ডিভাইসকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে
পারবেন। বিশেষ করে এই অনলাইনের যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে হ্যাকিং বেশি হয়ে
আসছে।
ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ থাকা ডিভাইসটি অতি সহজেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই মেনে
চলুন কিছু টিপস বা উপায় যা আপনাকে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। চলুন
আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি হ্যাকিং হওয়া থেকে সুরক্ষিত
থাকবেন।
১.শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
অনলাইনে যখন সিকিউরিটির কথা আসে তখন অবশ্যই আপনাকে স্ট্রং বা শক্তিশালী
পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আপনার যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া বা যেকোনো
প্লাটফর্মে একাউন্ট থাকুক কিনা তাকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
করতে হবে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই ৮ থেকে ১০ ক্যারেক্টার এর মধ্যে হতে হবে।
এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যাতে যাতে বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর,
সংখ্যা এবং চিহ্নের মিশ্রণ থাকে। কমন পাসওয়ার্ড যেমন আপনার জন্ম তারিখ তারপর
আপনার প্রিয় যে কোন শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এসব পাসওয়ার্ড
অতি সহজেই হ্যাক করা সম্ভব।
২.ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার
প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট থাকলে অবশ্যই আলাদা পাসওয়ার্ড
ব্যবহার করতে হবে। কারণ একই ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে যে কোন একটি হ্যাক হলে
ওপর যেকোন অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই নির্দিষ্ট
একাউন্টে নির্দিষ্ট আলাদা ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
৩.টু-ফ্যাক্টর (2FA) ব্যবহার
বর্তমানে অনলাইনে সিকিউরিটির প্রশ্ন উঠলে টু ফ্যাক্টর মেথডটি সবচেয়ে কার্যকর এবং
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার অনলাইনে যে ধরনের একাউন্টটি থাকুক না কেন অবশ্যই 2
ফ্যাক্টর সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করুন। এতে আপনার পাসওয়ার্ডের পর আরেকটি
সুরক্ষিত সিকিউরিটি যুক্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটি কিভাবে কাজ করে
যা হ্যাক করা অনেক কঠিন ব্যাপার। বর্তমানে এই সিকিউরিটি সিস্টেমটি সকল ধরনের
প্লাটফর্ম একাউন্টে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন আপনার ফেসবুক বা জিমেইল, টুইটার
অ্যাকাউন্ট থাকলে টু-ফ্যাক্টর সিকিউরিটি ব্যবহার করতে পারবেন।
৪.নিয়মিত আপডেট করুন
আপনার ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন এর
অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করুন। কারন এই আপডেটগুলি আপনার সিস্টেম
সিকিউরিটিকে আপডেট করে থাকে। যাতে করে আপনার ডিভাইস অনেকটাই হ্যাকিং থেকে
সুরক্ষিত থাকবে।
৫.ফায়ারওয়াল এবং নিরাপত্তা সফ্টওয়্যার
ইনকামিং বা আউটগোয়িং নেটওয়ার্কিং ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ করুন এবং নিয়ন্ত্রণ রাখতে
ফায়ারওয়াল সিস্টেম ব্যবহার করুন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাস বা
প্রোগ্রাম থেকে বাঁচতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বা অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার
সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন।
৬.ফিশিং লিংক থেকে সতর্ক
অনলাইনে যেকোনো ধরনের লিংক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। আবার অনেকে বিভিন্ন
ধরনের ডাউনলোড লিংক ব্যবহার করে থাকেন সন্দেহজনক ডাউনলোড লিংক এ ক্লিক করা থেকে
বিরত থাকুন।
৭.অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহারে সতর্ক
অনলাইন প্লাটফর্মে বা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য
দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কখনোই এমন ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না যাতে
হ্যাকাররা ওই তথ্যগুলো ব্যবহার করে আপনার একাউন্ট হ্যাক করতে পারে। তাই অবশ্যই
খুবই গুরুত্বতর ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৮.নিয়মিত ডাটা ব্যাকআপ
আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিয়মিত সংরক্ষণ বা ব্যাকআপ করে রাখুন। যদি কোনো
কারণে আপনি হ্যাকিং এর শিকার হন, তাহলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য হারিয়ে
যেতে পারে চুরি হতে পারে। সেজন্য তথ্য বা ফাইল সংরক্ষণ করে রাখবেন। এই
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখুন যাতে আপনি ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।
মনে রাখবেন যে সাইবার নিরাপত্তা একটি চলমান প্রক্রিয়া, এবং আপনার ডিজিটাল সম্পদ
এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি
অবশ্যই নিজেকে আপডেট রাখবেন হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন। আর
যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট এ ভিজিট করা থেকে বিরত থাকবেন।
অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি প্রবেশ করলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
হ্যাক হয়ে যেতে পারে। যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটে একাউন্টের আইডি পাসওয়ার্ড
দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। সব সময় HTTPS যুক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করবেন।
আর এভাবেই উপরে নিয়মগুলো বা উপায় গুলো অনুসরণ করে হ্যাকিং থেকে বাঁচতে পারবেন।
এতক্ষণ ধরে আমরা আপনাদের মাঝে হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এখন আমরা পরবর্তী পর্যায়ে হ্যাকিং থেকে মোবাইল বা কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখার উপায় সম্পর্কে বলবো।
হ্যাকিং থেকে মোবাইল বা কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখার উপায়
আপনারা এতক্ষণ পর্যন্ত বাস্তব জীবনে হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায়ে সম্পর্কে
জানতে পারলেন। তবে এখন আমাদের ব্যবহৃত মোবাইল বা কম্পিউটারকে হ্যাকিং থেকে
বাঁচানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন আমরা জেনে নেই কিভাবে আপনারা মোবাইল বা
কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখবেন।
- মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় অনলাইনে যে কোন ধরনের অ্যাকাউন্টে অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার সময় অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার ব্যবহার করবেন। পাসওয়ার্ড অবশ্যই আট সংখ্যার মিশ্রিত ও ইউনিক হতে হবে।
- যেকোনো ধরনের অপরিচিত লিংক বা ফিশিং লিংক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন। এসব লিংক গুলো বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার সামনে দিয়ে থাকে। যাতে ক্লিক করলে আপনার তথ্য বা মোবাইল ফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই লোভের বশে এসব লিংকে ক্লিক করবেন না।
- ক্র্যাক সফটওয়ার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। আমরা অনেকেই প্রিমিয়াম সফটওয়্যার ফ্রিতে ব্যবহার করে থাকি যার বেশিরভাগই ক্র্যাক করা। অনেক হ্যাকার রয়েছে যারা এসব সফটওয়্যারে তাদের হ্যাকিং স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয় এবং আপনি যদি ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
- আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে এটি বিভিন্ন ধরনের হ্যাকিং ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় এবং অনেকাংশে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন সুরক্ষিত রাখে।
- যেকোনো ধরনের পাবলিক ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ সেখানে যে কেউ এক্সেস নিতে পারে এবং আপনার ডিভাইসটি অনায়াসে হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
- আপনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য বা একাউন্টের পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। বা যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটে একাউন্টে তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। না হলে হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- এক কথায় আপনাকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। কোন ধরনের অপ্রয়োজনীয় লিংক বা ক্র্যাক সফটওয়্যার ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সতর্কতার সাথে চলতে হবে।
দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস
আপনার কি জানেন হ্যাকিং বা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর
প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই অ্যান্টিভাইরাস গুলি অনেকগুলো পেইড রয়েছে আবার
অনেকগুলো ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় যার ফলে আপনি আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন
সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। তাই আমরা আজকে এই অংশে দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস
সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেই দশটি সেরা
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর নাম।
- Norton 360
- Bitdefender Total Security
- Kaspersky Internet Security
- Avast Antivirus
- McAfee Total Protection
- AVG Antivirus
- Trend Micro Maximum Security
- Avira antivirus software
- ESET NOD32 Antivirus
- Malwarebytes Premium
তাহলে আপনারা জানতে পারলেন দশটি সেরা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো কোনগুলো তা
সম্পর্কে। তবে এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক সেরা পাঁচটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
গুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য।
Avast antivirus software
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শেষে রয়েছে এই এভারেস্ট এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
যা মূলত দীর্ঘদিন ধরে মানুষজন ফ্রিতে ব্যবহার করে আসছে। এন্টিভাইরাসের কথা মনে
পড়লেই সর্বপ্রথম avast এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি কথা মনে পড়ে যায়। এই
সফটওয়্যারটি কম্পিউটারের সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও আপনি যখন
কম্পিউটারে বা ল্যাপটপ চালু করবেন তখন এই সফটওয়্যারটি অটোমেটিক আপনার
কম্পিউটার স্ক্যান করা শুরু করে দেয়।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেলে এডসেন্স একাউন্ট এড করার নিয়ম
স্ক্যান করে দেখে যে ভাইরাস আছে কিনা। তাছাড়াও কম্পিউটারে যে কোন কিছু ইনপুট
যেমন পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড প্রবেশ করলে তা সাথে সাথে এন্টিভাইরাস
সফটওয়্যার স্ক্যান করে ফলাফল প্রদান করে। এছাড়াও এটি বিভিন্ন ধরনের
মেলওয়্যার ওয়েবসাইট ব্লক করে থাকে। যার ফলে আপনারা ভাইরাস এবং হ্যাকিং থেকে
বাঁচতে পারবেন।
Bit Defender Anti-virus Software
বর্তমানে এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য অধিক জনপ্রিয়
হয়েছে।Bit Defender Anti-virus Software সেই ১৯৯০ সাল থেকে সফলতার সাথে
ভাইরাস সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনারা যেকোনো
ধরনের ফিশিং লিংক বা ভাইরাস লিংক থেকে বাঁচতে পারবেন।
কারণ এই সফটওয়্যারটি সুরক্ষার জন্য সকল ধরনের ওয়েবসাইট এবং লিংক স্ক্যান করে
থাকে। যার ফলে আপনি হ্যাকিং বা ভাইরাস দুটো থেকেই বাঁচতে পারবেন। আপনি যদি
বিনামূল্যে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাহলে এই সফটওয়্যারটি
ব্যবহার করতে পারেন।
AVG Antivirus Software
সবচেয়ে পুরনো ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে এভিজি এন্টিভাইরাস
সফটওয়্যারটি অন্যতম এবং জনপ্রিয় সফটওয়্যার। প্রায় 40 বছর ধরে এই কোম্পানিটি
বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষামূলক সিকিউরিটি সফটওয়্যার তৈরি করে আসছে তার মধ্যে এভিজি
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।
কারণ এর বিশেষ গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই সফটওয়্যারটি আপনাকে বিভিন্ন
ধরনের অনিরাপদ ইমেইল ব্লক করে সুরক্ষা প্রদান করে এবং বিভিন্ন ধরনের ফিশিং লিংক
বা রিয়েল টাইম প্রটেকশন দিতে পারে। এছাড়াও অটোমেটিক ভাইরাস ক্লিনার হিসেবে
ভালো কাজ করে যা আপনাকে ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে।
Norton 360
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি রয়েছে তার
নাম হলো নর্টন 360। এই সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে বা পেইড ভার্সন দুটোই
ব্যবহার করা যায়। তবে এই সফটওয়্যারটি পেইড ভার্সনে একটু বেশি সিকিউরিটি বা
সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। তবে ফ্রি ভার্সনেও আপনারা ভালো সুরক্ষা পাবেন।
এই সফটওয়্যারটি রিয়েল টাইম প্রটেকশন সহ, রিয়েল টাইম স্ক্যান এবং
নেটওয়ার্কটি সুরক্ষিত রাখার জন্য ভিপিএন ও একটি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার প্রদান
করে থাকে।
যা অন্যান্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার থেকে বেশি সুবিধা প্রদান করে থাকে। এর ফলে
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনারা হ্যাকিং সহ ভাইরাস থেকেও কম্পিউটার বা
ল্যাপটপকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন। আপনি চাইলে অতিরিক্ত ভালো নিরাপত্তার জন্য
পেইড ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন।
Kaspersky Antivirus Software
উক্ত সফটওয়্যারটি বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য সেরা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
হিসেবে খেতাব লাভ করেছে। কারণ এই সফটওয়্যারটি আপনাকে সকল ধরনের ভাইরাস
প্রতিরোধের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। এটি বিনামূল্যে ২৪ ঘন্টা আপনার
কম্পিউটার মনিটরিং এ রাখে এবং সকল ধরনের স্ক্যানিং করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন
ধরনের অনিরাপদ লিংক ব্লক করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ পিসি বিল্ড গাইডলাইন সমূহ কী
যার ফলে আপনি ভাইরাস সহ হ্যাকিং থেকেও বাঁচতে পারবেন। এটি কম্পিউটারে ভাইরাস
ধ্বংসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি চাইলে ফ্রি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার
হিসেবে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া উক্ত এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি
ব্যবহারের ইন্টারফেস অনেক সুন্দর এবং সহজ। যা সকলে ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কেন ব্যবহার করবেন
আপনার ইতিমধ্যে সেরা পাঁচটি এন্টিভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে
আপনাদের জানা উচিত কেন এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন। চলুন জেনে নেই
এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কেন ব্যবহার করবেন।
- কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সুরক্ষিত রাখতে এবং ভাইরাস দূর করতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার হয়।
- এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ভাইরাস সহ হ্যাকিং থেকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।
- যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক বা অনিরাপদ লিংক থাকলে তা ব্লক করে দিতে সাহায্য করে।
- কম্পিউটারের ভাইরাস করলে তার দ্রুত নির্মূলে সাহায্য করে।
- বিভিন্ন ধরনের বর্তমানে নতুন নতুন ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়েছে যা সনাক্ত কারণে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে।
- আপনার ডিভাইসে ভাইরাস প্রবেশ করলে তৎক্ষণাৎ এলার্ট বা স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়ে থাকে এবং ভাইরাস ধ্বংসের কাজ করে থাকে।
তাহলে আপনারা উপরোক্ত কারণগুলো থেকে বুঝতে পারলেন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর
প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি ভাইরাস সহ আপনার
কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় সহ দশটি সেরা
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার এবং পাঁচটি সেরা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যা জানলে আপনি এই আধুনিক যুগে সকল ধরনের সাইবার
নিরাপত্তা সম্পর্কে অবগত হবেন এবং সাইবার আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে
পারবেন। আপনাদের যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আর
এ ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এরপরও আপনাদের যদি হ্যাকিং থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় এবং দশটি সেরা অ্যান্টিভাইরাস আরো কিছু জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব অতি শীঘ্রই আপনার সমস্যার সমাধান করার। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url