আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল - সূরা আল আনফাল

আজকে আমরা আপনাদের মাঝে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।আপনারা নিশ্চিত এখন বুঝে গেছেন আমরা কি নিয়ে আলোচনা করব আজকে। আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল বিস্তারিতভাবে আজকে আলোচনা করা হবে। তাই চলুন আর দেরি না করে এবার আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল বিস্তারিত জেনে নিই। সূরা আল আনফাল এর মোট আয়াত সংখ্যা ৭৫টি। এটি মুসলমানদের একমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন এর অষ্টম নম্বর সূরা। সূরা আনফাল শব্দের অর্থ যুদ্ধলব্ধ ধনসম্পদ। সূরা আল আনফাল মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল
আজ আমরা আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল এর ৭৫ টি আয়াত সম্পর্কে সঠিকভাবে জানবো। যেখানে আরবি উচ্চারণ থেকে শুরু করে বাংলা অনুবাদ পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে সকল কিছু বর্ণনা করা হয়েছে। ভাই চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

পেজ সূচিপত্রঃ

সূরা আল আনফাল এর ১-১৫ টি আয়াত

আয়াত ১ঃ
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَنفَالِ ۖ قُلِ الْأَنفَالُ لِلَّهِ وَالرَّسُولِ ۖ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ ۖ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াছআলূনাকা ‘আনিল আনফা-লি কুল্লি আনফা-লুলিল্লা-হি ওয়াররাছূলি ফাত্তাকুল্লা-হা ওয়া আসলিহূযা-তা বাইনিকুম ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূইন কুনতুম মু’মিনীন।
বাংলা অনুবাদঃ
তাহারা আপনার নিকট গনীমতসমূহের বিধান জিজ্ঞাসা করিতেছে; আপনি বলিয়া দনি, এই গনীমতসমূহ আল্লাহ্ ও রাসূলের জন্য অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের সংশোধন কর, আর আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের অনুসরণ কর, যািদ তোমরা ঈমানদার হও।
আয়াত ২ঃ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইন্নামাল মু’মিনূনাল্লাযীনা ইযা-যুকিরাল্লা-হুওয়াজিলাতকুলূবুহুম ওয়া ইযা-তুলিয়াত ‘আলাইহিম আ-ইয়া-তুহূঝা-দাতহুম ঈমা-নাওঁ ওয়া ‘আলা-রাব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।
বাংলা অনুবাদঃ
নিশ্চয়, ঈমানদারগণ তো এইরূপই হয় যে, যখন (তাহাদের সম্মুখে) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তাহাদের অন্তরসমূহ ভীত হইয়া পড়ে, আর যখন তাহাদিগকে আল্লাহর আয়াতসমূহ পড়িয়া শুনান হয়, তখন সেই আয়াতসমূহ তাহাদের ঈমানকে আরও বৃদ্ধি করিয়া দেয়, আর তাহারা নিজেদের পরওয়ারদেগারের উপর নির্ভর করে।
আয়াত ৩ঃ
ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ يُنفِقُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
আল্লাযীনা ইউকীমূনাসসালা-তা ওয়া মিম্মা-রাঝাকনা-হুম ইউনফিকূ ন।
বাংলা অনুবাদঃ
সে সমস্ত লোক যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।
আয়াত ৪ঃ
أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَٰتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
উলাইকা হুমুল মু’মিনূনা হাক্কান লাহুম দারাজা-তুন ‘ইনদা রাব্বিহিম ওয়া মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিঝকুন কারীম।
বাংলা অনুবাদঃ
ইহারাই সত্যিকারের ঈমানদার; ইহাদের জন্য রহিয়াছে উচ্চ পদসমূহ তাহাদের রব্বের সন্নিধানে, আর ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযক।
আয়াত ৫ঃ
كَمَآ أَخْرَجَكَ رَبُّكَ مِنۢ بَيْتِكَ بِٱلْحَقِّ وَإِنَّ فَرِيقًا مِّنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ لَكَٰرِهُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
কামাআখরাজাকা রাব্বুকা মিম বাইতিকা বিলহাক্কি ওয়া ইন্না ফারীকাম মিনাল মু’মিনীনা লাকা-রিহূন।
বাংলা অনুবাদঃ
যেমন করে তোমাকে তোমার পরওয়ারদেগার ঘর থেকে বের করেছেন ন্যায় ও সৎকাজের জন্য, অথচ ঈমানদারদের একটি দল (তাতে) সম্মত ছিল না।
আয়াত ৬ঃ
يُجَادِلُونَكَ فِي الْحَقِّ بَعْدَمَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى الْمَوْتِ وَهُمْ يَنْظُرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইউজা-দিলূনাকা ফিল হাক্কি বা‘দা মা-তাবাইইয়ানা কাআন্নামা-ইউছা-কূনা ইলাল মাওতি ওয়া হুম ইয়ানজু রুন।
বাংলা অনুবাদঃ
তারা তোমার সাথে বিবাদ করছিল সত্য ও ন্যায় বিষয়ে, তা প্রকাশিত হবার পর; তারা যেন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে দেখতে দেখতে।
আয়াত ৭ঃ
وَإِذْ يَعِدُكُمُ ٱللَّهُ إِحْدَى ٱلطَّآئِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ ٱلشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُحِقَّ ٱلْحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦ وَيَقْطَعَ دَابِرَ ٱلْكَٰفِرِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইয ইয়া‘ইদুকুমুল্লা-হুইহদাততাইফাতাইনি আন্নাহা-লাকুম ওয়া তাওয়াদ্দূনা আন্না গাইরা যা-তিশশাওকাতি তাকূনুলাকুম ওয়া ইউরীদুল্লা-হুআইঁ ইউহিক্কাল হাক্কা বিকালিমাতিহী ওয়া ইয়াকতা‘আ দা-বিরাল কা-ফিরীন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তোমরা সেই সময়টিকে স্মরণ কর, যখন আল্লাহ্ তোমাদেরকে সেই দুইটি দলের মধ্য হইতে একটি সম্বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিতেছিলেন যে, উহা তোমাদের করতলগত হইবে, আর তোমরা এই অভিপ্রায়ে ছিলে, যেন নিরস্ত্র দলটি তোমাদের আয়ত্তে আসিয়া পড়ে, আর আল্লাহর ইচ্ছা ছিল এই যে, আপন নির্দেশাবলী দ্বারা সত্যকে সত্যরূপে প্রতিপন্ন করিয়া দেন এবং সেই কাফেরদের মূলকে কর্তন করিয়া দেন।
আয়াত ৮ঃ
لِيُحِقَّ ٱلْحَقَّ وَيُبْطِلَ ٱلْبَٰطِلَ وَلَوْ كَرِهَ ٱلْمُجْرِمُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
লিইউহিক্কাল হাক্কা ওয়া ইউবতিলাল বা-তিলা ওয়া লাও কারিহাল মুজরিমূ
বাংলা অনুবাদঃ
যাতে করে সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে দেন, যদিও পাপীরা অসন্তুষ্ট হয়।
আয়াত ৯ঃ
إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَٱسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّى مُمِدُّكُم بِأَلْفٍ مِّنَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ مُرْدِفِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয তাছতাগীছূনা রাব্বাকুমফাছতাজা-বা লাকুমআন্নীমুমিদ্দুকুম বিআলফিম মিনাল মালাইকাতি মুরদিফীন।
বাংলা অনুবাদঃ
তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট, তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান করলেন যে, আমি তোমাদিগকে সাহায্য করব ধারাবহিকভাবে আগত হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে।
আয়াত ১০ঃ
وَمَا جَعَلَهُ ٱللَّهُ إِلَّا بُشْرَىٰ وَلِتَطْمَئِنَّ بِهِۦ قُلُوبُكُمْ وَمَا ٱلنَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِندِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ামা-জা‘আলাহুল্লা-হু ইল্লা-বুশরা-ওয়া লিতাতমাইন্না বিহী কুলূবুকুম ওয়া মান নাসরু ইল্লা-মিন ‘ইনদিল্লা-হি ইন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝুন হাকীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর আল্লাহ তো শুধু সুসংবাদ দান করলেন যাতে তোমাদের মন আশ্বস্ত হতে পারে। আর সাহায্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হতে পারে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তির অধিকারী হেকমত ওয়ালা।
আয়াত ১১ঃ
إِذْ يُغَشِّيكُمُ ٱلنُّعَاسَ أَمَنَةً مِّنْهُ وَيُنَزِّلُ عَلَيْكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً لِّيُطَهِّرَكُم بِهِۦ وَيُذْهِبَ عَنكُمْ رِجْزَ ٱلشَّيْطَٰنِ وَلِيَرْبِطَ عَلَىٰ قُلُوبِكُمْ وَيُثَبِّتَ بِهِ ٱلْأَقْدَامَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয ইউগাশশীকুমুননু‘আ-ছা আমানাতাম মিনহু ওয়া ইউনাঝঝিলু‘আলাইকুম মিনাছছামাই মাআল লিইউতাহহিরাকুম বিহী ওয়া ইউযহিবা ‘আনকুম রিজঝাশশাইতা-নি ওয়া লিইয়ারবিতা ‘আলা-কুলূবিকুম ওয়া ইউছাব্বিতা বিহিল আকাদা-ম।
বাংলা অনুবাদঃ
যখন তিনি আরোপ করেন তোমাদের উপর তন্দ্রাচ্ছন্ন তা নিজের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রশান্তির জন্য এবং তোমাদের উপর আকাশ থেকে পানি অবতরণ করেন, যাতে তোমাদিগকে পবিত্র করে দেন এবং যাতে তোমাদের থেকে অপসারিত করে দেন শয়তানের অপবিত্রতা। আর যাতে করে সুরক্ষিত করে দিতে পারেন তোমাদের অন্তরসমূহকে এবং তাতে যেন সুদৃঢ় করে দিতে পারেন তোমাদের পা গুলো।
আয়াত ১২ঃ
إِذْ يُوحِى رَبُّكَ إِلَى ٱلْمَلَٰٓئِكَةِ أَنِّى مَعَكُمْ فَثَبِّتُوا۟ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ سَأُلْقِى فِى قُلُوبِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلرُّعْبَ فَٱضْرِبُوا۟ فَوْقَ ٱلْأَعْنَاقِ وَٱضْرِبُوا۟ مِنْهُمْ كُلَّ بَنَانٍ
আরবি উচ্চারণঃ
ইযইঊহী রাব্বুকা ইলাল মালাইকাতি আন্নী মা‘আকুম ফাছাব্বিতুল্লাযীনা আ-মানূ ছাউলকী ফী কুলূবিল্লাযীনা কাফারূররু‘বা ফাদরিবূফাওকাল আ‘না-কিওয়াদরিবূমিনহুম কুল্লা বানা-ন।
বাংলা অনুবাদঃ
যখন নির্দেশ দান করেন ফেরেশতাদিগকে তোমাদের পরওয়ারদেগার যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা মুসলমানদের চিত্তসমূহকে ধীরস্থির করে রাখ। আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়।
আয়াত ১৩ঃ
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ شَآقُّوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَمَن يُشَاقِقِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَإِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ
আরবি উচ্চারণঃ
যা-লিকা বিআন্নাহুম শাককুল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূ ওয়া মাইঁ ইউশাকিকিল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূফাইন্নাল্লা-হা শাদীদুল ‘ইকা-ব।
বাংলা অনুবাদঃ
যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
আয়াত ১৪ঃ
ذَٰلِكُمْ فَذُوقُوهُ وَأَنَّ لِلْكَٰفِرِينَ عَذَابَ ٱلنَّارِ
আরবি উচ্চারণঃ
যা-লিকুম ফাযূকূহু ওয়া আন্না লিলকা-ফিরীনা ‘আযা-বান্না-র।
বাংলা অনুবাদঃ
আপাততঃ বর্তমান এ শাস্তি তোমরা আস্বাদন করে নাও এবং জেনে রাখ যে, কাফেরদের জন্য রয়েছে দোযখের আযাব।
আয়াত ১৫ঃ
وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُۥٓ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأْوَىٰهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ-ইযা- লাকীতুমুল্লাযীনা কাফারূ ঝাহফান ফালাতুওয়াল্লুহুমুল আদবা-র।
বাংলা অনুবাদঃ
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ-ইযা- লাকীতুমুল্লাযীনা কাফারূ ঝাহফান ফালাতুওয়াল্লুহুমুল আদবা-র।

সূরা আল আনফাল এর ১৬-৩০ টি আয়াত

আয়াত ১৬ঃ
وَمَن يُوَلِّهِمْ يَوْمَئِذٍ دُبُرَهُۥٓ إِلَّا مُتَحَرِّفًا لِّقِتَالٍ أَوْ مُتَحَيِّزًا إِلَىٰ فِئَةٍ فَقَدْ بَآءَ بِغَضَبٍ مِّنَ ٱللَّهِ وَمَأْوَىٰهُ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া মাইঁ ইউওয়ালিলহিম ইয়াওমায়িযিন দুবুরাহূইল্লা-মুতাহাররিফাল লিকিতা-লিন আও মুতাহাইয়িঝান ইলা-ফিআতিন ফাকাদ বাআ বিগাদাবিম মিনাল্লা-হি ওয়া মা’ওয়া-হু জাহান্নামু ওয়াবি’ছাল মাসীর।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান।
আয়াত ১৭ঃ
فَلَمْ تَقْتُلُوهُمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ قَتَلَهُمْ وَمَا رَمَيْتَ إِذْ رَمَيْتَ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ رَمَىٰ وَلِيُبْلِىَ ٱلْمُؤْمِنِينَ مِنْهُ بَلَآءً حَسَنًا إِنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ফালাম তাকতুলূহুম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা কাতালাহুম ওয়ামা-রামাইতা ইযরামাইতা ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা রামা- ওয়ালি ইউবলিয়াল মু’মিনীনা মিনহু বালাআন হাছানান ইন্নাল্লা-হা ছামী‘উন আলীম
বাংলা অনুবাদঃ
সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।
আয়াত ১৮ঃ
ذَٰلِكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُوهِنُ كَيْدِ ٱلْكَٰفِرِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
যা-লিকুম ওয়াআন্নাল্লা-হা মূহিনুকাইদিল কা-ফিরীন।
বাংলা অনুবাদঃ
এটাতো গেল, আর জেনে রেখো, আল্লাহ নস্যাৎ করে দেবেন কাফেরদের সমস্ত কলা-কৌশল।
আয়াত ১৯ঃ
إِن تَسْتَفْتِحُوا۟ فَقَدْ جَآءَكُمُ ٱلْفَتْحُ وَإِن تَنتَهُوا۟ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَإِن تَعُودُوا۟ نَعُدْ وَلَن تُغْنِىَ عَنكُمْ فِئَتُكُمْ شَيْـًٔا وَلَوْ كَثُرَتْ وَأَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইন তাছতাফতিহূফাকাদ জাআকুমুল ফাতহু ওয়া ইন তানতাহূফাহুওয়া খাইরুল্লাকুম ওয়া ইন তা‘ঊদূনা‘উদ ওয়া লান তুগনিয়া ‘আনকুম ফিআতুকুম শাইআওঁ ওয়ালাও কাছুরাত ওয়া আন্নাল্লা-হা মা‘আল মু’মিনীন।
বাংলা অনুবাদঃ
তোমরা যদি মীমাংসা কামনা কর, তাহলে তোমাদের নিকট মীমাংসা পৌছে গেছে। আর যদি তোমরা প্রত্যাবর্তন কর, তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা যদি তাই কর, তবে আমি ও তেমনি করব। বস্তুতঃ তোমাদের কোনই কাজে আসবে না তোমাদের দল-বল, তা যত বেশীই হোক। জেনে রেখ আল্লাহ রয়েছেন ঈমানদারদের সাথে।
আয়াত ২০ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ أَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَوَلَّوْا۟ عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূআতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়ালা-তাওয়াল্লাও ‘আনহু ওয়া আনতুম তাছমা‘ঊন।
বাংলা অনুবাদঃ
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।
আয়াত ২১ঃ
وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ قَالُوا۟ سَمِعْنَا وَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা কা-লূছামি‘না-ওয়া হুম লা-ইয়াছমা‘ঊন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা।
আয়াত ২২ঃ
إِنَّ شَرَّ ٱلدَّوَآبِّ عِندَ ٱللَّهِ ٱلصُّمُّ ٱلْبُكْمُ ٱلَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইন্না শাররাদ্দাওয়াব্বি ‘ইনদাল্লা-হিসসুম্মুল বুকমুল্লাযীনা লা-ইয়া‘কিলূন।
বাংলা অনুবাদঃ
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না।
আয়াত ২৩ঃ
وَلَوْ عَلِمَ ٱللَّهُ فِيهِمْ خَيْرًا لَّأَسْمَعَهُمْ وَلَوْ أَسْمَعَهُمْ لَتَوَلَّوا۟ وَّهُم مُّعْرِضُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া লাও ‘আলিমাল্লা-হু ফীহিম খাইরাল লাআছমা‘আহুম ওয়া লাও আছমা‘আহুম লাতাওয়াল্লাওঁ ওয়া হুম মু‘রিদূন।
বাংলা অনুবাদঃ
বস্তুতঃ আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কিছুমাত্র শুভ চিন্তা জানতেন, তবে তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন। আর এখনই যদি তাদের শুনিয়ে দেন, তবে তারা মুখ ঘুরিয়ে পালিয়ে যাবে।
আয়াত ২৪ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱسْتَجِيبُوا۟ لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ ٱلْمَرْءِ وَقَلْبِهِۦ وَأَنَّهُۥٓ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানুছতাজীবূলিল্লা-হি ওয়ালিররাছূলি ইযা-দা‘আ-কুম লিমাইউহয়ীকুম ওয়া‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়াহূলুবাইনাল মারয়ি ওয়া কালবিহী ওয়া আন্নাহূইলাইহি তুহশারূন।
বাংলা অনুবাদঃ
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।
আয়াত ২৫ঃ
وَٱتَّقُوا۟ فِتْنَةً لَّا تُصِيبَنَّ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنكُمْ خَآصَّةً وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়াত্তাকূফিতনাতাল লা-তুসীবান্নাল্লাযীনা জালামূমিনকুম খাসসাতাওঁ ওয়া‘লামূআন্নাল্লাহা শাদীদুল‘ইকাব।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তোমরা এমন ফাসাদ থেকে বেঁচে থাক যা বিশেষতঃ শুধু তাদের উপর পতিত হবে না যারা তোমাদের মধ্যে জালেম এবং জেনে রেখ যে, আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠোর।
আয়াত ২৬ঃ
وَٱذْكُرُوٓا۟ إِذْ أَنتُمْ قَلِيلٌ مُّسْتَضْعَفُونَ فِى ٱلْأَرْضِ تَخَافُونَ أَن يَتَخَطَّفَكُمُ ٱلنَّاسُ فَـَٔاوَىٰكُمْ وَأَيَّدَكُم بِنَصْرِهِۦ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়াযকুরূ ইয আনতুমকালীলুমমুছতাদ‘আফূনা ফিল আরদি তাখা-ফূনা আইঁ ইয়াতাখাত্তাফাকুমুন্না-ছুফাআ-ওয়া কুম ওয়া আইইয়াদাকুম বিনাসরিহী ওয়া রাঝাকাকুম মিনাততাইয়িবা-তি লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর স্মরণ কর, যখন তোমরা ছিলে অল্প, পরাজিত অবস্থায় পড়েছিলে দেশে; ভীত-সস্ত্রস্ত্র ছিলে যে, তোমাদের না অন্যেরা ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। অতঃপর তিনি তোমাদিগকে আশ্রয়ের ঠিকানা দিয়েছেন, স্বীয় সাহায্যের দ্বারা তোমাদিগকে শক্তি দান করেছেন এবং পরিচ্ছন্ন জীবিকা দিয়েছেন যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় কর।
আয়াত ২৭ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَخُونُوا۟ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓا۟ أَمَٰنَٰتِكُمْ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূলা-তাখূনুল্লা -হা ওয়ার রাছূলা ওয়া তাখূনূআমা-না-তিকুম ওয়া আনতুম তা‘লামুন।
বাংলা অনুবাদঃ
হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে।
আয়াত ২৮ঃ
وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَآ أَمْوَٰلُكُمْ وَأَوْلَٰدُكُمْ فِتْنَةٌ وَأَنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجْرٌ عَظِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া‘লামূআন্নামাআমওয়া-লুকুম ওয়া আওলা-দুকুম ফিতনাতুওঁ ওয়া আন্নাল্লা-হা ‘ইনদাহুআজরুন ‘আ জীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব।
আয়াত ২৯ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تَتَّقُوا۟ ٱللَّهَ يَجْعَل لَّكُمْ فُرْقَانًا وَيُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّـَٔاتِكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَٱللَّهُ ذُو ٱلْفَضْلِ ٱلْعَظِيمِ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইন তাত্তাকুল্লা-হা ইয়াজ‘আল্লাকুম ফুরকা-নাওঁ ওয়া ইউকাফফির ‘আনকুম ছাইয়িআ-তিকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু যুল ফাদলিল ‘আজীম।
বাংলা অনুবাদঃ
হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান।
আয়াত ৩০ঃ
وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ ٱللَّهُ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلْمَٰكِرِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইযইয়ামকুরু বিকাল্লাযীনা কাফারূলিইউছবিতূকা আও ইয়াকতুলূকা আও ইউখরিজুকা ওয়া ইয়ামকুরূনা ওয়া ইয়ামকুরুল্লা-হু ওয়াল্লা-হু খাইরুল মা-কিরীন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন ছলনা করত তেমনি, আল্লাহও ছলনা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর ছলনা সবচেয়ে উত্তম।

সূরা আল আনফাল এর ৩১-৪৫ টি আয়াত

আয়াত ৩১ঃ
وَإِذَا تُتْلَىٰ عَلَيْهِمْ ءَايَٰتُنَا قَالُوا۟ قَدْ سَمِعْنَا لَوْ نَشَآءُ لَقُلْنَا مِثْلَ هَٰذَآ إِنْ هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইযা-তুতলা-‘আলাইহিম আ-য়া-তুনা-কা-লূকাদ ছামি‘না-লাও নাশাউ লাকুলনামিছলা হা-যা ইন হা-যা ইল্লা আছা-তীরুল আওওয়ালীন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর কেউ যখন তাদের নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করে তবে বলে, আমরা শুনেছি, ইচ্ছা করলে আমরাও এমন বলতে পারি; এ তো পূর্ববর্তী ইতিকথা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আয়াত ৩২ঃ
وَإِذْ قَالُوا۟ ٱللَّهُمَّ إِن كَانَ هَٰذَا هُوَ ٱلْحَقَّ مِنْ عِندِكَ فَأَمْطِرْ عَلَيْنَا حِجَارَةً مِّنَ ٱلسَّمَآءِ أَوِ ٱئْتِنَا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইয কা-লুল্লা-হুম্মা ইন কা-না হা-যা-হুওয়াল হাক্কা মিন ‘ইনদিকা ফাআমতির ‘আলাইনা-হিজারাতাম মিনাছ ছামাই আবি’তিনা-বি‘আযা-বিন আলীম।
বাংলা অনুবাদঃ
তাছাড়া তারা যখন বলতে আরম্ভ করে যে, ইয়া আল্লাহ, এই যদি তোমার পক্ষ থেকে (আগত) সত্য দ্বীন হয়ে থাকে, তবে আমাদের উপর আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ কর কিংবা আমাদের উপর বেদনাদায়ক আযাব নাযিল কর।
আয়াত ৩৩ঃ
وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنتَ فِيهِمْ وَمَا كَانَ ٱللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু লিইউ‘আযযিবাহুম ওয়া আনতা ফীহিম ওয়ামা-কা-নাল্লা-হু মু‘আযযিবাহুম ওয়া হুম ইয়াছতাগফিরূন।
বাংলা অনুবাদঃ
অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না।
আয়াত ৩৪ঃ
وَمَا لَهُمْ أَلَّا يُعَذِّبَهُمُ ٱللَّهُ وَهُمْ يَصُدُّونَ عَنِ ٱلْمَسْجِدِ ٱلْحَرَامِ وَمَا كَانُوٓا۟ أَوْلِيَآءَهُۥٓ إِنْ أَوْلِيَآؤُهُۥٓ إِلَّا ٱلْمُتَّقُونَ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ামা-লাহুম আল্লা-ইউ‘আযযিবাহুমুল্লা-হু ওয়া হুম ইয়াসুদ্দূনা ‘আনিল মাছজিদিল হারা-মি ওয়ামা-কা-নূআওলিয়াআউহূ ইন আওলিয়াউহূইল্লাল মুত্তাকূনা ওয়ালা-কিন্না আকছারাহুম লা-ইয়া‘লামূন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তাদের মধ্যে এমন কি বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের উপর আযাব দান করবেন না। অথচ তারা মসজিদে-হারামে যেতে বাধাদান করে, অথচ তাদের সে অধিকার নেই। এর অধিকার তো তাদেরই রয়েছে যারা পরহেযগার। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়।
আয়াত ৩৫ঃ
وَمَا كَانَ صَلَاتُهُمْ عِندَ ٱلْبَيْتِ إِلَّا مُكَآءً وَتَصْدِيَةً فَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَ بِمَا كُنتُمْ تَكْفُرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ামা-কা-না সালা-তুহুম ‘ইনদাল বাইতি ইল্লা-মুকা-আওঁ ওয়া তাসদিয়াতান ফাযূকুল ‘আযা-বা বিমা-কুনতুম তাকফুরূন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর কা’বার নিকট তাদের নামায বলতে শিস দেয়া আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতএব, এবার নিজেদের কৃত কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।
আয়াত ৩৬ঃ
إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ يُنفِقُونَ أَمْوَٰلَهُمْ لِيَصُدُّوا۟ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ فَسَيُنفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইন্নাল্লাযীনা কাফারূইউনফিকূনা আমওয়া-লাহুম লিয়াসুদ্দূ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ফাছাইউনফিকূনাহা-ছু ম্মা তাকূনু‘আলাইহিম হাছরাতান ছুম্মা ইউগলাবূনা ওয়াল্লাযীনা কাফারূইলা-জাহান্নামা ইউহশারূন।
বাংলা অনুবাদঃ
নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
আয়াত ৩৭ঃ
لِيَمِيزَ ٱللَّهُ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِ وَيَجْعَلَ ٱلْخَبِيثَ بَعْضَهُۥ عَلَىٰ بَعْضٍ فَيَرْكُمَهُۥ جَمِيعًا فَيَجْعَلَهُۥ فِى جَهَنَّمَ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ
আরবি উচ্চারণঃলিয়ামীঝাল্লা-হুল খাবীছা মিনাততাইয়িবি ওয়া ইয়াজ‘আলাল খাবীছা বা‘দাহূ‘আলাবা‘দিন ফাইয়ারকুমাহূজামী‘আন ফাইয়াজ‘আলাহূফী জাহান্নামা উলাইকা হুমুল খাছিরূন।
বাংলা অনুবাদঃ
যাতে পৃথক করে দেন আল্লাহ অপবিত্র ও না-পাককে পবিত্র ও পাক থেকে। আর যাতে একটির পর একটিকে স্থাপন করে সমবেত স্তুপে পরিণত করেন এবং পরে দোযখে নিক্ষেপ করেন। এরাই হল ক্ষতিগ্রস্ত।
আয়াত ৩৮ঃ
قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِن يَنتَهُوا۟ يُغْفَرْ لَهُم مَّا قَدْ سَلَفَ وَإِن يَعُودُوا۟ فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ ٱلْأَوَّلِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
কুল লিল্লাযীনা কাফারূইয়ঁইয়ানতাহূইউগফারলাহুম মা-কাদ ছালাফা ওয়াইয়ঁ ইয়া‘ঊদূফাকাদ মাদাত ছুন্নাতুল আওওয়ালীন।
বাংলা অনুবাদঃ
তুমি বলে দাও, কাফেরদেরকে যে, তারা যদি বিরত হয়ে যায়, তবে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা হবে যাবে। পক্ষান্তরে আবারও যদি তাই করে, তবে পুর্ববর্তীদের পথ নির্ধারিত হয়ে গেছে।
আয়াত ৩৯ঃ
وَقَٰتِلُوهُمْ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ كُلُّهُۥ لِلَّهِ فَإِنِ ٱنتَهَوْا۟ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া কা-তিলূহুম হাত্তা-লা-তাকূনা ফিতনাতুওঁ ওয়া ইয়াকূনাদদীনুকুল্লুহূলিল্লা-হি ফাইনিন তাহাও ফাইন্নাল্লা-হা বিমা-ইয়া‘মালূনা বাসীর।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।
আয়াত ৪০ঃ
وَإِن تَوَلَّوْا۟ فَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّ ٱللَّهَ مَوْلَىٰكُمْ نِعْمَ ٱلْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ ٱلنَّصِيرُ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইন তাওয়াল্লাও ফা‘লামূআন্নাল্লা-হা মাওলা-কুম নি‘মাল মাওলা-ওয়া নি‘মান নাসীর।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তারা যদি না মানে, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের সমর্থক; এবং কতই না চমৎকার সাহায্যকারী।
আয়াত ৪১ঃ
وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّمَا غَنِمْتُم مِّن شَىْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُۥ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِى ٱلْقُرْبَىٰ وَٱلْيَتَٰمَىٰ وَٱلْمَسَٰكِينِ وَٱبْنِ ٱلسَّبِيلِ إِن كُنتُمْ ءَامَنتُم بِٱللَّهِ وَمَآ أَنزَلْنَا عَلَىٰ عَبْدِنَا يَوْمَ ٱلْفُرْقَانِ يَوْمَ ٱلْتَقَى ٱلْجَمْعَانِ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া‘লামূআন্নামা-গানিমতুম মিন শাইয়িন ফাআন্না লিল্লা-হি খুমুছাহূওয়া লিররাছূলি ওয়া লিযিল কুরবা-ওয়াল ইয়াতা-মা-ওয়াল মাছা-কীনি ওয়াবনিছ ছাবীলি ইন কুনতুম আমানতুম বিল্লা-হি ওয়া মাআনঝালনা-‘আলা-‘আবদিনা-ইয়াওমাল ফুরকা-নি ইয়াওমাল তাকাল জাম‘আ-নি ওয়াল্লা-হু ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
বাংলা অনুবাদঃ
আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।
আয়াত ৪২ঃ
إِذْ أَنتُم بِٱلْعُدْوَةِ ٱلدُّنْيَا وَهُم بِٱلْعُدْوَةِ ٱلْقُصْوَىٰ وَٱلرَّكْبُ أَسْفَلَ مِنكُمْ وَلَوْ تَوَاعَدتُّمْ لَٱخْتَلَفْتُمْ فِى ٱلْمِيعَٰدِ وَلَٰكِن لِّيَقْضِىَ ٱللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا لِّيَهْلِكَ مَنْ هَلَكَ عَنۢ بَيِّنَةٍ وَيَحْيَىٰ مَنْ حَىَّ عَنۢ بَيِّنَةٍ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَسَمِيعٌ عَلِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ইযআনতুম বিল ‘উদওয়াতিদদুনইয়া-ওয়া হুম বিল‘উদওয়াতিল কুসওয়া-ওয়াররাকবু আছফালা মিনকুম ওয়া লাও তাওয়া-‘আততুম লাখতালাফতুম ফিল মী‘আ-দি ওয়ালাকিল লিয়াকদিইয়াল্লা-হু আমরান কা-না মাফ‘ঊলাল লিইয়াহলিকা মান হালাকা ‘আম বাইয়িনাতিওঁ ওয়া ইয়াহইয়া-মান হাইয়া ‘আম বাইয়িনাতিওঁ; ওয়া ইন্নাল্লা-হা লাছামী‘উন আলীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যখন তোমরা ছিলে সমরাঙ্গনের এ প্রান্তে আর তারা ছিল সে প্রান্তে অথচ কাফেলা তোমাদের থেকে নীচে নেমে গিয়েছিল। এমতাবস্থায় যদি তোমরা পারস্পরিক অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে, তবে তোমরা এক সঙ্গে সে ওয়াদা পালন করতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ তা’আলা এমন এক কাজ করতে চেয়েছিলেন, যা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল যাতে সে সব লোক নিহত হওয়ার ছিল, প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং যাদের বাঁচার ছিল, তারা বেঁচে থাকে প্রমাণ প্রতিষ্ঠার পর। আর নিশ্চিতই আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।
আয়াত ৪৩ঃ
إِذْ يُرِيكَهُمُ ٱللَّهُ فِى مَنَامِكَ قَلِيلًا وَلَوْ أَرَىٰكَهُمْ كَثِيرًا لَّفَشِلْتُمْ وَلَتَنَٰزَعْتُمْ فِى ٱلْأَمْرِ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ سَلَّمَ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয ইউরীকাহুমুল্লা -হু ফী মানা-মিকা কালীলাওঁ ওয়া লাও আরা-কাহুম কাছীরাল লাফাশিলতুম ওয়ালা তানা-ঝা‘তুম ফিল আমরি ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা ছাল্লামা ইন্নাহূ ‘আলীমুম বিযা-তিসসুদূ র।
বাংলা অনুবাদঃ
আল্লাহ যখন তোমাকে স্বপ্নে সেসব কাফেরের পরিমাণ অল্প করে দেখালেন; বেশী করে দেখালে তোমরা কাপুরুষতা অবলম্বন করতে এবং কাজের বেলায় বিপদ সৃষ্টি করতে। কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তিনি অতি উত্তমভাবেই জানেন; যা কিছু অন্তরে রয়েছে।
আয়াত ৪৪ঃ
وَإِذْ يُرِيكُمُوهُمْ إِذِ ٱلْتَقَيْتُمْ فِىٓ أَعْيُنِكُمْ قَلِيلًا وَيُقَلِّلُكُمْ فِىٓ أَعْيُنِهِمْ لِيَقْضِىَ ٱللَّهُ أَمْرًا كَانَ مَفْعُولًا وَإِلَى ٱللَّهِ تُرْجَعُ ٱلْأُمُورُ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইযইউরীকুমূহুম ইযিলতাকাইতুম ফীআ‘ইউনিকুম কালীলাওঁ ওয়া ইউকালিল্লুকুম ফীআ‘ইউনিহিম লিয়াকদিইয়াল্লা-হু আমরান কা-না মাফ‘ঊলাওঁ ওয়া ইলাল্লা-হি তুরজা‘উল উমূর।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যখন তোমাদেরকে দেখালেন সে সৈন্যদল মোকাবেলার সময় তোমাদের চোখে অল্প এবং তোমাদেরকে দেখালেন তাদের চোখে বেশী, যাতে আল্লাহ সে কাজ করে নিতে পারেন যা ছিল নির্ধারিত। আর সব কাজই আল্লাহর নিকট গিয়ে পৌছায়।
আয়াত ৪৫ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَٱثْبُتُوا۟ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-লাকীতুম ফিআতান ফাছবুতূওয়াযকুরুল্লা-হা কাছীরাল লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
বাংলা অনুবাদঃ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার।

সূরা আল আনফাল এর ৪৬-৬০ টি আয়াত

আয়াত ৪৬ঃ
وَأَطِيعُوا۟ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَلَا تَنَٰزَعُوا۟ فَتَفْشَلُوا۟ وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَٱصْبِرُوٓا۟ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া আতী‘উল্লা-হা ওয়া রাছূলাহূওয়ালা-তানা-ঝা‘ঊ ফাতাফশালূওয়া তাযহাবা রীহুকুম ওয়াসবিরূ ইন্নাল্লা-হা মা‘আসসা-বিরীন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে।
আয়াত ৪৭ঃ
وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ خَرَجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِم بَطَرًا وَرِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ালা-তাকূনূকাল্লাযীনা খারাজুমিন দিয়া-রিহিম বাতারাওঁ ওয়া রিআআন্না-ছি ওয়া ইয়াসুদ্দূনা ‘আন ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু বিমা-ইয়া‘মালূনা মুহীত।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তাদের মত হয়ে যেয়ো না, যারা বেরিয়েছে নিজেদের অবস্থান থেকে গর্বিতভাবে এবং লোকদেরকে দেখাবার উদ্দেশে। আর আল্লাহর পথে তারা বাধা দান করত। বস্তুতঃ আল্লাহর আয়ত্বে রয়েছে সে সমস্ত বিষয় যা তারা করে।
আয়াত ৪৮ঃ
وَإِذْ زَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيْطَٰنُ أَعْمَٰلَهُمْ وَقَالَ لَا غَالِبَ لَكُمُ ٱلْيَوْمَ مِنَ ٱلنَّاسِ وَإِنِّى جَارٌ لَّكُمْ فَلَمَّا تَرَآءَتِ ٱلْفِئَتَانِ نَكَصَ عَلَىٰ عَقِبَيْهِ وَقَالَ إِنِّى بَرِىٓءٌ مِّنكُمْ إِنِّىٓ أَرَىٰ مَا لَا تَرَوْنَ إِنِّىٓ أَخَافُ ٱللَّهَ وَٱللَّهُ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়াইযঝাইইয়ানা লাহুমুশশাইতা-নুআ‘মা-লাহুম ওয়া কা-লা লা-গা-লিবা লাকুমুল ইয়াওমা মিনান্না-ছি ওয়া ইন্নী জা-রুল্লাকুম ফালাম্মা-তারা-আতিল ফিআতা-নি নাকাসা ‘আলা-‘আকিবাইহি ওয়া কা-লা ইন্নী বারীউম মিনকুম ইন্নীআরা-মা-লা-তারাওনা ইন্নীআখা-ফুল্লা-হা ওয়াল্লা-হু শাদীদুল ‘ইকা-ব।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যখন সুদৃশ্য করে দিল শয়তান তাদের দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপকে এবং বলল যে, আজকের দিনে কোন মানুষই তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না আর আমি হলাম তোমাদের সমর্থক, অতঃপর যখন সামনাসামনী হল উভয় বাহিনী তখন সে অতি দ্রুত পায়ে পেছনে দিকে পালিয়ে গেল এবং বলল, আমি তোমাদের সাথে না-আমি দেখছি, যা তোমরা দেখছ না; আমি ভয় করি আল্লাহকে। আর আল্লাহর আযাব অত্যন্ত কঠিন।
আয়াত ৪৯ঃ
إِذْ يَقُولُ ٱلْمُنَٰفِقُونَ وَٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِم مَّرَضٌ غَرَّ هَٰٓؤُلَآءِ دِينُهُمْ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ فَإِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ইযইয়াকূলুল মুনা-ফিকূনা ওয়াল্লাযীনা ফী কুলূবিহিম মারাদুন গাররা হাউলাই দীনুহুম ওয়া মাইঁ ইয়াতাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ফাইন্নাল্লা-হা ‘আঝীঝুন হাকীম।
বাংলা অনুবাদঃ
যখন মোনাফেকরা বলতে লাগল এবং যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত, এরা নিজেদের ধর্মের উপর গর্বিত। বস্তুতঃ যারা ভরসা করে আল্লাহর উপর, সে নিশ্চিন্ত, কেননা আল্লাহ অতি পরাক্রমশীল, সুবিজ্ঞ।
আয়াত ৫০ঃ
وَلَوْ تَرَىٰٓ إِذْ يَتَوَفَّى ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَٰرَهُمْ وَذُوقُوا۟ عَذَابَ ٱلْحَرِيقِ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া লাও তারাইযইয়াতাওয়াফফাল্লাযীনা কাফারুল মালাইকাতুইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়া আদবা-রাহুম ওয়া যূকূ‘আযা-বাল হারীক।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।
আয়াত ৫১ঃ
ذَٰلِكَ بِمَا قَدَّمَتْ أَيْدِيكُمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَيْسَ بِظَلَّٰمٍ لِّلْعَبِيدِ
আরবি উচ্চারণঃ
যা-লিকা বিমা-কাদ্দামাত আইদীকুম ওয়া আন্নাল্লা-হা লাইছা বিজাল্লা-মিল লিল ‘আবীদ।
বাংলা অনুবাদঃ
এই হলো সে সবের বিনিময় যা তোমরা তোমাদের পূর্বে পাঠিয়েছ নিজের হাতে। বস্তুতঃ এটি এ জন্য যে, আল্লাহ বান্দার উপর যুলুম করেন না।
আয়াত ৫২ঃ
كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ فَأَخَذَهُمُ ٱللَّهُ بِذُنُوبِهِمْ إِنَّ ٱللَّهَ قَوِىٌّ شَدِيدُ ٱلْعِقَابِ
আরবি উচ্চারণঃ
কাদা’বি আ-লি ফির‘আওনা ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কাফারু বিআ-য়া-তিল্লা-হি ফাআখাযাহুমুল্লা-হু বিযুনূবিহিম ইন্নাল্লা-হা কাবিউন শাদীদুল ‘ইকা-ব।
বাংলা অনুবাদঃ
যেমন, রীতি রয়েছে ফেরাউনের অনুসারীদের এবং তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের ব্যাপারে যে, এরা আল্লাহর নির্দেশের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং সেজন্য আল্লাহ তা’আলা তাদের পাকড়াও করেছেন তাদেরই পাপের দরুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহাশক্তিশালী, কঠিন শাস্তিদাতা।
আয়াত ৫৩ঃ
ذَٰلِكَ بِأَنَّ ٱللَّهَ لَمْ يَكُ مُغَيِّرًا نِّعْمَةً أَنْعَمَهَا عَلَىٰ قَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا۟ مَا بِأَنفُسِهِمْ وَأَنَّ ٱللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
যা-লিকা বিআন্নাল্লা-হা লাম ইয়াকুমুগাইয়িরান নি‘মাতান আন‘আমাহা-‘আলা-কাওমিন হাত্তা-ইউগাইয়িরূমা-বিআনফুছিহিম ওয়া আন্নাল্লা-হা ছামী‘উন ‘আলীম।
বাংলা অনুবাদঃ
তার কারণ এই যে, আল্লাহ কখনও পরিবর্তন করেন না, সে সব নেয়ামত, যা তিনি কোন জাতিকে দান করেছিলেন, যতক্ষণ না সে জাতি নিজেই পরিবর্তিত করে দেয় নিজের জন্য নির্ধারিত বিষয়। বস্তুতঃ আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।
আয়াত ৫৪ঃ
كَدَأْبِ ءَالِ فِرْعَوْنَ وَٱلَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِمْ فَأَهْلَكْنَٰهُم بِذُنُوبِهِمْ وَأَغْرَقْنَآ ءَالَ فِرْعَوْنَ وَكُلٌّ كَانُوا۟ ظَٰلِمِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
কাদা’বি আ-লি ফির‘আওনা ওয়াল্লাযীনা মিন কাবলিহিম কাযযাবূবিআ-য়া-তি রাব্বিহিম ফাআহলাকনা-হুম বিযুনুবিহিম ওয়া আগরাকনা-আ-লা ফির‘আওনা ওয়া কুল্লুন কা-নূজা-লিমীন।
বাংলা অনুবাদঃ
যেমন ছিল রীতি ফেরাউনের বংশধর এবং যারা তাদের পূর্বে ছিল, তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল স্বীয় পালনকর্তার নিদর্শনসমূহকে। অতঃপর আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি তাদের পাপের দরুন এবং ডুবিয়ে মেরেছি ফেরাউনের বংশধরদেরকে। বস্তুতঃ এরা সবাই ছিল যালেম।
আয়াত ৫৫ঃ
إِنَّ شَرَّ ٱلدَّوَآبِّ عِندَ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইন্না শাররাদ্দাওয়াব্বি ‘ইনদাল্লা-হিল্লাযীনা কাফারূফাহুম লা-ইউ’মিনূন।
বাংলা অনুবাদঃ
সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর নিকট তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা অস্বীকারকারী হয়েছে অতঃপর আর ঈমান আনেনি।

আয়াত ৫৬ঃ
ٱلَّذِينَ عَٰهَدتَّ مِنْهُمْ ثُمَّ يَنقُضُونَ عَهْدَهُمْ فِى كُلِّ مَرَّةٍ وَهُمْ لَا يَتَّقُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
আল্লাযীনা ‘আ-হাততা মিনহুম ছু ম্মা ইয়ানকু দূ না ‘আহদাহুম ফী কুল্লি মাররাতিওঁ ওয়া হুম লা-ইয়াত্তাকূন।
বাংলা অনুবাদঃ
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমিম বা‘দুওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূমা‘আকুম ফাউলাইকা মিনকুম ওয়া ঊলুল আরহা-মি বা‘দুহুম আওলাউ ব্বিা‘দিন ফী কিতা-বিল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
আয়াত ৫৭ঃ
فَإِمَّا تَثْقَفَنَّهُمْ فِى ٱلْحَرْبِ فَشَرِّدْ بِهِم مَّنْ خَلْفَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ফাইম্মা-তাছকাফান্নাহুম ফিল হারবি ফাশাররিদ বিহিম মান খালফাহুম লা‘আল্লাহুম ইয়াযযাক্কারূন।
বাংলা অনুবাদঃ
সুতরাং আপনি যদি যুদ্ধে তাহাদেররে কাবু করিতে পারেন, তবে তাহাদের (উপর আক্রমণ করত সেই আক্রমণ) দ্বারা তাহাদের ব্যতীত অন্যান্য লোকদিগকে ছত্র ভঙ্গ করিয়া দিন, যেন তাহারা বুঝিতে পারে।
আয়াত ৫৮ঃ
وَإِمَّا تَخَافَنَّ مِن قَوْمٍ خِيَانَةً فَٱنۢبِذْ إِلَيْهِمْ عَلَىٰ سَوَآءٍ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلْخَآئِنِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইম্মা-তাখা-ফান্না মিন কাওমিন খিয়া-নাতান ফামবিযইলাইহিম ‘আলা-ছাওয়াইন ইন্নাল্লা-হা লা-ইউহিব্বুল খাইনীন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যদি কোন সম্প্রদায় সম্বন্ধে আপনার আশঙ্কা হয় বিশ্বাসঘাতকতার তবে আপনি সেই চুক্তি তাহাদিগকে এইভাবে ফিরাইয়া দিন, যেন তাহারা এবং আপনি (সন্ধি রহিত হওয়ার অবগতি সম্পর্কে) সমান হইয়া যান; নি:সন্দেহে আল্লাহ্ বিশ্বাসঘাতকদিগকে পছন্দ করেন না।
আয়াত ৫৯ঃ
وَلَا يَحْسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ سَبَقُوٓا۟ إِنَّهُمْ لَا يُعْجِزُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়ালা-ইয়াহছাবান্নাল্লাযীনা কাফারূছাবাকূ ইন্নাহুম লা ইউ‘জিঝূন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর কাফেররা যেন নিজেদের সম্পর্কে এরূপ ধারণা না করে যে, তাহারা বাঁচিয়া গিয়াছে; কিছুতেই তাহারা (আল্লাহ্ তা‘আলাকে) অক্ষম করিতে পারিবে না।
আয়াত ৬০ঃ
وَأَعِدُّوا۟ لَهُم مَّا ٱسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ ٱلْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِۦ عَدُوَّ ٱللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَءَاخَرِينَ مِن دُونِهِمْ لَا تَعْلَمُونَهُمُ ٱللَّهُ يَعْلَمُهُمْ وَمَا تُنفِقُوا۟ مِن شَىْءٍ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لَا تُظْلَمُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া আ‘ইদ্দূলাহুম মাছতাতা‘তুম মিন কুওওয়াতিওঁ ওয়া মির রিবা-তিল খাইলি তুরহিবূনা বিহী ‘আদুওঁ ওআল্লা-হি ওয়া ‘আদুওঁ ওয়াকুম ওয়া আ-খারীনা মিন দূ নিহিম লাতা‘লামূনাহুম আল্লা-হু ইয়া‘লামুহুম ওয়া মা-তুনফিকূমিন -শাইয়িন ফী ছাবীলিল্লা-হি ইউওয়াফফা ইলাইকুম ওয়া আনতুম লা-তুজলামূন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর এই কাফেরদের (সহিত মকাবেলার) জন্য তোমাদের সাধ্যানুযায়ী অস্ত্রাদি দ্বারা এবং প্রতিপালিত অশ্বাদি দ্বারা সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখ, যদ্দারা তোমরা প্রভাব বিস্তার করিয়া রাখিতে পার সেই সকল লোকদের উপর যাহারা আল্লাহ্ তা‘আলাার শত্রু এবং তোমাদেরও শত্রু এবং ইহাদের ব্যতীত অন্যান্য লোকদের উপরও, যাহাদিগকে তোমরা জান না, উহাদিগকে আল্লাহ্ই জানেন; আর তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যাহাকিছুই ব্যয় করিবে, উহা (-র সওয়াব) তোমাদিগকে পুরাপুরি দেওয়া হইবে এবং তোমাদের জন্য একটুও কম করা হইবে না ।

সূরা আল আনফাল এর ৬১-৭৫ টি আয়াত

আয়াত ৬১ঃ
وَإِن جَنَحُوا۟ لِلسَّلْمِ فَٱجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى ٱللَّهِ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইন জানাহূলিছছালমি ফাজনাহলাহা-ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল্লা-হি ইন্নাহূহুওয়াছ ছামী‘উল ‘আলীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যদি তাহারা সন্ধির দিকে অগ্রসর হয়, তবে আপনিও অগ্রসর হউন এবং আল্লাহ্ তা‘আলার উপর ভরসা রাখুন; নিশ্চয় তিনি খুব শ্রবনকারী, মহাজ্ঞানী।
আয়াত ৬২ঃ
وَإِن يُرِيدُوٓا۟ أَن يَخْدَعُوكَ فَإِنَّ حَسْبَكَ ٱللَّهُ هُوَ ٱلَّذِىٓ أَيَّدَكَ بِنَصْرِهِۦ وَبِٱلْمُؤْمِنِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইয়ঁইউরীদূ আইঁ ইয়াখদা‘ঊকা ফাইন্না হাছবাকাল্লা-হু হুওয়াল্লাযী আইঁ ইয়াদাকা বিনাসরিহী ওয়া বিলমু’মিনীন।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যদি তাহারা আপনাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে আল্লাহ্ তা‘আলা আপনার জন্য যথেষ্ট; তিনিই সেই সত্তা যিনি আপনাকে নিজের সাহায্য দ্বারা এবং মুসলমানদের দ্বারা শক্তি দান করিয়াছেন।
আয়াত ৬৩ঃ
وَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ لَوْ أَنفَقْتَ مَا فِى ٱلْأَرْضِ جَمِيعًا مَّآ أَلَّفْتَ بَيْنَ قُلُوبِهِمْ وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ أَلَّفَ بَيْنَهُمْ إِنَّهُۥ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া আল্লাফা বাইনা কুলূবিহিম লাও আনফাকতা মা-ফিল আরদিজামী‘আম মাআল্লাফতা বাইনা কুলূবিহিম ওয়ালা-কিন্নাল্লা-হা আল্লাফা বাইনাহুম ইন্নাহূ‘আঝীঝুন হাকীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর তাহাদের অন্তরসমূহের একতা সৃষ্টি করিয়া দিয়াছেন; যদি আপনি দুনিয়ার সম্পদসমূহ সমস্তই ব্যয় করিতেন, তবুও তাহাদের অন্তর সমূহে একতা সৃষ্টি করিতে পারিতেন না। কিন্তু আল্লাহ্ তা‘আলাই তাহাদের মধ্যে পরস্পর ঐক্য সৃষ্টি করিয়া দিয়াছেন; নিশ্চয় তিনি হইতেছেন মহা পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।
আয়াত ৬৪ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ حَسْبُكَ ٱللَّهُ وَمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلْمُؤْمِنِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুহাছবুকাল্লা-হু ওয়া মানিত তাবা‘আকা মিনাল মু’মিনীন।
বাংলা অনুবাদঃ
হে নবী আপনার জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং যে মু‘মেনগণ আপনার অনুসরণ করিয়াছে তাহারাই যথেষ্ট।
আয়াত ৬৫ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ حَرِّضِ ٱلْمُؤْمِنِينَ عَلَى ٱلْقِتَالِ إِن يَكُن مِّنكُمْ عِشْرُونَ صَٰبِرُونَ يَغْلِبُوا۟ مِا۟ئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُم مِّا۟ئَةٌ يَغْلِبُوٓا۟ أَلْفًا مِّنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَّا يَفْقَهُونَ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুহাররিদিল মু’মিনীনা ‘আলাল কিতা-লি ইয়ঁইয়াকুম মিনকুম ‘ইশরূনা সা-বিরূনা ইয়াগলিবূমিআতাইনি ওয়া ইয়ঁইয়াকুম মিনকুম মিআতুইঁ ইয়াগলিবূ আলফাম মিনাল্লাযীনা কাফারূবিআন্নাহুম কাওমুল লা-ইয়াফকাহূন।
বাংলা অনুবাদঃ
হে নবী আপনি মু‘মেনদিগকে জেহাদের উৎসাহ দান করুণ। (এবং তৎসম্পর্কে ইহাও বলিয়া দিন যে) যদি তোমাদের মধ্যকার বিশ ব্যক্তি দৃঢ়পদ থাকে, তবে তাহারা দুই শতের উপর জয় লাভ করিবে, আর যদি (অনুরূপ ভাবে) তোমাদের মধ্যকার এক শত ব্যক্তি থাকে, তবে এক সহস্য কাফেরের উপর জয় লাব করিবে, এই কারণে যে তাহারা এমন লোক, যাহারা (সত্য ধর্মের ) জ্ঞান রাখে না।
আয়াত ৬৬ঃ
ٱلْـَٰٔنَ خَفَّفَ ٱللَّهُ عَنكُمْ وَعَلِمَ أَنَّ فِيكُمْ ضَعْفًا فَإِن يَكُن مِّنكُم مِّا۟ئَةٌ صَابِرَةٌ يَغْلِبُوا۟ مِا۟ئَتَيْنِ وَإِن يَكُن مِّنكُمْ أَلْفٌ يَغْلِبُوٓا۟ أَلْفَيْنِ بِإِذْنِ ٱللَّهِ وَٱللَّهُ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ
আরবি উচ্চারণঃ
আলআ-না খাফফাফাল্লা-হু ‘আনকুম ওয়া ‘আলিমা আন্না ফীকুম দা‘ফান ফাইয়ঁইয়াকুম মিনকুম মিআতুন সা-বিরাতুইঁ ইয়াগলিবূমিআতাইনি ওয়াইঁ ইয়াকুম মিনকুম আলফুইঁ ইয়াগলিবূআলফাইনি বিইযনিল্লা-হি ওয়াল্লা-হু মা‘আসসা-বিরীন।
বাংলা অনুবাদঃ
এখন আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের হইতে (ভার) লঘু করিয়া দিলেন এবং জানিয়া লইলেন যে, তোমাদের মধ্যে সাহসের অভাব রহিয়াছে; অতএব, যদি তোমাদের মধ্যকার এক শত জন দৃঢ়পথ থাকে, তবে তাহারা দুই শতের উপর জয় লাভ করিবে। আর যদি তোমাদের মধ্যকার এক সহস্র লোক হয়, তবে তাহারা আল্লাহর হুকুমে দুই সহস্রের উপর বিজয়ী হইবে; আর আল্লাহ্ তা‘আলা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।
আয়াত ৬৭ঃ
مَا كَانَ لِنَبِىٍّ أَن يَكُونَ لَهُۥٓ أَسْرَىٰ حَتَّىٰ يُثْخِنَ فِى ٱلْأَرْضِ تُرِيدُونَ عَرَضَ ٱلدُّنْيَا وَٱللَّهُ يُرِيدُ ٱلْءَاخِرَةَ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
মা-কা-না লিনাবিইয়িন আইঁ ইয়াকূনা লাহূআছরা-হাত্তা-ইউছখিনা ফিল আরদি তুরীদূ না ‘আরাদাদদুনইয়া- ওয়াল্লা-হু ইউরীদুল আ-খিরাতা ওয়াল্লা-হু ‘আঝীঝুন হাকীম ।
বাংলা অনুবাদঃ
নবীর পক্ষে শোভনীয় নহে যে, তাঁহার বন্দী জীবিত থাকে (বরং হত্যা করিয়া ফেলা চাই) যে-পর্যন্ত তিনি ভূপৃষ্ঠে উত্তমরূপে কাফেরদের রক্তপাত না করেন; তোমরা তো দুনিয়ার ধন-সম্পদ চাহিতেছ, আর আল্লাহ চাহিতেছেন পরকাল; আর আল্লাহ্ অতি পরাক্রমশীল প্রজ্ঞাময়।
আয়াত ৬৮ঃ
لَّوْلَا كِتَٰبٌ مِّنَ ٱللَّهِ سَبَقَ لَمَسَّكُمْ فِيمَآ أَخَذْتُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
লাও লা-কিতা-বুমমিনাল্লা-হি ছাবাকা লামাছছাকুমফীমাআখাযতুম‘আযা-বুন‘আজীম।
বাংলা অনুবাদঃ
যদি আল্লাহ তা‘আলার লিখন নিধারিত হইয়া না থাকিত তবে যে –ব্যবস্থা তোমরা অবলম্বন করিয়াছ তৎসম্বন্ধে তোমাদের উপর কোন বড় শাস্তি আসিয়া পড়িত।
আয়াত ৬৯ঃ
فَكُلُوا۟ مِمَّا غَنِمْتُمْ حَلَٰلًا طَيِّبًا وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ফাকুলূমিম্মা-গনিমতুম হালা-লান তাইয়িবাওঁ ওয়াত্তাকুল্লা-হা ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর রাহীম।
বাংলা অনুবাদঃ
অতএব তোমরা যাহা কিছু (ফিদিয়াস্বরূপ) লইয়াছ উহাকে হালাল পাক ভাবিয়া খাও, আর আল্লাহকে ভয় করিতে থাক; নিশ্চয় আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, দয়াময়।
আয়াত ৭০ঃ
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِىُّ قُل لِّمَن فِىٓ أَيْدِيكُم مِّنَ ٱلْأَسْرَىٰٓ إِن يَعْلَمِ ٱللَّهُ فِى قُلُوبِكُمْ خَيْرًا يُؤْتِكُمْ خَيْرًا مِّمَّآ أُخِذَ مِنكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ইয়াআইয়ুহান্নাবিইয়ুকুল লিমান ফীআইদীকুম মিনাল আছরা ইয়ঁইয়া‘লামিল্লা-হু ফী কুলূবিকুম খাইরাইঁ ইউ’তিকুম খাইরাম মিম্মা-উখিযা মিনকুম ওয়া ইয়াগফির লাকুম ওয়াল্লা-হু গাফূরুর রাহীম।
বাংলা অনুবাদঃ
হে নবী! আপনার অধিকারে যে সমস্ত বন্দী রহিয়াছে, আপনি তাহাদিগকে বলিয়া দিন যে, যদি আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের অন্তরে ঈমান দেখিতে পান, তবে তোমাদের নিকট হইতে যাহাকিছু গ্রহণ করা হইয়াছে, তদপেক্ষা উত্তম বস্তু তোমাদিগকে প্রদান করিবেন এবং তোমাদিগকে ক্ষমা করিবেন। আর আল্লাহ্ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
আয়াত ৭১ঃ
وَإِن يُرِيدُوا۟ خِيَانَتَكَ فَقَدْ خَانُوا۟ ٱللَّهَ مِن قَبْلُ فَأَمْكَنَ مِنْهُمْ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়া ইয়ঁইউরীদূখিয়া-নাতাকা ফাকাদ খা-নুল্লা-হা মিন কাবলুফাআমকানা মিনহুম ওয়াল্লা-হু ‘আলীমুন হাকীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যদি তাহারা আপনার সহিত বিশ্বাসঘাতকতা করার ইচ্ছা রাখে, তবে ইহার পূর্বে আল্লাহর সহিত (-ও) তাহারা বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছিল, অত:পর আল্লাহ্ তাহাদিগকে বন্দী করাইয়া দিলেন। আর আল্লাহ্ মহাজ্ঞানী, বড় হেকমতওয়ালা।
আয়াত ৭২ঃ
إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ بِأَمْوَٰلِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَوا۟ وَّنَصَرُوٓا۟ أُو۟لَٰٓئِكَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَلَمْ يُهَاجِرُوا۟ مَا لَكُم مِّن وَلَٰيَتِهِم مِّن شَىْءٍ حَتَّىٰ يُهَاجِرُوا۟ وَإِنِ ٱسْتَنصَرُوكُمْ فِى ٱلدِّينِ فَعَلَيْكُمُ ٱلنَّصْرُ إِلَّا عَلَىٰ قَوْمٍۭ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُم مِّيثَٰقٌ وَٱللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূ ওয়া জা-হাদূ বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াওঁ ওয়া নাসারূউলাইকা বা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিওঁ ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া লাম ইউহা-জিরূমা-লাকুম মিওঁ ওয়ালা-ইয়াতিহিম মিন শাইয়িন হাত্তা-ইউহাজিরু ওয়া ইনিছ তানসারূকুম ফিদদীনি ফা‘আলাইকুমুন্নাসরু ইল্লা-‘আলা-কাওমিম বাইনাকুম ওয়াবাইনাহুম মীছা-কুওঁ ওয়াল্লা-হুবিমা-তা‘মালূনা বাসীর।
বাংলা অনুবাদঃ
নি:সন্দেহে যাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং হিজরতও করিয়াছে এবং নিজেদের ধন ও প্রাণ দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জেহাদও করিয়াছে, আর যাহারা (মুহাজেরদের কে) আশ্রয় দান করিয়াছে এবং সাহায্য করিয়াছে, ইহারা পরস্পর একে অন্যের ওয়ারিস হইবে। আর যাহারা ঈমান তে আনিয়াছে অথচ হিজরত করে নাই, তাহাদের সহিত তোমাদের উত্তরাধিকারিত্বের কোন সংস্রব নাই, যে পর্যন্ত না তাহারা হিজরত করে, আর যদি তাহারা তোমাদের নিকট ধমীয় ব্যাপারে সাহায্য চাহে, তবে তোমাদের জিম্মায় সাহায্য করা ওয়াজেব, কিন্তু ঐ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নহে তোমাদের মধ্যে এবং তাহাদের মধ্যে পরস্পর (সন্ধির) অঙ্গীকার রহিয়াছে, আর আল্লাহ্ তা‘আলা তোমাদের সকল কার্যকলাপ দেখেন।
আয়াত ৭৩ঃ
وَٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَآءُ بَعْضٍ إِلَّا تَفْعَلُوهُ تَكُن فِتْنَةٌ فِى ٱلْأَرْضِ وَفَسَادٌ كَبِيرٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়াল্লাযীনা কাফারূবা‘দুহুম আওলিয়াউ বা‘দিন ইল্লা-তাফ‘আলূহু তাকুন ফিতনাতুন ফিল আরদিওয়া ফাছা-দুন কাবীর।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যাহারা কাফের তাহারা পরস্পর এক অন্যের উত্তরাধিকার; যদি ইহার (অর্থাৎ, এই বিধানের) উপর আমল না কর তবে ভূপৃষ্ঠে বড় ফেতনা ও মহা বিশৃঙ্খলা ছাড়াইয়া পড়িবে।
আয়াত ৭৪ঃ
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلَّذِينَ ءَاوَوا۟ وَّنَصَرُوٓا۟ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াওঁ ওয়া নাসারুউলাইকা হুমুল মু’মিনূনা হাক্কাল লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া রিঝকুন কারীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যাহারা মুসলমান হইয়াছে, এবং হিজরত করিয়াছে এবং আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করিয়া আসিতেছে আর যাহারা নিজেদের নিকট আশ্রয় দান করিয়াছে এবং তাহাদের সাহায্য করিয়াছে, ইহারাই হইতেছে ঈমানের পূর্ণ হক্ক আদায়কারী; তাহাদের জন্য রহিয়াছে ক্ষমা ও অতি সম্মানজনক রিযক।
আয়াত ৭৫ঃ
وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مِنۢ بَعْدُ وَهَاجَرُوا۟ وَجَٰهَدُوا۟ مَعَكُمْ فَأُو۟لَٰٓئِكَ مِنكُمْ وَأُو۟لُوا۟ ٱلْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَىٰ بِبَعْضٍ فِى كِتَٰبِ ٱللَّهِ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَىْءٍ عَلِيمٌۢ
আরবি উচ্চারণঃ
ওয়াল্লাযীনা আ-মানূমিম বা‘দুওয়া হা-জারূওয়া জা-হাদূমা‘আকুম ফাউলাইকা মিনকুম ওয়া ঊলুল আরহা-মি বা‘দুহুম আওলাউ ব্বিা‘দিন ফী কিতা-বিল্লা-হি ইন্নাল্লাহা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।
বাংলা অনুবাদঃ
আর যাহারা মহানবী (দ:)-এর হিজরতের পরবতী কালে ঈমান আনয়ন করিয়াছে এবং হিজরত করিয়াছে এবং তোমাদের সঙ্গে একত্রে জেহাদ করিয়াছে, বস্তুত: উহারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত; আর যাহারা (পরস্পর) আত্মীয় তাহারা (অনাত্মীয়দের তুলনায়) একে অন্যের (মীরাসের) অধিক হক্কদার আল্লাহর কিতাব (অর্থাৎ শরীঅতের বিধান) মতে; নিশ্চয় আল্লাহ্ তা“আলা প্রত্যেক বস্তুকে ভালভাবে জানেন।নিশ্চয়ই আল্লাহ যাবতীয় এ সকল বিষয়ে সক্ষম ও অবগত।

এতক্ষণ আমরা আপনাদের মাঝে আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল এর সকল আয়াত সমূহ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক উপকার পেয়েছেন। এরপরও আপনাদের যদি আরবি উচ্চারণ সহ সূরা আল আনফাল নিয়ে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার প্রশ্নের সমাধান দেওয়ার। আজকের মতো এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url