শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়
শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায় এ ধরনের প্রশ্ন অনেক শোনা যায়। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে শারীরিক অক্ষমতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? এ বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। এই আর্টিকেলে শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? এ বিষয়ে জানানো হবে।
আপনি যদি শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায় বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়
- শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়
- বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলো কি কি - বন্ধ্যাত্ব কেন হয়
- বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কী - পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা কি
- শারীরিক অক্ষমতায়ও রয়েছে আধুনিক স্থায়ী চিকিৎসা
- শেষ কথা
শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়
ছেলেদের ক্ষেত্রে সাধারণত অনেক সময় শারীরিক অক্ষমতা দেখা যায়। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতা কেন হচ্ছে এবং শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? এ বিষয়ে তাদের কোন ধারণা থাকে না যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে বিবাহিত পুরুষদের এ ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে তাই আজকের এই আর্টিকেলে শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? এ বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার জন্য বিশেষ কিছু ঘরোয়া উপায়
শারীরিক পরীক্ষাঃ আপনি যদি নিজের শারীরিক অক্ষমতা নির্ণয় করতে চান তাহলে আপনাকে শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। শারীরিক পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষা। যদি লিঙ্গে সংবেদনশীলতার অভাব থাকে তাহলে অনেক সময় আমাদের শারীরিক অক্ষমতা দেখা যায় তাই এ বিষয়টি প্রথমে নির্ণয় করতে হবে।
পুরুষের বয়সঃ সাধারণত শারীরিক অক্ষমতা নির্ণয় করতে হলে অবশ্যই বয়স সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। কারণ শারীরিক অক্ষমতার প্রধান কারণ হলো পুরুষের বয়স। এ ছাড়া পারিবারিক কোনো ইতিহাস থাকলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপঃ সাধারণত অনেক সময় পুরুষদের ক্ষেত্রেও উচ্চ রক্তচাপ এর সমস্যা থাকলে এ ধরনের শারীরিক অক্ষমতা প্রকাশ পায়। তাই আপনি যদি এটি নির্ণয় করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে দেখতে হবে যে আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে কিনা।
ডায়াবেটিসের সমস্যাঃ আমরা জানি যে ডায়াবেটিস এর সমস্যা হলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে শারীরিক অক্ষমতা অন্যতম একটি। তাই আপনি যদি শারীরিক অক্ষমতা নির্ণয় করতে চান তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা এ বিষয়টি নির্ণয় করে নিতে হবে।
অতিরিক্ত মানসিক চিন্তাঃ কেউ যদি অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকে সাধারণত তার ক্ষেত্রে শারীরিক অক্ষমতা প্রকাশ পায়। তাই আপনি যদি আপনার শারীরিক অক্ষমতা নির্ণয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি কোন দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন এ বিষয়টি আগে নির্ণয় করতে হবে। আশা করি শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? সে সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন।
বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলো কি কি - বন্ধ্যাত্ব কেন হয়
আমরা জানি যে বন্ধ্যাত্বের কারণে সন্তান ও জন্ম দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলো কি কি? এ সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না। তাই আপনি যদি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে পরশ অথবা মহিলার বন্ধ্যাত্ব কেন হয়? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।
নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলো কি কিঃ
১। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে হরমোন জনিত কারণে এই সমস্যা হতে পারে। যেমন অনেক নারীর ক্ষেত্রে থাইরয়েড হরমোন অথবা প্রোল্যাকটিন হরমোনের সমস্যা হলে বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২। পিসিও ওভারি এ সমস্যা নারীদের প্রতি মাসে যে ডিম্বাণু ওভারি থেকে নিশ্চিত হওয়ার কথা সাধারণত সেটি বাধা প্রাপ্ত হওয়ার ফলে হয়ে থাকে।
৩। অতিরিক্ত মানসিক চাপ অথবা বয়সের কারণে ডিম্বাণুর সংখ্যা অনেক কমে যেতে পারে সাধারণত সেই কারণে নারীদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়।
৪। এছাড়া বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া কিছু যৌনবাহিত রয়েছে যেগুলোর কারণে প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি হয়।
আরো পড়ুনঃ মুখের ব্রণ দূর হবে যে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলো কি কিঃ
১। পুরুষদের ক্ষেত্রে বীর্যের সমস্যা হলে সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণে শুক্রাণু উৎপাদন হতে বাধা প্রাপ্ত হয় যার ফলে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২। এছাড়া অকার্যকর এবং ত্রুটিযুক্ত শুক্রাণু অধিক হয়ে যাওয়ার ফলে পুরুষদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায় এছাড়া হরমোন জনিত কিছু সমস্যার কারণে ওই যে হতে পারে।
৩। অতিরিক্ত ধূমপান অথবা বিশেষ কিছু রোগ যেমন ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কী - পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা কি
সাধারণত বন্ধ্যাত্ব নিয়ে অনেক স্বামী স্ত্রীর সমস্যার মধ্যে রয়েছে। যার কারণে মানসিক অশান্তির মধ্যে বুকে থাকে সাধারণত তাই অনেকেই পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা কি? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাই। যদি স্বামী স্ত্রী একটু সতর্কভাবে তাদের জীবন যাপন পরিচালনা করে তাহলে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কী? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবে। তবুও আপনাদের সুবিধার্থে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা কি? সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
যখন কোন দম্পতির এক বছর ধরে বাচ্চা হচ্ছে না তখন তাদের দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেই দম্পত্তির বয়স যদি ৩০ এর বেশি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে এক বছর অপেক্ষা করা সাধারণত বিপদ আরও কাছে ডেকে আনার মত। সাধারণত বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করলে যদি না হয় সেক্ষেত্রে আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যে সকল দম্পতির সন্তানদেরিত হচ্ছে সাধারণত তাদেরকে উভয়কেই পরীক্ষা পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ এক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যার থাকলেও সন্তান না হতে পারে আবার নারীদের ক্ষেত্রেও সমস্যা থাকলে সন্তান হয় না। তাই আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারপরে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে।
- খাদ্য ভাস ঠিক রাখতে হবে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের ক্ষেত্রে এটি খেয়াল রাখতে হবে।
- অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা।
- বাইরের খাবার খাওয়া ত্যাগ করতে হবে এবং বাড়ির রান্না করা খাবার খেতে হবে।
- অবশ্যই স্বামী স্ত্রী উভয়কে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।
- শরীরের ওজন যেন অতিরিক্ত বৃদ্ধি না পায় এই বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন করতে হবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হচ্ছে কিনা? এ বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- যদি দম্পতির বয়স বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিয়ে নিতে হবে।
শারীরিক অক্ষমতায়ও রয়েছে আধুনিক স্থায়ী চিকিৎসা
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা শারীরিক অক্ষমতায় ভুগে থাকে সাধারণত তারা শারীরিক অক্ষমতায়ও রয়েছে আধুনিক স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাই আমরা ইতিমধ্যে উপরের আলোচনায় শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায় এ বিষয় সম্পর্কে জেনেছি। আপনি যদি সঠিক ভাবে আপনার জীবন পরিচালনা করেন তাহলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পুরুষের যৌন ক্ষমতা সাধারণত এক ধরনের মানসিক রোগ। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে এই সমস্যা হতে পারে। যেমন বর্তমানে বিভিন্ন রোগ মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এছাড়া আরো বিভিন্ন রোগ রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ রেমিটেন্স বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ উপায় - রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ব্যাংকের বিশেষ অবদান
যদি আপনি চিকিৎসা নিতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে বেশ কিছু ওষুধ পাওয়া যায় এর মধ্যে অন্যতম হলো PDE5-i যার অনেক বেশি কার্যকারিতা রয়েছে। কিন্তু অবশ্যই আপনাকে এই ওষুধগুলো খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। এছাড়া আপনি যদি এই ওষুধের কোন সুফল না পেয়ে থাকেন তাহলে প্রোস্ট্যাগ্লানডিন ই-১ এছাড়া ও পাপাভেরাইন ইন্ট্রাকেভারনাস ইনজেকশন পাওয়া যায়।
প্রথমে আপনাকে নির্ণয় করতে হবে আপনার এই সমস্যার কারণ কি। কারণ আপনি যদি এই রোগের কারণ নির্ণয় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এখান থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সাধারণত মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে এটি হতে পারে তাই আপনাকে মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। এছাড়া আরো বেশ কিছু রোগ রয়েছে যার কারণে এ সমস্যা হয়।
শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়ঃ শেষ কথা
শারীরিক অক্ষমতা কিভাবে নির্ণয় করা যায়? বন্ধ্যাত্বের কারণ গুলো কি কি? বন্ধ্যাত্ব কেন হয়? বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা কী? পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা কি? শারীরিক অক্ষমতায়ও রয়েছে আধুনিক স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।২৫৪২৭
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url