কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়
কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় এটি সম্পর্কে অনেকেরই সুস্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। আবার অনেকে কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সেটি জানতে চেয়ে থাকেন। বর্তমানে প্রায় সকলেই কিস্তিতে মোবাইল কেনার সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সে বিষয় নিয়েই আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।
বর্তমানে বিভিন্ন দোকান অথবা কোম্পানি তাদের সেবার মানকে চারিদিকে প্রচার করার জন্য কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনার সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু সকলের মনে প্রশ্ন যে কত দামের মোবাইল ফোন কিংবা কোন ধরনের মোবাইল ফোন কিস্তিতে কেনা যায়? সে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতেই আজ এই পোস্টে কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ে ফেলুন।
পোস্ট সূচিপত্র - কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় জেনে নিন
ভূমিকা: কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয়
বর্তমানে মোবাইল ফোন যেন সকলের প্রতি মুহুর্তের সঙ্গী। প্রতিটি কাজ করার জন্য এখন স্মার্টফোনের খুবই প্রয়োজন। কিন্তু মোবাইলের দাম অনেক বেশি হওয়ার কারণে অনেকে পছন্দের স্মার্টফোনটি কিনতে পারেন না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন শো-রুম অথবা প্রতিষ্ঠানের কিস্তি সুবিধার মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইল ফোন ক্রয়ের সুযোগ দিচ্ছে। কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন এই পোস্টের বাকি অংশে।
কিস্তিতে মোবাইল কেনার পূর্ব শর্ত
লোকাল মার্কেট থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনার জন্য আপনার কিছু পূর্বশর্ত থাকতে হবে। চলুন লোকাল মার্কেট থেকে কিস্তিতে মোবাইল কিনার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ ২০২৩
- দুইজন গ্যারান্টোর অর্থাৎ যে আপনার ফোন কেনার জন্য সাক্ষী হিসেবে থাকবে
- গ্যারান্টোর ও আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- গ্যারান্টোর ও আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- গ্যারান্টোর ও আপনার উপার্জন কাজের প্রমাণপত্র
- কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মোবাইল কেনার ফরম
কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়?
আপনারা নিশ্চয়ই কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সেটি জানার জন্য এই পোস্টটিতে প্রবেশ করেছেন। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। কিস্তিতে আপনি যেকোনো দামের মোবাইল কিনতে পারবেন। বাটন ফোন কিস্তিতে না কেনাই উত্তম। তবে আপনি স্মার্ট ফোন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে অন্তত ৫০ হাজার টাকার পর্যন্ত কিস্তিতে কিনতে পারবেন। মোবাইলের দামের উপর ভিত্তি করে কিস্তি প্রদানের হারও বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
কিস্তিতে এ সকল ফোন কেনার জন্য আপনাকে ফোন কেনার সময় ২০% থেকে ৬০% মূল্য দোকান ভেদে পরিশোধ করতে হবে। আপনি যদি একেবারে ৬০% মূল্য পরিশোধ করেন তবে প্রতি মাসে অনেক অল্প পরিমাণে কিস্তি দিতে হবে। আর এ সকল কিস্তির মেয়াদ সাধারণত ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানি অতিরিক্ত টাকা নেয় কিনা সেটা আপনার খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় তা বুঝতে পেরেছেন।
অনলাইনে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে করণীয়
আপনি যদি বাসায় বসে অনলাইনে অর্ডার করে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে পারেন তবে সেটি কতই না ভালো হয় তাই না? যে কথা সেই কাজ আপনি এখন ঘরে বসে অনলাইনে কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয়ের সুবিধা পাবেন। অনলাইনে মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে কোন ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় না শুধু আপনার মাস্টার কার্ড বা ডেবিট কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট সেখানে যুক্ত করে দিবেন যাতে তারা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কিস্তি অনুযায়ী কেটে নিতে পারে।
আরও পড়ুন: টেকনো মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস 2023
বাংলাদেশের বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে আপনি খুব সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে কিস্তিতে মোবাইল ফোন অনলাইনে ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়াও গ্রামীণফোন সেন্টার, রবি শপ এবং ওয়ালটনের ওয়ালকার্ট থেকে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কিস্তিতে আপনার শখের মোবাইল ফোনটি কিনে নিতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রচারণার জন্য অনলাইনেও কিস্তি সুবিধা দিয়ে থাকে। সুতরাং কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সে বিষয়টি এখন পুরোপুরিভাবে জেনে ফেললেন।
শেষ কথা: কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনার পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কি কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে পুরোপুরিভাবে অবগত হলেন। আপনি যদি আপনার পরিচিতজনকে কিস্তিতে কি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় সেটি জানাতে চান তবে এখনই এই পোস্টটি শেয়ার করে ফেলুন। কিস্তিতে মোবাইল ক্রয় সংক্রান্ত আরো নিত্য নতুন বিভিন্ন আপডেটেড পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। অতএব, কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয় সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও আপনারা পোস্টটি থেকে পেয়ে গেলেন। @23891
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url