বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

যারা নতুন বিবাহ করেছে অথবা করার চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের সাধারণত বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে অবশ্যই আমাদেরকে এই সকল দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করতে হবে। তাই এই আর্টিকেলে আপনাদের সুবিধার্থে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করণীয় - বাসর রাতে কি কি করণীয়

অনেকেই নতুন বিবাহ করে বাসর রাতে কি কি করণীয় রয়েছে এগুলো সম্পর্কে না জেনে থাকার কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। আপনি যদি সদ্য বিবাহ দম্পত্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। এতে করে এই দায়িত্ব এবং কর্তব্য গুলো পালন করা খুব সহজ হয়ে যাবে।

আমরা জানি যে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করণীয় আছে। সাধারণত একজন প্রকৃত স্বামী এবং স্ত্রী হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করণীয় গুলো জেনে রাখা উচিত। আপনারা যেন বিব্রতিকর পরিস্থিতির মধ্যে না পারেন সাধারণত তাই বাসর রাতে কি কি করণীয় আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে আজ।

আরো পড়ুনঃ বিয়ে করার উত্তম সময় কোনটি

বিয়ে হল একটি পবিত্র বন্ধন। বিয়ে করার পরে বাসর রাত হয় একজন স্বামী স্ত্রীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতে স্বামী স্ত্রী একটি মধুর সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ রাতের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এখন একজন স্বামী এবং স্ত্রী হিসেবে এ রাতে কি করনীয় অর্থাৎ কি করবেন এ বিষয়গুলো জেনে নিন।

১। দুইজন দুজনকে গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে পারেন। এতে করে দুজনের প্রতি দুজনার ভালোবাসা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

২। দুইজন ভালোভাবে একে অপরের সাথে কথা বলুন এবং মহান আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করুন এবং নিজেদের মাঝে বোঝাপড়াটা যেন ভাল হয় এ বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

৩। এরপরে কথায় কথায় হানিমুনে কোথায় যাবেন এ বিষয়টি বাসর রাতেই ঠিক করে রাখুন। এক্ষেত্রে দুজনের মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে। যার জায়গাটি বেশি ভালো হবে অর্থাৎ কেউ যদি মক্কা মদিনা অর্থাৎ ওমরা করতে চাই তাহলে করতে পারে।

৪। কোন ভুলের জন্য এক অপরকে কখনোই তিরস্কার করবেন না অর্থাৎ এ রাতে নিজেকে বড় করার জন্য কখনোই অন্যকে ছোট করবেন না।

৫। এই রাতে একে অপরের আত্মীয়-স্বজনকে কখনোই ছোট করবেন না অর্থাৎ গালিগালাজ করবেন না অথবা অপমান করবেন না। এতে করে অন্যজনের মনে কষ্ট হতে পারে।

৬। যেহেতু এই ধরনের রাত দুজনের জীবনের প্রথমবারের মতো এসেছে তাই এই রাত্রিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কিছু অন্যরকম করুন।

৭। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন চান এবং কখন বাচ্চা নিতে চান এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা করুন। যদি মোহরানা বাকি থাকে তাহলে সেটি দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিবেন।

৮। সারারাত বসে গল্প করা অথবা নিজের জীবন সম্পর্কে তাকে বলা এবং তার জীবন কাহিনী সম্পর্কে জানতে চাওয়া।

৯। গল্পগুলো গুজব করার পরে আস্তে আস্তে সহবাস করা। স্ত্রীগণ স্বামীকে বোঝাতে চেষ্টা করবে যে এ সহবাস তাদের জীবনের প্রথম এবং স্বামী তার স্ত্রীকে সুখী করার চেষ্টা করবে।

১০। সাধারণত বাসর রাতে একে অপরের প্রতি নিজেদের বোঝাপড়াটা ভালোভাবে ঠিক করে নিতে হবে। কারণ অনেক সময় বোঝাপড়া ঠিক না হলে সংসার ভেঙে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।

আরো পড়ুনঃ কোন ধরনের ছেলেদের মেয়েরা বেশি পছন্দ করে

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর নামাজ ও দোয়া

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অজানা থাকার কারণে সাধারণত নামাজ এবং দোয়া করার বিষয়টি সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না। কিন্তু আমরা অনেকেই শুনে থাকি যে বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর নামাজ ও দোয়া করতে হয়। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ মনে করে থাকে এ বিষয়টি যে স্বামী স্ত্রী উভয়কেই নামাজ আদায় করতে হয়। চলুন বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর নামাজ ও দোয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আমরা সকলেই জানি যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সক্ষম ব্যক্তির উপর বিয়ে করা আবশ্যক। কিন্তু আপনি যদি মনে করে থাকেন যে বিয়ের পর প্রথম সাক্ষাৎ অর্থাৎ বাসর রাতে নামাজ পড়া আবশ্যক তাহলে এই ধারণাটি ভুল। কেউ যদি মনে করে নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করে তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু করবে তাহলে এটি প্রশংসনীয় কাজ। এতে আল্লাহতালা খুশি হবে নিঃসন্দেহে।

তবে এক্ষেত্রে ইসলামিক দিক বিবেচনা করলে বিয়ের পরে প্রথম সাক্ষাৎ অর্থাৎ বাসর রাতে উত্তম একটি আমল হল একে অপরের জন্য দোয়া করা। হাদেশে নির্দেশ করা হয়েছে স্বামী তার স্ত্রীর কপালে হাত রেখে দোয়া করবে। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বর্ণনায় পরস্পরের জন্য একটি দোয়া পড়ার কথা বলা হয়েছে।

আরবি উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বা-রিক লি ফি আহলি ওয়া বা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাঝ্‌মা’ বাইনানা মা জামাতা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। {আদাবুয যিফাফ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক}

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভাল একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর।

বাসর রাতে স্বামীকে খুশি করার উপায়

অনেক নারী আছে যারা বাসর রাতে স্বামীকে খুশি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। সাধারণত প্রতিটি স্ত্রী তার স্বামীকে খুশি করতে চাই এবং স্বামী তার স্ত্রীকে খুশি করতে চাই। বিশেষ করে আপনি যদি বাসর রাতে আপনার স্বামীকে খুশি করতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে বাসর রাতে স্বামীকে খুশি করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আরো পড়ুনঃ বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী মোটা হয়ে যায় কেন

বাসর রাত প্রতিটি নারীর জীবনে একবার আসে। সাধারণত এই রাত্রি কোন নারী অথবা পুরুষ ভুলে যেতে চাই না। যদি আপনি এই রাতটি সারা জীবন মনে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বেশ কিছু কার্যক্রম করতে হবে আপনার স্বামীকে খুশি করার জন্য। যদি আপনি আপনার স্বামীকে এ রাতে খুশি করে দিতে পারেন তাহলে সারা জীবন আপনার স্বামী খুশি থাকবে।

১। স্বামীর সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং স্বামীর জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাওয়া।

২। স্বামী কষ্ট পায় এরকম কথা না বলা। সম্ভব স্বামীর সাথে ভালো ভাষায় এবং নম্র ভদ্র হয়ে কথা বলা।

৩। যদি স্বামী আপনাকে কোন গিফট দিয়ে থাকে তাহলে খুশি মনে সেটি নিয়ে নেওয়া এবং তার শুকরিয়া আদায় করা।

৪। আপনার স্বামী কোন জিনিসগুলো পছন্দ করে এবং কোন জিনিসগুলো পছন্দ করে না এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া।

৫। সহবাস করার সময় এমনভাবে যৌন মিলন করা যেন স্বামী আপনার উপরে খুশি হয়ে যাই এবং আপনার স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করার যে এটি আপনার জীবনের প্রথম সহবাস।

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে যদি সঠিকভাবে এর দায়িত্ব গুলো পালন করা যায় তাহলে সারা জীবন স্বামী এবং স্ত্রী সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করবে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী বেশ কিছু দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই একজন নতুন দম্পত্তির অবশ্যই বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য জেনে রাখা উচিত।

১। স্বামী-স্ত্রীর বাসর রাতে দায়িত্ব হল একে অপরের জন্য দোয়া করা। যেন তারা সঠিকভাবে এবং ভালোভাবে থাকতে পারে সাধারণত এই দোয়া আল্লাহ তায়ালার কাছে করা।

২। দোয়া করার পরে একে অপরকে দুধ অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা।

৩। পরস্পরের সাথে ভালোভাবে পরিচিত হওয়া। নিজের সম্পর্কে সবকিছু বলা এবং অপরের সম্পর্কে সবকিছু জানা।

৪। এরপরে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসাপূর্ণ কথাবার্তা বলা। মনের ভেতরে সকল প্রকারের সংকোচ ভীতি ভয় হতাশা কাটিয়ে ভালোভাবে গল্প করা।

৫। ভালোবাসা পূর্ণ পরিবেশে কিছুক্ষণ নিজেদের সময় কাটানো এবং যতটা সময় পাওয়া যায় শুধু ভালোবাসা পূর্ণ কথাবার্তা বলা।

বাসর রাতে স্ত্রীকে খুশি করার উপায় - বাসর রাতে ছেলেদের করণীয়

আমরা ইতিমধ্যেই বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জেনেছি। নতুন দম্পত্তি দের অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ যদি বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যায় তাহলে স্বামী এবং স্ত্রীকে খুশি করা খুব সহজ হয়ে যায়। অনেক স্বামী আছে যারা বাসর রাতে স্বামীকে খুশি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই।

স্ত্রীকে খুশি করার জন্য বাসর রাতে ছেলেদের করণীয় রয়েছে। আপনি যদি এই করণীয় গুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার স্ত্রী খুশি হবে। তাই বিয়ে করার আগে বাসর রাতে ছেলেদের করণীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত।

বাসর রাতে স্বামীকে খুশি করার উপায়ঃ

১। সাধারণত মেয়েরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। তাই বাসর ঘরে ঢুকে প্রথমে স্ত্রীর অনেক প্রশংসা করা যেন সে খুশি হয়ে যায়।

২। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে স্ত্রীর জন্য যা কল্যাণকর সেই দুয়াগুলো করা।

৩। স্ত্রী যদি খুশি মনে কোন কিছু দেয় তাহলে সেটিকে গ্রহণ করা অথবা স্ত্রীর জন্য ভালো কোন উপহার নিয়ে যাওয়া যেন সে দেখে খুশি হয়ে যায়।

৪। স্ত্রীর পছন্দ এবং অপছন্দগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জানতে চাওয়া যেন পরে অপছন্দের কাজ করে স্ত্রী কষ্ট না পায়।

৫। স্ত্রীর সাথে হাসিমুখে কথা বলা। এমন কোন কথা না বলা যেটাতে স্ত্রী কষ্ট পাই। বিশেষ করে তাকে এবং তার পরিবার পরিজনের কাউকে গালিগালাজ অথবা খারাপ কথা না বলা।

৬। সহবাস করার সময় অবশ্যই স্ত্রীকে খুশি করার চেষ্টা করা। স্ত্রী যেভাবে বলে সেভাবে সহবাস করার চেষ্টা করা কিন্তু হারাম ভাবে নয়।

বাসর রাতে স্ত্রীর জন্য দোয়া

প্রতিটি স্বামীর দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে বাসর রাতে স্ত্রীর জন্য দোয়া করা। কারণ বিয়ে হল একটি পবিত্র বন্ধন এবং এ পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আল্লাহতালার কাছে স্ত্রীর জন্য দোয়া করা অতীব ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিটি স্বামীর বাসর রাতে স্ত্রীর জন্য দোয়া সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। যদি বাসর রাতে স্ত্রীর জন্য দোয়া করা হয় তাহলে স্ত্রীগণ খুশি হয়ে যায়।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, "তোমাদের কেউ যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে।" উক্ত দোয়াটি হলঃ

আরবিঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا، وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا، وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আলাইহি, ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আরবিঃ اَللَّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللَّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ وَ فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বারিকলি ফি আহলি ওয়া বারিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাজমায়া বাইনানা মা জামাআতা বিখইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইযা ফাররক্বতা ইলা খইর।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের জন্য আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভালো একত্রিত করেছো তা আমাদের জন্য একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের জন্য বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর। {তাবারানী, মুজামুল কাবীরঃ ৮৯০০, মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ৭৫৪৭}

আরবিঃ ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ، ﻭَﺟَﻨِّﺐْ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ

উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বোয়ানা ওয়া জান্নিশ শাইত্বোয়ানা মা রজাক্বতান।

বাংলা অর্থঃ আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান হতে রক্ষা করুন এবং আমাদের যদি কোন সন্তান দান করেন তাকেও শয়তান হতে রক্ষা করুন। {সহিহ বুখারী শরীফঃ সহিহ মুসলিম শরীফঃ ১৪৩৪}

বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়

অনেক দম্পতি বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। সাধারণত নতুন বিয়ে করে বেশিরভাগ দম্পতি বাচ্চা নিতে চাই না কিন্তু অনেকেই আছে ছোট বাচ্চা অনেক পছন্দ করে থাকে যার ফলে তারা বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়? এ বিষয়গুলো জানতে চেয়ে সহজেই এবং তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিতে চাই।

যদি আপনি বাচ্চা নিতে চান তাহলে অবশ্যই স্বামী এবং স্ত্রীর দুজনের মতামত থাকা লাগবে। কারণ দুজনের মতামতে স্বামীর শুক্রাণু স্ত্রীর ডিম্বাণুতে প্রবেশ করার মাধ্যমে বাচ্চা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যেহেতু বাচ্চা না নেওয়ার অনেকগুলোই পদ্ধতির রয়েছে সেহেতু আপনি যদি বাচ্চা নিতে চান তাহলে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সংসার সুখী হতে হলে ছেলে ও মেয়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য

যেমন মেয়েরা বাচ্চা না নেওয়ার জন্য পিল খেয়ে থাকে প্রতিদিন। ছেলেরা প্রটেকশন ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনি যদি বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে স্বামী এবং স্ত্রী দুজনকে একসাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী যৌন মিলন করতে হবে। যৌন মিলন করার পরে ছেলেদের বীর্য সরাসরি মেয়েদের যৌনাঙ্গের ভেতরে ফেলতে হবে। আল্লাহ যদি চায় তাহলে বাচ্চা হবে।

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ উপসংহার

বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর করণীয়, বাসর রাতে কি কি করণীয়, বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর নামাজ ও দোয়া, বাসর রাতে স্বামীকে খুশি করার উপায়, বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য, বাসর রাতে স্ত্রীকে খুশি করার উপায়, বাসর রাতে ছেলেদের করণীয়, বাসর রাতে স্ত্রীর জন্য দোয়া, বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি যদি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত না হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিস্তারিত জেনে নিন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url