চলতি বছর ২০২৩ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির চরম পর্যায়ে বাংলাদেশ

বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের দাম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সবকিছু কেনার নাগালের বাইরে চলে গেছে মানুষের। এ ধরনের দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির পিছনে কাজ করছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। দিন যত যাচ্ছে মানুষের জীবন যাপন আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়ছে। এসব কিছুকে টেক্কা দিয়ে মানুষ এমনভাবে মূল্যের দাম নির্ধারণ করছে যেগুলো মানুষের কেনার ক্ষমতার বাইরে। তাই চলুন আজকে আমরা চলতি বছর ২০২৩ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির চরম পর্যায়ে বাংলাদেশ এ নিয়ে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা করবো।
ছবি
আজকের এই আর্টিকেলটি আপনারা যদি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে আপনারা এই সকল সমস্যা থেকে কিভাবে নিস্তার পাওয়া যাবে বা এর উপায় কি হতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বলতে কী বোঝায়

সাধারণ ভাষায় কোন কিছুর দাম যখন অতিরিক্ত ভাবে যখন বেড়ে যায় এবং সেটি কেনার জন্য মানুষের ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন তাকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি খুব সাধারণ একটি জিনিস। কোন কিছু হলেই যে কোন কিছুর দাম নিজেরা ইচ্ছামত দান নির্ধারণ করে দেয়।

কি কি বিষয়বস্তুর ওপর বিবেচনা করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয়

কি কি বিষয়বস্তুর উপর বিবেচনা করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয় এ বিষয়ে বলা খুবই মুশকিল। কিন্তু বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যদি বলা হয়ে থাকে তাহলে বলা যায় যে যেকোনো ধরনের কোন কিছু নিয়ে একটি মোটিভ পেলেই তখন ওই জিনিসের দাম হুট করে দোকানদারেরা নিজেরাই বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও কিছু কিছু সাধারণ দোকানদারেরাও আছে দাম বাড়ার ফলে তাদের কিছুই করার থাকে না কারণ তখন এটি উপর থেকে নির্দেশ আসে যে এই দামে বিক্রয় করা লাগবে। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিন যেমন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছামত দ্রব্যমূল্যের দাম চরমভাবে বাড়িয়ে দেয়।

কি কি পণ্যের উর্ধ্বগতি চরম পর্যায়ে

কি কি পণ্যের উর্ধ্বগতি চরম পর্যায়ে এ ধরনের কথা বলা আর না বলাটা সমান বিষয়। কারণ আজ বাংলাদেশে এমন কোন পণ্য নাই যেটা দাম কম রয়েছে। আগে সামান্য মাত্র ফটোকপি করা হতো ১ টাকা দিয়ে। এখন তার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা। কিছুদিন আগে ডিম ছিল ৪০ টাকা হালি করে। এখন তার দাম বেড়ে হয়েছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা করে। মাছ-মাংসের বাজারে গেলে পুরাই আগুন। বিশেষ এক ধরনের সিন্ডিকেট এর সব কিছু দাম নিজেরাই ইচ্ছামত বসিয়ে দিচ্ছে। যেকোনো ধরনের শাকসবজি থেকে শুরু করে সবকিছু কেনা এখন নাগালের বাইরে হয়ে গেছে। ২০২৩ জুন জুলাইয়ের দিকে একটি সিলিন্ডারের দাম ছিল যেখানে ৯০০ টাকা করে সেখানে এখন বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫০ টাকা। অর্থাৎ নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের পণ্যের দামই  দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বাংলাদেশে।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি থেকে পরিত্রাণের উপায়

দিন যত যাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রমেই বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে বক্তাদের উপর চরমভাবে চাপের সৃষ্টি করছে। এটি সকল মানুষের জীবনের মূল ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। আগে যেখানে টিসিবি থেকে অনেক কম দামে সাধ্যের মধ্যে পণ্য পাওয়া যেত এখন সেদিন দিন আর নেই। যেকোনো মূল্যের দাম এমন বাড়ানো হয়েছে যে মানুষ বাজারে যেতে এখন ভয় করে। এসব মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের নিজেকে সচেতন হতে হবে। অর্থাৎ কোন কিছু কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কেনা লাগবে। বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা যেভাবে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে এটা করা মোটেও ঠিক না। এজন্য আমরা যদি নিজে থেকে সচেতন না হই তাহলে কোনদিনও এর থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব নয়। আপনাদের সকলের জন্য বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে কোন জায়গায় যেখান থেকেই হোক না কেন যদি দ্রব্যমূল্যে চরম উদগতি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই আপনারা ভোক্তা অধিকারকে জানিয়ে দিন। এতে করে একটু হলেও আস্তে আস্তে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো সহজ হবে।
কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী যত বাড়তেছে ডাবের দাম তত পরিমাণে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। এমনও আছে একটি ডাব ২০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে সাধারণ জনগণকে। বাংলাদেশের যে কোন জেলাতেই বলেন না কেন এ ধরনের সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত চলে আসছে। কিন্তু আমরা সাধারণ জনগণদের মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই এ ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে আমাদের নিজেকেই বেরিয়ে আসতে হবে। তাই আসুন আপনারা যখনই কোন কিছুর দান ঊর্ধ্বগতি দেখবেন অথবা দোকানদার বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতেছে তখন আপনারা নির্দিষ্ট জেলা পর্যায়ে ভোক্তা অধিকারের নাম্বার অথবা ১৬১২১ এ কল করে নিজ দায়িত্বে জানিয়ে দেবেন। একজন একজন করে হলেও এ পদক্ষেপ নিলে একসময় এসব ঊর্ধ্বগতি নির্মূল করা সম্ভব হবে।

সারাংশ

আমরা নিজে সচেতন হব অন্যকে সচেতন করব। চলতি বছর ২০২৩ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির চরম পর্যায়ে বাংলাদেশ ঠিকই পৌঁছেছে। কিন্তু আমাদের মনোবল তো হারাই নাই। আমরা এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ করব। সকলে যদি আমরা সতর্ক থাকি তাহলে ব্যবসায়ীরা কখনোই ঠকাতে পারবে না। আর বিশেষ প্রয়োজনে যখন নিজে না পারবো তখন অবশ্যই ভোক্তা অধিকার দের আশ্রয় নিব। মনে রাখবেন আপনার একটু সচেতনতা মানুষের জীবনে উন্নয়ন বয়ে আনতে পারে।
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।আশা করা যায় আজকে এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। এরপরও আপনাদের মনে যদি এ বিষয়ে কোন রকম কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের নির্দিষ্ট সমাধান দেওয়ার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url