স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম
অনেক পুরুষ স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম খুঁজে থাকে। বিশেষ করে যে সকল দম্পতির নতুন বিয়ে হয়েছে সাধারণত সকল পুরুষ স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম জানতে চায়। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ স্ত্রীদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় সহবাস করা ইসলামের নিষিদ্ধ।
আপনি যদি স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন। তাহলে চলুন দেরি না করে স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম
- মাসিকের সময় সহবাস করলে কি হয়
- মাসিকের সময় সহবাস করলে কি বাচ্চা হয়
- মাসিকের সময় সহবাস ইসলাম কি বলে
- স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম
- মাসিকের সময় সহবাস করলে কি সমস্যা হয়
- মাসিকের সময় সহবাসের উপকারিতা
- মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে কি
- শেষ কথা
মাসিকের সময় সহবাস করলে কি হয়
আমাদের মধ্যে অনেক নারী-পুরুষ রয়েছে যারা মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত হয়। আপনি যদি ইসলামিক দিক থেকে এ বিষয়টি লক্ষ্য করেন তাহলে এটি সম্পূর্ণরূপে হারাম একটি কাজ। তবুও অনেকেই আছে যারা মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় সহবাস করে থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মাসিকের সময় সহবাস করলে কি হয়? এ বিষয় সম্পর্কে জানা। চলুন আপনাদের জানার সুবিধার্থে মাসিকের সময় সহবাস করলে কি হয়? বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ হায়েজ অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত শোনা যাবে কি
- স্বাভাবিকের চাইতে ব্যথা বেশি লাগে
- বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
- যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকে না
- রক্তাক্ত হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে বেশি
স্বাভাবিকের চাইতে ব্যথা বেশি লাগেঃ আমরা জানি যে মেয়েদের মাসিক হলে পেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করে। এই ব্যথা আস্তে আস্তে পেট থেকে নিচের দিকে নামতে থাকে। যদি এই ব্যথা সহ্য করার অবস্থায় থাকে তাহলে চিকিৎসকরা এদিকে স্বাভাবিক হিসেবে নিয়ে থাকি কিন্তু যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হয় তাহলে এটি স্বাভাবিক নয়। তাই এই সময় যদি সহবাস করা হয় তাহলে আরও বেশি পরিমাণে ব্যথা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকেঃ অনেক দম্পত্তি রয়েছে যারা বাচ্চা নেওয়ার ভয়ে পিরিয়ডের সময় যৌন মিলন থেকে বেশি দূরে থাকেন। অনেকে মনে করে থাকে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় যদি কোন ধরনের প্রোটেকশন ছাড়া যৌন মিলন করা যায় তাহলে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু এই ধারণাটি কিছুটা ভুল। কারণ মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় গর্ভধারণ করার সম্ভাবনা কম থাকে।
যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকে নাঃ মেয়েদের পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায় অর্থাৎ হরমোনের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে এই সময়। আবার এই সময় মেয়েদের পেট ব্যথা সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে যার ফলে মেয়েদের অন্যদিকে মন কম থাকে বিশেষ করে যৌন চাহিদা এই সময় তুলনামূলক কম থাকে। তাই মেয়েদের পিরিয়ডের সময় যৌন আকাঙ্ক্ষা কম থাকে।
রক্তাক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশিঃ আমরা জানি যে ভিডিওটির সময় মেয়েদের যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হয়ে থাকে। যার কারণে অনেক মেয়ে আছে যারা কাপড় ব্যবহার করে থাকে আবার অনেক মেয়ে বর্তমানে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করে। আপনি যদি এই সময় স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হন তাহলে আরো বেশি রক্তাক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
মাসিকের সময় সহবাস করলে কি বাচ্চা হয়
মাসিকের সময় সহবাস করলে কি বাচ্চা হয়? এ ধরনের প্রশ্ন অনেক দম্পত্তি করে থাকে। বিশেষ করে যারা নতুন বিবাহ করেছে সাধারণত তারা অনেক সময় নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে মাসিক অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত হয়। আবার অনেকেই স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই। তবে আপনি যদি ভুল করেও এই কাজটি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে মাসিকের সময় সহবাস করলে কি বাচ্চা হয়? এ বিষয়টি জেনে নেওয়া উচিত।
অনেকেই মনে করে থাকে মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু আপনারা যারা এই ভাবনাটির মধ্যে রয়েছেন আপনাদের ভাবনা কিছুটা ভুল। আপনি যদি পিরিয়ডের সময় কোন ধরনের প্রটেকশন ছাড়া যৌন মিলন করে থাকেন তাহলে অন্যান্য সময় চাইতে এই সময় নারী গর্ভধারণ করা সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আপনারা যারা মনে করেন পিরিয়ডের সময় যৌন মিলন করলে বাচ্চা হয় এটি কিছুটা ভুল ধারণা।
মাসিকের সময় সহবাস ইসলাম কি বলে - মাসিকের সময় সহবাস করা কি জায়েজ
আমরা যারা ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষ রয়েছে সাধারণত আমরা আল্লাহ তাআলার দেওয়ার নিয়ম অনুযায়ী চলতে চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি জিনিসের একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম দিয়েছেন। ঠিক তেমন সহবাস করারও কিছু সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে সময়গুলোতে সহবাস করা উচিত নয়। এখন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে মাসিকের সময় সহবাস ইসলাম কি বলে? ইসলাম এটিকে সম্পূর্ণরূপে হারাম বলে থাকে।
এখন আপনি যদি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে মাসিকের সময় সহবাস করা কি জায়েজ? এই প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেবেন। কারণ আমরা মানুষ আমাদের চলার পথে বিভিন্ন ভুল হয়ে থাকে যদি আপনি এই তথ্যগুলো না জানেন অর্থাৎ মাসিকের সময় সহবাস ইসলাম কি বলে? এ বিষয়গুলো না জানা থাকলে অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হবেন।
নারীদের মাসিকের সময় স্ত্রী সহবাস কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তায়ালা এই ব্যাপারে বলেন, "তারা আপনাকে মাসিক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে আপনি বলুন, উহা অসুচি। সুতরাং মাসিকের সময় তোমরা স্ত্রীদের থেকে দূরে থাকো এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটে যেও না।" {সূরা বাকারাঃ ২২২}
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, "সহবাস ব্যতীত তোমরা তাদের সাথে সবকিছুই কর।" অর্থাৎ মাসিকের সময় সহবাস করা কঠিন পাপ এটা আমাদের প্রিয় নবী কঠোর ভাবে বলে গিয়েছেন। তিনি সহবাস ছাড়া অন্য যে সকল কাজ করা যায় সেগুলো করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন ঋতুবর্তী সাথে মিলিত হয় কিংবা কোন মহিলার পশ্চাৎধারে সঙ্গম করে অথবা কোন গণকের নিকট যাই নিশ্চয়ই সে মোহাম্মদ সাঃ এর ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার সাথে কুফরি করে।
তাহলে উপরের হাদিস এবং কুরআনে আল্লাহ তায়ালার বক্তব্য অনুযায়ী জানতে পারলাম যে নারীদের মাসিক অবস্থায় সহবাস করা সম্পূর্ণ হারাম একটি কাজ। অর্থাৎ যারা মাসিকের সময় সহবাস করা কি জায়েজ? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে তাদের ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত যে এটি সম্পূর্ণ হারাম জায়েজ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।
মাসিকের সময় সহবাস করার নিয়ম - স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম
ইতিমধ্যে মেয়েদের মাসিক এবং সহবাস সম্পর্কে অনেকগুলো তথ্য জেনেছি। যেহেতু মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় সহবাস করা যাবে না সেহেতু স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত এতে করে আমরা আমাদের শারীরিক চাহিদা কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারব। এখন আপনারা যারা মাসিকের সময় সহবাস করার নিয়ম জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ সহবাসের পর গোসল ছাড়া দৈনন্দিন কাজ শুরু করা যাবে
কোরআন এবং হাদিসের আলোকে আমরা জানতে পেরেছি যে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় যৌন মিলন করা সম্পূর্ণ হারাম একটি কাজ। এই হারাম কাজে যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি লিপ্ত হয় জানার পরেও তাহলে তাকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। যেহেতু আমরা জানতে পেরেছি যে মাসিক অবস্থায় সহবাস করা যাবে না তাই আমাদেরকে বিকল্প নিয়মে সহবাস করতে হবে।
কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অবস্থায় তাদের সাথে সহবাস ব্যতীত অন্য যে সকল কার্যকলাপ করা যাবে সেগুলো করতে বলেছে। স্ত্রীদের মাসিক অবস্থায় সহবাস না করে তাদেরকে আদর করা যায়। তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়। তাদেরকে কাছে টেনে চুম্বন করা যায় তাদের শরীরের যে জায়গাগুলো পুরুষ মানুষের পছন্দের সেই জায়গাগুলোতে হাত দেওয়া যায়।
যদি স্বামী অতিরিক্ত পরিমাণে উত্তেজিত হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রী তার হাতের মাধ্যমে স্বামীর লিঙ্গ দ্বারা বীর্যপাত করিয়া স্বামীকে যৌন আনন্দ দিতে পারে। এতে করে কিছুটা হলেও স্বামীর উত্তেজনা কমবে এবং আরাম পাবে। এই কাজ করার পূর্বে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কে আলিঙ্গন অর্থাৎ চুম্বন করতে পারে নিজেদের মধ্যে যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে নিতে পারে।
এছাড়া মাসিকের সময় বিকল্প পদ্ধতিতে আরো একটি ভাবে সহবাস করা যায়। পুরুষদের উত্তেজিত লিঙ্গ স্ত্রীদের উরুতে ধর্ষণের মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটিয়ে স্বামীর যৌন চাহিদা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়। যেহেতু সম্পূর্ণরূপে সহবাস করা যাবে না সেহেতু এ বিকল্প পদ্ধতি অনুযায়ী একজন স্বামী স্ত্রী সহবাস করে নিতে পারে। আশা করি মাসিকের সময় সহবাস করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
মাসিকের সময় সহবাস করলে কি সমস্যা হয়
আমরা ইতিমধ্যেই মাসিকের সময় সহবাস করলে কি হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মাসিক হলো প্রতিটি নারীর একটি প্রাকৃতিক চলমান প্রক্রিয়া। যা নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময় দেখা যায়। এখনো অনেকেই মাসিকের সময় সহবাস করে থাকে কিন্তু তারা মাসিকের সময় সহবাস করলে কি সমস্যা হয়? এ বিষয়গুলো জানে না।
- সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে
- প্রচন্ড পরিমাণে রক্তপাত হতে পারে
- ব্যথা বেড়ে যেতে পারে
- গন্ধ হয়ে যেতে পারে
সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকেঃ বিশেষজ্ঞদের মতে যদি মাসিক অবস্থায় যৌন মিলন করা যায় তাহলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। বিশেষ করে নারীদের শরীরে যে সকল রোগ আছে সে রোগ গুলো পুরুষদের শরীরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেহেতু এই সময় নারীরা অপবিত্র থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু তাদের রক্তের মাধ্যমে বের হয়ে যায় যার ফলে এ সময় লিঙ্গ নারীদের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করালে সংক্রমনের ঝুঁকি বেশি বেড়ে যায়।
প্রচন্ড পরিমাণে রক্তপাত হতে পারেঃ পিরিয়ডের সময় যদি সহবাস করা যায় তাহলে প্রচণ্ড পরিমাণে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা জানি যে মাসিক অবস্থায় নারীদের রক্তপাত হয়ে থাকে কিন্তু এই রক্তপাত অনেক সময় কমে যায় যদি হঠাৎ করেই সহবাস করা হয় এই সময় তাহলে রক্তপাত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ব্যথা বেড়ে যেতে পারেঃ আমরা জানি যে পিরিয়ডের সময় নারীদের পেটে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে। শুধু পেটে নয় অনেক নারীর ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব হয়। যদি এ সময় সহবাস করা যায় তাহলে এই ব্যথা আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে। তাই মাসিক অবস্থায় সহবাস করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গন্ধ হয়ে যেতে পারেঃ নারীদের শরীর থেকে খারাপ রক্ত মাসিক রূপে বেরিয়ে আসে। নারীদের মাসিকের রক্ত এমনিতেই প্রচন্ড পরিমাণে গন্ধ করে। যদি এই সময় সহবাস করা যায় তাহলে এই গন্ধ ছেলেদের লিঙ্গের মধ্যে চলে যায়। যার ফলে প্রচন্ড পরিমাণে একটি বিকট গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই এই সময় যদি সহবাস করা যায় তাহলে গন্ধ আরো বেড়ে যেতে পারে।
মাসিকের সময় সহবাসের উপকারিতা
আমাদের মধ্যে অনেক নারী পুরুষ রয়েছে যারা মাসিকের সময় সহবাসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই। আমরা ইতিমধ্যেই স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি। আপনি যদি ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে মাসিক অবস্থায় সহবাস করা সম্পূর্ণ হারাম একটি কাজ। কিন্তু অনেকেই মাসিকের সময় সহবাসের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাই।
মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে শরীরে ডোপামিনের মত হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে টেনশন মেজাজ এর পরিবর্তে পেট ব্যথা সহ মাথা ব্যথার মত সমস্যা গুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মাসিকের সময় মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ সময় নারীদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এগুলোর মধ্যে পেটব্যথা মাথাব্যথা অন্যতম।
যারা মনে করে মাসিকের সময় সহবাসের উপকারিতা রয়েছে তাদের জানিয়ে রাখি অপকারিতা চাইতে অপকারিতা বেশি। যদি মেয়েদের মাসিক অবস্থায় সহবাস করা যায় তাহলে ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। পেটব্যথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হতে পারে। তাই আপনাদের বলে রাখি যে মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে কোন উপকারিতা নেই এমনকি শারীরিক ক্ষতি বেশি।
মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে কি?
আমরা ইতিমধ্যেই মাসিক অবস্থায় সহবাস নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা করেছি। আপনি যদি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জানা উচিত যে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা এবং আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মাসিক অবস্থায় সহবাস করার আগে সম্পূর্ণ নিষেধ ঘোষণা করেছেন। তাই আপনারা যারা মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে কি? এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন তারা সতর্ক থাকুন।
আরো পড়ুনঃ সেক্স বৃদ্ধি করার জন্য কি কি খাবেন
আপনি যদি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিকে খেয়াল করেন তাহলেও মাসিক অবস্থায় সহবাস করলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে ছেলেমেয়ে উভয়ের। তাই মাসিক অবস্থায় কখনোই সহবাস করা উচিত নয়। মাসিক অবস্থায় যদি সহবাস করা হয় তাহলে ছেলেদের বিভিন্ন রোগে সংক্রমণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া মেয়েদের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়মঃ শেষ কথা
মাসিকের সময় সহবাস করলে কি হয়? মাসিকের সময় সহবাস করলে কি বাচ্চা হয়? মাসিকের সময় সহবাস ইসলাম কি বলে? মাসিকের সময় সহবাস করা কি জায়েজ? মাসিকের সময় সহবাস করার নিয়ম, স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম, মাসিকের সময় সহবাস করলে কি সমস্যা হয়? মাসিকের সময় সহবাসের উপকারিতা, মাসিকের সময় সহবাস করা যাবে কি? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি আপনি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়।২৫৪২৭
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url