লেবু খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু নামটা এসেছে সংস্কৃত ভাষা শব্দ নিম্বু থেকে। লেবু যতটা আমরা সহজ ভাবে চিনি আসলে এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের ঠিক সেরকমটা ধারণা নেই বললেই চলে। আকার আকৃতি এবং স্বাদ এর দিক থেকে লেবুর ধরন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কোন কোন লেবু ভীষণ টক আবার কোন কোন লেবু ভীষণ মিষ্টি আর কোন কোন লেবু তুলনামূলকভাবে কম টক মিষ্টি হয়ে থাকে। আমরা যদি লেবু খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে আপনারা বিভিন্ন রোগবালাই থেকে শুরু করে অনেক উপকার পাবেন। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলটি লেবু খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে কথা বলবো।
ছবি
তাই চলুন আমরা লেবু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি বর্ণনা প্রথমে জেনে নিই। সাধারণভাবে টক জাতীয় বা সাইট্রাস জাতীয় ফল বলা হয় এই লেবুকে।

পেজ সূচিপত্রঃ লেবু খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবুর প্রজাতি

বাংলাদেশের সকল জেলার মধ্যে সিলেটে পাওয়া যায় ৮০ প্রজাতির লেবু। সাধারণভাবে লেবুর প্রজাতি নিয়ে বলতে গেলে বলে শেষ করা যাবে না। লেবুর প্রজাতি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। এরমধ্যে কয়েকটি প্রধান প্রজাতি হল পাতি লেবু,কাগজি লেবু ,এলাচি লেবু, বাতাবি লেবু, সরবতি লেবু, কমলালেবু, মালটা লেবু ইত্যাদি। এ সকল প্রজাতির লেবু খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা ও বিভিন্ন ধরনের। এ সকল লেবুগুলোর মধ্যে কমলালেবু সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় জন্মায় এবং বাকিগুলো সমভূমিতে জন্মাতে পারে।এই সবগুলোর প্রজাতির মধ্যে যদি বিশেষভাবে প্রধান একটি জাতের কথা বলতে হয় তাহলে সবার প্রথমে থাকবে কাগজি । কারণ এই কাগজি লেবু খাবার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না এর পুষ্টিগুণাগুণ অনেক।

লেবু খাবার উপকারিতা

  1. অরুচি ও পেট ফাঁপা রোধঃ কাগজি লেবু এর কথা জানেনা এমন লোক হয়তো বা খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিল। কোন কিছু খেতে পারতেছে না বা মুখের ভিতর খাবার অরুচি চলে এসেছে। তাহলে সে ক্ষেত্রে এই কাগজি লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সামান্য পরিমাণ ভাতের সাথে মিশিয়ে বা যেকোনো কিছু সাথে মিশিয়ে খেলে কিছুক্ষণের ভিতরে অরুচি ভাব দূর হয়ে যায়। আর যদি পেট ফাঁপা থাকে এমন অবস্থায় এক গ্লাস পানি এর সাথে সামান্য পরিমাণ চিনি ও একটি লেবু মিশিয়ে খেলে নিমিষে কিছুক্ষণের মধ্যে পেট ফাঁপা রোদ হয়ে যায়। অর্থাৎ বলা যায় যে অরুচি ও পেট ফাঁপা রোধ এর ক্ষেত্রে লেবু খাবার উপকারিতা অপরিহার্য।
  2. কৃমি রোগঃ ছোট শিশুদের সাধারণত কৃমি রোগ বেশি হয়ে থাকে। এই কৃমি রোগের ক্ষেত্রে লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ সময় বাচ্চাদের বেশি বেশি করে লেবুর রস খাওয়াতে হবে। নিয়মিত এই লেবুর রস খাওয়ালে কিছুদিনের মধ্যেই কৃমি রোগ দূর হয়ে যায়।
  3. ক্লান্তি রোধঃ দিনশেষে বিভিন্ন পরিশ্রমের ফলে শরীরে ক্লান্তি অনুভব হয়। এই সময় লেবু পানিতে মিশিয়ে খেলে সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
  4. হাঁচি সর্দি কাশিঃ সাধারণভাবে এজমা বা হাঁপানি হলে কাশিও দ্রুত বাড়তে থাকে। এ সময় অনেক সর্দি হয় এবং নাক বন্ধ হয়ে যায়। এরূপ ঘটনার ক্ষেত্রে কাগজি লেবু বিভিন্ন উপকার দিয়ে থাকে। লেবুকে হালকা গরম দিয়ে লবণ মিশ্রণ করতে হবে। এবং সে গরম রস জিভের উপর ছড়াতে হবে। কিছুদিন এভাবে করলে দেখবেন নিমিষে আপনার হাঁচি সর্দি কাশি ভালো হয়ে গেছে।
  5. অধিক জ্বরের ক্ষেত্রেঃ মানুষের শরীরে যখন তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থাকে তখন এমনিতেই মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এ সময় শরীর খুব মেজ মেজ করে খিদা কম লাগে কাজে মন বসে না। এরকম অবস্থায় ওষুধ বন্ধ করে লেবু চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন সকাল ও বিচার লেবুর রস খাওয়াতে হবে টক বেশি লাগলে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
  6. খুশকি দূরীকরণঃ মাথার ভিতরে খুশকি দূরে করনের ক্ষেত্রে লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একটি লেবুকে তিন চারগুণ পরিমাণ গরম পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে এর রস চুলের গোড়ায় ভালোভাবে দিয়ে দিতে হবে। এভাবে তিন চার দিন দিতে থাকলে দেখবেন যে আপনার মাথায় খুশকি একদম দূর হয়ে গেছে। অর্থাৎ বলা যায় খুব খুশকি দূর করতে এটি অতি দ্রুত কার্যকরী হিসেবে কাজ করে।
  7. কোষ্ঠকাঠিন্যঃ সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য একটি লেবু এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কিছুদিনের মধ্যে দেখা যাবে যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেছে।
  8. দাদ রোগঃ বিভিন্ন ধরনের দাদ চিকিৎসায় ডাক্তাররা লেবুর পরামর্শ দিয়ে থাকে। একটি লেবুকে কেটে দাদ এর উপর ঘষতে হবে। এভাবে দুই থেকে তিনবার এটি চালিয়ে যেতে হবে। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার দাদ রোগ ভালো হয়ে গিয়েছে।
  9. ভিটামিন সিঃ লেবু একটি উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি ধারণ করে, যা আপনার শরীরের মজুদ অক্সিডেশন প্রক্রিয়াগুলি মিটানো, স্কুলডার রোগ প্রতিরোধ করা, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করা এবং ইমিউনিটি সিস্টেমকে সাহায্য করা সহায়ক।
  10. এনটিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যঃ লেবু এনটিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরকে মুক্তি দেয় অক্সিডেশন এবং ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেগুলি নির্মূল করার জন্য।
  11. হৃদয় স্বাস্থ্যঃ লেবু যে তেজ স্রবণ এবং আন্তস্থলের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে সেটি মাধ্যমে হৃদয়ের স্বাস্থ্যকে উন্নত করা যেতে পারে।
  12. পাচনে সাহায্যঃ লেবুতে অবশ্যই এসিড রয়েছে যা পাচনা সম্পর্কিত সমস্যার সাথে সাথে সাহায্য করতে পারে।
  13. ওজন নিয়ন্ত্রণঃ লেবু খাবার মাঝে বিশেষভাবে ওজন  নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি নিম্ন সেস্তা ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার ধারণ করে।
  14. মসৃণ ত্বকঃ লেবু অধিকাংশই সম্পৃক্ত ভিটামিন সির কারণে একটি মসৃণ এবং প্রাকৃতিক ত্বক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করতে পারে।
  15. হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিঃ ভিটামিন সি সংবহন তন্ত্রের রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি এবং রক্তচাপ কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে একটি লেবুর রসের প্রায় ১৮.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর পরিমাণ দৈনিক ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম।
  16. হজমের ক্ষেত্রেঃ খালি পেটে এক গ্লাস লেবু পানি পান করলে হজম শক্তি বাড়ে। এতে যেমন হজম শক্তি বাড়ে অন্য দিকে শরীর সতেজ রাখে।
  17. কিডনিতে পাথর প্রতিরোধেঃ লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক এসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট তৈরি করে এটি কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  18. ডিহাইড্রেশন দূরীকরণঃ অতিরিক্ত পরিমাণ ক্লান্তি মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা থাকলে স্টোক পর্যন্ত হতে পারে। এ সময় ঠান্ডা পানিতে লেবু মিশিয়ে পান করলে সবকিছু দূর হয়ে যায়। এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা লাগে।
  19. ত্বকের  যত্নঃ ভিটামিন সি শরীরের কোলাজেল তৈরি করতে সাহায্য করে। যা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।
  20. বিশেষ সতর্কতাঃ দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যাওয়ার রোগে যারা ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লেবু পানি পান করবেন।

লেবু খাবার অপকারিতা

সাধারণত লেবু অপকারিতা থেকে উপকারিতায় বেশি। বিশেষ কিছু কারণ বসত সাধারণত কিছু অপকারিতা দেখা গিয়ে থাকে। লেবু খাবার অপকারিতার যদি বলতেই হয় তাহলে প্রথমে চলে আসে দাঁতের এনামেল ক্ষয়। অর্থাৎ লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণ লেবু খাওয়ার ফলে এই সাইট্রিক এসিড দাঁতের এনামেলকে ক্রয় করে দেয়। তবে কেউ যদি দিনে দুবার করে লেবু খায় তাহলে সে নিয়মিত দুই থেকে তিনবার যদি ব্রাশ করে নেই তাহলে আর কোন সমস্যা দেখা দেয় না দাঁতের। অন্যদিকে লেবুতে যেহেতু সাইট্রিক এসিড আছে।কেউ যদি বারবার লেবু মুখে মাখতে থাকে তখন অনেক সময় দেখা যায় যে মুখে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি বের হয়। তাই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বজায় রেখে লেবু মাখতে হবে। আমরা সবাই জানি লেবু খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ লেবু পান করলে লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড শরীরের জন্য একসময় ক্ষতিকর হিসেবে রূপ নেই। তাই প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমান লেবু না খেয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় লেবু পানি পান করা দরকার। অতিরিক্ত পরিমাণ লেবু পানি পান করলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ এতই বেড়ে যায় যে রক্তে তখন অতিরিক্ত পরিমাণ আয়রন সংরক্ষণ করে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আমরা এতক্ষন ধরে যে সকল লেবু খাবার অপকারিতা গুলো দেখলাম তাতে দেখা যায় যে প্রত্যেকটি অপকারিতার ই একটি করে নির্দিষ্ট সমাধান রয়েছে। অর্থাৎ আমরা যদি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত বজায় রেখে লেবু পান করি তাহলে দেখা যায় যে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয় কোন অপকারিতা ই থাকবে না।

লেবু নিয়ে বিশেষ আলোচনা

আমরা জানি এখনো আপনাদের মনে লেবু নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন লুকিয়ে আছে। আমরা আজকে এই টপিকটি এমনভাবে সাজিয়েছি যাতে আপনার সর্বোচ্চ পরিমাণ উপকারে আসে। তাই আমরা আজকে এই টপিকের মধ্যে আপনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর এর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করছি। যার ফলে আপনারা সবাই লেবু নিয়ে সকল ভুল ভ্রান্তি দূর করে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত পাবেন। অর্থাৎ আপনাদের সকল প্রশ্ন এবং উত্তর এর সমাধান আজকের এই টপিকের মধ্যে আমরা দিয়ে দেব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আপনাদের জন্য একটি বিশেষ প্রশ্ন-উত্তর পর্ব শুরু করা যাক।

বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্ব সমূহ

১) কিডনি সমস্যা থাকলে কি লেবু খাওয়া যাবে?
উত্তরঃ হাঁ খাওয়া যাবে।
২) কাপড়ে লেবু দিয়ে ঘষলে কি যেকোনো দাগ দূর হয়ে যায়?
উত্তরঃ জি হাঁ।
৩) লেবুর খোসা কি আসলেই পিঁপড়া দূর করতে সাহায্য করে?
উত্তরঃ হাঁ।
৪) লেবু কি মশার উপদ্রব কমায়?
উত্তরঃ হাঁ লেবু মশার উপদ্রব কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৫) বেশি লেবু খাওয়া কি ভালো?
উত্তরঃ জি না একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বজায় রেখে খাওয়া উচিত।
৬) লেবু কি দাঁতের ক্ষতি করে?
উত্তরঃ হাঁ অতিরিক্ত পরিমাণ লেবু পান করলে দাঁতের ক্ষতি হবে।
৭) লেবু কি দুশ্চিন্তা এবং রক্তচাপ কমায়?
উত্তরঃ হাঁ লেবু খেলে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৮) অনেকে বলে লিভার সুস্থ এবং হজম ঠিক রাখতে লেবু নাকি কাজ করে এটা কি আসলেই ঠিক?
উত্তরঃ হাঁ কথাটি সম্পূর্ণ সত্য।
৯) ক্যান্সার প্রতিরোধে কি লেবু সহায়তা করে?
উত্তরঃ ক্যান্সার প্রতিরোধ উপকারিতা সীমাহীন।
১০) বাথটাব পরিষ্কার করা কি লেবু দিয়ে সম্ভব?
উত্তরঃ জি করা সম্ভব।
১১) ফ্রিজের ভিতরের গন্ধ দূর করতে কি লেবু কার্যকর?
উত্তরঃ হাঁ দুটি লেবুর খোসা ফ্রিজে রেখে দিলে ফ্রিজের ভিতরের সকল গন্ধ চলে যায়।
১২) সিরামিক এবং থালা-বাসন পরিষ্কার করতে কতটা কার্যকরী লেবু?
উত্তরঃ লেবু দিয়ে যেকোন সিরামিক ও থালা বাসন পরিষ্কার করলে সকল দাগ দূর হয়ে যায়।
১৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে কি লেবু সহায়তা করে?
উত্তরঃ হাঁ সকালে উঠে কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট ধ্বংস করে দেয়।
১৪) লেবু কি হজম শক্তি বাড়ায়?
উত্তরঃ হাঁ লেবু হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
১৫) লেবু কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়?
উত্তরঃ হাঁ লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
১৬) লেবুতে কতটুকু ভিটামিন সি রয়েছে?
উত্তরঃ ১০০ গ্রাম লেবুতে ভিটামিন সি আছে ৬৩ মিলিগ্রাম।
১৭) লেবু কি মাইগ্রেন এ সাহায্য করে?
উত্তরঃ জি হাঁ লেবুর পাতার মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট চাপ কমিয়ে মাইগ্রেনের সমস্যা কে প্রতিরোধ করে।
১৮) গলাব্যথায় বা টনসিলে লেবু কতটুকু কার্যকরী?
উত্তরঃ লেবুর রস এ আছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী এক অনন্য বৈশিষ্ট্য যার ফলে গলা ব্যথা, মুখের ঘা এবং টনসিল এর সংক্রম রোধে সাহায্য করে।
১৯) লেবু কি মানসিক চাপ কমায়?
 উত্তরঃ লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি যা মানুষের দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২০) শরীরের কালচে ভাব দূর করতে লেবু কি কার্যকারী?
উত্তরঃ জি হাঁ অনেক সময় আমাদের ঘাড় গলায় বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ পড়ে যায়। সেসব জায়গায় লেবু দিয়ে ঘষে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সে স্থান ধুয়ে মধু মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে পুনরায় ধুয়ে নিলে কালচে ভাব দূর হয়ে যায়।

শেষ কথা

আজকে আপনাদের মাঝে লেবু খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা পুষ্টিগণাগুণ এবং বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্ব সমূহ থেকে শুরু করে যেসব বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আশা করা যায় যে লেবু নিয়ে আপনাদের সকল ধারণা অনেক সুন্দর ভাবে ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এরপরও যদি আপনাদের মাঝে যদি কোন রকম কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানান। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনার সমস্যাটি সমাধান করার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url