কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন - বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিটকয়েন একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা, এই মুদ্রা সংরক্ষণের জন্য একটি একাউন্ট খুলতে হয়। কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম আমাদের জানতে হবে। কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন, এই আর্টিকেলে সে বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব যাতে করে কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম, আপনারা সহজে বুজতে পারেন। 
কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন - বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম
এবং কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন? সে বিষয়ে আপনাদের যাতে কোন জানার কমতি না থাকে। তাহলে চলুন আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করি, যে কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন - বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন

কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলটি ভালোভাবে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এখানে কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন এবং বিটকয়েন কিভাবে রিসিভ ও সেন্ড করবেন সে বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব, আশা করি আপনি উপকৃত হবেন। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বিটকয়েন একটি ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টো কারেন্সি এটি ব্যবহার ও সংরক্ষণ করার জন্য ওয়ালেট ব্যবহার করা হয়। 

যেমন- কয়েন বেস, ফাসেট পে, বিনায়েন্স ইত্যাদি। আজকে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কয়েন বেস এ কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম। এখানে একটা বিষয় আপনাকে বলি যে, বিটকয়েন হচ্ছে কারেন্সি আর কয়েন বেস হচ্ছে ওয়ালেট। বিটকয়েনের কোন নির্দিষ্ট একাউন্ট নেই ওয়ালেট ব্যবহার করেই বিটকয়েন সংরক্ষণ করতে হয়। আপনি যদি অধিক পরিমাণ বিটকয়েন সংরক্ষণ করতে চান বা রিসিভ ও সেন্ড করতে চান সে ক্ষেত্রে কয়েন বেস ভালো।
আর যদি ছোট ছোট লেনদেন করতে চান সে ক্ষেত্রে ফাসেট পে ওয়ালেট টি ভালো। ফাসেট পে তে, একটি কারেন্সি আরেকটি কারেন্সিতে এক্সচেঞ্জ করা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের কারেন্সিতে পাওয়া ছোট ছোট পেমেন্ট গুলো, একটি কারেন্সিতে রূপান্তরিত করা যায়। এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে কয়েন বেসে, কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন ও বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম জানাবো।

বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিটকয়েন অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম, কয়েন বেসে কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। আপনি প্রথমে কয়েন বেস ডট কম ওয়েবসাইটে যাবেন, তারপরে আপনার সামনে একটি ইন্টার ফেজ আসবে, ইন্টার ফেজটির নিচের দিকে Get started এ ক্লিক করুন, এবার আপনার সামনে একটি ফর্ম আসবে, এ ফার্মে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফর্মটি পুরন করুন। 
এবং Create এ ক্লিক করুন, আপনার কয়েন বেসে একাউন্ট হয়ে গেছে। এবার আপনার একাউন্টে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠাবে, আপনার ইমেইল চেক করলে লিংকটি পেয়ে যাবেন, লিংকটিতে ক্লিক করে একাউন্টটি এক্টিভেট করুন। এখন হয়তো আপনি নিশ্চয়ই পরিষ্কার ভাবে বুজতে পারছেন কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম।

বিটকয়েন একাউন্ট কিভাবে লগইন করবেন

বিটকয়েন একাউন্ট কিভাবে লগইন করবেন, আপনার একাউন্ট চালু হওয়ার পরে, আপনাকে একটি পেজে নিয়ে যাবে, সেখানে অনেক গুলো স্ক্রিপ্টো কারেন্সির নাম দেওয়া থাকবে, যেমন-বিটকয়েন, ইথিরিয়াম, লাইট কয়েন ইত্যাদি। আপনি যে বিটকয়েন অপশনটি দেখছেন সেটি আপনার বিটকয়েন একাউন্ট এখানে ক্লিক করলে আপনি আপনার বিটকয়েন এড্রেস পেয়ে যাবেন, এবং যে কোন জায়গা থেকে আপনি বিটকয়েন রিসিভ করতে এবং সেন্ড করতে পারবেন। 

তাছাড়া আপনি ইচ্ছে করলে ইমেল এর মাধ্যমেও বিটকয়েন রিসিভ করতে পারবেন। যে ইমেল দিয়ে বিটকয়েন একাউন্ট ওপেন করেছেন, সেই ইমেইল নাম্বারটি, যে পাঠাতে চাই তাকে দিলে সে খুব সহজেই ও ইমেলে বিটকয়েন পাঠাতে পারবে। আবার কাউকে বিটকয়েন পাঠাতে চাইলে সেন্ড এ ক্লিক করুন, এবং যে পরিমাণ বিটকয়েন পাঠাতে চান সেই পরিমাণ বিটকয়েন টাইপ করুন। 

যে ঠিকানায় পাঠাতে চান সে ঠিকানা পেস্ট করে পাঠিয়ে দিন। নিচের দিকে Scrol করলে Transition history দেখতে পাবেন, কি পরিমান বিটকয়েন সেন্ড বা রিসিভ করছেন, কখন করেছেন, কোন এড্রেসে সেন্ড বা রিসিভ করেছেন, সবকিছু তথ্য আপনি এখানে পাবেন। বিটকয়েন একাউন্ট কিভাবে লগইন করবেন ও একাউন্টটি ব্যবহার করবেন তা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো। আশা করি উপকৃত হয়েছেন।

বিটকয়েন থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন

বিটকয়েন থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন? যেহেতু বিটকয়েন ক্রিপ্টো কারেন্সি জগতে অনেক দামি তাই এখান থেকে উপার্জন করা অনেক কঠিন। তাই বিটকয়েন থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন? তিনটি পদ্ধতিতে এখান থেকে ইনকাম করা যেতে পারে যেমন- টাকা দিয়ে বিটকয়েন কিনে তা রেখে দিয়ে, যখন দাম বাড়বে তখন তা বিক্রি করে ইনকাম করা যায়। 
আবার আপনি কোন পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে, বিটকয়েন পেমেন্ট নিয়ে তা আপনার অনলাইন ওয়ালেটে জমিয়ে রেখে, দাম বাড়লে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি উচ্চ গতির কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে মাইনিং করে ইনকাম করতে পারেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয় বুজতে পেরেছেন বিটকয়েন দিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় এবং কিভাবে বিটকয়েন দিয়ে ইনকাম করবেন।

উপসংহার

পরিশেষে এ কথাই বলব যে, আমাদের কষ্টে উপার্জিত অর্থ যেখানে বিনিয়োগ করেন না কেন, খুব ভেবে চিন্তে বিনিয়োগ করতে হবে। এই আর্টিকেলের মধ্যে কিভাবে বিটকয়েন একাউন্ট খুলবেন বা বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করলাম। আশা করি আপনি বুজতে পেরেছন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে এবং সঠিক তথ্য যদি পেয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url