ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে

আপনি কি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে তা বিস্তারিত জানানো হবে। তাই ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ছবি
নিচে আপনাদের জন্য একাধিক বিয়ে করা কি জায়েজ, বিয়ে পড়ানোর নিয়ম এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে তা জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে  

একাধিক বিয়ে করা কি জায়েজ

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে একাধিক বিয়ে করা কি জায়েজ এ সম্পর্কে অনেকেই এখনো জানেন না। আজকে আপনাদের জানানো হবে যে একাধিক বিয়ে করা কি জায়েজ আছে কি না, এটা অবশ্যই জানা জরুরী। ইসলামের শরীয়তের ভাষায় পুরুষের একাধিক বিবাহের সুযোগ রয়েছে। অবশ্যই এক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে। বিনা শর্তে কেউ একাধিক বিয়ে করতে পারবেনা। পুরুষ যদি একের অধিক বিয়ে করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই সকল স্ত্রীর ভরণ পোষণ, আবাসন এবং শয্যাপনের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)- (সুরা - নিসা, আয়াত -৩)। তাই কোন পুরুষের যদি মনে হয় সে তার একাধিক স্ত্রীকে সমান অধিকার দিতে পারবে এবং সকলের প্রতি সুবিচার করতে পারবে তাহলে সে একাধিক বিয়ে করতে পারবে তাতে কোন বাধা নেই।

বিয়ে পড়ানোর নিয়ম

বিয়ে পড়ানোর নিয়ম হচ্ছে বিয়ে অবশ্যই ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক এবং সুন্নাহ অনুযায়ী পড়ানো উচিত। বিয়ে পড়ানোর আগে দুটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বিয়ের প্রতি রাজি কিনা। কেননা সংসার করবে তারা দুজন। সুতরাং তাদের মতামত অধিক গুরুত্বপূর্ণ।মেয়ের আমাকে মেয়ের অভিভাবক তাকে কখনোই জোর করে বিয়ে দিতে পারবে না। মেয়ের মত আছে সেটা বুঝতে হবে মেয়ের চুপ থাকা।
তারপর যিনি বিবাহের খুতবা পড়াবেন তিনি খুতবা পাঠ শেষ করবেন। তারপর তিনি বা কন্যার অভিভাবক বরের কাছে মেয়ের পরিচয় এবং মোহরানার পরিমাণ উল্লেখ করে বিবাহের প্রস্তাব করবেন।এটাকে ইসলামের ভাষায় বলা হয় ইজাব। তারপরে অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে। মেয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া অবশ্যই জরুরী। কেননা অনুমতি ছাড়া বিবাহ হবে না।

তারপর ভরা সবাই যিনি বিবাহ করাবেন তিনি উচ্চস্বরে বলবেন অমুকের মেয়ে অমুককে এত টাকা মোহরানায় আপনার কাছে বিবাহ দিলাম বলেন কবুল। তারপর ছেলেটি তিনবার উচ্চস্বরে কবুল বলে আলহামদুলিল্লাহ পড়বে। শুধু ছেলে না বরং মেয়েও স্বাক্ষীগনের সামনে (অন্তত ২ জন সাক্ষী) এভাবেই পড়বে। তারপরে উপস্থিত সকলেই বিয়ের সুন্নতি দোয়া পাঠ করবে - "বা-রাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বা-রাকা আলাইকা, ওয়া জামাআ বায়নাকুমা ফী খায়ের।" এভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে। 

ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে

আমাদের সমাজে দেখা যায় যে অনেক পুরুষই একাধিক বিয়ে করে থাকে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে এ বিষয়টি প্রতিটি নারী এবং পুরুষকে জানাই উচিত।ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলা যায় তাহলে একটি পুরুষ তার প্রয়োজন অনুযায়ী একের অধিক সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত বিয়ে করে রাখতে পারবে। তবে এখানে শর্ত রয়েছে। শর্ত হচ্ছে একের অধিক বিয়ে করার পূর্বে আপনাকে ভাবতে হবে যে আপনি প্রতিটি স্ত্রীকে সমান অধিকার দিতে পারবেন কিনা এবং আপনার স্ত্রী আপনাকে বিবাহের অধিকার দিবে কি না।
কোন পুরুষ যদি তার স্ত্রীর থেকে অনুমতি নিতে পারে এবং একের বেশি যে কয়টি বিয়ে করবে তাদের প্রতি সমান অধিকার এবং সুবিচার করতে পারে তাহলে সে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবে। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে তারাও একের অধিক বিয়ে করতে পারবে তবে একবারে দুটো স্বামীর ঘর করতে পারবেনা। এক্ষেত্রে সে যদি একজনকে তালাক দিয়ে অন্যজনকে বিয়ে করে তাহলে সেটি করতে পারবে।

বিয়ে হওয়ার দোয়া

জন্ম মৃত্যু এবং বিয়ে এসব কিছু আল্লাহর হাতে। একজন মানুষের কখন বিয়ে হবে কখন মৃত্যু হবে এবং কখন জন্ম হবে সেটা শুধুমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। তাই আল্লাহকে রাজি খুশি করাতে পারলে দ্রুত বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোরআন শরীফ থেকে প্রতিদিন সূরা দোহা, সূরা ইয়াসিন এবং সূরা আহযাব ইত্যাদি সূরাগুলো বেশি বেশি পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কালিমা পড়ে বিয়ের নিয়ম

কালেমা পড়ে বিয়ের নিয়ম আসলে নেই। ইদানিং দেখা যায় যে ছেলেমেয়েরা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কালিমা পড়ে বিয়ে করে নেই। আবার দেখা যায় যে সাক্ষী থাকেনা অথচ অনেক হুজুরই কালিমা পড়ে বিয়ে দিয়ে দেয়। এই ধরনের নিয়ম গুলো আসলে ঠিক না। বিয়ে করানোর নির্দিষ্ট খুতবা রয়েছে এবং দোয়া রয়েছে সেগুলো পরিয়ে বিয়ে করাতে হবে। 

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মুসলিম কয়টি বিয়ে করতে পারবে ছাড়াও জানতে পেরেছেন কালিমা পড়ে বিয়ের নিয়ম, বিয়ে হওয়ার দোয়া ইত্যাদি অনেক বিষয় সম্পর্কে। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, তাই এধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url