শহরে ব্যবসা - শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ছোট ব্যবসা

শহরে ব্যবসা কি? আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা অনেকেই চাই ব্যবসা করতে। আপনি কি জানেন শহরে ব্যবসা করতে হয় কিভাবে? আজ আমরা জানবো শহরে ব্যবসা সম্পর্কে এবং সেই সাথে জানব শহরে ব্যবসা গুলোকে কাজে লাগিয়ে আমরা কিভাবে ইনকাম করতে পারি।


শহরে ব্যবসা -  শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ছোট ব্যবসা
সকল কাজের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। শহরে ব্যবসা করার জন্য প্রথমে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ করলে সেটা সঠিকভাবে সম্পূর্ণ না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ শহরে ব্যবসা - শহরে ব্যবসা আইডিয়া - শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা

শহরে ব্যবসা আইডিয়া কি?

বর্তমান সময়ে এমন কিছু কিছু ব্যবসা আছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। আমরা যারা শহরে বসবাস করি তারা অল্প মুনাফা এবং অল্প সময়ের মধ্যে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। শহরে ব্যবসা এর মাধ্যমে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। শহরে এখন নানা ধরনের ছোট ছোট ব্যবসা গড়ে উঠেছে।

প্রত্যেকটা কাজ বা ব্যবসার জন্য প্রয়োজন পরে আইডিয়ার। শহরে ব্যবসা সম্পর্কে আইডিয়া আমরা বিভিন্ন ভাবে পেয়ে থাকি। এই আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসার উন্নতি করা সম্ভব। আইডিয়া ছাড়া কোন কাজ শুরু করলে সেটা ফলশ্রুত নাও হতে পারে।

৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৪০টি শহরে ব্যবসার আইডিয়া

১. কাঁচ সামগ্রী বিক্রি ব্যবসাঃ আধুনিকতার এই যুগে বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক জিনিসপত্র রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে কাঁচ সামগ্রী। কম বেশি আমাদের সকলের বাসায় এই কাঁচের সামগ্রী গুলো রয়েছে। বর্তমান সময়ে কাঁচ শিল্পকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কাঁচের এই সামগ্রী গুলো বর্তমান সময়ে বেশ চড়া মুনাফা অর্জন করতে সাহায্য করছে। কম মুনাফা দিয়েও এই ব্যবসা শুরু করা যায়। এই ব্যবসায় লস হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। তাই আপনি চাইলে কম মুনাফা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

২. ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ব্যবসাঃ ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং এমন এক ধরনের ব্যবস্, যেখানে নতুন নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের পর ভেতরটা কি ধরনের ডিজাইন হবে সেই বিষয়টা নিয়ে কাজ করা হয়। ইন্টেরিয়র ডিজাইন এর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাড়ি নয় পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অফিস, আদালত অভ্যন্তরের ডিজাইনের কাজ করে থাকে। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পন্ন করে থাকে।

এ ব্যবসার কারণে আমরা আর্থিক দিক থেকে আগের থেকে অনেক সচ্ছল হচ্ছি। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন মুনাফার প্রয়োজন পড়ে না। কাজ জানা থাকলে আপনি এটা খুব সহজে করতে পারেন।

৩. ফুড কার্ট ব্যবসাঃ অন্যান্য ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা হচ্ছে ফুড কার্ট ব্যবসা। বর্তমান সময়ে এর চাহিদা অনেক বেশি। ফুট কার্টে বেশি চাহিদা সম্পন্ন খাবার হচ্ছে বার্গার, কোল্ড কফি, হট কফি, চিপস, চটপটি, ফুচকা, ফলের জুস ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার তৈরি করার অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি করা শিখে নিতে হবে। তারপর কাজটি আপনি শুরু করতে পারবেন।

৪. বুটিকস পোশাক ব্যবসাঃ ছোট শহর গুলোতে প্রাথমিকভাবে কেনাকাটা করার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বড় বড় শপিং মলে তাদের কেনাকাটা করা একেবারে অসম্ভব ব্যাপার হয়ে পড়েছে। তাই এই অভাবকে সামনে রেখে তাদের কথা চিন্তা করে শহরে ছোট ধরনের বুটিকস পোশাকের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

প্রাপ্ত বয়স্ক থেকে শুরু করে সকল ধরনের বয়সীদের পোশাক পাওয়া যাবে এমন ধরনের একটি পোশাক খাতে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক রাখতে পারলে এবং গুণগত সেবা প্রদান করতে পারলে খুব সহজে আপনি জনপ্রিয়তা লাভ করবেন।

৫. হোম সার্ভিস ব্যবসাঃ হোম সার্ভিস ব্যবসার কথা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এই ব্যবসা বেশ লাভজনক। হোম সার্ভিস ব্যবসা চাইলেই যে কেউ শুরু করতে পারে। কোন সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার আগে প্রথমে কি ধরনের সার্ভিস সমূহ প্রদান করবেন তার একটি তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। তালিকা অনুযায়ী ভিজিটিং কার্ড তৈরি করতে হবে।

এরপর প্রত্যেকটি জায়গায় আপনার ভিজিটিং কার্ড বিলি করতে হবে। ভিজিটিং কার্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী ছবিও যোগ করতে পারেন, এতে মানুষের বুঝতে সুবিধা হবে আপনি ঠিক কোন বিষয়ে সার্ভিসটি দিতে চাচ্ছেন।

৬. ফাস্ট ফুড ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে ছোট আকারের একটি ফাস্ট ফুডের দোকান করে ব্যবসা করতে পারলে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফাস্ট ফুড ব্যবসা করতে চাইলে আবাসিক এলাকার আশেপাশে দোকান এর ব্যবস্থা করতে হবে। ফাস্ট ফুডে চিকেন ফ্রাই, চিকেন পিজ্জা, ভেজিটেবল রোল, ভেজিটেবল পিজ্জা, চিকেন রোল ইত্যাদি খাবার গুলো রাখতে পারেন।

আশেপাশের পরিবেশ বুঝে সেখানে আরো কি কি ধরনের খাবার রাখা যায়, তার আইডিয়া করতে হবে। প্রয়োজনে দোকানের সামনে বা পাশে খাবারের একটি তালিকা রাখতে পারেন। এতে করে ক্রেতাদের কিনতে সুবিধা হবে।

৭. কসমেটিক দোকানের ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে কসমেটিকের ব্যবসা বেশ লাভজনক। এটি ছোট অথবা বড় পরিসর দুইভাবেই করা যায়। মার্কেটে দোকান নিয়েও কসমেটিকের দোকান করা যায়। যদি মুনাফা কম থাকে তবে সেক্ষেত্রে ছোট পরিসরে শুরু করা যেতে পারে। ছোট পরিসরে শুরু করলে অনেক সময় একটু পরিশ্রম হতে পারে তবে, দিনশেষে লাভটা মোটামুটি থাকে। এ ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে কিছু কসমেটিক এর ব্যবস্থা করতে হবে। কাস্টমার কি ধরনের কসমেটিক চাইছে, সেই অনুযায়ী দোকানে আপনাকে কসমেটিক রাখতে হবে।

৮. চশমা দোকানের ব্যবসাঃ যতগুলো লাভজনক ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে চশমার দোকানের ব্যবসা বেশ উল্লেখযোগ্য। চশমার দোকান করতে বেশি মুনাফার প্রয়োজন হয় না। তবে এই ব্যবসা করতে হলে জায়গা নির্বাচনের ব্যাপারে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বিশেষ করে যেখানে মানুষ শপিং করার জন্য যায়, সেই এলাকাতে দোকান দিতে হবে। চশমার দোকানে এক একটা চশমার মূল্য ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। সাধারণত চশমার দোকানে লেটেস্ট ব্রান্ডের চশমা গুলোর চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

৯. একুরিয়ামের ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে আমরা এখন সকলেই ঘর সাজাতে পছন্দ করি, ঘরকে ঠিক কিভাবে সাজানো হলে সুন্দর দেখাবে তার জন্য ঘরকে আমরা বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে সজ্জিত করে থাকে। ঘরকে সাজানোর জন্য একুরিয়াম এর চাহিদা বেশ ভালোই। তবে এই ব্যবসা করতে হবে সৌখিন এলাকাকে কেন্দ্র করে। যাদের আয় ভালো এবং ঘর সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে চাই, সেরকম এলাকায় এ ব্যবসা করতে হবে। তবে অনলাইন এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে যে কোন এলাকা থেকেই করা সম্ভব।

১০.লাইব্রেরির ব্যবসাঃ এখনো অনেকেই এমন আছেন যারা বই পড়তে ভালোবাসেন। বিভিন্ন লেখকদের বই প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই বই সরবরাহ করার চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে লাইব্রেরী ব্যবসা শুরু করলেও লাভবান হওয়া যেতে পারে। পাঠকরা ঠিক কি ধরনের বই পছন্দ করে সেদিকে নজর রেখে লাইব্রেরীতে বইয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

১১.পুরাতন ইলেকট্রিক মালামাল ক্রয়-বিক্রয়র ব্যবসাঃ সাধারণত প্রত্যেক ঘরে সংসারের কিছু কিছু জিনিস পুরাতন হয়ে যাওয়ার পর আরও একটা নতুন মডেলের জিনিসের প্রয়োজন অনুভব করে অনেকে। আর সেজন্য অনেকেই ঘরের পুরাতন ইলেকট্রিক কোনো সামগ্রী বিক্রি করে দিয়ে নতুন মডেলের জিনিস কিনে নিয়ে আসে। ইলেকট্রিক মালামালের মধ্যে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এগুলো বেশি পুরাতন হিসাবে ক্রয় - বিক্রয় হয়ে থাকে।

১২.ফুল চাষের ব্যবসাঃ ফুল চাষ আরও একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে যদিও ফুলের চাহিদা সারা বছর এক সমান থাকে না। কিন্তু বিভিন্ন ইভেন্ট অথবা অকেশনকে কেন্দ্র করে ফুলের দাম বৃদ্ধি পায় এবং এর চাহিদা অনেক। ইভেন্ট, অকেশনে ফুল বিক্রি করে যত টাকা ব্যবসা হয় তা দিয়ে মোটামুটি ভাবে সারা বছর ব্যবসা না করলেও চলবে।

ফুল চাষ ব্যবসা করার জন্য প্রথমে একটি জমি নির্বাচন করতে হবে, এরপর সেই জমিতে নির্দিষ্ট একটি ফুলের বীজ বা চারা গাছ বোপন করতে হবে। ফুল চাষ করে বিক্রি করার বেলায় আপনাকে খুব কৌশলী হতে হবে কারণ চাষ করার পর সেটা বিক্রি করতে না পারেন তাহলে পরিশ্রমটা সম্পূর্ণই বৃথা হতে পারে।

১৩.গজ কাপড়ের ব্যবসাঃ সেই প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় একটা ব্যবসা হচ্ছে গজ কাপড়ের ব্যবসা। এটা যেহেতু একটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে তাই এই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করলে অবশ্যই লাভবান হওয়া সম্ভব আছে। মনে করেন আপনি মাত্র ২০ হাজার টাকার মধ্যে একটি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।

এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে কিছু গজ কাপড় কিনতে হবে। ক্রেতারা ঠিক কি ধরনের কাপড় চান তার ধরন বুঝে আপনাকে দোকানে কাপড় রাখতে হবে, এতে আপনার অনেক বেশি লাভ হবে।

১৪.শাড়ির ব্যবসাঃ ব্যবসার ক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক পুরাতন একটা ব্যবসা হচ্ছে শাড়ির ব্যবসা। যেহেতু এটা একটা বেশ ঐতিহ্যবাহী পুরাতন ব্যবসা এবং অনেকেই এই ব্যবসা করে, তাই আমরা যারা বেকার আছি তারা এই ব্যবসাটা নির্দ্বিধায় করতে পারি।

ঢাকা, ইসলামপুর, টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লী, নরসিংদী থেকে পাইকারি দামি শাড়ি সংগ্রহ করে দোকানে এনে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যবসার জন্য অনেক বেশি মুনাফার প্রয়োজন পড়ে সুতরাং চাইলেই যে কেউ এটা করতে পারবেনা। শাড়ি ব্যবসা সাধারণত ঈদ মৌসুম, বিয়ে, পূজা, বিভিন্ন ধরনের ইভেন্ট, পহেলা বৈশাখী, গায়ে হলুদ ইত্যাদিতে এর চাহিদা প্রচুর থাকে।

১৫.কফি শপের ব্যবসাঃ স্মার্ট ব্যবসা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কফি শপের ব্যবসা। বর্তমান সময়ে আধুনিক অনেক ধরনের কফি মেকিং মেশিন পাওয়া যায়, যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই কফি শপের বিজনেস করা সম্ভব। কফি শপের ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি কফি মেকিং মেশিন এবং সেইসাথে মোটামুটি ভালো একটা পজিশন মতো জায়গার প্রয়োজন রয়েছে। এই ব্যবসা শুরু করতে মোটামুটি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো অ্যামাউন্ট এর প্রয়োজন পড়ে।

১৬.কাঠের শোপিস তৈরির ব্যবসাঃ কাঠের শোপিস তৈরি করে বিক্রি করা মোটামুটি মানসম্মত একটি ব্যবসা। যেহেতু মানুষ এটা ব্যবহার করে সে ক্ষেত্রে এখানে ওই পণ্যের দাম কত সেটা মুখ্য বিষয় নয়, তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সৌখিনতা। সৌখিনতার এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে চমৎকার একটি ব্যবসা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কাঠের শোপিস তৈরি করার দক্ষতা না থাকলে এ ব্যবসা এতটা লাভজনক নাও হতে পারে।

১৭.মধু চাষের ব্যবসাঃ আমাদের দেশে সুন্দরবনের মোয়ালরা সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করে জীবন যাপন করে। কিন্তু আপনি চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মধু চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃত্রিমভাবে মধু চাষ করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেহেতু মধু আমাদের বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন পড়ে তাই এই ব্যবসা মোটামুটি ভাবে লাভজনক। যদি এই ব্যবসার প্রতি আগ্রহ থাকে তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মধু চাষের পরামর্শ নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারে।

১৮.ক্যাটারিং ব্যবসা: ক্যাটারিং বিজনেস এমন এক ধরনের বিজনেস যেখানে বিভিন্ন আইটেমের খাবার তৈরি করে সেটা বিভিন্ন অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরবরাহ করতে হয়। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অফিস, আদালতে দুপুরবেলার খাবার সরবরাহ করার ব্যাপারে ব্যবসা করার দুটি সুযোগ রয়েছে। এই ধরনের ব্যবসা বেশ লাভজনক, আপনি চাইলেই এই ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১৯.মাটির জিনিস তৈরির ব্যবসা: বর্তমান সময়ে সকলেই চাই কিভাবে তাদের ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। ঘরে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেকেই শখের বসে মাটির জিনিস ক্রয় করে। মাটির জিনিস তৈরি ব্যবসা করতে হলে দোকানটি এমন জায়গায় দিতে হবে যেন দোকানের আশেপাশে বসবাসকারী মানুষজন অধিক সৌখিন হয়। এরকম স্থানে এ ব্যবসা শুরু করলে লাভবান হওয়া যেতে পারে।

২০.টেইলার্স এর ব্যবসা: বর্তমান সময় এতটাই আধুনিক যে, আধুনিকতার এই সময়ে সকলে ফ্যাশন প্রিয়। টেইলার্স ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যাতে সারা বছর ইনকাম করা সম্ভব। টেইলার্স ব্যবসা শহরের যেকোনো জায়গায় করা সম্ভব। আধুনিকতার এই যুগে সকলেই নানান ধরনের এবং ডিজাইনের বানানো কাপড় পড়তে পছন্দ করেন। টেইলার্স ব্যবসা করার জন্য একটি সেলাই মেশিনের প্রয়োজন। এই সেলাই মেশিনের মূল্য ৫ থেকে ৮ হাজার হতে পারে এবং প্রতিটি ড্রেসের মূল্য সেই শহরের এলাকার ওপর নির্ভর করে।

২১.মোবাইল রিচার্জের ব্যবসাঃ যারা শহরে থাকেন তাদের মধ্যে অনেকেই আছে মোবাইল রিচার্জ কে তাদের ব্যবসা হিসাবে বেছে নিয়েছে। শহরে ব্যবসা আইডিয়াটির মধ্যে অন্যতম মোবাইল রিচার্জ।এটি একটি ছোট ব্যবসা হলেও এটি লাভ জনক একটি ব্যবসা। এ ব্যবসায় একটি ভালো স্থান দেখে মোবাইল রিসার্চের একটি দোকান দিতে পারেন এবং এই ব্যবসা খুব সীমিত পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায়।শহরে ব্যবসা এর মধ্যে একটি হলো মোবাইল রিচার্জ।

২২.সুপার শপের দোকান দিয়ে ব্যবসাঃ সুপার শপের দোকানের ব্যবসাটি শহর অঞ্চলে এবং শহর অঞ্চলের মানুষের কাছে অতীব একটি জনপ্রিয়। সুপার শপ হলো যেখানে সব ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।এই ব্যবসাটি করতে হলে প্রথমে একটি লোক সমাগমপণ্য এলাকা নির্ধারণ করতে হবে। সে এলাকাতে এই ব্যবসাটি শুরু করতে হবে এছাড়া এ ব্যবসা করতে হলে কিছু কাস্টমার প্রতিনিধি রাখতে হবে। শহরে ব্যবসা আইডিয়া এর মধ্যে অন্যতম হলো সুপার শপের দোকান।
এই ব্যবসাটি খুবই লাভজনক এবং এ ব্যবসা দিতে খুব বেশি ইনভেস্ট করতে হয় না। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো বাচ্চাদের খুবই আকর্ষণ করে সেই খাবারগুলো বিক্রির মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি লাভবান হতে পারেন। শহরাঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সুপার শপ থেকে নিয়ে থাকেন তাই সুপার শপের দোকান দিয়ে ব্যবসা করা শহরাঞ্চলে আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।

২৩.মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকান দিয়ে ব্যবসাঃ শহরে ব্যবসা এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল রিপেয়ারিং শপ। বর্তমান সময়ে মোবাইল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনও মানুষ রয়েছে যারা ফোন ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করতে পারে না। শহরাঞ্চলে মানুষ পড়াশোনা, চাকরি সহ বিভিন্ন ধরনের কাজে গিয়ে থাকে। গ্রামঞ্চল থেকে শহর অঞ্চলের লোক সমাগম অনেক বেশি।

বিভিন্ন কারণে মোবাইলের বিভিন্ন পার্টস নষ্ট হয়ে থাকে। এই পার্টসগুলো ফিক্সট করার জন্য যদি একটি দোকান দেন তাহলে এ ব্যবসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। কারণ এ ব্যবসায় লস এর কোনো হিসাব নেই। শুধু এ ব্যবসাতে সততার সাথে কাজ করলে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ইনকাম করা যায়। তাই আশা করা যায় এই ব্যবসাটি আপনাকে অনেকাংশেই লাভের মুখ দেখাবে।

২৪.খাবার হোটেল দিয়ে ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে এ ব্যবসাটির বেশ লাভ রয়েছে। আপনি খাবার হোটেল ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, অটো স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড বা রেল স্টেশন এর আশেপাশে দিতে পারেন যেখানে সব সময় লোকজন যাতায়াত করে। শুধুমাত্র একটি হোটেল দিলেই হবে না। এছাড়া শহরে ব্যবসা আইডিয়ার মধ্যে সবচেয়ে প্রফিটেবল বিজনেস হলো খাবার হোটেলের ব্যবসা।

এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখতে হবে এবং মুখরোচক খাবার তৈরি করার জন্য একটি ভাল মানের কারিগর নির্ধারণ করতে হবে আপনাকে। যাতে মানুষ আপনার হোটেলের খাবার খেয়ে তৃপ্তি পায় এবং সুস্বাদু বলে।
তাহলে দিনে দিনে আপনার হোটেলের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং আপনার ব্যবসা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে। শহর অঞ্চলে এটি একমাত্র একটি ব্যবসা যে ব্যবসাতে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায় খুব অল্প সময়ে, ইচ্ছা করলে আপনিও এটি করতে পারেন। তবে খাবারের মান পরিষ্কার পরিছন্নতা এবং সার্ভিসের ওপর আপনার হোটেলের বিক্রি নির্ভর করবে।

২৫.শেয়ার মার্কেটের ব্যবসাঃ প্রত্যেকটি ব্যবসাতেই রিক্স রয়েছে ঠিক তেমনি শেয়ার মার্কেট এর ব্যবসার মধ্যেও রয়েছে। তবে এটা অবশ্যই লাভজনক ব্যবসা যদি আপনি বুঝে শুনে ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেন। শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে আমার তেমন কোন ধারনা নাই তাই এ সম্পর্কে বেশি কিছু বলতে পারছি না, তবে আপনি চাইলেই ইন্টারনেটে সার্চ করে শেয়ার মার্কেট এর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন। শেয়ার মার্কেটে ব্যবসা করে অনেকেই কোটিপতি লাখপতি হয়েছেন।

২৬.ইন্সুরেন্স এজেন্ট ব্যবসাঃ ইন্সুরেন্স এজেন্ট ব্যবসা সারা বাংলাদেশে সাড়া দিচ্ছে সুপরিচিত একটি ব্যবসা হিসেবে। যেখানে আপনার বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ইন্সুরেন্স করার জন্য উৎসাহ করতে হবে। প্রত্যেকটা ইন্সুরেন্সের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার বিনিময়ে সেখান থেকে ভালো অংকের কমিশন পাওয়া যায়। কোন নতুন ক্লায়েন্ট ইন্সুরেন্স করানোর পর প্রথম ১ বছর বেশ মোটা অংক কমিশন পাই। একজন এজেন্টের আওতায় যদি মোটামুটি ইন্সুরেন্স গ্রাহক থাকে তাহলে আপনি সারা জীবন বসে বসে খেতে পারবেন।

২৭. ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসাঃ স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা যদি স্টার্ট করতে চান তাহলে এই ব্যবসার জুড়ি মেলা ভার। বর্তমান সময়ে এর প্রভাব বেশ রয়েছে। আপনি চাইলে ১০০০০ টাকা ইনভেস্ট করে ট্রাভেল এজেন্সি টিকিট বুকিং করে এজেন্সি চালু করতে পারেন। বর্তমানে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষ এক জায়গা হতো অন্য জায়গায় যেতে হলে বাস বা ট্রেনের উপর নির্ভরশীই, যার কারণে এর চাহিদাও রয়েছে অনেক বেশি। এ ব্যবসাতে লস হওয়ার কোন আশঙ্কা বা ভয় নেই। তাই আপনি চাইলেই এ ব্যবসা নির্দ্বিধায় শুরু করতে পারেন।

২৮. আর্ট স্কুলঃ আপনি যদি আর্ট করতে পারেন তাহলেই এই ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ধরনের ব্যবসায় কোন ধরনের পুঁজি লাগে না, আপনি যদি চান তাহলে নিজের বাসাতেও এই আর্ট স্কুলটি খুলতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি চান একটি সুন্দর মনোরম জায়গায়ও এটা করাতে পারেন।

২৯.পুরাতন বইয়ের দোকানের ব্যবসাঃ পুরাতন ফার্নিচার এর মত পুরাতন বইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। গল্প - উপন্যাস অথবা পাঠ্যবই যে যাই বলুক না কেন সব ধরনের বইয়ের বেলায় পুরাতন বইয়ের বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে। যেহেতু আমরা একটি গরীব দেশ তাই এখানে প্রচুর ছাত্র - ছাত্রী রয়েছে, যাদের নতুন বই কিনে পড়াশোনা করার মতো সামর্থ্য নেই বা ইচ্ছা নেই, তারা পুরাতন বই খুঁজে অল্প টাকায় কিনে এনে সেগুলো দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যায়।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গল্প উপন্যাসের পুরাতন বইয়ের ভালো চাহিদা রয়েছে কারণ এগুলো নতুন বইয়ের থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। আপনি ঢাকার বাংলাবাজারে অথবা নীলখেতে গেলেই বুঝতে পারবেন পুরাতন বইয়ের কতটা চাহিদা। সুতরাং বলা যেতে পারে কম মুনাফা দিয়ে আপনি এই কাজটি শুরু করতে পারেন।

৩০.বিরিয়ানির ব্যবসাঃ আমি শহরে ব্যবসা আইডিয়া লিখতে গিয়ে যতই সামনে অগ্রসর হচ্ছি ততই অবাক হচ্ছি যে, পৃথিবীতে কত রকমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। বিরিয়ানির ব্যবসা তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং বেশ লাভজনক একটা ব্যবসা বলে আমরা সবাই জানি। যদি আপনার বিরিয়ানির প্রতি দুর্বলতা থাকে তাহলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। খুব বেশি লাভজনকভাবে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি এই বিরানির ব্যবসা করতে পারেন।

এ ব্যবসাতে ঝামেলা কম কারণ শুধুমাত্র একটা আইটেম নিয়ে ব্যবসা করবেন। অল্প পুজিতে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এটা খুব ভালো হতে পারে। বিরিয়ানি ব্যবসা করতে চাইলে অবশ্যই একটা ভালো পরিবেশে খাবার পরিবেশনার ব্যবস্থা করতে হবে। চাইলে আপনি বিরিয়ানি হোম ডেলিভারি করার মাধ্যমেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৩১.বিউটিশিয়ানঃ আপনি যদি বিউটিশিয়ানের কাজ শুরু করতে চান তাহলে এর জন্য বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে। এসব কোর্সে শেষ করে স্বল্প মুনাফা নিয়ে এ কাজটি শুরু করতে পারবেন। প্রথমে এই কাজটি শুরু করার জন্য আপনাকে কিছু উপকরণ কিনতে হবে। এরপর অর্ডার অনুযায়ী আপনাকে কাজ করে যেতে হবে। এই কাজটি আপনি ঘরে বসেও করতে পারবেন অথবা অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে করতে পারবেন।

৩২.লন্ড্রির দোকানের ব্যবসাঃ আপনি যদি একটি স্থান নির্বাচন করে ভালো একটি লন্ডির দোকান দিতে পারেন, তাহলে আপনি এখান থেকে অনায়াসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শহরের লোকেরা অনেকেই বেশি শৌখিন হয়ে থাকে, তাই তারা তাদের পোশাক আশাকগুলোকে একটু বেশি পরিপাটি রাখার চেষ্টা করে থাকে। তাছাড়া তারা তাদের পোশাকগুলো যাতে তাদের গায়ের সাথে ফিট হয় সেজন্য বিভিন্ন লন্ড্রির দোকানে গিয়ে সেগুলো ঠিক করতে দিয়ে আসেন। তাই আপনি যদি চান এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

৩৩.আইসক্রিমের ব্যবসাঃ আইসক্রিমের প্রতি দুর্বলতা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ ব্যবসাটা বৃহৎ পরিসরে বা ক্ষুদ্র পরিসরে দুইভাবেই করা সম্ভব। আইসক্রিম তৈরি করার জন্য একটা মেশিন কিনে ফুটপাতে বসে পড়লেই হবে আর বৃহৎ পরিসরে করতে চাইলে বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর মত করে শুরু করা যেতে পারে।

৩৪.কুকারিজ দোকানের ব্যবসাঃ দারুন সব ব্যবসার মধ্যে কুকারিজ এর ব্যবসা উল্লেখযোগ্য একটি ব্যবসা। কুকারিজ এর ব্যবসায় সাধারণত যে সকল পন্য বিক্রি করা হয় তা হচ্ছে সংসারে ব্যবহৃত নৃত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। যেমনঃ বাটি, চামচ, ঘর মোছার আসবাবপত্র, পানি খাওয়ার গ্লাস, পাপোশ থেকে শুরু করে একটা ঘরে যত ধরনের জিনিসপত্র লাগে প্রায় সবকিছুই বিক্রি করা হয়। তাই এ ধরনের ব্যবসার সম্ভাবনা বেশ ভালো, কেননা প্রত্যেক মানুষেরই ঘরের নানা রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়।

৩৫.খরগোশের ব্যবসাঃ খরগোশ পালন মোটামুটি ভাবে একটা লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার যদি আগে থেকে কোন ধরনের খামার থাকে সেক্ষেত্রে ওইটার পাশাপাশি এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারবেন। খরগোশ খুব দ্রুত বংশবিস্তার করতে সক্ষম হয় তাই মাত্র একজোড়া খরগোশ থেকে অনেক অনেক বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিক্রি করার ক্ষেত্রে সাধারণত যারা খরগোশ ভালোবাসে তাদের কাছে বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে।

৩৬.নার্সারি ব্যবসাঃ অনেকেই এমন আছেন গাছপ্রেমী, যারা গাছ লাগাতে অনেক বেশি ভালোবাসেন। বছরের প্রতিটি মৌসুমে এ ব্যবসা করা সম্ভব। এ ব্যবসা করার জন্য একটি জায়গার প্রয়োজন, সেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ সরবরাহ করে আপনি বিক্রি করতে পারেন।

৩৭.অনলাইন বেকার ব্যবসাঃ যারা কেক বানাতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই ব্যবসাটি বেস্ট হবে। বর্তমান সময়ে এ ব্যবসা বেশ সাড়া ফেলেছে। অনলাইন বেকার ব্যবসা আপনার জন্য একটি অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি আপনি কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে প্রোডাক্ট সেল দিতে পারেন বা করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা খুব তাড়াতাড়ি প্রচার হতে সাহায্য করবে। এই ব্যবসাটি আপনি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকার মধ্যে শুরু করতে পারবেন এবং এটি ঘরোয়াভাবে করা যায়।

৩৮.দৈনন্দিন সদাই ডেলিভারি ব্যবসাঃ শহরে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে দৈনন্দিন সদাই ডেলিভারি ব্যবসা বেশ ভিআইপি ব্যবসা, এর কারণ এ ব্যবসাটি ভিআইপি আবাসিক এলাকাগুলোতেই বেশি চলে। কারণ ভিআইপি আবাসিক এলাকাগুলোতে যারা থাকেন তারা প্রচুর ব্যস্ত লোক। এই ব্যস্ততার মাঝে বাজারে গিয়ে কাঁচামাল কিনে আনা তাদের জন্য বেশ বিরক্তিকর। তাই সততা এবং নিষ্ঠার সাথে এই ব্যবসা শুরু করতে পারলে করার সুযোগ রয়েছে।

এই ধরনের ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমত আবাসিক এলাকাগুলো থেকে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে তারপর প্রতিদিন আগের দিন ফোন করে কি কি বাজার সবাই লাগবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তারপরের দিন ভোরবেলা পাইকারি বাজারে চলে যেতে হবে এবং সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী মালামাল কিনে নিয়ে আলাদা আলাদা প্যাকেট করে প্রত্যেক ফ্ল্যাটে ফ্লাটে সরবরাহ করতে হবে।

৩৯. ট্যুর গাইড ব্যবসাঃ অধিকাংশ বাঙালিরাই ঘুরতে পছন্দ করেন। আর তার জন্য অনেক সময় নির্ভর করতে হয় ট্যুর গাইড এর ওপর। কারণ একেক স্থানের পরিবেশ, সামাজিক ব্যবস্থা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা এক এক রকম যা সম্পর্কে আমরা অবগত নয় আর তাই বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর করার ক্ষেত্রে একটু গাইডের প্রয়োজন পড়ে। বিভিন্ন জায়গা আমাদের পরিদর্শন করানোর জন্য একজন গাইড থাকা অতি প্রয়োজন। এই ধরনের ব্যবসায় লস হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, আপনি চাইলেই কম মুনাফায় এ ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৪০. জুতার দোকানের ব্যবসাঃ যদি এমন কোন দেশ খোঁজেন যেই ব্যবসায় অর্ধেকের বেশি প্রফিট হয়েছে তাহলে আপনাকে জুতার দোকান দেওয়ার জন্য বলবো। এই ব্যবসায়ে যদিও কম দামে জুতার চেয়ে বেশি দামি জুতার প্রফিট বেশি, তাই আপনাকে বলব একটি ভাল মানের মানসম্মত দোকান দেওয়ার জন্য যাতে করে সেখান থেকে ভালো ইনকাম করা যায়।

দোকানে সাধারণত নতুন নতুন কালেকশনের জুতা রাখতে হয়। তা না হলে পুরাতন মডেলের জুতা দোকানে রাখলে সেগুলো স্টক হয়ে যাবে বিক্রি না হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, এতে লসও হতে পারে। শহরে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে তাই আগে এই বিষয়টাকে নজরে রাখতে হবে যেন কোন পুরাতন মডেলের জুতা দোকানে না থাকে।

টেক্সটাইল ব্যবসার আইডিয়া

আপনি চাইলেই শহর অঞ্চলে একটি টেক্সটাইল ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভ থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের টি - শার্ট, শার্ট, বিভিন্ন ধরনের ড্রেস ইত্যাদিতে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করতে পারেন। সে ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে যেকোনো একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি থেকে একাধিক রং এনে সেগুলোতে রং করতে পারেন।

ডিজাইন করে টি - শার্ট, শার্ট, ড্রেস বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করেও আপনি বেশ ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে এসব শার্ট, টি-শার্ট, ড্রেসগুলো বাহিরের দোকানেও সেল করতে পারেন। আশা করছি এর থেকে আপনার মোটামুটি ভালো একটা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।

স্টক ব্যবসার আইডিয়া

আমরা বাঙালিরা সাধারণত খাবার হিসাবে ভাতের পরেই রুটি এবং আরও অন্যান্য শুকনো খাদ্যদ্রব্য গুলোকে বুঝে থাকে। আপনি চাইলেই শহর অঞ্চলে স্টক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে শুকনো খাদ্যদ্রব্য মজুদ করতে হবে। শুকনো খাদ্যদ্রব্য যেমনঃ ডাল, আটা, চিনি, তেল, চাল, বিভিন্ন ধরনের মসলা, সাবান, ভীম ইত্যাদি। স্টক ব্যবসাকে শহরাঞ্চলে ঘরোয়া বা ছোট ব্যবসা বলা হয়ে থাকে।

আপনি চাইলে অল্প মুনাফা দিয়ে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এ ব্যবসাটিতে সেরকম খুব একটা লস নেই। ব্যবসা করা কালীন মুনাফা বৃদ্ধি পেলে আপনি দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি করতে পারবেন এবং ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্যাদি দোকানে রাখতে পারেন। এতে আপনার আরও বেশি ইনকাম হবে।

উপসংহার

আশা করছি আপনারা যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন, তারা অবশ্যই শহরে ব্যবসা এর আইডির সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা পেয়েছেন এবং শহরে ব্যবসা কি তা জানতে বা বুঝতে পেরেছেন। আপনারা চাইলেই শহরে এই ছোট ব্যবসাগুলি শুরু করে নিজে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি কোন ছোট শহরে বসবাস করেন এবং ব্যবসা করে ইনকাম করতে চাচ্ছেন, তাহলে এই ব্যবসা গুলো আপনার জন্য।

আপনি যদি এককভাবে ব্যবসা শুরু করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে উপরোক্ত ব্যবসা গুলির মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবসা আপনি করতে পারেন। উপরোক্ত ব্যবসা গুলি সম্পর্কে আলোচনা করার মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে নতুন একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য অনুপ্রেরণা প্রদান করে আপনাদেরকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। ২৪৩৫১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url