কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো

কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো, তা নিচে তুলে ধরা হবে। তাই যদি আপনি জানতে চান যে, কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো? তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। আসুন দেখে নেয়া যাক, কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো?
ছবি

পেজ সূচিপত্র: কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো

ভূমিকা 

মোবাইল ব্যাংকিং বর্তমানে বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্যে খুব সহজেই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে মুহূর্তের মধ্যেই টাকা আদান-প্রদান করা যায়। সহজলভ্য এবং অত্যাধুনিক হওয়ায় দিন দিন মোবাইল ব্যাংকিং এর চাহিদা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে। বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস গুলো সম্পর্কে নিশ্চয় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি জানতে চান যে, বাংলাদেশের মধ্যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়? তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন।

মোবাইল ব্যাংকিং কি

মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে জেনে নেয়া উচিত যে, মোবাইল ব্যাংকিং কি? মোবাইল ব্যাংকিং কাকে বলা হয় সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, মোবাইল ব্যাংকিং কি? 

সেল ফোন এবং স্মার্টফোনের সাহায্যে দেশের যে কোন প্রান্তে দ্রুত টাকা আদান প্রদান করার ডিজিটাল মাধ্যমকেই মোবাইল ব্যাংকিং বলা হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০১১ সালে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করে। 
এরপর থেকে ব্রাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক সহ আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। এবং ধীরে ধীরে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দ্রুত পৌঁছে যায় এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে।

কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো

কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো? তা নির্ভর করবে সার্ভিসের মান এবং গ্রাহকের সংখ্যার উপরে। যাইহোক কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো? সে বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। 

জনপ্রিয়তা এবং সার্ভিসের সহজলভ্যতার দিক থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সবথকে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেল হল বিকাশ। ব্র্যাক ব্যাংকের এই সার্ভিসটি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।

বাংলাদেশ বিকাশের সব থেকে বেশি এজেন্ট থাকায় এর গ্রাহক এখন পর্যন্ত অন্যান্য যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশের এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে বিকাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এ কারণেই বিকাশ এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

বিকাশের পরেই অবস্থান হল নগদের। তুলনামূলক নতুন হলেও নগদ বিকাশের পরে অবস্থান দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের উদ্ভাবিত নগদ বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেল। 

বিকাশের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় অনেকেই বিকাশ ব্যবহার করা বাদ দিয়ে নগদে লেনদেন করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তবে এখন পর্যন্ত বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেক্টরে এক নাম্বারে রয়েছে। কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো? আশা করি তা জানতে পারলেন। 

বাংলাদেশের সকল টপ মোবাইল ব্যাংকিং নাম ও তালিকা অফারসহ বিস্তারিত

বাংলাদেশের যে সকল মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে সেগুলোর তালিকা নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে। নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো যদি আপনি মনোযোগের সাথে পড়েন, তাহলে বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, বাংলাদেশের সকল টপ মোবাইল ব্যাংকিং নাম ও তালিকা অফারসহ বিস্তারিত। 

বিকাশ: পূর্বেই বলা হয়েছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং হলো বিকাশ। চালু হওয়ার পর থেকেই পর থেকেই দ্রুত বিস্তার লাভ করে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। প্রথম আলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে, বিকাশের গ্রাহক রয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ। কোন গ্রাহককে যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো: তাহলে নিঃসন্দেহে এই প্রশ্নের উত্তর হবে বিকাশ। 

রকেট: ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং হলো রকেট। রকেট হল বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। রকেট বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয় বর্তমানে রকেটের মোট গ্রাহক রয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ। 

নগদ: নগদ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম অন্যান্য যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমের চেয়ে দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। সুবিধা থাকায় অনেকেই বিকাশের পরিবর্তে নেবার ব্যবহার করা করে থাকে। 
রাইজিং বিডির প্রতিবেদনে বলা হয় নগদের বর্তমান গ্রাহক ৮ কোটিরও বেশি। যত দ্রুত গ্রাহক আকৃষ্ট করতে পেরেছে এত দ্রুত অন্য কোন মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস তা করতে পারেনি। যেহেতু নগদ বাংলাদেশ সরকারের ডাক বিভাগের একটি সেবা, তাই বিভিন্ন ধরনের সরকারি অনুদান কিংবা প্রণোদনা গ্রহণ করার জন্য নগদ একাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

এছাড়াও নগদ এনআইডি কার্ডের সরাসরি এক্সেস পায়। এর ফলে এনআইডি কার্ড ছাড়াই শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে খুব সহজেই নগদ একাউন্ট খোলা যায়। ধারণা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই নগদ আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। 

এম ক্যাশ: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম হলো এম ক্যাশ। এম ক্যাশ ব্যবহার করে খুব সহজে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তে আপনি টাকা আদান প্রদান করতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যাংকের ব্যাংক হওয়ায় এম ক্যাশ এর মাধ্যমে লেনদেন করা খুবই সহজ। সেলফিন নামের আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। 

উপায়: ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেল হল উপায়। ২০২১ সালে চালু হওয়া এই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসটি বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস। উপায় নতুন গ্রাহক আকর্ষণ করার জন্য রেফারেল বোনাস সহ বিভিন্ন ধরনের অফার চালু করেছেন। 

মাই ক্যাশ: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম হল মাই ক্যাশ। মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে মাই ক্যাশ ততটা জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস না হলেও তারা বিভিন্নভাবে গ্রাহক আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

টি ক্যাশ: ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস এর নাম হলো টি ক্যাশ। এই মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসটি বাংলাদেশে খুব বেশি পরিচিত নয়। যারা ট্রাস্ট ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে থাকে তাদের কেউ কেউ এই একটি ব্যবহার করে। 

শিওর ক্যাশ: শিওর ক্যাশ হলো রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস। বাংলাদেশের অনেক গ্রাহক রূপালী ব্যাংক ব্যবহার করে থাকে আর এ কারণে শিওর ক্যাশ ধীরে ধীরে কাস্টমার আকৃষ্ট করতে সক্ষম হচ্ছে। 

শেষ কথা

আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই জানতে পেরেছেন যে,  কোন মোবাইল ব্যাংকিং সব থেকে ভালো? কেননা বাংলাদেশের সেরা মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের নাম ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মোবাইল ব্যাংকিং এর সাহায্যে টাকা পয়সা লেনদেন করা খুবই সহজ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্বে যখন মোবাইল ব্যাংকিং ছিল না তখন টাকা লেনদেন করার একমাত্র মাধ্যম ছিল ব্যাংক। আর ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেছিল সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
তাই যখন মোবাইল ব্যাংকিং বাংলাদেশে প্রবেশ করে, এরপর থেকে খুব দ্রুত তা জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা রয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং কে এখন আরো আধুনিক করে অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচালনা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমকে আরো সহজ করে তুলেছে। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url