কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার

কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার? এই লক্ষণগুলো জেনে রাখলে আপনি খুব সহজেই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিচে তুলে ধরা হবে। চলুন তাহলে দেখে নেই, কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার?
বিভিন্ন কারণে মানুষ ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে থাকে। কোন ব্যক্তি যখন ডিপ্রেশনে ভোগে তখন কিছু লক্ষণও প্রকাশ পায়। ডিপ্রেশনে ভুগলে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পায়, সেই লক্ষণগুলো দেখে খুব সহজেই ডিপ্রেশনের ভোগা ব্যক্তিদেরকে চেনা যায়। যাই হোক আসুন দেখে নেয়া যাক, কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার? 
  • অস্থিরতা: আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন কিনা তা বোঝার অন্যতম একটি উপায় হলো অস্থিরতা। যদি কোন ব্যক্তি স্থির থাকতে না পারে এবং অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় তাহলে হতে পারে যে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। 
  • নিরাশ হয়ে যাওয়া: হতাশাগ্রস্ত হওয়া বা নিরাশা হওয়া ডিপ্রেশনে ভোগার অন্যতম আরেকটি লক্ষণ। যদি কোন ব্যক্তি ডিপ্রেশনে থাকে তাহলে সে নিরাশ থাকে। তাই যদি কোন ব্যক্তি অত্যধিক পরিমাণে নিরাশ হয় তাহলে ধরে নিতে হবে যে তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। 
  • অবসাদগ্রস্ততা: ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তিগণ অবসাদগ্রস্থ হয়ে থাকেন। সুতরাং ডিপ্রেশনে ভোগার অন্যতম আরেকটি লক্ষণ হলো অবসাদগ্রস্ততা। 
  • ঘুম কম হওয়া: ক্রমাগতভাবে যদি কোন ব্যক্তির ঘুম কম হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তা ডিপ্রেশনে ভোগার কারণে হতে পারে। 
  • দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকা: ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ সর্বদাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। 

ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার উপায় কি

ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার উপায় কি, সে বিষয় সম্পর্কে আর্টিকেলদের এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার, আশা করি সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। কেননা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 
  • রুটিন অনুযায়ী কাজ করুন: ডিপ্রেশন থেকে যদি আপনি মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার যাবতীয় কাজ রুটিন মাফিক করতে হবে। এবং এলোমেলোভাবে কাজ করা পরিহার করতে হবে। 
  • লক্ষণ নির্ধারণ করুন: আপনাকে আপনার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি এলোমেলোভাবে জীবন যাপন করেন সে ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। 
  • পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন: ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকতে হবে। আপনি যদি নিয়মিত পুষ্টিযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন তাহলে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারবেন। এর ফলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডিপ্রেশন সহ সমস্যা হওয়ার শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন ডিপ্রেশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন। 
  • পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।  ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া। তাই আপনি যদি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। 
  • দায়িত্ব গ্রহণ করুন: আপনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, বিশেষ করে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তখন আপনার ডিপ্রেশন কমে আসবে। কেননা তখন পারিবারিক চাহিদা মেটানোর জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং চিন্তাভাবনা করতে হবে, এর ফলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন। 
  • নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন: যেকোনো ধরনের নেতিবাচক চিন্তা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে যাবতীয় নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করতে হবে। 
  • নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন: ক্রিয়েটিভিটি বা নতুনত্ব ডিপ্রেশন কমাতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি অত্যধিক পরিমাণে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন। আশা করি এতে উপকৃত হতে পারবেন। 
  • বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন: বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিলে ডিপ্রেশন কমে আসবে। কেননা আপনি যখন বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা দিবেন তখন আপনার মুড চেঞ্জ হয়ে যাবে এবং আপনি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন। 
  • অ্যালকোহল পরিহার করুন: এখন শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই খুবই ক্ষতিকারক। তাই যে কোন অবস্থায় আপনাকে অ্যালকোহল সম্পূর্ণ রূপে পরিহার করতে হবে। 

ডিপ্রেশন কেন হয় - ডিপ্রেশনের কারণ

ডিপ্রেশন কেন হয় বা ডিপ্রেশনের কারণ সমূহ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই মনোযোগ সহকারে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো করলে ডিপ্রেশন কেন হয় বা ডিপ্রেশনের কারণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। ইতোমধ্যেই উপরে কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার? সেই কারণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 
  • প্রিয়জনের মৃত্যু: প্রিয়জনের মৃত্যুর কারণে বা প্রিয় কোন জিনিস হারিয়ে যাওয়ার কারণে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা মানুষের প্রিয় জিনিস হারিয়ে গেলে সে প্রচন্ডভাবে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় যার ফলে ডিপ্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • ব্রেকআপ: ব্রেকআপ হয়ে গেলে প্রচন্ড মানসিক চাপের কারণে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • অপমানিত হওয়া: সামাজিকভাবে বা বিশেষ কোন জায়গায় যদি কোন ব্যক্তি অপমানিত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রেও কিন্তু তার ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • পারিবারিক সমস্যা হওয়া: ডিভোর্স কিংবা প্রচন্ড পরিমাণে পারিবারিক সমস্যার কারণেও ডিপ্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • একাকিত্বে ভোগা: একাকীত্ব খুবই কষ্টদায়ক। কোন ব্যক্তি যখন সবার থেকে আলাদা হয়ে একাকী বসবাস করে তখন সে ডিপ্রেশনের শিকার হতে পারে। 
  • অসুস্থতা: কোন ব্যক্তির যদি এমন কোন শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় যা সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ তাহলে সেই ব্যক্তি ডিপ্রেশন আক্রান্ত হতে পারে। 

ডিপ্রেশন মানব জীবনে কি ধরনের ক্ষতি করে

কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার? আশা করি সেই বিষয়গুলো সম্পর্কিত মধ্যেই উপরে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। নিচে ডিপ্রেশন মানব জীবনে কি ধরনের ক্ষতি করে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, ডিপ্রেশন মানব জীবনে কি ধরনের ক্ষতি করে? সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত। 
  • প্রচন্ড মাথা ব্যথা হওয়া: ডিপ্রেশন আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রচন্ড পরিমাণে মাথাব্যথা হতে পারে। এবং সেই মাথা ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। 
  • রাগ অত্যন্ত পরিমাণে বেড়ে যাওয়া: যে সকল ব্যক্তি ডিপ্রেশনে আক্রান্ত তারা অত্যধিক পরিমাণে রাগী। কেননা ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রাগ অত্যন্ত পরিমাণে বেড়ে যায়।
  • লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা হওয়া (পুরুষদের ক্ষেত্রে): পুরুষদের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের কারণে লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • পেশিতে খিচুনি হওয়া: ডিপ্রেশনের কারণে অনেক সময় মাংসপেশীতে ব্যথা বা খিচুনি অনুভূত হতে পারে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য: আক্রান্ত হলে আরেকটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে আর সেই সমস্যাটি হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। 

ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলো কি কি

কি কি লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডিপ্রেশনের স্বীকার সে বিষয়গুলো সম্পর্কে তোমাদের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নিচে ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলো কি কি? সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে। তো আসুন তাহলে দেখে নেই,  ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলো কি কি? 
  • শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া: ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। তাই যদি এই ধরনের সমস্যা কারো মাঝে থেকে থাকে তাহলে হতে পারে সেই ব্যক্তি ডিপ্রেশনের স্বীকার। 
  • হার্টবিটের গতি বেড়ে যাওয়া: ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে হার্টবিট এর গতি বেড়ে যায়। 
  • ঘাম হওয়া: আক্রান্ত হলে শরীর অত্যধিক পরিমাণে ঘেমে যায়। বিশেষ করে রাত্রে ঘাম হওয়া ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। 
  • ভয়: ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ সর্বদাই অজানা ভয়ে ভীত থাকে। 
  • ক্ষুধা কমে যাওয়া: ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে ক্ষুধা কমে যায়। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url