হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ - হার্ট ব্লক হলে করণীয়

আপনি কি হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ ও হার্ট ব্লক হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান? বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ ও হার্ট ব্লক হলে করণীয় কি। হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ আর্টিকেলটিতে হার্ট ব্লক সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিব।

দিন দিন হার্টের রোগী বেড়েই চলেছে। আমরা জানি হার্টের সমস্যা খুব সাধারণ সমস্যা নয়। এখান থেকে বাঁচতে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এছাড়াও হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ গুলো শুরুতেই জানতে পারলে এখান থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। চলুন আমরা আজ হার্ট সম্পর্কে আলোচনা করি।

পোস্ট সূচিপত্র ঃ হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ - হার্ট ব্লক হলে করণীয়

হার্ট ব্লক মেডিসিন 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় হট ব্লক কে বলা হয় করোনারি অর্টারি ডিজিজ। সাধারণত অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এর কারণে আমাদের হার্ট ব্লক হয়ে থাকে। হার্ট ব্লক মেডিসিন সম্পর্কে যদি আপনার না জানা থাকে তাহলে চলুন এ সম্পর্কে আমরা জেনে নিই।

আরো পড়ুন কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার যোগ্যতা

ব্লক হলে আমরা নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হই যেমন কপাল মাথা এবং গলা ঘেমে যায়, দম নিতে এবং ছাড়তে কষ্ট হয়, বুক ধড়ফড় করে, বুকে জ্বালাপোড়া করে, সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় বুকে ব্যথা হয়ে থাকে এবং থামলে কমে যায়, আবার হজম না হওয়ার মত অসস্তি লেগে থাকে ইত্যাদি। আমরা জানি হার্ট ব্লক কোন সাধারণ অসুখ না। এ কারণে এর মেডিসিন কি বা কখন খাওয়া যায় এই সম্পর্কে আর্টিকেল লেখা বা আর্টিকেল অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ধরনের বড় অসুস্থতার ঔষধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করবেন।

হার্ট এ্যাটাক এর লক্ষণ  

আপনি কি হার্ট এ্যাটাক এর লক্ষণ সম্পর্কে জানেন? সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো নারী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। তবে নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই অসুস্থতার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে বুকে ব্যথা অনুভব করা। তবে মনে রাখবেন পুরুষের চেয়ে নারীদের লক্ষণ গুলো বেশি প্রকাশ পায় যেমন বমি বমি ভাব পিঠে ব্যথা ছোট ছোট নিঃশ্বাস ইত্যাদি।

  • হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের মধ্যে অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে বুকের মাঝখানে চাপ হয় যেটা কয়েক মিনিট ধরে স্থায়ী থাকে। আবার ব্যথা কিছুক্ষণের জন্য চলে যায় আবার ফিরে আসে। বুকে একটা অস্বস্তিকর চাপ অনুভূতি হয়।
  • নিঃশ্বাস ঘন ঘন হয় অর্থাৎ নিঃশ্বাস ছোট হয়ে আসে।
  • অনেক সময় পিঠে ঘাড়ে , চোয়ালে বা পাকস্থলীতে অস্বস্তির অনুভূত হয়।
  • বমি বমি ভাব হয় সেই সাথে হালকা মাথা ব্যথা হতে পারে।

হার্ট দুর্বল লক্ষণ  

বর্তমানে হার্ট দুর্বল রোগীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। অল্প বয়স থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সেই মানুষের এই রোগ হতে পারে। তাই নিজের স্বার্থে প্রত্যেকটি মানুষকে নিজের হার্টের সমস্যার দিকটি খেয়াল রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাহলে আসুন হার্ট দুর্বল এর লক্ষণ গুলো জেনে নিই।

আরো পড়ুন আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না

  • আমরা জানি আমাদের হৃদয় প্রতিটি ক্ষণে কম্পিত হচ্ছে। এর পালস রেট ৬০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু এই পালস রেট যদি কম বা বেশি হয় তাহলে কোন বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রথম থেকেই সাবধান থাকুন প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে যান।
  • বুকে ব্যথা অনুভব করা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। যদি বুকের মাঝখানে ব্যথা করে তাহলে বেশি মাত্রায় সতর্ক থাকুন। এই ব্যথাকে অবশ্যই গুরুত্ব দেবেন এবং সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
  • কোন কাজ না করেই অনেক ক্লান্তি অনুভব করা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। অক্সিজেন সারা দেহ রক্তকে পাম করে হার্টে পৌঁছে দেয়। এবারে হার্ট যদি দুর্বল থাকে তাহলে রক্ত ঠিকমত সঞ্চার হতে পারে না যার ফলে শরীরে অনেক ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দেয়।

হার্ট ব্লক অপারেশন  

আমাদের হার্ট ব্লক অপারেশন সম্পর্কে কারোই তেমন কিছু জানা নেই। আমরা জানি হার্ট ব্লক অপারেশন একটি জটিল অপারেশন। সাধারণত ব্লকের মাত্রা যদি ৭০ ভাগের বেশি হয়ে থাকে তাহলে কেবল রিং লাগানো যাবে বা প্রয়োজনে বাইপাস অপারেশন করতে হবে।

হৃদপিণ্ডের বুকে যদি রিং পরানো হয় বা বাইপাস সার্জারি করা না হয় তাহলে ওষুধ চিকিৎসা আপনাকে অনেক কার্যকরী চিকিৎসা দিতে পারবে। এতে আস্তে আস্তে রোগীর বুকের ব্যথার পরিমান কমতে থাকবে, রোগীর জিহ্বার নিচে বুকের ব্যথার জন্য স্প্রে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং রোগী আস্তে আস্তে আগের চেয়ে ভালো অনুভব করবে। হাঁটতে পারবে বেশি পরিমাণে বিশ্রাম নিতে পারবে বুকে কোন রকম চাপ ছাড়াই। 

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় 

বন্ধুরা হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে প্রথমে খাবার তালিকা ঠিক করতে হবে। হৃদযন্ত্রে ফ্যাট জমা যদি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে। তাই খাবার তালিকায় আনুন পরিবর্তন। রসুন হার্ট ব্লক এর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পানির সাথে রসুনের এক অথবা দুটি কোয়া খেলে হার্ট ভালো থাকে। 

এক্ষেত্রে লাউ ও কম উপকারী নয়। টাটকা লাউ সেদ্ধ করে তাতে হলুদ, ধনেপাতা এবং ধনে গুঁড়া মিশিয়ে সপ্তাহে দুইবার খেলে হার্ট ভালো থাকবে। দুধ এবং আমলকি দুধের সাথে আমলা চূর্ণ মিশিয়ে নিয়মিত এক গ্লাস করে প্রতিদিন খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয়। হার্টের সমস্যায় লেবু পানি খুব ভালো কাজ দেয়। এই পানি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট ব্লকের ঝুঁকি কমায়।

আরো পড়ুন প্রস্টেট ক্যান্সার কেন হয় - প্রস্টেট ক্যান্সার লক্ষণ

প্রিয় পাঠক আমরা আজকে হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমাদের আজকের এই হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ ও হার্ট ব্লক হলে করণীয় পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। যদি আমাদের এই হার্ট ব্লক হওয়ার লক্ষণ পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। কথা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন। এর প্রত্যাশায় শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। ২৩২৬১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url