১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান

১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রত্যেকের জানা দরকার। কারণ আপনি কি অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করতে চান? তাহলে প্রথমেই আপনাকে ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানতে হবে। তালিকা অনুযায়ী ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান সম্পর্কে এই পোস্টে তা জানাবো।

আপনি সম্ভবত অনলাইনে অনেক বিজ্ঞাপন বা ইউটিউব ভিডিও দেখেছেন যা ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান নিয়ে কথা বলে। চলুন তাহলে ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান এর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।

• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
• আপনি কেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের পরিসংখ্যান
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসিক ইনকাম
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর গাইডলাইন

১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি মাধ্যম যার দ্বারা সহজে যে কোন অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট, অনলাইন স্টোর, ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বা অনলাইনে কিনতে পাওয়া যেকোনো জিনিস নিজের ওয়েবসাইট ব্লক সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা YouTube চ্যানেলের অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে প্রমোট করা যায়।

ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ১০টি অ্যাফিলিয়েট সাইড বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অনেক দেশের তরুণেরা ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পথে আয় করে স্বনির্ভর হয়েছে। ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইনে বড় বড় ব্র্যান্ডদের পণ্য মার্কেটিং করে সেলস কমিশন এর মাধ্যমে ঘরে বসে টাকা আয়ের একটি মাধ্যম।এটি অনলাইনে আয় করার বিশ্বব্যাপি অন্যতম জনপ্রিয় একটি উপায়। বর্তমানে এই এফিলিয়েট মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রীর আকার ১২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কাজ নিয়ে আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হবে। তার জন্য Affiliate মার্কেটিং আপনি বেছে নিতে পারেন। ফলে ১০৪টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ অভিজ্ঞতা থাকলে অন্যের প্রডাক্ট অ্যাফিলিয়েট করে অনলাইনে ব্যবসা করা যায়। বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেট প্লেস রয়েছে। যারা মার্কেটিং ভালো করতে পারেন তাদের জন্য এই মার্কেটপ্লেসগুলো হতে পারে আয় করার প্রধান উৎস।

প্রতিটি কোম্পানি তাদের সার্ভিস বা পন্য বিক্রি করার জন্য নিজদের ব্যবস্থাপনায় বিক্রয় কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকে। তাদেরকে প্রতি মাসে বিক্রয় করার জন্য একটা টার্গেট দেওয়া হয় এবং মাসিক বেতন ভুক্ত কর্মকর্তা বিক্রয় কর্মীরা কোম্পানির সেবা বা পন্য বিক্রয় করে থাকে।

আবার কিছু কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রয় করার জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করে রাখে। ফলে যে কেউ এই প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে কোম্পানির সার্ভিস বা প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য কমিশন ভিত্তিক চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে। কোম্পানির সার্ভিস বা পন্য বিক্রি করে তারা চুক্তি অনুযায়ী কমিশন পেয়ে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন কোম্পানির পন্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন ভিত্তিক আয় করাকে ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়।

আপনিও কি চান বাসায় বসে কাজ করে অনলাইনে উপার্জন করতে? তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজ করার জন্য প্রথম ধাপ হল একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য সাইন আপ করা। তারপর আপনি যে পণ্য বা পরিষেবাগুলি বিক্রি করতে পারেন ,

যে পণ্য পরিষেবাগুলির সম্পর্কে আপনার ভাল ধারণা রয়েছে তা আগে নির্বাচন করুন।পণ্য নির্বাচন করার পর আপনাকে আপনার টার্গেট ট্রাফিক সাইটে পণ্য বাজারজাত করতে হবে। টার্গেট ট্রাফিক সাইট হল আপনি যে পণ্যটি বিক্রি করেন, কে পণ্যটি কিনবেন, কোন বয়সের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং কার এই পণ্যটি বেশি প্রয়োজন, আপনার ট্রাফিক অনুযায়ী পণ্যটির মার্কেটিং করা।

এই ক্ষেত্রে, আপনি একটি ব্যানার তৈরি করে এই পণ্য সম্পর্কে লোকেদের জানাতে পারেন। আবার আপনি আপনার ফেসবুক, টুইটার সহ সোস্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারেন।

যারা ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারাই প্রোডাক্ট কোড কপি করে এবং ট্রাফিক সাইটে প্রোডাক্ট ডিটেইলস সহ মার্কেটিং করে। ভিজিটর বা ক্রেতারা ওয়েবসাইট থেকে পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার মাধ্যমে পণ্যটি কিনবে, এবং তারা যে সাইট থেকে পণ্য কিনবেন তারা পণ্য বিক্রির কমিশন পাবেন আপনি। এভাবেই আপনি ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

বিশ্ব বাজারে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের কোম্পানির খরচের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ১০%। এক্সিস্টিং কাস্টোমার ধরে রাখতে ৭৯% ব্র্যান্ড অ্যাফিলিয়েট কুপন ছেড়ে থাকে। গ্লোবাল ই-কমার্স সেলস্ এর ১৬% আসে ১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে। বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ৮০% কোম্পানীর পণ্য বিক্রয়ের জন্যে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে।

বিগত ৫ বছরে এফিলিয়েট মার্কেটিং ৭০% বেড়ে গিয়েছে। তার একটি পাই চার্ট

ডিজিটাল মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রির মূল রেভিনিউ এর ১৫% আসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে মার্কেট হচ্ছে যুক্তরাজ্য (United States of America)।

বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে ৮০% এর বেশি তাদের বাজেটের ১০% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য বরাদ্দ করে থাকে।

১০৪টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিসংখ্যান নিন্মলিখিতঃ

১.Google - এ, কোয়েরি "অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং" ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ বেশি সার্চ পেয়েছে।

২.সমস্ত বণিকদের ৮৫% বলেছেন যে তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাজেট একই ছিল। কিন্তু ২০১৫-২০১৭ এ বেড়েছে।

৩. ২০১৭ সালে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং £৮.৯ বিলিয়ন বিক্রি করে।

৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে এমন ৬০% বড় বড় ব্যবসায়ীরা 5 বছরেরও বেশি সময় ধরে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবহার করেছেন।

৬.যুক্তরাজ্যে, একটি প্রাইস তুলনা করে ওয়েবসাইট তৈরি করা। এটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় ছিল।

৭. ৭৬% লোক বলেছেন যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাদের জন্য ওয়েবসাইট নগদীকরণকে সহজ করেছে।

৮. ৭৩% লোক বলেছেন যে, তাদের অনুমোদিত রাজস্ব তাদের চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণ করেছে।

৯. ৬৫% বণিক যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্যবহার করে বলেছেন যে, এটি তাদের বার্ষিক আয়ের ৫-২০% উৎপাদিত করেছে।

১০.উচ্চ-আয়ের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা, মিলিয়ন - ডলার - উপার্জনকারী সহ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের গড় বেতন $৫০,৬১৭ পর্যন্ত হয়েছে ।

১১.একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন যে, ৯% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বার্ষিক $৫০,০০০ এর বেশি আয় করে।

১২.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাফিলিয়েট বিপণন ব্যয় প্রতি বছর ১০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে ।

১৩.ডিজিটাল অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলি সাধারণত ৫০% কমিশন দেয় কারণ সেগুলি শূন্য খরচে প্রতিলিপি করা যায়।

১৪. ২০১৭ সালে, ভোক্তা কার্যকলাপের উপর "ব্ল্যাক ফ্রাইডে" এর প্রভাব হ্রাস পায় কারণ অনলাইনে বিশেষ ডিল খুঁজে পাওয়া সহজ।

১৫.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের বেশিভাগই ইমেলকে তাদের অ্যাফিলিয়েট ম্যানেজারদের মধ্যে যোগাযোগের প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে পছন্দ করে।

১৬.একটি অপ্টিমাইজড কীওয়ার্ড টার্গেটিং সহ, এসইও অনুমোদিত সাইটগুলির জন্য ৭ গুণ বেশি রূপান্তর করতে পারে৷

১৭.ইউএস হল ৬৩% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের প্রাথমিক ট্রাফিক লক্ষ্য।

১৮.সোশ্যালমিডিয়া অটোমেশন টুল সোশ্যাল পাইলটের একটি অ্যাফিলিয়েট ইনকাম প্রোগ্রাম রয়েছে যা বিনামূল্যে সাইন আপ করতে পারবেন। ফলে আপনি প্রতিটি নতুন রেফারেলের জন্য ৩০% কমিশন পাবেন।

১৯.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান তবে আপনাকে প্রথমে প্রোগ্রাম সাইট সম্পর্কে জানতে হবে। এবং এটি করার জন্য অনেক সাইট আছে। তবে বেশ কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাইট ও রয়েছে।

২০.আপনি বিনামূল্যে সাইন আপ করতে পারেন, এবং যতক্ষণ আপনার রেফারেল গ্রাহক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত মাসিক ৩০% কমিশন উপার্জন করতে পারবেন।

২১.যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারাই আবার প্রোডাক্ট কোড কপি করে এবং ট্রাফিক সাইটে প্রোডাক্ট ডিটেইলস সহ মার্কেটিং করে।

২২.প্রকাশকরা যারা সামগ্রী বিপণনে ফোকাস করেন তাদের দেখা গেছে যে ২৪০% মুনাফা বৃদ্ধি হয়েছে।

২৩.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের গড় রূপান্তর হার ১ থেকে ৫% মধ্যে লোক বসে কাজ করে।

২৪.আপনি যদি পুশ বিজ্ঞপ্তিগুলি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেন তবে জেনে রাখুন যে তাদের গড় ক্লিক-থ্রু ২.০৯%।

২৫.ইনস্টাগ্রাম প্রভাবক বিপণন, যা অধিভুক্ত বিপণনের সাথে ওভারল্যাপ করে, দুই বছরে প্রায় $৭০০ মিলিয়ন থেকে $১.৭ বিলিয়ন হয়েছে।

২৬.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পপ - আপ ট্র্যাফিক পুশ বিজ্ঞপ্তির চেয়ে কমপক্ষে ১০০ গুণ কম ব্যয়বহূল হয়।

২৭."পে প্রতি কল" অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আরও নিবিড়, এটি ১০-১৫% হারে একটি উচ্চ রূপান্তরে উপভোগ করছে।

২৮. ২০১৯ সালে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং - এর অন্যতম প্রবণতা হল ডেস্কটপ এবং মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের মধ্যে ক্রস-প্রমোশন ।

২৯. ৩৪.২৮% লোক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ট্রাফিক তৈরি করতে PP C পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছা পোষণ করে।

৩০.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মধ্যে প্রায় ৬৫% তাদের কাস্টোমার পেয়ে থাকে ব্লগিং এর মাধ্যমে।

৩১. ৯৪% পাবলিশার মাল্টিপল অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকে।

৩২.কোম্পানীদের প্রোডাক্ট সেলস্ - এ যারা জয়েন করে তাদের ৮৩% আসে Join Affiliate Network বাটনে ক্লিক করে।

৩৩. বর্তমান মানুষের কাছে দিন দিনই গুগল অ্যাডসেন্সের চেয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

৩৪.যে সব মানুষের মধ্যে ওয়েবসাইট ৫০০ ইউনিক ভিজিটর পাচ্ছে, তাদের ৩৪% অ্যাফিলিয়েট থেকে আয় করতে পারছে।

৩৫.খুচরা বিক্রেতাদের ৭.৫% ইতিমধ্যেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর আওতায় এসে পড়েছে।

৩৬.যুক্তরাজ্যের এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বাজার ২০২২ সালে ৮ বিলিয়ন ডলারের উপরে উঠে যাবে ধারণা করা হয় ।

৩৭.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের গড় বার্ষিক প্যাসিভ ইনকাম হল $৫১,২১৭ ডলার ৷ ১০% এফিলিয়েট মার্কেটার $ ৩৭.০০০ ডলার উপার্জন করে এবং শীর্ষ ১০% $ ৭১,০০০ ডলার উপার্জন করে থাকে।

৩৮.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের গড় বার্ষিক আয় হল $৬৫,৮০০ ডলার, যার পরিসর নিম্ন প্রান্তে $৪২,০০০ ডলার এবং শীর্ষ প্রান্তে $৮৩,০০০।

৩৯.Glassblower অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আয়ের পরিসংখ্যান সম্ভাব্য উপার্জনকে আরও বেশি করে।Zip Recruiter তথ্যনুযায়ী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা বছরে প্যাসিভ ইনকাম করছে $১৫৪,৭০০ ডলার।

৪০.কন্টেন্ট মার্কেটিং বিজ্ঞাপনের জন্য ৬২% কম খরচ করে, এটি ৩ গুণ বেশি লিড জেনারেট করে থাকে। নীচের পরিসংখ্যানগুলি আপনাকে একটি পরিষ্কার ধারণা দিতে পারে যে কীভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের ব্যবসা চালায়:

৪১.Staff's ২০১৬ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেঞ্চমার্ক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে,অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জনসংখ্যা ৫৪.২৩% পুরুষ এবং ৪২.৯৭% মহিলা৷ বাকি ২.৮০% তাদের লিঙ্গ প্রকাশ করে নি। ৫৫.৩২% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিবাহিত এবং ৩৩.৬৭% অবিবাহিত৷ বাকি ১১.০১% হয় তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা।

৪২.Affiliate মার্কেটারদের বেশিরভাগ ৩১.৮৬%, মানুষের বয়স ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। 2016 সালে, সমস্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মধ্যে ৫% বেশি, বয়স ১৮থেকে২৪ বছরের মধ্যে।আবার ৬২.৩৫%অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের সন্তান রয়েছে।

৪৩. ৬৯.২২% Affiliate মার্কেটার সাইট ট্র্যাফিক তৈরি করতে এসইও ব্যবহার করে। ফলে অনেক সুবিধা হয়।

৪৪.ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের জন্য ১৫% হারে Affiliate মার্কেটিং দায়ী। কারণ বিশ্বব্যাপী অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং খরচ ২৭% যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার বা CAGE- বাড়ছে। গ্লোবাল ই-কমার্স সেলস্ এর ১৬% আসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে।

৪৫.এফিলিয়েট পণ্য বিক্রির জন্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সবচেয়ে বেশি ইফেক্টিভ।পণ্য কেনার আগে ৭৪% লোক নন-রিটেইল সাইটগুলো ভিজিট করে থাকেন।অ্যাফিলিয়েট ট্রাফিকের ৫০% আসে মোবাইল ডিভাইস থেকে।

৪৬. Affiliate মার্কেটিং ফ্যাক্টস্ অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস মহামারীর কারণে কমিশনের হার কমিয়েছে।তবে অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রামের অধীনে বর্তমানে ১৫টি স্বাধীন প্রোগ্রাম রয়েছে।United States of America থেকেই প্রতি বছর ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকেন অ্যাফিলিয়েটররা।

অ্যাফিলিয়েট আর্নিং United Kingdom এর টোটাল জিডিপির ১% এর সমান।

৪৭.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ মহিলাদের চেয়ে পূরুষের সংখ্যা বেশি।

৪৮.অ্যাফিলিয়েটের অধিকাংশ ভিজিটর আসে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ ও এসইও থেকে। অ্যাপল কোম্পানী প্রোডাক্টকাস্টারদের জন্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সুবিধা চালু করেছে।পণ্য কেনার ক্ষেত্রে ৭৪% ক্রেতা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন।

৪৯.পণ্য কেনার আগে ৭৪% লোক নন-রিটেইল সাইটগুলো ভিজিট করে থাকেন।সোশ্যাল মিডিয়া, ইনস্টাগ্রাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্যে অ্যাফিলিয়েট ও শপ ফিচার চালু করেছে।একজন ক্রেতা অনলাইনে কিছু কেনার প্রায় সাথে সাথে পাবলিশারের অ্যাকাউন্টে অ্যাফিলিয়েট কমিশন জমা হয়ে যায়।

৫০.একক বিক্রয়ে $১,০০০ এর বেশি আয় করা সম্ভব। কিছু শীর্ষ-প্রদানকারী অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এমনকি বিপণনকারীদের এক রূপান্তরে $৮,০০০ দিয়ে পুরস্কৃত করে।একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে যে ৯% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বার্ষিক $৫০,০০০ এর বেশি আয় করে।

৫১.সমস্ত বণিকদের ৯১% তাদের বর্তমান অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বাজেট বজায় রাখার জন্য তাদের পরিকল্পনা শেয়ার করেছে। ৭৩% বণিক বলে যে তাদের অনুমোদিত রাজস্ব তাদের চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণ করেছে।

তাদের বিভিন্ন অনুমোদিত পণ্য বিভিন্ন সাইডে প্রচার করা হয়। ফলে তাদের অনেক সুযোগ সুবিধা হয়।

৫২.অনলাইন মার্কেটারদের ৪০% বিশ্বাস করে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।২০১৭সালে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিশ্বব্যাপী ৫ বিলিয়ন ক্লিক করে এবং 170টি লেনদেন তৈরি করেছে।

"অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং" এর প্রতি আগ্রহ গত ৫ বছর ধরে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।

৫৩.উইলিয়াম জে টবিন (William J Tobin) সর্বপ্রথম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রবর্তন করেন।তিনি তার প্রতিষ্ঠান PC Flowers & Gifts কে প্রোডিজি নেটওয়ার্কের (Prodigy Network) আওতায় আনেন। এবং সেলের জন্য কমিশন ব্যবস্থা চালু করেন।

৫৪.কোম্পানির নিজেদের প্রডাক্ট বা সার্ভিস আছে সেগুলো বিক্রি করার জন্য তারা সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ করে থাকে, যাদের প্রতি মাসে কিছু সেলস টার্গেট দেওয়া হয় এবং তাদের মাসিক বেতনে কোম্পানিতে চাকুরী দেওয়া হয়।

৫৫.আপনি বিষয়বস্তুগুলো লিখে নিশ্চিত করুন যে, এটি অপ্টিমাইজ করা হয়েছে, যাতে লোকেরা এটি সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পেতে পারে। পণ্য পর্যালোচনার জন্য অনুসন্ধান বাড়তে থাকে। যদি আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং সেই অনুসন্ধানগুলির জন্য দেখায়, তাহলে এটি আপনার কমিশন উপার্জন করার সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দেয়।

৫৬.আপনি যে পণ্যগুলি সম্পর্কে জানেন এবং পছন্দ করেন। সেগুলো আপনার দর্শকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তার প্রচারের দিকে মনোনিবেশ করুন৷ আপনার পণ্য গুলো যত বেশি প্রাসঙ্গিক, আপনার সাইটের ভিজিটররা সেই লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করার এবং আপনাকে কিছু প্যাসিভ ইনকাম করার সম্ভাবনা তত বেশি।

৫৭.দেখা গেছে বেশিরভাগ লোক নির্ভরযোগ্য তথ্য চায় যা তাদের পণ্য এবং পরিষেবাগুলি সম্পর্কে আরও জানতে সাহায্য করে। যাতে তারা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত তৈরি করতে পারে। অনেক সফল এফিলিয়েটরা পণ্য পর্যালোচনা, গাইড এবং তুলনা প্রদান করে যা তাদের শ্রোতাদের সাহায্য করে এবং বিশ্বাস তৈরি করে।

৫৮.আপনাকে পুনরাবৃত্ত কমিশনের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় অধিভুক্ত আয়ে উপার্জন করতে দেয়। আবার কখনও আপনি বিক্রয়ের পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কমিশন পান, যেমন এক বছরের মতো। আপনি যদি সত্যিই প্যাসিভ ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে উচ্চ আয়ের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের সন্ধান করতে হবে।

৫৯.অনলাইন ক্রেতারা সাধারনত খাঁটি তথ্য খোঁজে। ফলে ৫৫% মানুষ এমনকি পন্য ক্রয়ের সময় ভিডিও ব্যবহার করে। একটি ভিডিও আপনাকে একটি পণ্য ব্যবহার বা পর্যালোচনা দেখায়। আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রচার পদ্ধতির একটি হিসাবে ভিডিও ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

৬০.আপনার শ্রোতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি আবেদন করার সম্ভাবনা কী তা দেখতে আপনি চিত্র এবং ভিডিও দেখতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তির প্রচার করেন, তাহলে মানুষ ছাড়া ছবিগুলিতে লোকেদের ছবিগুলির তুলনায় ২৬% বেশি CTR থাকে৷

৬১.একটি অনলাইন রিটেইল স্টোর বা কোম্পানি আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে লিঙ্ক রেখে তাদের পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করার জন্য কমিশন প্রদান করে। কমিশন আপনার প্রচারিত কোম্পানি এবং পণ্যের উপর নির্ভর করে। কিছু কোম্পানি আপনাকে কয়েক ডলার দিবে পণ্য বিক্রির জন্য। আবার অন্য কিছু পণ্যের মূল্যের উপর নির্ভর করে শত ডলার দেবে।

৬২.আপনার অ্যাফিলিয়েট ইনকাম ব্লগে ট্রাফিক পাওয়া প্রথম বাধা। পরের ধাপ হল দর্শকদের ক্লিক করার জন্য। আপনার সম্ভাবনা উন্নত করার একটি উপায় হল আপনার শিরোনাম এবং কল টু অ্যাকশন নিয়ে পরীক্ষা করা।

৬৩. ৮৩% বিপণনকারী যারা তাদের বিক্রয় ফানেলের আবিষ্কার এবং সচেতনতা পর্যায়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং লক্ষ্য গ্রাহকদের ব্যবহার করে।সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের দ্বারা তৈরি সামগ্রী পুল ১৭৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

৬৪. ২০১৬ সালের ৩ মাসের মধ্যে ৪২.১% বিক্রয় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের দ্বারা করা হয়েছিলো।কোম্পানি গুলো নিজেরাই একটা ট্র্যাকিং প্লাটফর্ম তৈরি করে নেই এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।কোম্পানি গুলো নিজেরাই একটা ট্র্যাকিং প্লাটফর্ম তৈরি করে নেই এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে।আসলে, আপনি যদি চান ফ্রি তেও শুরু করতে পারেন।

৬৫.অনেক সময় দেখা যায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করে টাকা ইনকাম করলেন, কিন্তু সেটা যদি ক্যাশ করতে না পারেন তাহলে সেটা অনেক বড় একটা ঝামেলা। বেশিরভাগ কোম্পানি পেমেন্ট করে paypal এবং ব্যাংক এর মাধ্যমে।

৬৬.অনেকেই মনে করেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে মনে হয় অনেক টাকার দরকার, কারণ অনেক জায়গাতে শুনে এসেছেন পেইড ক্যাম্পেইন করতে হয়।একটা বিষয় আপনাকে বুঝতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি স্বাধীন পেশা এবং নিজের ব্যবসা। যেহেতু এটা একটা ব্যবসা এবং এখানে টাকা এবং ইনকাম জড়িত। এজন্য নুন্যতম একটা বাজেট নিয়ে কাজে নামতে হয়।

৬৭.আপনি যদি কোন টেলিভিশন কোম্পানি এর অ্যাফিলিয়েট করেন তাহলে আপনার ক্রেতা ওই পণ্যটি ফিজিক্যালি ব্যবহার করবে।ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট এর ক্ষেত্রে তাদের কমিশন স্ট্রাকচার সব সময় একটু কম হয়ে থাকে। কোম্পানি ভেদে দেখা যায় ৫% – ২০%। তার মানে আপনি যদি একটি প্রডাক্টটি বিক্রি করেন, আপনি ৫% থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন পাবেন।

৬৮.আপনি চাইলে স্পোর্টস নিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন।নিশ সিলেক্ট করে আপনি যে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো একটি প্রোডাক্ট নেবেন এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করে নেবেন। আপনি চাইলে যে কোন ইন্ডিভিউজিয়াল কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামেও জয়েন করতে পারেন।

৬৯.ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন যেটা আপনার জন্য সুবিধা হয় আপনি সে ভাবেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।আরো ছোটখাট অনেকগুলো রাস্তা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন তাহলে দেখবেন অটোমেটিক সে বিষয়গুলো আপনার জানা হয়ে যাবে এবং শেখা হয়ে যাবে।

৭০.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর সবচেয়ে সহজ উপায়টা হল ব্লগিং আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য ব্লগিংয়ে একমাত্র সহজ রাস্তা।৯৫% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করে এবং তারা ব্লগিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।

৭১.ব্লগিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য বেশি লাভবান হবে এবং সেক্ষেত্রে আমাদের প্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটা হল কিওয়ার্ড টার্গেট করা।সেক্ষেত্রে আপনার কিছুটা এসইও (SEO) নলেজ লাগবে তাছাড়া আপনি আর্টিকেল লিখতে পারবেন কিন্তু আপনি রেংক করাতে পারবেন না । যদি আপনার এসইও (SEO) সম্বন্ধে বেসিক ধারনা না থাকে তাহলে এসইও (SEO) ছাড়া আপনার আর্টিকেল গুগলে রেংক হবে না।

৭২. blogsport.com দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারেন এবং সেখানে Affiliate মার্কেটিং করতে পারেন যদি একেবারে প্রথম অবস্থায় আপনি টাকা ইনভেস্ট করতে না চান এবং কিছু মানুষ এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।

৭৩.সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে Affiliate মার্কেটিং করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে বিষয়গুলো আপনাকে দেখতে হবে সেটা হলো ভালো ফ্যান ফলোইং আছে কি না।

৭৪.আপনার ফ্যান ফলোইং তেমন না থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন মানুষের সাথে কানেক্ট হওয়ার যতটা সম্ভব। আপনি মানুষের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে কানেক্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে চান।

৭৫.প্রোডাক্ট আপনি বিক্রি করতে চান সেই প্রোডাক্টগুলোর সম্বন্ধে ভালো কিছু দেস্ক্রিপশন লেখে এবং যতটুকু সম্ভব সাজিয়ে গুছিয়ে লিখবেন যাতে করে মানুষের কেনার আগ্রহ হয় এবং আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৭৬.কিছু কিছু প্রোডাক্ট হয়তো আপনাকে $১ ডলার অথবা $২ ডলার কমিশন দিবে তারপর কিছু প্রোডাক্ট আছে যেগুলো আপনাকে $১০০ ডলার অথবা $২০০ ডলার পর্যন্ত কমিশন দিতে পারে।

পুরোটাই নির্ভর করে আপনার পরিশ্রমের ওপরে আপনি যতটুকু পরিশ্রম করতে পারবেন এবং আপনার প্রোডাক্ট দেস্ক্রিপশন যত সুন্দর করে সাজিয়ে গুজিয়ে লিখতে পারবেন প্রোডাক্ট সম্বন্ধে আপনার তত প্রোডাক্ট সেল হবে এবং আপনার ইনকাম তত বেশি হবে।

৭৭.এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করব সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বেকার থাকেন আপনার কোন কাজ না থাকে তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন অথবা যদি আপনি কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সে ক্ষেত্রে করতে পারেন।

৭৮.মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানুষ করে ভালো পরিমাণের কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য এবং আপনিও যদি করেন তাহলে অবশ্যই টাকা ইনকামের জন্য করবেন।

৭৯.বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ৮০% কোম্পানীর পণ্য বিক্রয়ের জন্যে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছেএক্সিস্টিং কাস্টোমার ধরে রাখতে ৭৯% ব্র্যান্ড এফিলিয়েট কুপন ছেড়ে থাকে।

৮০.বর্তমান সময়ে কিছু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছে যারা হাজার ডলার থেকে শুরু করে লক্ষ ডলার পর্যন্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করে ।

৮১. Affiliate মার্কেটিং মোবাইল দিয়ে করা যায় সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার বাধ্যতামূলক না । বর্তমানে বেশি মানুষ মোবাইল দিয়ে ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এগুলো করে থাকে এবং একাজগুলো মোবাইল দিয়ে খুব ইজি ভাবে হয়ে যায়।

৮২.আপনি যে দেশেই থাকেন না কেন আপনি ওখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তবে এখানে শর্ত হলো যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে তারা সব সময় ইউরোপ কান্ট্রি গুলো কে টার্গেট করে কারণ ইউরোপ দেশ থেকে কমিশন বেশি পাওয়া যায় যেমন ধরুন ইউএস কানাডা অস্ট্রেলিয়া তবে বেশিরভাগ ইউ এস কে টার্গেট করে।

৮৩.একজন Affiliate মার্কেটার অ্যামাজনের পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং তার মাধ্যমে যে বিক্রি হয় তা থেকে কমিশন হিসেবে আয় করতে পারেন। অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েটের কমিশন ৪ থেকে ৭.৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৮৪.কোন ক্রেতা যদি আপনার দেয়া অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে ঐ পণ্য বা সেবা কেনেন, তাহলে আপনি একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন।

৮৫.এম্যাজান স্টোরের ১০০০ ডলারের পণ্য আপনি সেল করিয়ে দিলে আপনাকে কমপক্ষে ৪০ ডলার কমিশন দিবে। এভাবে বিশ্বের প্রায় সব কোম্পানিই তাদের পণ্যের বিক্রির উপর কমিশন দেয়, আর সেটাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

৮৬.বিশ্বব্যাপি বহুল পরিচিত একটি হোস্টিং কোম্পানি হচ্ছে হোস্টগেটর host-gator.com এখন যদি আপনি হোস্টগেটর এর হোস্টিং আপনি কোন মাধ্যমে সেল করাতে পারেন তাহলে প্রতিটি সেলে হোস্টগেটর আপনাকে কমিশন দিবে আর এই ধরনের মার্কেটিং করাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

৮৭.আমরা যদি বাংলাদেশের একটি ওয়েবসাইট টেমপ্লেইট তৈরি করে এমন একটি কোম্পানি জুমশেপার এর ওয়েবসাইট ভিজিট করি,তাহলে দেখব যে এখান থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য থিম/টেমপ্লেইট, প্লাগিন্স কেনা যায়।

এখন এই থিম/টেমপ্লেইট, প্লাগিন্স যদি আপনার মাধ্যমে সেল হয় তাহলে জুমশেপার আপনাকে কমিশন দিবে আর এই কমিশন পাওয়ার জন্য মার্কেটিং করাই হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

৮৮. ৮৩% ভোক্তা বলেছেন প্রোডাক্ট রিভিউ তাদের পার্সেচ ডিশিসনকে প্রভাবিত করে,৭০% ক্রেতা কেনার আগে অনলাইনে প্রোডাক্ট রিভিউ খুজে।প্রায় অর্ধেকেরও বেশিভাগ ক্রেতা প্রোডাক্ট রিচার্সের অংশ হিসাবে সার্ভে এবং ভোক্তাদের রিভিউ পড়ে থাকেন।প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মার্কিনি কেনার আগে কোনও না কোনো সময় প্রোডাক্ট রিভিউ পড়ে থাকেন।

৮৯.১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অনেক বড় বড় সাইট বা নেটওয়ার্ক রয়েছে যাদের কাছ থেকে সাইনআপ করে আপনি বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। বিশ্বের বড় কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হচ্ছে :

• আমাজন অ্যাফিলিয়েট https://affiliate-program.amazon.com/
• ক্লিকব্যাংক http://www.clickbank.com/
• ক্লিক সিউর https://www.clicksure.com/
• কমিশন জাংশন http://www.cj.com/
• ওয়ান নেটওয়াক র্ডাইরেক্ট http://www.onenetworkdirect.com/
• লিংকশেয়ার http://www.linkshare.com/
• কমিশনসোপ https://www.commissions.com/
• শেয়ারএসেল http://www.shareasale.com/
• ওয়ারিয়রপ্লাস http://www.warriorplus.com/
• অ্যাফিলিয়েটউইন্ডো http://www.affiliatewindow.com/

৯০.হাতে কলমে শেখার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রফেশনালি কেউ করছে তার কাছ থেকে বা ভালমানের কোন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটেরও দারস্থ হতে পারেন, যাঁরা দ্রুত আপনাকে একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে সাহায্য করবে।

৯১.২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, শুধু অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিংয়ের মাধ্যমে মার্কেটাররা আয় করছেন ৪০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এই বাজারের ১% যদি আমরা ধরতে পারি তাহলে প্রতি বছর দেশে আসবে ৪০০ কোটি টাকা।

৯২.ব্লগ লিখে অ্যাফিলিয়েট মাকের্টিংয়ের ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্সসহ বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও নিজের সাইট থেকে আয় করা যায়। এখান থেকেই আমাদের তরুণদের কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

৯৩.বাংলাদেশে এখন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার, গুগল অ্যাডসেন্স পাবলিশার রয়েছেন যারা ব্লগ লিখে আয় করছেন ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার পর্যন্ত। বাংলাদেশি তরুণরাই যে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করছেন।

৯৪.১০৪ টি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কমিশন, একটি বিজনেস ফর্মূলা যেখানে অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন পাবেন প্রত্যেকবার পেতে পারেন।

৯৫.মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর বর্তমানে ৮০% বিক্রেতা এবং ৮৫% কনটেন্ট ক্রিয়েটার বা প্রকাশক অ্যাফিলিয়েট বিপণন কৌশল ব্যবহার করে থাকে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অ্যাফিলিয়েট বিপণন কৌশল ব্যবহার ইনকামের পরিমাণ ১১% বৃদ্ধি পেয়েছে যে সংখ্যাটা ২০২৩ সালের মধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌছাবে।

৯৬. ধারণা করা হয় অনলাইনে অর্ডারের ১৬% অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।২০১৮ সালে বিক্রেতারা তাদের সামগ্রীক বিপণন খরচের জন্য প্রথাগত বিপণন পদ্ধতির জন্য ৬২% হিসাবে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্ত সেই বছরই প্রথাগত পদ্ধতির চাইতে তিনগুণ বেশি বিক্রি বৃদ্ধি পায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর দ্বারা।

৯৭. ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অ্যামাজন.কম এর অ্যাফিলিয়েট এর সকল পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়। যার মাধ্যমে প্রকাশক/নির্মাতাদের জন্য পণ্য বিক্রির ১-১০% হারে অফার করে। এটির মাধ্যমে প্রকাশক/নিমার্তাদের প্যাসিভ অনলাইন ইনকাম বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।

৯৮. আপনি শুধু অ্যাফিলিয়েট করে ইনকাম নয়, বরং এটির মাধ্যমে আপনি একটি নিজের ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবেন।

৯৯.অ্যাফিলিয়েটরের বিক্রি হওয়া পণ্যগুলি বিক্রেতা বা কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে অনুমোদিত লিংকের মাধ্যমে ট্র্যাকিং করা হয়।

১০০. Affiliate marketing পণ্যের বিপণন এবং মার্কেটার সৃষ্টির দ্বায়িত্বগুলোকে বিভিন্ন দক্ষ জনবলদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কাজ করে থাকে। কারণ, এটি একটি অত্যন্ত কার্যকরী বিপণন কৌশল হওয়াতে বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় ।

১০১.বিপণন কৌশলটি সম্পন্ন করতে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে এই বিপণন কৌশলে জড়িত থাকতে হবে তিনটি দল হচ্ছে

বিক্রেতা ও পণ্য উৎপাদনকারী।

বিজ্ঞাপনদাতা কিংবা এফিলিয়েটর।

গ্রাহক।

১০২.বিক্রেতা একক উদ্যোক্তা কিংবা একটি বৃহৎ মালিকানার একটি প্রতিষ্ঠান। নিজের কিংবা অন্যের এক বা একাধিক পণ্য বাজারজাত করে থাকে অনলাইনের মাধ্যমে। এই পণ্যগুলো হতে পারে কোন একটি শারীরিক বস্তু, গৃহস্থালী সামগ্রী, মেকআপ, প্রযুক্তি পণ্য, সফটওয়্যার, টিউটেরিয়ালের এর পরিষেবা যা বিক্রয়যোগ্য।

১০৩.সাধারণত অ্যাফিলিয়েটদের একটি নির্দিষ্ট ধরণের গ্রাহক/অডিয়েন্স থাকে, এই গ্রাহকদের মধ্যে তারার বিক্রেতার পণ্য বাজারজাত করে থাকে।

১০৪.একজন গ্রাহক যখন অনুমোদিত Affiliate লিংক দ্বারা অ্যাফিলিয়েটরের বাজারজাত করা পণ্যটি এবং নির্দিষ্ট সময়-সীমার মধ্যে যতগুলি পণ্য কিনবে, ততগুলি পণ্যের ওপর কমিশন পাবে। একেক ওয়েবসাইট একেক-রকম নিয়মে এই কমিশন প্রদান করে থাকে।

উপরোক্ত টপ গুলো হয়তো আপনাকে খুব একটা উপকার পৌঁছাবে না। কিন্তু, অনলাইনে কাজ করার ব্যাপারে ছোট থেকে ছোট সকল জ্ঞানই কখনো না কখনো কাজে লাগে।

দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ১০টি অ্যাফিলিয়েট সাইট

Amazon

E-bay

Wall-mart

Ali-baba

Envato

Creative Market

Flipkart

Namechea

Host gator

Ali Express

Blue-host

আপনি একটু ইন্টারনেট ঘুরলে দেখবেন অন্য কোন ব্যক্তি প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ ডলার কমিশন উপার্জন করছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে। তেমনিভাবে আপনিও যদি মেধা ও কর্ম-দক্ষতা কাজে লাগান তাহলে আপনিও মাসে হ্যান্ডসাম একটা ইনকাম নিমিষেই করতে পারবেন।

যদিও, পরিশ্রম করবেন কি করবেন না সেটা সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত অনলাইন মার্কেটিং তাই আপনাকে কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে (সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ইমেইল মার্কেটিং, স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং) ভাল ধারণা নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরূ করলে ভাল হবে।

আপনি চাইলে আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুর নিকট শেয়ার করতে পারেন। তারাও যাতে জানতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে। id=২১৫২৬