তরমুজ চাষ পদ্ধতি - টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি

 আসসালামু আলাইকুম পাঠকগণ এই পোস্টে আমরা তরমুজ চাষ পদ্ধতি - টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল।বাংলাদেশের মানুষ গ্রীষ্মকালীন সময়ে এর ফলের অনেক চাহিদা করে থাকে কারণ এ ফলটি খাওয়ার ফলে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে এবং পানি শূন্যতা পূরণ করে থাকে।তরমুজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা তরমুজ চাষ করতে চাই কিন্তু তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানেনা। আজকে আমাদের মূল আলোচনার বিষয় হলো তরমুজ চাষ পদ্ধতি।

তাহলে চলুন দেরি না করে তরমুজ চাষ পদ্ধতি - টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ তরমুজ চাষ পদ্ধতি - টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতিঃ ভূমিকা

তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। বাংলাদেশের মানুষ গ্রীষ্মকালীন সময়ে এর ফলের অনেক চাহিদা করে থাকে কারণ এ ফলটি খাওয়ার ফলে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে এবং পানি শূন্যতা পূরণ করে থাকে। বাংলাদেশে প্রায় গ্রীষ্মকালীন সময়ে তরমুজ চাষ করে থাকে কারণ গ্রীষ্মকালীন সময়ে তরমুজ চাষ করে অধিক লাভবান হয়ে থাকে এবং অধিকারে উৎপাদন বৃদ্ধি হয়। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষের আবহাওয়া অনেক উপযোগী।

আরো পড়ুনঃ ১৯ টি সেরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স

  • আবহাওয়া-মাটি তৈরিঃ গ্রীষ্মকালীন তরমুজ হলেও তরমুজ খুব গরম আবহাওয়া সহ্য করে না। তরমুজের জন্য প্রচুর রোদ এবং শুকনো আবহাওয়া প্রয়োজন। তরমুজ বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মায়। একই মাটিতে বারবার তরমুজ উৎপাদন করা উচিত নয়। অবশ্যই তরমুজ চাষের জন্য জমি কে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো থাকতে হবে এদিকে ভালোমতো লক্ষ রাখতে হবে। মাটি উর্বর হতে হবে।
  • সেচ দেওয়াঃ তরমুজ রোপন করার সময় অবশ্যই সেচ দিতে হবে। ভালো ফলন পেতে চাইলে প্রতি সপ্তাহে তরমুজ সেচ দিতে হবে। সেচ দেওয়ার সময় গাছের মূল অংশ ভেজাতে হবে। ভালোমতো সেচ দেওয়া না হলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে না।
  • সার প্রয়োগঃ তরমুজ রোপনের সময় জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। পুরা মৌসুম জুড়ে তরল সার প্রয়োগ করতে হবে। আপনি যদি ভাল ফলন পেতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়ম অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সার প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে পারেন।

হাইব্রিড তরমুজ চাষ পদ্ধতি

তরমুজ অনেক সুস্বাদু এবং গরমের সময় একটি তৃপ্তিদায়ক ফল। তরমুজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাইতো প্রচুর পরিমাণে তরমুজ চাষ হয়ে থাকে। উপরে আমরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানলাম। এখন হাইব্রিড তরমুজ চাষ পদ্ধতি জানব। কিভাবে হাইব্রিড তরমুজ চাষ করতে হয় জেনে নিন।

  • আবহাওয়া ও মাটিঃ যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস রয়েছে সেখানে তরমুজ চাষ করতে হবে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অধিক আদ্রতা তরমুজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।
  • জমি তৈরিঃ প্রয়োজন অনুযায়ী জমি চাষ করতে হবে এবং জমিতে মই দিতে হবে। তারপর জমিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। বীজ ছাড়া সাধারণত তরমুজের বংশবিস্তার করা হয়ে থাকে।
  • বীজ বপনের ও সময়ঃ সঠিক সময়ে বীজ বপন করতে হবে। তরমুজ চাষের জন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত উপযুক্ত সময় হিসেবে ধরা হয়। এছাড়া তরমুজের অনেক জাত আছে যেগুলো নভেম্বর ডিসেম্বর পর্যন্ত বপন করা যায়। তবে তরমুজ চাষের বীজ বপনের জন্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু উত্তম সময় এসে ধরা হয়। তবে বীজ বপন করার আগে গর্ত করে সেখানে সার প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে তরমুজের বীজ বপন করতে হবে।

হলুদ তরমুজ চাষ পদ্ধতি

বাংলাদেশ হলুদ তরমুজ চাষ বেড়ে চলেছে। তার কারণ দিনে দিনে হলুদ তরমুজের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। হলুদ তরমুজ চাষ করে চাষিরা অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারছে। হলুদ তরমুজ চাষ করে অনেক চাষি সফল হয়েছেন। এখন আমরা হলুদ তরমুজ চাষ পদ্ধতি জানবো।

আবহাওয়া - মাটি তৈরিঃ

আমরা সকলেই জানি যে তরমুজ চাষের জন্য আলো-বাতাস যুক্ত জায়গা প্রয়োজন। তবে এদিকে ও খেয়াল রাখতে হবে অধিক আদ্রতা তরমুজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তরমুজ চাষের জন্য সঠিক মাটি নির্বাচন করতে হবে এবং মাটি তৈরি করতে হবে। তরমুজ এর ভালো ফলন পেতে হলে অবশ্যই তরমুজ কোন ধরনের মাটিতে ভালো ফলন দেয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে তরমুজ চাষ শুরু করতে হবে। তোর মত সাধারণত উর্বর দো - আঁশ ও বেলে দো - আঁশ মাটিতে ভালো জন্মায়। মাটি তৈরি করতে মাটির প্রয়োজন অনুযায়ী চাষ ও মই দিতে হবে। এরপর জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সেরা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম 2023

বীজ রোপণের সময় ও লাভঃ

সঠিক সময়ে তরমুজের বীজ বপন করতে হবে। তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত সময় জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু উত্তম ধরা হয়। এসময় বীজ বপন করলে ফসল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। হলুদ তরমুজ চাষ করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। হলুদ তরমুজ বাংলাদেশের ধীরে ধীরে আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। লাল তরমুজের দামের থেকে হলুদ তরমুজ এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে। প্রতি করতে ৩-৪ টি বীজ বপন করা যায়। তবে বীজ বপন করার আগে গর্ত করে সেখানে সার প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে তরমুজের বীজ বপন করতে হবে।

বারোমাসি তরমুজ চাষ পদ্ধতি

বারোমাসি তরমুজ চাষ করে অনেক চাষী সফল হয়েছেন এরকম খবর আমরা অনেকেই শুনে থাকি। আপনি যদি সঠিকভাবে পরিশ্রম করেন এবং সঠিকভাবে চাষ পদ্ধতি জানেন তাহলে আপনিও এরকম ভাবে সফল হতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে এবং সঠিক বারোমাসি তরমুজ চাষ পদ্ধতি জানতে হবে। তাহলে চলুন বারোমাসি তরমুজ চাষ পদ্ধতি জেনে নেই।

  • জমি তৈরিঃ তরমুজের চারা লাগানোর জন্য বেড তৈরি করতে হবে। চারপাশে বেড তৈরি করতে হবে। এমনভাবে পাশাপাশি দুইটি বেড তৈরি করতে হবে এবং মাঝে ৫০ সেন্টিমিটার খালি থাকবে। এ ধরনের জমিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়।
  • চারা তৈরি ও রোপনঃ  মার্চ থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ তরমুজের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় ধরা হয়। এক বিঘা জমির জন্য ৫০ গ্রাম বীজ লাগে। চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বীজগুলো ভিজিয়ে রাখলে চারা তৈরী হয়ে যাবে। এভাবেই চারা তৈরি করে রোপণ করতে হবে।
  • বালাই নাশক ব্যবস্থাপনাঃ তরমুজের গাছের বিভিন্ন রোগ ও পোকা মাকড় আক্রান্ত হতে পারে।  রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ভালো ফলন পেতে হলে এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে। কারণ পোকামাকর একবার আক্রমণ করলে ভালো ফলন হতে দেয় না।

মাচায় তরমুজ চাষ পদ্ধতি

মাচায় তরমুজ চাষ করে অনেক চাষী সফল হয়েছেন। এখন মাচায় তরমুজ চাষ পদ্ধতি বেড়ে চলেছে। এরকম অনেক চাষি আছে যারা মাচায় তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই। আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনারা সেটা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন মাচায় তরমুজ চাষ পদ্ধতি জেনে নেই।

জমি ও বেড তৈরিঃ

জমিতে চারা লাগানোর জন্য বেড তৈরি করতে হবে। চারপাশের আইল থেকে ৫০ সেন্টিমিটার চওড়া করে লম্বা বেড তৈরি করতে হবে। একইভাবে আরেকটি বেড করতে হবে। দুই বেডের মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে এবং বেড তুলনামূলক উঁচু করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখে টাকা আয়

মাচা তৈরিঃ

দুই বেডের মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় বাশ ও দড়ি দিয়ে মাচা তৈরি করতে হবে। এতে দুই পাশের বেডে দিয়ে গাছ উঠতে সুবিধা হয়। প্রথমে বাশের কাঠামো তৈরি করে তার ওপর লম্বা করে টাঙিয়ে ফ্রেম গুলোর উপর টেনে দিতে হবে। এরপর দড়ি বিছিয়ে দিতে হবে। মাচা অবশ্যই শক্তিশালী করে তৈরি করতে হবে।

চারা তৈরি ও রোপনঃ 

তরমুজের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হল মার্চ থেকে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তরমুজ চাষের জন্য এক বিঘা জমিতে ৫০ গ্রাম বীজ লাগে। চারা উৎপাদনের জন্য সন্ধ্যাবেলায় ৫ ঘণ্টার বীজগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর বীজগুলোকে কয়েকঘণ্টা রোদে শুকাতে হবে। এভাবে অনেকগুলো চারা তৈরি করা সম্ভব।

টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি

অনেকে আছে বাড়ির ছাদে বা বাড়ির নিজস্ব বাগানে তবে তরমুজ চাষ করে থাকে। এতে করেও ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাহলে চলুন এখন আমরা তবে তরমুজ চাষ কিভাবে করবেন সেই সম্পর্কে জেনে নিন। আপনি যদি টবে তরমুজ চাষ করতে চান সেই জন্য টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

  • স্থান ও টব নির্বাচন করতে হবেঃ বাসার বারান্দায় অথবা ছাদে এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে প্রচুর আলো বাতাস পাওয়া যাবে। কারণ তরমুজ চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো-বাতাস প্রয়োজন। টবে তরমুজ চাষ করার জন্য মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিতে হবে। তাহলে সব থেকে ভালো তরমুজ উৎপন্ন হবে।
  • মাটি তৈরি করতে হবেঃ দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য সবচাইতে উপযোগী। মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার মিশিয়ে দেয়া হবে এরপর মাটিগুলো কে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর নির্বাচন করা টবে মাটি ভর্তি করতে হবে এবং বীজ রোপন করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
  • বীজ অথবা চারা রোপনঃ তরমুজ চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। বীজ রোপণের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ সর্বোত্তম হিসেবে ধরা হয়। এই সময় যদি বীজ বপন করা যায় তাহলে ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়

আমাদের পোস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে তরমুজ চাষ পদ্ধতি শিক্ষা দেওয়া। তাই এই পোস্টে আমরা তরমুজের বিভিন্ন জাত তরমুজ চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছি। আপনি তরমুজ চাষ পদ্ধতি জানতে চাইলে আমাদের এখানে সব ধরনের তরমুজ চাষ পদ্ধতি জানতে পারবেন। আমরা অনেকেই তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় সম্পর্কে জানিনা। তাহলে চলুন কোন সময় তরমুজ চাষ করলে ভালো ফলন পাবেন তা জেনে নেই।

তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময়ঃ

বাংলাদেশের তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় হিসেবে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এর মধ্যকার সময়কে ধরা হয়। এছাড়া তরমুজের অনেক জাত আছে যেগুলো নভেম্বর ডিসেম্বর পর্যন্ত বপন করা যায় এবং ভালো ফলন পাওয়া যায়।

তবে তরমুজের বীজ বপন এর জন্য জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসকে উপযুক্ত সময় ধরা হয়। তরমুজ চাষ করার জন্য উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ তরমুজের বীজ রোপণের উপযুক্ত সময়।

তরমুজ চাষ এলাকা - তরমুজ চাষ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় তরমুজ চাষ করা হয়। কিন্তু এই বছর বাংলাদেশের সবথেকে বেশি তরমুজ উৎপন্ন হয় কোন এলাকায় আপনি কি জানতে চান? বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলাতেই তরমুজ চাষ করা হয়। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত। আমরা জানি যে তরমুজ চাষের জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় বিষয় হলো উপযুক্ত মাটি।

যদি মাটি তরমুজ চাষ করার উপযুক্ত হয় তাহলে বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় তরমুজ চাষ করা সম্ভব।এই বছরে বাংলাদেশের যেসব এলাকায় সবথেকে বেশি তরমুজ চাষ করা হয়েছে সেগুলো হলোঃ

  • পটুয়াখালী
  • বরগুনা
  • ভোলা

তরমুজ চাষ সারের পরিমাণ

তরমুজ চাষ পদ্ধতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো সার প্রয়োগ করা। তরমুজের ভালো ফলন পেতে চাইলে সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে ভালো ফলন আশা করা যায়। তাহলে চলুন তরমুজ চাষ সারের পরিমাণ জেনে আসি। তারপরেও আপনি তরমুজ সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

  • পচা গোবর ও জৈব সার ১০ কেজি
  • খৈল ৫০০ গ্রাম
  • টিএসপি ২৫০ গ্রাম
  • ছাই ৪ কেজি
  • প্রতি শতকে গোবর ১০-১৫ টন
  • ইউরিয়া ২৮০ কেজি
  • পিএসপি ১০০ কেজি
  • এম ও পি ৩২০ কেজি
  • অবশ্যই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে সার প্রয়োগ করতে হবে।

তরমুজ বড় করার উপায়

অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা একটু লাভের আশায় বিভিন্ন রকম ফরমালিন মিশিয়ে তরমুজ তাড়াতাড়ি পরিপক্ক করে দেয় এবং বড় করে যেন তাদের লাভ হয়। কিন্তু এটি কি সঠিক? অবশ্যই না আপনি যদি সঠিকভাবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন তাহলে আপনার তরমুজ গুলো এমনিতে বড় হবে। এর জন্য কখনোই অসদুপায় অবলম্বন করবেন না।

আরো পড়ুনঃ উইন্ডোজ 10 লক স্ক্রিনে কীভাবে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করবেন

এতে আপনার ক্ষতি হবে যে আপনার ফলগুলো কিনে খাবে তার সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে। আমাদের এ ধরনের কাছ থেকে সবসময় বিরত থাকতে হবে। উপরোক্ত অনেকগুলো তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি এগুলো মেনে চললে অবশ্যই আপনার মত বড় হবে।

আমাদের শেষ কথাঃ তরমুজ চাষ পদ্ধতি - টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমরা তরমুজ চাষ পদ্ধতি - টবে তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আপনি যদি চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তরমুজ চাষ করে ভালো ইনকাম করবেন তাহলে এটি আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পোস্ট। সম্পন্ন করলে তরমুজ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন। তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। বাংলাদেশের মানুষ গ্রীষ্মকালীন সময়ে এর ফলের অনেক চাহিদা করে থাকে কারণ এ ফলটি খাওয়ার ফলে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে এবং পানি শূন্যতা পূরণ করে থাকে। ভালো থাকবেন আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আজকের পোস্ট শেষ করছি আসসালামু আলাইকুম। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url