সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত - সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত
সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে উল্লেখ করা হবে। বাংলাদেশের যে সকল প্রাচীন মসজিদ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো সোনা মসজিদ। এখন কথা হলো: সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগের সহিত পড়তে হবে। আসুন দেখে নেয়া যাক, সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত।
পেজ সূচিপত্র: সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত - সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত
সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন: উপস্থাপনা
আপনি হয়তো বা সোনা মসজিদের নাম শুনে থাকবেন। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এই মসজিদটি অবস্থিত। ধারণা করা হয় এই মসজিদটি ১৫ শতকের দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদটির নির্মাণশৈলীতে সুলতানি আমলের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণ করার ক্ষেত্রে, অনেক দামি পাথর ব্যবহার করা হয়েছে এবং দামি দামি অনেক ধরনের ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে।
যেহেতু এই মসজিদটি, অনেক দামি ধাতু দ্বারা নির্মিত তাই এই মসজিদটি সহ মসজিদ নামে পরিচিত লাভ করেছিল। যদিও সেসকল মূল্যবান ধাতু এখন আর অবশিষ্ট নেই। সোনা মসজিদ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা হওয়ার কারণে, সরকার এই মসজিদটি কে সংরক্ষণ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যাই হোক আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো সোনা মসজিদ।সোনা মসজিদের যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।
আরো পড়ুন: স্ত্রীর মাসিকের সময় সহবাস করার বিকল্প নিয়ম
তাই আপনি যদি জানতে চান যে, সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত এবং সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন তাহলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সহিত পড়তে থাকুন আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্ন সমূহের উত্তর পেয়ে যাবেন। সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত এবং সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।
সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত
বাংলাদেশের যতগুলো বিখ্যাত মসজিদ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ হলো সোনা মসজিদ। প্রতিবছর মসজিদ ভ্রমণ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে দর্শণার্থী সোনা মসজিদে গমন করেন। চাইলে আপনিও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি দেখে আসতে পারেন। ভ্রমণ করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায় ভ্রমণ করলে মন প্রশান্ত হয়, তাই যেখানে সেখানে ভ্রমণ না করে আপনি যদি মসজিদের মতো পবিত্র জায়গা ভ্রমন করেন তাহলে আশা করি আপনার ভালো লাগবে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গাটি ভ্রমণ করে অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। আশা করি আপনি যদি সহ মসজিদ ভ্রমণ করেন তাহলে এখানে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা পাবেন যা সাধারনত অন্য কোন ভ্রমন স্পটে পাওয়া যায় না।
সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, তা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে। সুতরাং সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে আপনাকে ভিন্নবর্নিত তথ্যগুলো মনোযোগের সহিত পড়তে হবে। চলুন দেখে নিই, সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
সোনামসজিদ মূলত ঐতিহাসিক স্থাপনা হওয়ার কারণেই বিখ্যাত। পাঁচশত বছর আগের এই অনন্য স্থাপনা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সোনা মসজিদের মাধ্যমে, প্রাচীন বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। সোনা মসজিদ "সুলতানি স্থাপত্যের রত্ন" হিসেবে পরিচিত। ভ্রমণ করতে পারেন। সোনা মসজিদ ভ্রমণ করতে চাইলে আপনাকে সর্বপ্রথম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে যেতে হবে।
ঢাকা থেকে খুব সহজেই বাসযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেতে পারবেন। এছাড়াও ঢাকার বাইরে যেকোন জেলা থেকে সরাসরি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যাওয়া যায়। চাইলে আপনি ট্রেনের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেতে পারবেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে যাওয়ার পরে সেখান থেকে সোনা মসজিদে যেতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে সারা মসজিদের দূরত্ব ৩৮ কিলোমিটার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর থেকে, যে কোন যানবাহনে করে খুব সহজেই আপনি সোনা মসজিদে যেতে পারবেন। সোনা মসজিদে ভ্রমণ করার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে রাত্রি যাপন করার প্রয়োজন হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে অনেকগুলো ভালো ভালো হোটেল রয়েছে সেখানে থাকতে পারেন। সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত এবং সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন, সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তরের নিচে তুলে ধরা হলো।
সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত
১৫ শতকের দিকে নির্মাণকৃত সোনা মসজিদ বর্তমান বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। তাই সোনা মসজিদ গ্রহণ করতে চাইলে আপনাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেতে হবে। কিভাবে আপনি খুব সহজেই, মসজিদ ভ্রমণ করতে পারবেন সে সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কেন মসজিদ সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।
সোনা মসজিদ সর্বমোট ৮২ ফুট লম্বা এবং ৫২.৫ ফুট চওড়া। আর এই মসজিদটির উচ্চতা হল ২০ ফুট। প্রাচীন আমলের নির্মাণশৈলী হওয়ার ফলে এই মসজিদের দেয়ালগুলো ছয় ফুট মোটা।মসজিদে মোট চারটি পিলার রয়েছে। পুরো মসজিদটি ইটের তৈরি মসজিদের খিলানগুলোতে দামি দামি ধাতুর তৈরি বিভিন্ন ধরনের নকশা ছিল।
তবে কাল ক্রমে সেই নকশাগুলো হারিয়ে গিয়েছে। মসজিদটিতে মোট দরজা রয়েছে পাঁচটি।এছাড়াও এই মসজিদটির পশ্চিম দিকে একটি সিঁড়ি রয়েছে যে সিঁড়িটি দোতালায় উঠেছে। ধারণা করা হয় দোতলা কক্ষটি মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল। আর সেটিকে বলা হতো জেনানা মহল। সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত, আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনেছেন। নিচে সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন তা নিচে তুলে ধরা হলো।
সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন
সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন? এ প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করলে জানা যায়, ওয়ালি মোহাম্মদ আলি নামের এক ব্যক্তি এই মসজিদটি তৈরি করেন। মসজিদটি খুবই সুন্দর করে নির্মাণ করা হয়েছিল। মসজিদটি যখন তৈরি করা হয় তখন তার অভ্যন্তরে অনেক নকশা ছিল। বিশেষ করে পুরো মসজিদটাই অলংকৃত একটি মসজিদ ছিল মসজিদটি অলংকৃত করার জন্য পাথর, ইট, টাইল, টেরাকোটা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে। ধারণা করা হয় সোনামসজিদ নির্মাণের পরে বহুবার সংস্কার কাজ সাধন করা হয়, এবং নতুন নতুন অলংকরণ করা হয়।
মসজিদটিতে যে সকল গম্বুজ রয়েছে সেগুলোর ভেতরের দিকে টেরাকোটা দ্বারা নকশা করা হয়েছিল।পুরো মসজিদটি সোনালি রঙের আস্তরণ দ্বারা আবৃত ছিল। মসজিদের সামনের দিকে কারু কার্য করার জন্য পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটা পাথরে খুবই সূক্ষ্মভাবে লতাপাতা ঝুলন্ত শিকল ঘন্টা ফুল ইত্যাদির ছবি আর্ট করা রয়েছে।
পুরো মসজিদ জুড়ে বিভিন্ন ধরনের অলংকরণ রয়েছে। মসজিদের দরজা খিলান গম্বুজ সব জায়গায় রয়েছে নকশা। এক কথায় পুরো মসজিদটি সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো এবং নকশা অলংকৃত।এছাড়াও মসজিদটির দরজায় একটি শিলালিপি পাওয়া গিয়েছে। সেই শিলালিপি থেকে ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানা যায়।
সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত: উপসংহার
ইতোমধ্যে উপরে সোনা মসজিদ কি জন্য বিখ্যাত, সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত এবং সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে।তাই আপনি যদি এ প্রথম থেকে পুর আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই, সোনা মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত এবং সোনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন? সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পেরেছেন। ১৬৪১৩
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url