শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা

 প্রিয় পাঠক আপনি কি শহরে ব্যবসার আইডিয়া করতে চাচ্ছেন? - শহরে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। বিশেষ করে যারা শহরে বাস করেন তাদের শহর এর ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। আজকের সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পরলে বুঝতে পারবেন শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে। শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা নিতে সম্পুর্ন পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা
আপনি যদি শহরাঞ্চলে ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার শহরে ব্যবসার আইডিয়া থাকা দরকার। কারণ শহরাঞ্চলে ব্যবসা আর গ্রামে ব্যবসার মধ্যে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। শহরে ছোট ব্যবসা করতে গেলেও অনেক চিন্তা করতে হয়। তবে চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক,শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা

যারা শহরে বসবাস করে তারা অনেকেই চাই শহরের মধ্যে ব্যবসা করতে। গ্রামে যে ব্যবসা করতে অনেক কঠিন মনে হবে শহরে সেই ব্যবসাটি খুব সহজভাবে আপনি করতে পারবেন। যারা শহরে থেকে ছোট ব্যবসা করতে চান আপনারা খুব সহজেই ছোট ব্যবসা গুলো আপনার ছোট শহরে করতে পারবেন। গ্রামের চেয়ে শহরাঞ্চল এর ব্যবসা অনেক লাভজনক হয়ে থাকে। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব শহর অঞ্চলের ব্যবসা সম্পর্কে। আপনি যদি শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নিতে চান তবে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন এবং সম্পূর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শহরে ব্যবসার ৪০ টি আইডিয়া

১/ খাবারের হোটেল

শহরে অনেকেই অনেক কাজের জন্য এসে থাকেন। কিছু মানুষ এতটাই ব্যস্ত থাকে যে তারা খাবার খাওয়ার মত পর্যাপ্ত সময় ও পায় না। তাই তারা অনেকেই আশেপাশে খাবারের হোটেল থেকে খাবার কিনা খায়। আপনি যদি একটি ভাল স্থান থেকে খাবার হোটেল দিতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি হোটেলের খাবারের মান সুস্বাদু করতে পারেন তাহলে আপনার হোটেলের কাস্টমার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাবে।
আর এখান থেকে আপনি খুব সহজে লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারববেন। অতএব কেউ যদি শহর এর ব্যবসার আইডিয়া নিতে চান তাহলে আপনি প্রথমেই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

২/ সুপার শপ এর দোকান

শহরে ব্যবসা মধ্যে সুপারশপের দোকান দিয়ে ব্যবসাটি খুব জনপ্রিয় ব্যবসা। আপনার শুধু দরকার ভালো একটি স্থান। ভালো স্থানে সুপারশপের দোকান দিলে খুব সহজে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সুপারশপের ব্যবসাতে আপনি কতটা সফল হতে পারবেন সেই বিষয়টা অনেক অংশে নির্ভর করে আপনার ব্যবসার টেকনিকের উপর। আপনি যদি জনসংখ্যা কোন স্থানে ভালো ভালো প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার দোকানটি চালাতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি এই দোকানের মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন সুপারশপের দোকান। এই ব্যবসাটি আপনি ছোট শহরে ছোট ব্যবসা হিসেবেও শুরু করতে পারেন।

৩/ মোবাইল রিপেয়ারিং এর ব্যবসা

বর্তমানে শহর বা গ্রামের সবাই মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মোবাইলে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই আমরা কোনো ভালো মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকানে গিয়ে থাকি। আপনি যদি এই বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তবে একটি ভাল স্থান থেকেই দোকানটি দিতে পারেন। কারণ বর্তমানে গ্রামের মানুষও মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে শহরের কোন ভাল রিপেয়ারিং এর দোকানে গিয়ে থাকে। আপনার হাতের কাজ যদি ভালো হয়ে থাকে তাহলে অনেক কাস্টমার আপনি কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। আর যত কাস্টমার আপনার দোকানে আসবে আপনার ইনকাম তত বেশি হবে। তাই আপনি চাইলে ভালো একটি স্থান থেকে শহরে ব্যাবসা করতে চাইলে মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকান দিতে পারেন।

৪/ লন্ড্রি দোকানের ব্যবসা

আপনি যদি শহরে ছোট ব্যবসা করতে চান তবে লন্ড্রি দোকানের ব্যবসা টি আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে। আপনি যদি ভালো একটি স্থানে লন্ড্রি দোকান দিতে পারেন তাহলে আপনি এখান থেকে অনায়াসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শহরের লোকেরা তাদের পোশাক গুলোকে একটু পরিপাটি রাখার চেষ্টা করে থাকে। তাছাড়া তাদের পোশাক গুলো যাতে তাদের শরীরের সাথে ফিট হয় সেজন্য তারা বিভিন্ন লন্ড্রির দোকানে গিয়ে সেগুলো ঠিক করতে দিয়ে আসে।
তাই আপনি যদি একটি ভাল স্থানে এই দোকান দিতে পারেন তাহলে এখান থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শহরে ব্যবসার আইডিয়া বা শহরে ছোট ব্যবসা পড়তে চাইলে আপনি লন্ড্রি দোকানের ব্যবসা করতে পারেন।

৫/ মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা

যারা শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা করতে চান তাদের জন্য মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা অনেকটাই ভালো হবে। অনেকেই মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসাটি তাদের পেশা হিসেবে নিয়েছেন। শহরগুলোতে অনেকেই দূর থেকে এসে থাকেন এবং তাদের যোগাযোগের সময় প্রায় ক্ষেত্রেই মোবাইল রিচার্জ করার দরকার হয়। আর তারা সামনে যে দোকান পানসে দোকান থেকেই মোবাইল রিচার্জ করে নেন। আর আপনি যদি ভাল একটি স্থানে মোবাইল রিচার্জের দোকান দিতে পারেন অবশ্যই এখান থেকে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৬/ স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা

শহরে স্টেশনারি পণ্য ব্যবসাটি অনেক ভালো চলবে। কারণ শহরে স্কুল কলেজ ও অফিসের সংখ্যা বেশি। স্টেশনারি পণ্য ব্যবসার আইডিয়া একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিইয়া এবং শহর এর ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে এটি অন্যতম। যেসব এলাকায় স্কুল কলেজ অফিস আছে সে এলাকায় এই ব্যবসাটি খুব ভালো চলবে। একটি দোকান নিয়ে আপনি স্টেশনারি পণ্য ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক লক্ষ টাকার মধ্যে হলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

৭/ গিফট শপ

শহরে ব্যবসা ও শহরে ছোট ব্যবসা মধ্যে আপনি গিফট শপ এর দোকান দিতে পারেন। বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে এবং অনুষ্ঠানে একে অপরকে গিফট দেওয়ার প্রাচীনকাল থেকে একটা রীতি পরিণত রয়েছে। শহরাঞ্চলে এর চাইতে আরো অনেক বেশি। গিফট শপ দিতে হলে দোকানকে কাঁচ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শোপিস সহ যেসব জিনিস মানুষ গিফট করে থাকে সেই ধরনের জিনিসের কালেকশন দোকানে রাখতে হবে। মানুষের চাহিদা পূরণের সকল দ্রব্য যদি আপনি রাখেন তবে আপনার বেচাকিনা অনেক বেশি হবে।

৮/ পার্লার

পার্লার একটি সৃজনশীল ব্যবসার আইডিয়া। গ্রামের থেকে শহরের মানুষ আরও বেশি পার্লারে গিয়ে থাকে। শহরের মানুষ সব সময় সেজেগুজে ফিটফাট থাকতে বেশি পছন্দ করে। আপনি যদি একজন মেকআপ আর্টিস্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি পার্লারের ব্যবসা দিতে পারেন। যেহেতু মেয়েরা আপনার মূল গ্রাহক সেহুতু মেয়েদের সাজানো সকল উপাদান আপনার কিনে রাখতে হবে।
যদি পারেন পার্লারের ভিতরে ফিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে রাখবেন এতে আপনার কাস্টমার বেশি আসবে। শহরের ব্যবসা বা শহরের ছোট ব্যবসা হিসেবে এটি গড়ে তুলতে পারেন।

৯/ আবাসিক হোটেলের ব্যবসা

শহরে আর্থিক অবস্থা ভালো থাকায় আবাসিক হোটেলের ব্যবসাটি আপনি ভালোভাবেই করতে পারবেন এবং শহরের সবথেকে বেশি মানুষ যাতায়াত করে। কারণ আবাসিক হোটেল ব্যবসা করতে চাইলে কিছু বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আপনি যে এলাকায় এই ব্যবসাটি করতে চান সে এলাকায় আর্থিক অবস্থা, সেই এলাকার যারা বেড়াতে আসে তারা কোন শ্রেণীর মানুষ ইত্যাদি। আপনি যে শ্রেনীর গ্রাহক টার্গেট করবেন সে সেনের কথা মাথায় রেখে আপনাকে হোটেল দিতে হবে। শহরে ব্যবসা করার মধ্যে আবাসিক হোটেলের ব্যবসাটি অনেকেই করে থাকে।

১০/ ইলেকট্রনিক্স শো-রুম

ইলেক্ট্রনিক্স শোরুম দিতে চাইলে আপনাকে বড় জায়গা ভাড়া নিতে হবে। শোরুমে ভেতর আকর্ষণীয় ভাবে সাজাতে হবে। শহরে ব্যবসার আইডিয়া এই ব্যবসাটি অনেক জাঁকজমক। শোরুম এর লোকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন জায়গায় ইলেকট্রনিক শোরুম যেখানে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। ইলেকট্রনিক শোরুম ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি ট্রেড লাইসেন্স এবং যে কোম্পানির পণ্য রাখতে চান সেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনি ইলেকট্রনিক্স পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবেন।

১১/ কফি শপের ব্যবসা

শহরে ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে কফিশপে ব্যবসাটি অন্যতম। আপনি চাইলে কফি শপের ব্যবসাটি শহরের ছোট ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। কফি শপের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। কফি শপের ব্যবসা দিতে হলে খুব ভালো করে গবেষনা করে তারপর দিতে হবে। কারণ কফি শপের ব্যবসার জন্য জায়গা নির্বাচন একটা বড় ফ্যাক্টর। স্কুল-কলেজ বাজার, স্টেশন, কমার্শিয়াল জায়গা ছাড়া কফি শপের ব্যবসা খুব বেশি জমে না। আবার কয়েকটি রাস্তার সম্ভব হলেও কফি শপের ব্যবসা খুব ভালো চলে।

১২/ জুতার ব্যবসা

জুতার ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। শহরে এই ব্যবসাতে আরো বেশি লাভজনক হবে। আপনি ইচ্ছে করলে কারখানা থেকে সরাসরি জুতা কিনে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি সাপ্লাই অথবা ফুটপাতে বসে নিজে এই ব্যবসা করতে পারেন। শহরে ছোট ব্যবসা হিসেবে আপনি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে খুব সহজেই এই ব্যবসাটি সফলভাবে করতে পারবেন।

১৩/ গহনার ব্যবসা

আমাদের দেশের বিয়ের সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নারীদের গহনা অপরিহার্য। বর্তমানে আমাদের দেশেও গহনা বিরাট বাজার রয়েছে। এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে জানতে হবে সোনা রুপা হীরার দাম সহ কোথায় এগুলোর কম দামে পাওয়া যায় এবং খাটি সোনা চিনতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে জুয়েলারি সম্পর্কে খুব ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। আপনি যেহুতু শহরে এই ব্যবসাটি করবেন সেহুতু আপনাকে অবশ্যই ভাল একটি স্থান দেখে ব্যবসাটি করতে হবে।

১৪/ কসমেটিকের দোকান

কসমেটিকের ব্যবসা হচ্ছে বর্তমানে জমজমাট ব্যবসা। কসমেটিকের দোকানে সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। এই ব্যবসাটি তে মহিলাকে তার সংখ্যা খুব বেশি থাকে। শহরে ব্যবসা টি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে স্কুল কলেজ বা কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠান দেখে করতে হবে। পুঁজি অনুযায়ী আপনি দোকান নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১৫/ ফার্নিচারের ব্যবসা

শহরাঞ্চলে ফার্নিচারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রত্যকটি বাসাবাড়িতে ফার্নিচার এর প্রয়োজন হয়। মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে তাই সবাই এখন সুন্দর ডিজাইনের ভালো আজা পত্র কিনতে চাই। বর্তমানে বাংলাদেশের ফার্নিচারের দোকান বেড়েই চলেছে। আপনিও চাইলে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ফার্নিচারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফার্নিচার এর ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ফার্নিচারের দোকান যে এলাকায় বেসে সে এলাকাতে আপনাকে দোকান দিতে হবে।

১৬/ গজ কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমানে গজ কাপড়ের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। গজ কাপড়ের প্রচুর পরিমাণ ক্রেতার সংখ্যাও রয়েছে। শহরে আপনি জমজমাট কোন মার্কেট এলাকায় একটি দোকান নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আপনি পাইকারি দরে কাপড় কিনতে পারবেন। যেমন গাজীপুর, ঢাকা নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ইত্যাদি এলাকা থেকে। শহরে খুব সহজেই আপনি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১৭/ গার্মেন্টস স্টক লট এর ব্যবসা

অনেক কারণে গার্মেন্ট কারখানায় কাপড় স্টক হয়। যেমন এলসি সমস্যা, শিপমেন্ট বাদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। গার্মেন্টস স্টক লট এর ব্যবসা অনেক লাভজনক। বিভিন্ন রিটেইল মার্কেট, বায়িং হাউজ, স্টকলট হাউজ থেকে আপনি গার্মেন্টস স্টক লোট কিনতে পারবেন। তারপরে আপনার নিজস্ব অথবা অন্য কারো শোরুমে সাপ্লাই দিতে পারবেন।

১৮/ মানি এক্সচেঞ্জ এজেন্সি

বৈদেশিক মুদ্রার সাথে দেশের মুদ্রার বিনিময় করা হচ্ছে মানি এক্সচেঞ্জ এর মূল কাজ। মানি এক্সচেঞ্জ এর ব্যবসা অনেক লাভজনক। বাংলাদেশের 230t মানি এক্সচেঞ্জ আছে এরা বছরে প্রায় 5 লাখ টাকার উপরে মুনাফা অর্জন করে থাকে। মানি এক্সচেঞ্জ এর ব্যবসা করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। দেশের আইন অনুযায়ী মুদ্রা বিনিময় করার ব্যবসা করতে পারবেন। শহরে থেকে আপনি এই ব্যবসাটি সফলভাবে করতে পারবেন।

১৯/ এজেন্ট ব্যাংকিং

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবসাটি শহরের জন্য অন্যতম স্থান। এজেন্ট ব্যাংকিং হচ্ছে মূল ব্যাংক এর প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা। যেমন টাকা উঠানো, টাকা জমা, একাউন্ট খোলা, রেমিটেন্স গ্রহণ ইন্টারনেট ব্যাংকিং  ইত্যাদি কাজ করে থাকে। আপনি যদি উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তবে আপনিও একটি ব্যাংকের শাখা খুলতে পারেন।

২০/ বুটিক শপ

বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। অনেক নারী ফ্যাশন ডিজাইনার তাদের ডিজাইন করা কাপড় নিজস্ব শোরুম এর মাধ্যমে বিক্রি করে। এ পোশাকের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জামার সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর গ্রাহক পাবেন। এই ব্যবসাটি শহরে থেকে আপনি আরো ভালোভাবে করতে পারবেন। কারণ শহরে এর চাহিদা অনেক বেশি।

২১/ ক্লিনিক সার্ভিস

বর্তমানে বাড়িতে বা বিভিন্ন অফিসে পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাপ্লাই দেওয়া একটি লাভজনক ব্যবসা। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমেই কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী লাগবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এ ব্যাপারগুলোতে খোঁজখবর রাখতে হবে। এছাড়া অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের আপনার সার্ভিস সম্পর্কে জানাতে হবে। শহরে থেকে অনেকেই এই ব্যবসাটি করে থাকেন। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন।

২২/ ইবুক বিক্রি

শহরাঞ্চলে বর্তমানে ইবুক বিক্রি করা একটি স্মার্ট ব্যবসা। অনেক লেখক আছেন যারা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখালেখি করে সেগুলোর পিডিএফ তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন। আপনি যদি একটি পাঠক শ্রেণী গড়ে তুলতে পারেন তাহলে এই ব্যবসা করা আপনার জন্য সহজ হবে। আপনার লেখার মান এবং মার্কেটিং এর কৌশলের উপর নির্ভর করবে আপনার ব্যবসা টি কেমন হবে।

২৩/ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা

সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজ করার জন্য বর্তমানে শহরে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনায় খুব দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কোম্পানির বা ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা এবং তাদের ফলোয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে পণ্য বা সার্ভিস বিক্রিতে সাহায্য করতে হয়। তাই খুব ভালোভাবে পরিকল্পনা করে কাজ না করলে এসব কাজ সফল হওয়া কঠিন।

২৪/ কার ওয়াশ সার্ভিস

বর্তমানে শহরে এই ব্যবসাটি করে সফলতা পাওয়া সম্ভব। কেননা শহরের মানুষ নিজের গাড়ি কখনো ধুয়ে রাখেনা। সবাই নির্ভর করে কার ওয়াশ দোকানের উপর। এ ধরনের ব্যবসা দেওয়ার জন্য আপনার মোটামুটি বড় একটা জায়গা লাগবে। গাড়ি ধুয়ে পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনতে হবে এবং গাড়ি রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।

২৫/ রাইড শেয়ার বিজনেস

শহরাঞ্চলে রাইড শেয়ারের ব্যবসাটি দিন দিন বেড়েই চলেছে। উবারের এর দেখানো পথে এখন অনেক কোম্পানি রাইড সার্ভিস নিয়ে এসেছে।রাইড শেয়ার ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে হবে। এ ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করতে হবে। তারপরও অফিস নিয়ে এবং অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য দক্ষ কর্মী লাগবে।

২৬/ রেন্ট-এ-কার ব্যবসা

বর্তমানে এই ব্যবসাটি একটি জমজমাট ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে। বেড়ানো পিকনিক দিয়ে বিভিন্ন মিটিং এ অংশ নেয়ার জন্য মানুষ গাড়ি ভাড়া করে থাকে। শহরের মানুষ এই ব্যবসাটি সাথে সুপরিচিত। আপনার যদি নিজের গাড়ি থাকে তাহলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বড় আকারে করতে চাইলে কিছু পুরনো গাড়ি কিনে এই ব্যবসা চালাতে পারেন। মাথায় রাখতে হবে ভালো এবং বিশ্বস্ত ড্রাইভার নিয়োগ দিতে হবে না হলে এরা অনেক ক্ষতি করে ফেলতে পারে।

২৭/ গাড়ি বিক্রি ব্যবসা

আমাদের দেশে গাড়ি ব্যবসা মানে বিদেশ থেকে পুরনো গাড়ি আমদানি করে দেশের মার্কেটে বিক্রি করা। গাড়ি বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। গ্রাহকের আকর্ষণ করার জন্য আকর্ষণীয় শোরুম দিতে হবে। তবে এখন মানুষের আয় বাড়ছে। তাই ধীরে ধীরে বিলাসবহুল দামি গাড়ি চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আপনি চাইলে দেশের মার্কেট থেকেও ব্যবহৃত গাড়ি কিনে ব্যবসা করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসাটি শহরে থেকে করলে অনেক বেশি ভালো হবে। কারণ সেখানে আপনি পুরাতন গাড়ির আমদানী করতে পারবেন।

২৮/ বই প্রকাশনী ব্যবসা

শহরের মধ্য বই প্রকাশনী একটি লাভজনক ব্যবসা। বই প্রকাশনী ব্যবসা করার জন্য আপনাকে লাইসেন্স নিতে হবে। বিভিন্ন লেখকদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ভাল লেখকদের বই ছাপাতে পারলে আপনার বেশি লাভ হবে। কারণ ভাল লেখকদের বইয়ের বিক্রি হয় বেশি। আবার যারা নতুন লেখকের তাদের সাথে পার্টনারশিপে বই প্রকাশ না করতে পারেন এর ফলে আপনার ঝুঁকি অনেক কম থাকবে।

২৯/ বইয়ের লাইব্রেরী

শহরের মানুষ বই পড়তে অনেক বেশি ভালোবাসে। তাই আপনি শহরে বইয়ের লাইব্রেরী দিয়েও ব্যবসা করতে পারেন। বউয়ের লাইব্রারি দিতে হলে আপনাকে এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেখানে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বইয়ের ব্যবসা দেওয়ার জন্য আপনার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। এছাড়া বাংলাদেশের পুস্তক বিক্রেতার লাইসেন্স বা তাদের সদস্য হতে হবে। লাইবেরির ব্যবসায়ী আপনি বই প্রতি ২০-২৫% পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন।

৩০/ চশমার ব্যবসা

আপনি শহরে ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে চশমা ব্যবসার আইডিয়া নিতে পারেন। আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে শহরাঞ্চলে চশমার ব্যবহারকারী বেশি। ২/৩ লাখ টাকায় শুরু করা যায় এমন একটি ব্যবসা হচ্ছে চশমার ব্যবসা। পুরান ঢাকায় চশমার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট যেখান থেকে অনেক কম মূল্যে চশমা কিনতে পারবেন। এখানে আপনি ২০০০ টাকার ফেম মাত্র ৫০০ টাকায় পেয়ে যাবেন। চশমার দাম কোন নির্দিষ্ট নয় তাই আপনি ক্রেতা ভেদে বিভিন্ন দামে বিক্রি করতে পারবেন।

৩১/ ফলের ব্যবসা

গ্রাম থেকে কম টাকায় ফল কিনে নিয়ে গিয়ে শহরাঞ্চলে আপনি বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। শহরাঞ্চলে ফলের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। শহর এলাকায় যদি আপনার দোকান থেকে থাকে তাহলে এই ব্যবসা আপনি করতে পারেন। আবার গ্রাম থেকে নিয়ে গিয়ে সরাসরি পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন। আর আপনার বাড়ি যদি উত্তরবঙ্গে হয়ে থাকে আমের মৌসুমে আপনি ভাল একটা ব্যবসা করতে পারবেন।

৩২/ চামড়ার ব্যবসা

শহরের মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেমন কোরবানির ঈদ, আকিকা ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। কিন্তু তারা এই গবাদি পশুর চামড়া নেয় না। আপনি এগুলো কম দামে কিনে ব্যবসা করতে পারেন। একটা সময় গবাদিপশুর অনেক মূল্য ছিল। তখন চামড়ার ব্যবসা করে মৌসুমী ব্যবসায়ীসহ আরো অনেক লাভ করেছে। কিন্তু সেই দিন আর নেই মালিকদের কারসাজিতে চামড়ার মূল্য ব্যাপক ধ্বস নেমেছে। তারপরও আপনি যদি বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী চামড়া কিনতে পারেন তাহলে এখনও মোটামুটি লাভ করা সম্ভব এই চামড়া ব্যবসার মাধ্যমে।

৩৩/ আড়তের ব্যবসা

শহরে আড়তের ব্যবসায় অনেকেই লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছে। আড়তের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটা বড় জায়গা ভাড়া নিতে হবে। নিজের ব্যক্তিমালিকানায় হলে তো কোন কথাই নেই। এ ধরনের ব্যবসা অনেক লাভজনক। আড়তদাররা একসাথে প্রচুর পরিমাণ পণ্য ক্রয় করে থাকে এবং বিক্রিও করে পাইকারদের কাছে। আপনি যদি নিয়মিত গ্রাহক বানাতে পারেন তাহলে এই ব্যবসায় আপনি সহজেই লাভবান হতে পারবেন।

৩৪/ মাছের ব্যবসা

বর্তমানে বলা যায় শহরে এই ব্যবসাটি অনেক লাভজনক। কারণ মাছের ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। মাছের পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে বিভিন্ন শহরে আপনি সাপ্লাই দিতে পারেন। এ ধরনের ব্যবসা করার জন্য একটি ট্রাক থাকলে খুব ভালো হয়। তাহলে খরচ অনেকটায় কমে যাবে। আপনি চাইলে গ্রাম থেকে মাছ কিনে শহরের নিজে খুচরা মূল্যে বিক্রি করতে পারেন।

৩৫/ প্যাকেটজাত মাংসের ব্যবসা

বর্তমানে সবাই বাজারের মাংস কিনার থেকে প্যাকেটজাত মাংসের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সারাবিশ্বে প্যাকেটজাত মাংসের চাহিদা বাড়ছে। কারণ এসব মাংস এমনভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় যার কারণে বাসায় এনে নতুন করে কাটাকাটি করার জন্য ঝামেলা করতে হয়না। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটি কসাইখানা লাগবে এবং গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একটি ফ্যাক্টরি লাগবে। এই ব্যবসার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

৩৬/ কাঁচাবাজার ডেলিভারি ব্যবসা

আজকাল মানুষ অনেক ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। অনেক পরিবার আছে যাদের স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করে। অনেক পরিবার আছে যাদের বাজার যাওয়ার মত লোকজন নেই। এসব পরিবারের করে আপনি শুরু করতে পারেন কাঁচাবাজার ডেলিভারি ব্যবসা। প্রতিদিন সকালে কাঁচা বাজার সংগ্রহ করে একটি ভ্যান বা ছোট ট্রাকে করে বাসায় বাসায় সাপ্লাই দিতে পারেন। এই ব্যবসাটি আপনি শহরে খুব ভালোভাবে করতে পারবেন।

৩৭/ ঔষধের ব্যবসা

বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি হলে ওষুধের ব্যবসা। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণ ওষুধের চাহিদা রয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রচুর পরিমাণ ওষুধের প্রয়োজন হয়। শহরে এই ব্যবসাটি করতে আপনি আরও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন কেননা ওষুধ ফ্যাক্টরি থেকে সরাসরি সংগ্রহ করে পাইকারি দরে সাপ্লাই করতে পারবেন। অথবা আপনি খুব সহজে শহরে ভালো স্থান দেখে ঔষধের ব্যবসা করতে পারবেন।

৩৮/ ই-কমার্স এর ব্যবসা

বর্তমান যুগে ইন্টারনেটের যুগ বা ই-কমার্সের যুগ বলা হয়। কেননা বর্তমানে সবাই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। ইন্টারনেট প্রসারের কারণে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত প্রকাশিত হচ্ছে। গ্রাহকরা আর মার্কেটে গিয়ে মার্কেট করতে চায়না। মানুষ এখন ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করতে চাই। ই-কমার্সের ব্যবসাটি করতে হলে আপনার প্রয়োজন একটি ফেসবুক পেজ বা একটি ওয়েবসাইট থাকলে আপনি ই-কমার্সের ব্যবসা খুব সহজেই করতে পারবেন। আর শহরাঞ্চলে এই ব্যবসাটি আরো বেশি জনপ্রিয়।

৩৯/ টি-শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসা

শহরে অধিকাংশ মানুষ টি-শার্ট ব্যবহার করে এমনকি মেয়েরাও এখন টি-শার্ট ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে ডিজাইন করার টি-শার্ট এখন সবাই পছন্দ করে। আপনি যদি খালি টি-শার্ট কিনে সেখানে বিভিন্ন ডিজাইন প্রিন্ট করতে পারেন তাহলে আপনি টি-শার্টটি দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতে পারবেন। আপনি যদি এই ব্যবসাটি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি খুব কম সময়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

৪০/ মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা

কম টাকায় শহরাঞ্চলে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসাটি আপনি করতে পারেন। বাড়িতে বাড়িতে মিনারেল ওয়াটার এর দাম পৌঁছে দেওয়া একটি সহজ কাজ ও সহজ ব্যবসা। শহরাঞ্চলে বা শহরতলীতে বহু পরিবার নির্ভর করে মিনারেল ওয়াটার পানি ব্যবসায়ীদের উপর। আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকায় শহরে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এ ব্যবসায় আপনার কাজ হলো পানির ড্রাম গুলোকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া। আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ব্যবসাটি করতে পারবেন।

শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত

অনেক ছোট ছোট ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনি শহরাঞ্চলে খুব সহজেই করতে পারবেন। যেমন চায়ের দোকান, ফুচকা চটপটির ব্যবসা, কফি শপের ব্যবসা ইত্যাদি। এই ব্যবসা গুলো আপনি অল্প কিছু বিনিয়োগ করে ছোট আকারে শুরু করতে পারবেন। তাছাড়া শহরে এগুলো ছোটদের হলেও এ দেশগুলোর জনপ্রিয়তা এবং অনেক লাভজনক হবে। শহরে এমন অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো ছোট হলেও অনেক লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসাগুলো করার জন্য আপনাকে শুধু একটি নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে বের করতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে শহরে ছোট ছোট ব্যবসা গুলো করতে পারবেন।

স্টক ব্যবসা কি এবং কোনগুলো স্টক মালের ব্যবসা

কোন একটি পণ্য একত্রে অনেকগুলো মজুদ করে রাখা এবং পণ্যের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি যখন দাম বৃদ্ধি পাবে সেই সময় বিক্রি করে দেওয়া কে স্টক এর ব্যবসা বলে। বর্তমানে সবথেকে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে স্টকের ব্যবসা অন্যতম। যে পণ্যগুলো স্টপ করে রাখতে পারবেন তা হলঃ

  1. ধান
  2. আলু
  3. গম
  4. সিগারেট
  5. আদা ও মসলা
  6. বাদাম
  7. পেঁয়াজ
  8. সরিষা
  9. ডাল
  10. পোশাক

শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা শেষ কথা

আপনি নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন শহরে ব্যবসার আইডিয়া - শহরে ব্যবসা - শহরে ছোট ব্যবসা সম্পর্কে। শহরে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই অনেকগুলো চিন্তা মাথায় রেখে শুরু করতে হবে। কেননা গ্রাম চেয়ে শহরে ব্যবসা করতে হলে আপনার মূলধনের পরিমাণ টাও বেশি প্রয়োজন হবে। এছাড়া আপনি যে শহর এলাকায় ব্যবসা করবেন সেই শহর সম্পর্কে ভালোমতো আপনাকে জানতে হবে এবং সে শহরটি কিসের জন্য বিখ্যাত সেই বিষয়টিও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এবং সেই অনুসারে ব্যবসা করতে হবে। প্রিয় পাঠক শহরাঞ্চলে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। @ 22882

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url