শয়তানের ধোকা -শয়তানের ধোকা pdf

আজকের আর্টিকেল এর আলোচ্য বিষয় হলো শয়তানের ধোকা। মহান আল্লাহ আমাদের এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তার এবাদত করার জন্য কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অনেকে ভুল পথে চলে যায়। তাই আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন শয়তানের ধোকা থেকে কিভাবে বাঁচা যায়। 

শয়তানের ধোকা

তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক শয়তানের ধোকা থেকে আমরা কিভাবে মুক্ত থাকবো। শয়তানের ধোকা এবং শয়তানের ধোকা pdf এ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে তাই যারা এই সম্পর্কে জানতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আশা করছি অনেক কিছু জানতে পারবেন।

পেজ সূচীপত্রঃ শয়তানের ধোকা -শয়তানের ধোকা pdf

শয়তানের ধোকা

মহান আল্লাহ আমাদের সকল মানব জাতিকে তার এবাদত এর জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন কিন্তু সেই সাথে শয়তানকেও পাঠিয়েছেন। আর শয়তানের কাজ হলো মানুষকে ধোকা দেওয়া। শয়তানের ধোকা অনেক ভয়াবহ একজন মানুষকে ধোকা দিয়ে অনেক খারাপ পথে নিয়ে যেতে পারে। শয়তানের কাজ হলো মানুষকে ধোঁকায় ফেলা এবং মানুষের ঈমান আমল নষ্ট করা।

শয়তানের ধোকায় পড়ে আমরা পাপ কাজ করে থাকি আর এর জন্য পেতে হবে অনেক শাস্তি। তাই আমাদের শয়তানের ধোকা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। শয়তানের ধোকা থেকে মুক্ত থাকতে পারলেই আমাদের ঈমান আমল রক্ষা করা যাবে। চলুন নিচের অংশে জেনে নেয়া যাক শয়তান মানুষকে কিভাবে ধোকা দেয় বা শয়তান কিভাবে লারে।

শয়তানে যখন লারে।শয়তান কিভাবে লারে

শয়তান হলো মানব জাতির শত্রু। শয়তানের অনেক ক্ষমতা আছে সে যেকোনো মানুষকে বিভিন্নভাবে ধোকায় ফেলতে পারে।যেমন আপনি যদি কোনো ভালো কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে শয়তান সেই কাজ করতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। যেকোনো উপায়ে সেই ভালো কাজ করা থেকে বিরত করে এবং খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যায়। আর একটা মানুষ যখন শয়তানের দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন সে অনেক কিছু খারাপ কাজ করে ফেলতে পারে। মানুষ যখন আল্লাহর ইবাদতের জন্য যায় তখন শয়তান চাই তাকে বাধা দিতে। আশা করি বুঝতে পারলেন শয়তানে যখন লারে তখন কি করে মানুষ।

শয়তান কিভাবে লারে শয়তান সবসময় আমাদের ভেতর খারাপ চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দেয়। যাতে করে মানুষ খারাপ কাজ করে।শয়তান সবসময় বিনোদন এবং আড্ডার ভেতর ডুবিয়ে রাখে। যেমন গান বাজনা নাচা নাচি এগুলোর ভীতর ডুবিয়ে রাখে। শয়তান মানুষকে তার ধন সম্পত্তির মায়া মোহের ভিতরে ফেলে রাখে আর তখন মানুষ তার ধন সম্পত্তির জন্য অনেক খারাপ কাজ করতে দ্বিধাবোধ করে না। শয়তানের প্রধান কাজ হলো আল্লাহকে স্মরণ না করতে দেওয়া। যেমন নামাজ পড়তে বাধা প্রদান করা। আশা করি বুঝতে পারছেন শয়তান কিভাবে লারে। 

নামাজের মধ্যে শয়তানের ধোকা

শয়তান হলো সকল মানুষের প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের কাজ শুধু মানুষকে ধোকায় ফেলে খারাপ পথে নিয়ে যাওয়া এবং মানুষকে দিয়ে খারাপ কাজ করানো ও মানুষের ঈমান-আমল নষ্ট করা। শয়তান মানুষকে অনেক ভাবে ধোকা দিয়ে থাকে তার ভেতর একটি হলো নামাজের মধ্যে শয়তানের ধোকা। যখন মসজিদে নামাজের জন্য আযান দেয়া হয় তখন শয়তান মানুষের কাছে এসে মানুষকে বিভিন্ন রকম খারাপ চিন্তা ভাবনা মাথায় ঢুকিয়ে দেয়।

আরো পড়ুনঃ ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

নামাজের মধ্যে শয়তানের ধোকা হলো নামাজি ব্যক্তিকে নামাজের ভেতর এদিক ওদিক তাকাতে বলবে। এবং কোনো ব্যক্তি নামাজ পড়তে লাগলে তার মনের ভেতর দুনিয়াবি চিন্তা ভাবনা ঢুকিয়ে দেয়।আবার ধন সম্পতির চিন্তা ভাবনা মাথার ভেতর ঢুকিয়ে নামাজ এর দোয়া পড়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে।মানুষ কে অলস করে তুলে তখন মানুষ নামাজ পড়তে পারে না।আশা করি বুঝতে পারছেন নামাজের মধ্যে শয়তানের ধোকা কেমন হয়ে থাকে। 

শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই pdf

শয়তানের ধোকা অনেক মারাত্মক হয়ে থাকে শয়তান মানুষ কে ধোকায় ফেলে খারাপ কাজ করে নেই।আর আল্লাহ শয়তান কে দুনিয়াতে পাঠিয়েছে মানুষ এর ইমান ও আমল কতটা মজবুজ এবং ইমান আমল কতটা শক্ত করে ধরে রাখতে পারে সেটা দেখার জন্য। শয়তান সব সময় সকল কাজেই মানুষ কে ধোকা দিয়ে ভালো কাজ করতে গেলে খারাপ কাজ এর দিকে নিয়ে যায়। তাই আমাদের সকলের শয়তানের বিরুদ্ধে লড়ায় করতে হবে।

শয়তানের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়ায় করবেন তা হয়তো অনেকেই জানেন না।আপনি যখন কোনো কাজ করতে যাবেন তখন দোয়া পড়ে শুরু করবেন তাহলে৷ শয়তান ধোকা দিতে পারবে না। শয়তান আমাদের বিনোদন এর ভিতর ঢুবিয়ে রাখতে চাই গান বাজনায় মত্ত রাখতে চাই। তাই শয়তান যখন এগুলোর দিকে নিয়ে যেতে চাইবে তখন আমাদের আল্লাহর কথা স্মরণ করে তা থেকে বিরত থাকতে হবে।

শয়তান এর কাজ ভাই ভাই এবং প্রতিবেশির সঙ্গে বিবাদ লাগানো। কিন্তু যখন এগুলো ভাবনা মনের ভিতর আসবে তখন আল্লাহর কথা এবং জাহান্নাম এর শাস্তির কথা মনে নিয়ে আসতে হবে তাহলে শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা হবে।শয়তানের বিরুদ্ধে লড়ায় করতে প্রত্যেকটা মুসলমান দের বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।দোয়া কালেমা পাঠ করতে হবে তাহলেই শয়তানের কু মন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকা যাবে। আশা করছি বুঝতে পারলেন শয়তানের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়ায় করবেন। 

শয়তানের কাহিনী 

শয়তানের কাজ হলো উল্টা কাজ করা এবং মানুষ কে ধোকা দেয়া। মহান আল্লাহ আদম কে তৈরি করার পরে সবাইকে বললেন সবাই আদম কে সেজদা করো তখন সকল ফেরেশতারা আদম কে সেজদা করলো কিন্তু ইবলিশ শয়তান শুধু আদম কে সেজদা করলো না তখন আল্লাহ বললেন সবাই সেজদা করলো তুমি কেনো সেজদা করলে না তখন শয়তান বললো আমি আদম এর থেকে বড় এবং আমি আগুন এর সৃষ্টি আগুন হলো উদ্ধোমুখি আর মাটি হলো নিম্ন মুখি তাই সেজদা দিলো না।কিন্তু শয়তান তো বুঝে নি যে আগুন এর থেকে মাটির ক্ষমতা বেশি। আর আদম কে সেজদা না করার জন্য আল্লাহর হুকুম না মানার জন্য আল্লাহ তার সব এবাদত ধ্বংস করে দিয়ে বের করে দিলো।

তখন শয়তান বললো আদম এর জন্য এতো এবাদত নষ্ট হয়ে গেলো তার বদলে আমাকে কিছু দিবা না তখন আল্লাহ বললো কি চাস তখন শয়তান বললো আমার তিনটা দাবি আছে তখন আল্লাহ বললো কি কি তখন ইবলিশ বললো এই আদম বাচবে কয়দিন তখন আল্লাহ বললেন কিয়ামত পর্যন্ত আদম সন্তান এই পৃথিবীতে থাকবে তখন শয়তান বললো আদম সন্তান যতদিন এই পৃথিবীতে থাকবে আমাকেও তাদের ধোকায় ফেলার জন্য আমাকেও কেয়ামত পর্যন্ত হায়াত দিতে হবে তখন আল্লাহ মনজুর করলেন তার এই দাবি। 

শয়তান বললো আমার দুই নাম্বার দাবী আমি যে এই মানব জাতির ভিতর ঝগড়া বিবাদ লাগিয়ে দিবো  যদি মানুষ দেখতে পায় তাহলে তো আমাকে তারা ছাড়বে না সেজন্য আমি যতই যা করি কেউ আমাকে দেখতে পাবে না তখন এটাও আল্লাহ মনজুর করলেন। এবং সে আর একটা কথা বললেন যে আমি তোমার বিরোধিতা করবো এবং আমার অনুসারী দের দিয়ে খারাপ কাজ করাবো তবুও আমাকে এবং আমার অনুসারী দের খাবার দিতে হবে তখন আল্লাহ এটাও কবুল করলেন। তারপর থেকেই শয়তান মানুষের মধ্যে এভাবে খারাপি ছড়ানো শুরু করলো মানুষ কে ধোকায় ফেলে খারাপ কাজ করাতে বাধ্য করা শুরু করলো।

শেষ কথাঃ শয়তানের ধোকা -শয়তানের ধোকা pdf

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল এ আলোচনা করা হয়েছে শয়তানের ধোকা শয়তানের যখন লারে শয়তান কিভাবে লারে।নামাজের মধ্যে শয়তানের ধোকা শয়তানের বিরুদ্ধে লড়াই pdf শয়তানের কাহিনী আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এ বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারছেন। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এ ধরনের আরও আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url