ওয়ালেট নাম্বার কি - নাম্বার মানে কি
আপনি কি জানতে চান ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি? যারা জানেন না তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি। এই আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন নগদ ওয়ালেট নাম্বার কি সহ বিস্তারিত সকল তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ ওয়ালেট নাম্বার কি - ওয়ালেট নাম্বার মানে কি
- নগদ ওয়ালেট নাম্বার কি
- নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে কি করতে হবে
- বিকাশ ওয়ালেট নাম্বার কি
- বিকাশ ওয়ালেট খুলতে কি কি লাগে
- wallet number ki
নগদ ওয়ালেট নাম্বার কি
বর্তমানে সকল ডিজিটাল সেবা ঘরে বসে নিতে ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ টাকা নিয়ে আসতে পারবেন দেশের বড় বড় বাণিজ্যিক ব্যাংকের গ্রাহকরা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এছাড়াও নগদ ওয়ালেট বাংলাদেশ ইস্যুকৃত যেকোনো ভিসা এবং মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে বিনা খরচে নগদে টাকা যোগ করার সুযোগ তো আছেই।
নগদ কর্তৃপক্ষ নগদ গ্রাহকের সুবিধার কথা চিন্তা করে দ্রুততার সাথে ১৩ টি ব্যাংকের সাথে এই সেবাটি চালু করেছে। দুই বছরের মধ্যে এতগুলো ব্যাংকের সাথে চুক্তি করার এই ঘটনাটি দেশের মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এর ক্ষেত্রে এক অন্যরকম প্রতিষ্ঠা। যতদূর সম্ভব নগদ আরো কিছু ব্যাংকের সাথে এমন চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ হবেন বলে।
নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে কি করতে হবে
ওয়ালেট নাম্বার কি এবং নাম্বার মানে কি এই আর্টিকেলটিতে আমরা এবারে জানবো নগদে টাকা আনতে আপনাকে কি কি করতে হবে। নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে কি কি করতে হয় আমরা অনেকেই জানিনা। এবারে জানবো কিভাবে নগদ টাকা আনবেন।
নগদ ওয়ালেটের টাকা আনতে প্রথমেই আপনাকে বেনিফিশিয়ারি একাউন্ট যোগ করতে হবে। এজন্য নগদ অ্যাপ এর অ্যাড মানি এই আইকনে প্রবেশ করতে হবে। এরপর দেখবেন ব্যাংক টু নগদ অপশন । এখানে আপনি আপনার ব্যাংকের নাম যুক্ত করতে হবে। এরপর ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং পোর্টাল এই অপশনটি দেখালে ম্যানেজ বেনিফিসিয়ারি, আন্ডার ফান্ড ট্রান্সফার ট্রানস্পর্ট নগর অথবা অ্যাড বেনিফিশিয়ারি এই অপশন গুলো দেখতে পাবেন।
আরো পড়ুনঃ গুগল প্লে স্টোর কিভাবে ডাউনলোড করব?
আপনি যেটা চাচ্ছেন সেখানে ক্লিক করতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে চান তাহলে নগদ যেই নাম্বারে টাকা নিয়ে আসবেন সেই নম্বর যোগ করতে হবে। তবে বলে রাখি যে একটি নগদ ওয়ালেটে টাকা আনতে আপনি একবারই বেনিফিশিয়ারি ওয়ালেট নাম্বার যোগ করতে হয়। বেনিফিশিয়ারি একাউন্ট টি যোগ করা হলে সহজে টাকা আনতে পারবেন।
বিকাশ ওয়ালেট নাম্বার কি
বিকাশ ওয়ালেটে নাম্বার মাধ্যমে এখন মুঠোফোনের ব্যালেন্স রিচার্জ, জমানো টাকার উপর সুদ, কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ, কর্মীদের বেতন দেওয়া, প্রবাসী-আয় পাঠানো ইত্যাদি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। একজন বিকাশ ব্যবহারকারীর নানান রকমের সুবিধা পাচ্ছে যেমন বিকাশ ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেই গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, রবি নম্বরে হাতে থাকা মুঠোফোন দিয়ে রিচার্জ করতে পারবেন।
বিকাশ ওয়ালেট খুলতে কি কি লাগে
ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানবো বিকাশ ওয়ালেট খুলতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে। বিকাশ ওয়ালেট খোলার পর আপনি নানান ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকবেন যেমন বিকাশের সকল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন, ব্যালেন্স রিচার্জ করতে পারবেন, প্রবাসী-আয় পাঠাতে পারবেন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারবেন ।
এছাড়াও কর্মীদের বেতন দিতে পারবেন, কেনাকাটার মূল্য পরিশোধ ইত্যাদি কাজ গুলো করতে পারবেন। বর্তমানে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, রবি গ্রাহকগণ বিকাশ খুলতে পারবেন। বিকাশ একাউন্ট খুলতে আপনি আপনার নিকটবর্তী বিকাশ এজেন্টের কাছে যান এবং সাথে রাখুন
- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল অথবা রবি এর সংযোগসহ মোবাইল ফোন।
- আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি ( ড্রাইভিং লাইসেন্স /পাসপোর্ট যেকোনো একটি হলেই হবে)
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ওয়ালেট নাম্বার ওপেন করতে আপনাকে প্রথমে ফরম পূরণ করতে হবে এবং আপনার বৃদ্ধাঙ্গুলির ও স্বাক্ষর দিতে হবে। উক্ত কাজগুলো হয়ে যাওয়ার পর এজেন্টের কাছ থেকে আপনি আপনার গ্রাহক কপিটি বুঝে নেবেন এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনের জন্য নিজ দায়িত্বে সংরক্ষন করে রাখবেন।
wallet number ki
ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি উক্ত আর্টিকেলটিতে আমরা এবারে জানব wallt number ki বা ওয়ালেট নাম্বার কাকে বলে। আমরা সাধারণত ওয়ালেট বলতে বুঝি টাকা রাখার ব্যাগ কে। এর আরেক নাম হচ্ছে মানিব্যাগ। ওয়ালেট কে আরো বেশি নিরাপদ করার জন্য এখন ব্যবহার হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ালেট। আমরা সাধারণত দুই ধরনের ডিজিটাল ওয়ালেট এর কথা শুনে থাকি।
এর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্লায়েন্ট সাইড ওয়ালেট আরেকটি হচ্ছে সার্ভার সাইড ওয়ালেট। আমরা যেকোনো অপারেটর যেমন গ্রামীন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল সিম কে ওয়ালেট নাম্বারে পরিণত করতে পারবেন। যে কোন সিম কে ওয়ালেট করলে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন। ওয়ালেট নাম্বার পরিণত করতে কি কি প্রয়োজন এবং কি কি সাথে নিয়ে বিকাশ এজেন্টের কাছে যাবেন তার উপর আলোচনা করেছি।
প্রিয় পাঠক ওয়ালেট নাম্বার কি ও নাম্বার মানে কি আর্টিকেলটিতে ওয়ালেট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভাল লেগেছে এবং এখান থেকে কিছু জানতে এবং শিখতে পেরেছেন। ওয়ালেট নাম্বার কি এবং নাম্বার মানে কি আর্টিকেল টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। এবং এই বিষয়ে যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।২৩২৬১
মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url