সাহারা খাতুন এর জীবনী - সাহারা খাতুন কি বিবাহিত

আমরা কি জানি? সাহারা খাতুন এর জীবনী? আপনি যদি সাহারা খাতুন এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আপনি জানতে পারবেন সাহারা খাতুন এর জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত সকল অজানা তথ্য।

সাহারা খাতুন তার জীবন দশায় থেকে শুরু করে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ করে গেছেন। আজকে এই প্রতিবেদনের মধ্যে আপনারা সাহারা খাতুনের এ টু জেড জানতে পারবেন। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্র : সাহারা খাতুন এর জীবনী - সাহারা খাতুন কি বিবাহিত

সাহারা খাতুন এর জীবনী 

সাহারা খাতুন এর জীবনী ও সাহারা খাতুন কি বিবাহিত এ আর্টিকেলে প্রথমেই আমরা জানবো অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এর জীবনী। সাহারা খাতুন ১ মার্চ ১৯৪৩ সালে ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নামঃ আবদুল আজিজ এবং মায়ের নাম ছিল টুরজান নেশা। তাঁর পিতা ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি। ডাক্তার-খানা তার নিজ বাসভবনেই ছিল তার পিতা ছিল ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে একজন বিচক্ষণ সম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি তার নিজ বাড়িতে একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

নিজের মেয়েদের এবং গ্রামের বাচ্চাদের পড়াশোনা করার জন্য। কিন্তু গ্রামের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার আগ্রহ না থাকায় স্কুলটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। যাহোক সাহারা খাতুন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কুর্মিটোলা হাই স্কুলে পড়েন। তারপর তিনি ঢাকা পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড অবস্থিত মুসলিম গার্লস হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হন। 

সেখান থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণীতে ভর্তি হন। তারপর তিনি সিটি নাইট কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ইন্টার পাশ করার পর জগন্নাথ কলেজে বিবিএ তে ভর্তি হন। অসুস্থতার কারণে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে তার চাচা আবুল হাশেমের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। 

সাহারা খাতুন এর জীবনী এখান থেকেই শেষ নয়। তারপর তিনি সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজি মাধ্যমে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে পরীক্ষা দিয়ে তিনি আবার ঢাকায় চলে আসেন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। তিনি বি এ এবং এল এল বি ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশের মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন মহিলা আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন।

সাহারা খাতুন মারা গেছেন 

সাহারা খাতুন এর জীবনী ও সাহারা খাতুন কি বিবাহিত এই আর্টিকেলের এ পর্যায়ে আমরা জানব সাহারা খাতুন কি মারা গেছেন? এই প্রসঙ্গে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন মারা গিয়েছেন ২০২০ সালের জুলাইয়ের ১০ তারিখে। ২০২০ সালের ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

জুন এর ২ তারিখ সাহারা খাতুনের জ্বর এলার্জি সহ বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ২২ জুন দুপুরে তাকে আইসিইউ থেকে এইচডি ইউ তে স্থানান্তর করা হয়।  

আরো পড়ুন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কেন হয়?

এরপর ২৬ জুন সকালে তার শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয় এবং আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। তারপর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড নেওয়া হয়। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৯ জুলাই তিনি থাইল্যান্ডের ওই হসপিটালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সাহারা খাতুন এর স্বামীর নাম কি 

সাহারা খাতুন এর জীবনী ও সাহারা খাতুন কি বিবাহিত এই আর্টিকেলটিতে এবারে আমরা জানবো খাতুনের স্বামীর নাম কি। আসলে তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন নি। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।

সাহারা খাতুন বাংলাদেশ

সাহারা খাতুন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং আইনজীবী যিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহারা খাতুন নবম-দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় সাহারা খাতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি আওয়ামী লীগের আইন সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

সাহারা খাতুন এর রাজনৈতিক জীবন

সাহারা খাতুন এর জীবনী র মধ্যে এবার আলোচনা করবো সারা খাতুন এর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে। সাহারা খাতুন বাংলাদেশের সরকারের প্রথম ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে যান। তিনি ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করে এবং পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সেই প্রতিদ্বন্দিতায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিকট পরাজিত হন।

২০০৭ - ২০০৮ সালে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে সাহারা খাতুন শেখ হাসিনার পক্ষে আইন এবং রাজনৈতিক লড়াইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাহারা খাতুন নিজেও অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন।

সাহারা খাতুন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা ১৮ হতে নির্বাচিত হন। সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনীত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি তার দপ্তরে প্রবেশ করেন। ২০১২ সালে যখন মন্ত্রণালয়ে রদবদল ঘটে তখন তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব গ্রহণ করে।

পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৮ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের সময় সাহারা খাতুন বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনা করার জন্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ বিদ্রোহে ৫৩ জন সেনা কর্মকর্তা এবং ৩ জন সেনা পরিবারের সদস্য নিহত হন।

সাহারা খাতুনের কবর 

বাংলাদেশের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ২০২০ সালের ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মারা যান। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তাকে বনানী কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

সাহারা খাতুন তার জীবদ্দশায় রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে বিভিন্ন বড় বড় পদে নিয়োজিত ছিলেন। আজকের এই সাহারা খাতুন এর জীবনী - সাহারা খাতুন কি বিবাহিত এই আর্টিকেলটিতে আশা করছি আপনারা তার জীবনী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। সাহারা খাতুন এর জীবনী পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ২৩২৬১


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url