জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি কিন্তু জানিনা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ। তাই এ বিষয়ে অনেকে জানতে চান যে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ নাকি জায়েজ না আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ নাকি জায়েজ না। 

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ আজকের আর্টিকেলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে তাই এই বিষয়ে যারা জানতে চান তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

পেজ সূচিপত্রঃ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ 

ইসলামে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ আছে এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে আমরা যেহেতু মুসলমান তাই আমাদের অনেক কিছু বিধি বিধান আছে যেগুলো মেনে চলা উচিত। আমাদের দেশে প্রায় সবাই জন্মদিন পালন করে কিন্তু জন্মদিন পালন করা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে সে ব্যাপারে সবার জানা উচিত। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যায় কিনা।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ 

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো ইসলামে জায়েজ নাই। জন্মদিনের শুভেচ্ছা শরীয়ত সম্মত নয় সেজন্য ইসলাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কে সমর্থন করে না। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো বিজাতীয়দের কালচার। ইসলামে অমুসলিমদের কোন সংস্কৃতি কে জায়েজ করেনি এবং অমুসলিমদের সংস্কৃতি অনুসরণ করতে ইসলামে নিষিদ্ধ।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর অমুসলিমদের সংস্কৃতি তাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না ইসলামে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জায়েজ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি অমুসলিমদের সংস্কৃতি অনুসরণ করবে সে ব্যক্তি তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে। তাই কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না এবং কোনো রকম আয়োজন করা যাবে না। আশা করছি বুঝতে পারছেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ কি না।

জন্মদিনের খাবার খাওয়া কি জায়েজ

উপরের অংশে যেহেতু বলা হলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ নয় তাহলে জন্মদিনের খাবার খাওয়াও জায়েজ নয়। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো জন্মদিনের খাবার খাওয়া এগুলো সবই অমুসলিমদের সংস্কৃতি তাই এগুলো মুসলমানদের জন্য কখনোই জায়েজ নয়। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো জন্মদিনের খাবার খাওয়া এবং জন্মদিনের কেক কাটা জন্মদিনের গিফট দেওয়া এবং নেওয়া কোনটাই করা যাবে না।

যদি কোনো মুসলমান জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আয়োজন করে খাওয়া দাওয়ার গান বাজনা এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে বড় আয়োজন করে তাহলে সেটা অমুসলিমদের সংস্কৃতি পালন করা হলো আর অমুসলিমদের সংস্কৃতি পালন করার জন্য কিয়ামতের ময়দানে যারা অমুসলিমদের সংস্কৃতি পালন করবে তাদেরকে সেই অমুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন জন্মদিনের খাবার খাওয়া জায়েজ কি না।

কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো

আমরা প্রায় সবাই বন্ধু বান্ধব ভাই বোন এবং আত্মীয় স্বজনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি এবং অনেক গিফট দিয়ে এবং নিয়ে থাকি কিন্তু এগুলো ইসলামে একটিও জায়েজ নয়। কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না। কিন্তু অনেকে না জেনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেলে এবং কোন গিফট দিয়ে থাকে তাহলে সেই গিফট গ্রহণ না করার জন্য যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেই গিফট গ্রহণ করতে হবে এবং পরবর্তীতে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না। 

আরো পড়ুনঃ লিলি ফুল নিয়ে ক্যাপশন - লিলি ফুল নিয়ে কবিতা

কেউ যদি জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে হবে এবং পরবর্তীতে তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে যেন আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। এবং আপনিও পরবর্তীতে আর কোনো জন্মদিনে অংশগ্রহণ করবেন না। আশা করছি বুঝতে পারছেন কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে কি না।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ

আমরা সবাই নতুন বছর আসলে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি কিন্তু এটা শরীয়ত সম্মত কাজ নয় নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো সব অমুসলিমদের কালচার আর অমুসলিমদের কালচার পালন করা মুসলমানদের জন্য কখনোই জায়েজ নয়।

তাই আপনি যদি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন তাহলে অমুসলিমদের সংস্কৃতি পালন করা হলো আর অমুসলিমদের সংস্কৃতি পালন করার জন্য মৃত্যুর পরও অমুসলিমদের সাথে স্থান হবে। আমাদের সবাইকে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে অমুসলিমদের কোন সংস্কৃতি পালন করা যাবে না। আশা করছি বুঝতে পারছেন নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ কি না।

জন্মদিন পালন করা হারাম কেন

জন্মদিন পালন করা হারাম কারণ এগুলো মুসলমানদের জন্য জায়েজ নয় এগুলো অমুসলিম ইহুদিদের সংস্কৃতি আর অমুসলিম ইহুদিদের সংস্কৃতি পালন করা মুসলমানদের জন্য অবশ্যই হারাম। যদি ইসলামে জন্মদিন পালন করা হারাম না হতো তাহলে নবী-রাসূলগণের সময় থেকেই জন্মদিন পালন করা হতো এবং তারা পালন করতেন কিন্তু তারা যেহেতু জন্মদিন পালন করেনি তারমানে জন্মদিন পালন করা হারাম।

এক হাদীসে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন

الشخص الذي يتبنى شبه الأمم يعتبر منتسبًا إليهم

যে ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে (সুনানে আবু দাউদঃ৪০৩১)

এবার আশা করছি বুঝতে পারছেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হারাম কেন এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ আছে নাকি। আমাদের সবাইকে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। 

কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি হারাম

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ এই বিষয়ে আপনাদের উপরের অংশে ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছি । জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর যেহেতু জায়েজ না তারমানে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো অবশ্যই হারাম। তাই কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না এবং কেউ যদি না জানার জন্য আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই তাহলে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না তাকে ভালভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে যে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো জায়েজ নয় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হারাম।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজঃ শেষ কথা  

আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ না নাজায়েজ জন্মদিনের খাবার খাওয়া জায়েজ আছে কিনা। কাউকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানো যাবে কিনা এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হারাম কিনা সকল বিষয়ে আশা করছি জানতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামের সকল বিধি বিধান মেনে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কি জায়েজ আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার যদি এই বিষয়ে আরো কোন কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

এবং এরকম আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত পাবলিশ করা হয় তাই এরকম বিষয়ে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। ২৩৩৫৭  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url