বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় - বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজগুলো আপনাকে যথাযথভাবে করতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজগুলো যথাযথভাবে পালন না করলে সঠিকভাবে দাঁত গজানো বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ ও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজ সমূহ নিচে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো।

পেজ সূচিপত্র: বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ 

দাঁত ওঠার সময় শিশুর যত্ন: উপস্থাপনা

সন্তানের ছোট ছোট দাঁতের মিষ্টি হাসি সকল পিতা-মাতা কামনা করে। তাই সঠিক সময়ে শিশুর দাঁত উঠেছে কিনা সে বিষয়টি পিতা মাতা তদারকি করেন। যদি সঠিক সময়ে বাচ্চার দাঁত না উঠে তাহলে পিতা-মাতার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। সাধারণত শিশুর ৭ থেকে ১০ মাস বয়সের মধ্যেই দাঁত ওঠা শুরু করে।তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সময়ের কিছুটা হেরফের হতে পারে। 

দাঁত গজানোর পূর্বে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ প্রকাশ পায় সেই লক্ষণ গুলো যখন কোনো শিশুর মধ্যে প্রকাশ পাবে তখন অবশ্যই বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজ সমূহ করতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ ও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজ সমূহ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কিছু কাজ আছে। যখন শিশুদের দাঁত ওঠা শুরু হয় তখন সেই কাজগুলো করতে হয়। সেই কাজগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে শিশুর দাঁত পরিপুষ্ট হবে। যাই হোক চলুন দেখে নেয়া যাক, বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজ সমূহ।

শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে: দাঁত গজানোর সময় অবশ্যই শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই সময় দাঁতের মাড়ি অরক্ষিত থাকে যার ফলে শিশুর জীবাণু যুক্ত হাত মাড়ির সংস্পর্শে এলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হতে পারে। তাই যেকোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই শিশুর দাঁত ওঠার সময় শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

বেবি টিদার ব্যবহার করা: শিশুটি যখন দাঁত ওঠা শুরু করে তখন তাদের কামড়ানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। সামনে যা পায় তাই মুখে তুলে কামড়াতে থাকে। এই সময় শিশুদের পেট খারাপের সমস্যাও বহুগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রান পেতে আপনি বেবি টিদার ব্যবহার করতে পারেন।তবে যদি বেবি টিদার ব্যবহার করতে না চান সেক্ষেত্রে গাজর, আধাপাকা পেঁপের ফালি ইত্যাদি শিশুর হাতে দিয়ে রাখতে পারেন।

বাচ্চার মাড়ির যত্ন নিন: শিশুর দন্তোদগমের সময় মাড়ির যত্ন নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি দাঁতের মাড়ির যত্ন না নেন সেক্ষেত্রে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হতে পারে। কেননা সেই সময় দাঁতের মাড়ি খুবই ভালনারেবল অবস্থায় থাকে। সুতরাং যখন দেখবেন যে আপনার সন্তানের দাঁত উঠা শুরু হয়েছে তখন অবশ্যই সর্বদা শিশুর দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার রাখবেন। 

অল্প পরিমাণে বরফ ব্যবহার করা: শিশুর দাঁতের মাড়িতে যদি ব্যথা অনুভূত হয় সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে বরফ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অধিক পরিমানে বরফ ব্যবহার করলে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই বরফ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সাবধান থাকতে হবে। 

দাঁতের মাড়ি অতিরিক্ত ভুলে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন: দাঁত ওঠার সময় শিশুর দাঁতের মাড়ি যদি অতিরিক্ত ফুলে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।কেননা অতিরিক্ত মাত্রায় দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে জ্বরসহ আরো নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজগুলো ইতোমধ্যেই বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো নিচে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ এবং বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ প্রকাশ পেলে আপনাকে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কাজগুলো যথাযথভাবে করতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় সমূহ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপরে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। আর্টিকেলটির এই অংশে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সমূহ সবিস্তারে তুলে ধরা হবে।

কামড়ানোর প্রবণতা বেড়ে যায়: শিশুর দাঁত ওঠার বয়স হয় তখন তাদের কামড়ানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। যখন আপনি লক্ষ্য করবেন যে আপনার সন্তান সামনে যা পাচ্ছে তাই কামড়াচ্ছে, ধরে নিবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সন্তানের দাঁত গজানোর শুরু হয়ে যাবে। কেননা কামড়ানোর প্রবণতা বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ।

দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া: দাঁত গজানোর পূর্বে শিশুদের দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। তাই আপনি যদি দেখতে পান যে আপনার সন্তানের দাঁতের মাড়ি ফুলে গেছে, সে ক্ষেত্রে ধরে নেবেন যে আপনার সন্তানের দাঁত গজানোর শুরু হয়ে যাবে। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ।
অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া: দাঁত ওঠার সময় শিশুদের অস্থিরতা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রাত্রে ঠিকমতো ঘুমায় না এবং কান্নাকাটি করে। অস্থিরতা বেড়ে গেলে ধরে নিতে হবে যে আপনার সন্তানের দাঁত গজানোর সময় হয়ে এসেছে। 

রুচি কমে যাওয়া: সন্তানের দাঁত গজানোর সময় হলে খাবারের প্রতি রুচি কমে যায়। যদি আপনি দেখতে পান যে আপনার সন্তান খাবারের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই আক্রান্ত হচ্ছে, তাহলে ধরে নেবেন যে তার দাঁত গজাবে।

কান বা মাথা চুলকানো: শিশুদের দাঁত গজানোর সময় দাঁতের মাড়িতে হালকা ব্যথা হতে পারে, এর ফলে শিশু মাথায় এবং কানে বারবার হাত দিতে পারে। যদি লক্ষ্য করেন যে শিশু বারবার মাথায় হাত দিচ্ছে বা মাথা চুলকাচ্ছে এবং কানে হাত দিচ্ছে সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে পারেন যে তাঁর দাঁত গজাবে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময়

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় হলো সাত থেকে দশ মাস অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে একজন শিশু যখন সাত থেকে দশ মাস বয়সে পৌঁছায় তখন ওই তারাতে গজানো শুরু করে। তবে বিভিন্ন কারণবশত বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় কমবেশি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা যদি পুষ্টিহীনতার সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে একটু দেরিতে গজাতে পারে। আবার কারো কারো সময়ের আগেই দাঁত গজাতে পারে।

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও যদি কোন শিশুর দাঁত গজায় তাহলে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কেননা কোন কোন শিশুর দাঁত একটু দেরিতে গজায়। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও যদি বহুদিন পর্যন্ত শিশুর দগ্ধ নাগো যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় কখন? আশা করি তাই ইতোমধ্যেই জেনেছেন। উপরে বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় ও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। উপরে বর্ণিত তথ্যগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি দাঁত ওঠার সময় আপনার সন্তানের সঠিক পরিচর্যা করতে সক্ষম হবেন। 

বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ: উপসংহার

বাচ্চাদের যখন সময় হয় তখন তাদের এক্সট্রা যত্ন নেয়া উচিত। কেননা সেই সময় শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক কিছু পরিবর্তন ঘটে। এ সময় শিশুর আচার-আচরণ খিটখিটে হয়ে থাকে এবং অনেক বেশি কান্নাকাটি করে। আর দাঁত ওঠার এই সময় শিশুর রোগ যেন সারতেই চায়না। আর দাঁত ওঠার সময় শিশুরা সাধারণত কোন কিছু খেতে চায় না। 

তাই এই সময় যদি আপনি শিশুর অতিরিক্ত যত্ন নেন, তাহলে আপনার সন্তান বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময়, বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ ও বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় সম্পর্কে উপরে সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখিত তথ্যগুলো যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন, আশা করি আপনার উপকারে আসবে। তথ্যবহুল গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলটি অবশ্যই সকলের সাথে শেয়ার করবেন। ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মিহি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url